রবিউল আখির ১৪৪৪   ||   নভেম্বর ২০২২

প্রতিবেশী সম্প্রদায়কে দেখে...

ওয়ালিউল্লাহ আব্দুল জলীল

স্মরণাতীত কালের কথা। পৃথিবীতে আল্লাহ তাআলা আদম ও হাওয়া আ.-কে পাঠিয়েছেন। সময়ের প্রয়োজনে জীবন যাপনের প্রয়োজনীয় সব শিক্ষা দিয়েছেন। সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। মানুষ দিনকে দিন উন্নত থেকে উন্নতর হয়েছে। সেই হিসেবে মানুষ বিশ্বাসে কর্মে সব দিক দিয়েই এগিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু মানুষের ঈমান ও বিশ্বাস, আমল ও আখলাককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সেই স্মরণাতীতকাল থেকেই শয়তান ক্লান্তিহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শয়তানের ফাঁদে পা দিয়ে কিছু মানুষ বিপথগামী হয়েছে। বিপথগামিতার সেই ইতিহাস নানান ঘটনায় ভরপুর। আজকের অবসরে যে বিপথগামিতার কথা ভাবিত করছে তা হল, স্রষ্টাকে ভুলে যাওয়া, স্রষ্টার সঙ্গে কোনো সৃষ্টিকে শরীক করা এবং একপর্যায়ে স্রষ্টাকে অস্বীকার করা। এই বিপথগামিতার প্রাচীন ইতিহাস কুরআনে বিবৃত হয়েছে বারেবার। বিপথগামী মানুষকে সুপথে ফিরিয়ে আনতে আল্লাহ তাআলা নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। কিতাব প্রেরণ করেছেন। এর পরও পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ শিরক ও কুফরীর মতো অবাধ্যতার ইতিহাস রচনা করে গেছে।

নূহ আ.-এর কথাই ধরুন; সাড়ে নয় শ বছর তিনি দাওয়াত দিয়ে গেছেন। কিন্তু তাঁর দাওয়াতে ঈমান এনেছে খুব স্বল্পসংখ্যক মানুষ। দাওয়াতের সব ধরনের চেষ্টাই তিনি উজাড় করে দিয়েছিলেন। প্রথমে তাদেরকে স্বাভাবিকভাবেই দাওয়াত দিয়েছেন। তাদের অবাধ্যতা দেখে খোদার কাছে ফরিয়াদ করেছেন, তারপর তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন- হেদায়েতের পথে চললে তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া-আখেরাতের মহা প্রতিদান। এরপর তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন আল্লাহর সৃষ্টি কুশলতা। তাঁর এতসব নিবেদন, এতসব আকুলতা সত্ত্বেও তাদের নেতারা জনতাকে বলেছিল, তোমরা তোমাদের প্রভুদের ছেড়ো না। ছেড়ে দিয়ো না ওয়াদ, সুয়া, ইয়াগুস, ইয়াউক ও নাসরকে। সব শেষে নূহ আ. আল্লাহর দরবারে বদদুআ করলেন, হে আমার রব! পৃথিবীতে তুমি কোনো কাফেরকেই অবশিষ্ট রেখো না। তাদেরকে ছেড়ে দিলে তারা তোমার বান্দাদেরকে পথভ্রষ্ট করে ছাড়বে। তারা কেবল অবাধ্য ও পাপিষ্ঠ প্রজন্মই জন্ম দেবে। (দ্রষ্টব্য : সূরা নূহ)

এরপরই ঘটল মহা প্লাবন। পানির নিচে তলিয়ে গেল বিপুল খোদাদ্রোহী মানুষ। এরপর পৃথিবীতে আবার জীবন যাপন স্বাভাবিক হল। এর অনেক অনেক দিন পর আবার মানুষ শয়তানের প্ররোচনায় প্রতারিত হল। পাথর ও নানা বস্তু দিয়ে মূর্তি বানিয়ে সেটাকেই খোদার আসনে বসিয়ে দিল। দুর্বল মানুষ সর্বশক্তিমানের জায়গায় স্থান দিতে থাকে কল্পনা-নির্ভর আরও দুর্বল প্রাণহীন জড়পদার্থকে। এভাবেই চলতে থাকে বিপুলসংখ্যক মানুষ অন্তহীন আগুনের ইন্ধন হওয়ার পথে। চোখ খোলা রেখেই এগিয়ে চলে জাহান্নামের অতল গহ্বরের দিকে। যেই গহ্বরে একটি পাথর নিম্নস্তর স্পর্শ করতে সত্তর বছর লাগে। (দ্র. সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৮৪৪)

