সফর ১৪৪৪   ||   সেপ্টেম্বর ২০২২

খবর ... অতঃপর ...

* অর্থনীতি

দেশিবিদেশি ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের অব্যাহতি

ব্যাংকগুলো হল দেশের বেসরকারি খাতের প্রাইম, ব্র্যাক, দি সিটি, ডাচ্বাংলা, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং বিদেশি খাতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

ট্রেজারি বিভাগ ব্যাংকের টাকা ও ডলারের যোগান ও চাহিদার বিষয়টি নিশ্চিত করে থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলারের দাম ৩০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৯৫ টাকা। আর খোলাবাজারে ১১৫ টাকা।

প্রথম আলো, ৯ আগস্ট ২০২২

# ডলারের বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক লাখ লাখ ডলার বাজারে ছেড়েছে। ডলার নিয়ে কারসাজি হয়ে থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক এর খবর রাখল না কেন? একটা রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা এত দুর্বল হয় কী করে? দীর্ঘদিন কারসাজি করে শত শত কোটি টাকা কামিয়ে ফেলার পর মনে হল! 

এক রপ্তানিকারক বন্ধু খুব দুঃখ করে সেদিন বললেন, আগে আমরা যে বৈধভাবে ডলার রাখতে পারতাম তাও সরকার জোর করে কিনে নিয়ে গেছে। দাম দিয়েছে সরকারি মূল্য অনুযায়ী ৯৪/৯৫ টাকা। বিপরীতে যখন আমদানির জন্য ডলার কিনতে যাই তখন আমাদেরকে ১১০/১১৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

এই যে জুলুম ব্যাংক পাড়াতে হচ্ছে, ক্ষমতাসীনরা করছে, এটা কার দুর্বলতার কারণে? কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারিতে থাকা ব্যাংকগুলো বৈদেশিক বাণিজ্য ডলারের মাধ্যমেই করে থাকে; তার পরও কীভাবে ডলারের এ কারসাজি করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তখন ব্যবস্থা নেয়নি কেন? এদেশে শুধু এক্ষেত্রেই না, অনেক জায়গাতেই দেখা যায়, অন্যায়, অপরাধ ও জুলুম ঠণ্ডা মাথায় করতে দেওয়া হয়। যখন সব শেষ হয়ে যায় তখন ধরপাকড় শুরু হয়। এরপর নামেমাত্র কিছু অফিসারের শাস্তি হয়। কিন্তু মূল রাঘব-বোয়াল, ব্যাংক পাড়ার মালিকরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। তাদের কোনো বিচার হয় না। এখানে শুধু ট্রেজারারের প্রশ্ন নয়; ট্রেজারার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সে তো অন্য কারও হুকুম বাস্তবায়ন করে মাত্র। এগুলো এখানকার নিয়তি। আগে অপরাধ করতে দেওয়া হয়। পরে লোকদেখানো হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। নিচের দিকের দুয়েকজনকে তিরস্কার বা শাস্তি দেওয়া হয়। এরপর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। মানুষের যে শত শত কোটি টাকা মেরে দেওয়া হয়েছে সেটা কি ফেরত দেওয়া হবে?

 

* চীনের ঋণ নিতে উন্নয়নশীল বিশ্বকে দুবার ভাবতে হবে

বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি এবং মন্থর প্রবৃদ্ধির কারণে ঋণগ্রস্ত উদীয়মান দেশগুলোর চাপ বাড়ছে। এজন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর মাধ্যমে আরো ঋণ নেওয়ার বিষয়ে দুবার ভাবতে হবে। লন্ডনের ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের (এফটি) দক্ষিণ এশিয়া প্রতিনিধিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেছেন।

ইত্তেফাক, ১১ আগস্ট ২০২২

# দুবার ভাবার আগে প্রথমবার যদি ভেবে নিতেন তাহলে কাজের কাজ হতো। শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে এখন মনে হচ্ছে, শুধু চীনের ঋণ নয় যেকোনো ঋণ নিতেই বহুবার ভাবা উচিত। ঋণ কেন নেব? যতটুকু আছে ততটুকু দিয়ে আমরা কেন চলতে অভ্যস্ত হই না। আমাদের ফ্যাশন করার দরকার নেই। আমাদের ঋণের উন্নয়নের দরকার নেই। ঋণের উন্নয়ন দিয়ে জনগণের উপর বোঝা চাপানো হচ্ছে আর অল্প কিছু লোককে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। চোর সবকিছু নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর সতর্ক হয়ে লাভ কী? ইতিমধ্যে জনগণের উপর ঋণের বিশাল বোঝা চেপেছে। ডলার আকাশচুম্বি, সরকার বাধ্য হচ্ছে আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে ঋণ চাইতে। এমন পরিস্