সময় দ্রুত ধাবমান। যে জন্য মানুষ বিরামহীন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। কল্পনার মাধ্যমে যেসব ধর্মের উদ্ভব ঘটেছে সেগুলোর মধ্যেও নানান রূপ ধারণ করে। যদিও ভ্রষ্টতা, পাপ ও শিরক মৌলিকভাবে একই। সেই মূর্তিপূজা, সেই মাখলুককে খালেকের সমকক্ষ মনে করা। আল্লাহর অসংখ্য অগণিত নিআমতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নিআমত হল, তাওহীদ ও ঈমানের দৌলতে ধন্য হওয়া। আমাদের অনেকেরই এ সৌভাগ্য লাভ হয়েছে জন্মসূত্রে। যাঁদের জন্মসূত্রে লাভ হয়নি তাদের পক্ষে ঈমান আনা এবং তাওহীদ ও রিসালাতের প্রতি বিশ্বাসের ঘোষণা দেওয়া কত যে কঠিন- তা আমরা আমাদের বৃহত্তর প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের প্রতি লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারি। নিজ হাতে গড়ে তোলা মূর্তির পূজা নিজেই করছে। যেখানে খোদা তার পূজারিকে সৃষ্টি করে থাকেন সেখানে উল্টো পূজারি তার খোদাকে সৃষ্টি করছে। এ খোদাও নানান সময়ে নানান জনের কল্পনায় নানান রূপ ধারণ করছে। মূর্তিগুলো কীভাবে তৈরি হয় তার কিছু নমুনা আমরা সেসব মুসলিম মনীষীর জবানে পাই, যাঁরা জাহেলী যুগের বিবরণ পেশ করেছেন। সহীহ বুখারীতে বর্ণিত আছে, আবু রাজা আলউতারিদী রা. বলেন-

كُنّا نَعْبُدُ الحَجَرَ، فَإِذَا وَجَدْنَا حَجَرًا هُوَ أَخْيَرُ مِنْهُ أَلْقَيْنَاهُ، وَأَخَذْنَا الآخَرَ، فَإِذَا لَمْ نَجِدْ حَجَرًا جَمَعْنَا جُثْوَةً مِنْ تُرَابٍ، ثُمّ جِئْنَا بِالشّاةِ فَحَلَبْنَاهُ عَلَيْهِ، ثُمّ طُفْنَا بِهِ.

ইসলাম গ্রহণের পূর্বে আমরা কোনো একটি পাথরের পূজা করতাম। কখনো এরচে উত্তম কোনো পাথর পেয়ে গেলে এটিকে ফেলে দিয়ে অন্যটির পূজা আরম্ভ করতাম। কখনো যদি পাথর না পেতাম কিছু মাটি একত্রিত করে স্তুপ বানিয়ে নিতাম। তারপর একটি বকরি এনে সেই স্তুপের উপর দুধ দোহন করতাম। এরপর এর চারপাশে তাওয়াফ করতাম। (হাদীস ৪৩৭৬)

ইবনে হাজার রাহ. ফাতহুল বারীতে (১০/৩৮৪) কুরতুবী রাহ.-এর সূত্রে উল্লেখ করেন, জাহেলী যুগের লোকেরা যে কোনো কিছু দিয়ে মূর্তি বানাত। এমনকি তাদের কেউ কেউ খেজুর দিয়ে মূর্তি বানাত। ক্ষুধা লাগলে সেই মূর্তিকেই আবার খেয়ে ফেলত।

শাস্ত্রের প্রতিমা মন্দিরে এসে আর প্রতিমা থাকে না; মূর্তি হয়ে যায়। তাই কোনো কোনো ধর্মাবলম্বী যে বলে, আমরা পাথরকে পূজি না; বরং এর মধ্য দিয়ে স্রষ্টাকে পূজি- সে যথার্থ নয় বলে প্রতীয়মান হয়। কারণ শাস্ত্র বলে, প্রতিমা অর্থ প্রতিম বা অনুরূপ। অতএব কোনো দেব বা দেবীর যতগুলো প্রতিমা হবে সে সবগুলো হুবহু একই রূপ হতে হবে; কোনোটির মধ্যে যদি সামান্যতম ব্যতিক্রমও পরিলক্ষিত হয়, তবে সেটিকে কোনোক্রমেই প্রতিমা বা অনুরূপ বলা যাবে না।

সাম্প্রতিক প্রতিবেশী সম্প্রদায়টি যে পূজা উৎসবটি করেছে সেটি ছিল দুর্গা পূজা। নওমুসলিম একসময়ের পুরোহিত আবুল হোসেন ভট্টাচার্য মূর্তিপূজার গোড়ার কথা বইয়ে দুর্গার পরিচয় দিতে গিয়ে লেখেন-

মহামায়া ভগবতী। দশভুজা [দশ হাত বিশিষ্টা] বলে পুরাণে বর্ণিত রয়েছে। দশভুজে দশ প্রহরণ ধারণ করে দুর্গাসুর বধ করে বলে এ নাম। সুরথ রাজা সর্বপ্রথম এ দেবীর পূজা করেন। স্কন্দ পুরাণের বর্ণনা থেকে জানা যায়, ভগবান রামচন্দ্র রাবণ বধের নিমিত্ত শরৎকালে এ দেবীর অর্চনা করেছিলেন। এ থেকে শরৎকালে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দেবী ভাগবতের বর্ণনায় প্রকাশ, রম্ভ নামক অসুরের পুত্র মহিষাসুর পর্বতে অযুত বর্ষাকাল কঠোর তপস্যায় রত হয় এবং পুরুষ জাতীয় কোনও জীব মহিষাসুরকে বধ করতে পারবে নাব্রহ্মার নিকট থেকে এ বর লাভ করে। এ বর লাভের পরে সে ভীষণভাবে দুর্মদ হয়ে ওঠে এবং দেবতাদের স্বর্গরাজ্য দখল করে নেয়। অনন্যোপায় হয়ে দেবতারা সাহায্যের জন্য বিষ্ণু ও শিবের নিকটে সমবেত হয়। তখন দেবতাদের তেজ থেকে দেবী ভগবতী (দুর্গা) উৎপন্ন হয়ে মহিষাসুরকে বধ করে। প্রত্ন-তাত্ত্বিক ও পুরাতাত্ত্বিকদের অভিমত হল, অতীতের কোনও এক সময়ে এদেশের বিশেষ একটি শ্রেণীর মানুষ বর্ষার পরে শরতের আগমনকে অভিনন্দন জানানোর জন্যে উৎসবে মেতে উঠতো।

তাদের এ উৎসবের উপাদান ছিল কদলী, দাড়মী, ধান্য, হরিদ্রা, কচু, মানকচু, বিল্ব, অশোক ও জয়ন্তী এ নয়টি গাছের পাতা। একে নব পত্রিকা বলা হতো।

পরবর্তী সময়ে এ নব পত্রিকাকে দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, সিংহ, মহিষ, অসূর ও কলাবউ-এর প্রতীক বলে কল্পনা করা হতে থাকে। কেউ কেউ কলা বউকে নব পত্রিকার প্রতীক বলে থাকেন।

রাজশাহীর (বর্তমান নওগাঁ) তাহেরপুরের রাজা কংশনারায়ণের নির্দেশে ওপরোক্ত নয়টি মূর্তি নির্মিত হয় এবং তিনিই সর্বপ্রথম মহাধুমধামের সাথে নব পত্রিকাসহ এ নয়টি মূর্তির পূজার্চনার ব্যবস্থা করেন।

আজও বাংলাভাষী হিন্দুদের মধ্যে নব পত্রিকাসহ এ নয়টি মূর্তির পূজা প্রচলিত রয়েছে এবং আজও এই পূজা শারদীয় উৎসব বলে অভিহিত হয়ে চলছে।

এখানে মূর্তি ও মূর্তির সহায়ক সবকিছুর নাম-পরিচয় সবই মানুষের কল্পনাপ্রসূত। যেমনটা ইউসুফ আ. তাঁর জেলখানার সঙ্গীদেরকে তাওহীদের দাওয়াত দিতে গিয়ে বলেছিলেন-

مَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِهٖۤ  اِلَّاۤ  اَسْمَآءً سَمَّیْتُمُوْهَاۤ  اَنْتُمْ وَ اٰبَآؤُكُمْ مَّاۤ اَنْزَلَ اللهُ  بِهَا مِنْ سُلْطٰنٍ.

আল্লাহকে ছেড়ে তোমরা যার ইবাদত করছ, তার সারবত্তা কতগুলো নামের বেশি কিছু নয়, যা তোমরা ও তোমাদের বাপ-দাদাগণ রেখে দিয়েছ। আল্লাহ তার পক্ষে কোনো দলীল নাযিল করেননি। -সূরা ইউসুফ (১২) : ৪০

মূর্তিকে প্রতিমা করে তুলতে এত কল্পনা। এত অধ্যবসায়, এত অর্থ ও সময় ব্যয়, এত শব্দদূষণের পর যা ঘটে তা যুক্তি-বুদ্ধির কোনো স্তরই উপলব্ধি করতে পারে না। যেখানে খোদাকে ধারণ করার কথা ছিল বুকে, আমৃত্যু আরাধনা করার কথা ছিল হৃদয় দিয়ে। তা না হয়ে ঘটে বরং উল্টো। পাঁচ দিনের পূজা অর্চনার পর মহা সমারোহে ডুবিয়ে দিয়ে আসে সমুদ্রে, নদীতে, খালে-বিলে। সাময়িক এ মাবুদকে ডোবাতে গিয়ে যে কত পূজারি ডুবে মরে। যেই দুর্গাকে পাঁচ দিন নম নম করেছে, ভক্তির আতিশয্যে সিজদা করেছে, সোনা-রূপা, ফুলে ফলে ভরিয়ে রেখেছে- তাকেই আজ পানিতে ডুবিয়ে দিয়েছে।

এ যেন সেই মুচির গল্পের মতো। এক দেশে গাপাল নামে এক মুচি ছিল। বেজায় অভাবী। নুন আনতে পান্তা ফুরায় দশা। একদিন নগরীর ব্যস্ত রাস্তার এক কোণে আনমনে জুতো সেলাই করছিল আর ভাবছিল, অভাবের সংসারের কথা। রাস্তার বেশ খানিক দূরে নগরীর প্রধান কাজী গাধার পিঠে নগর প্রদক্ষিণে বের হয়েছেন। এ দেখে মুচির দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে এল। উপরের দিকে তাকিয়ে অভিযোগের ভঙ্গিতে বলল, হে রাম, আমার যদি কাজী সাহেবের মতো একটা গাধা থাকতো! গাধার পিঠে সওয়ার হয়ে আরামে ঘুরে ঘুরে ছেঁড়া জুতো সংগ্রহ করে সেলাই করতাম। আয় রোজগার ভালোই হত। এ জীবন আর কতদিন!

যেই না বলা শেষ অমনি সামনে দেখল প্রথমে কাজী সাহেবের জুতো, পা, এরপর পুরা অবয়ব। প্রণাম হই বলে সন্ত্রস্ত ভঙ্গিতে উঠে দাঁড়াল। কাজীর মুখে রাজ্যের বিরক্তি। বলল, এই বেটা মুচি, কাজ ফেলে অন্যদিকে তাকিয়ে সময় নষ্ট করছিস, হাতে তোর তো কাজ নেই। গাধার পিঠে শহর ঘুরতে বেরিয়েছি। গাধার বাচ্চাটার কারণে গাধাটা এগুতেই চায় না! কাজ তো করছিস না! তুই এক কাজ কর। গাধার বাচ্চাটাকে ঘাড়ে নে আর আমার সঙ্গে ঘোর।

মুচি ভাবছিল গাধার পিঠে ঘুরবে, তা না এখন নিজেরই কাঁধে গাধা নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে। মুচি কোনো প্রতিবাদ না করে গাধার বাচ্চা কাঁধে নিয়ে বিড়বিড় করে বলল, উল্টা বুঝলি রে রাম!

রাব্বুল আলামীন সত্য বলেছেন-

لَهٗ دَعْوَةُ الْحَقِّ  وَ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهٖ لَا یَسْتَجِیْبُوْنَ لَهُمْ بِشَیْءٍ اِلَّا كَبَاسِطِ كَفَّیْهِ اِلَی الْمَآءِ لِیَبْلُغَ فَاهُ وَ مَا هُوَ بِبَالِغِهٖ وَ مَا دُعَآءُ الْكٰفِرِیْنَ اِلَّا فِیْ ضَلٰلٍ.

আল্লাহরই কাছে দুআ করা যথার্থ। তারা তাঁকে ছেড়ে যেই দেব-দেবীদের ডাকে, তারা তাদের দুআর কোনো জবাব দেয় না। তাদের দৃষ্টান্ত সেই ব্যক্তির মত, যে পানির দিকে দুই হাত বাড়িয়ে আশা করে পানি আপনা-আপনিই তার মুখে পৌঁছে যাবে, অথচ তা কখনো নিজে-নিজে তার মুখে পৌঁছার নয়। আর (দেব-দেবীদের কাছে) কাফেরদের দুআ  শুধুই বৃথা। -সূরা রাদ (১৩) : ১৪

ইউসুফ আ. জেলখানার সঙ্গীদেরকে দাওয়াতের শেষ পর্যায়ে বলেন-

اِنِ الْحُكْمُ اِلَّا لِلهِ  اَمَرَ اَلَّا تَعْبُدُوْۤا اِلَّاۤ اِیَّاهُ ذٰلِكَ الدِّیْنُ الْقَیِّمُ وَ لٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا یَعْلَمُوْنَ .

হুকুম দানের ক্ষমতা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নেই। তিনিই এ হুকুম দিয়েছেন যে, তোমরা তার ভিন্ন অন্য কারও ইবাদত করো না। এটাই সরল-সোজা পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না। -সূরা ইউসুফ (১২) : ৪০

 

 

advertisement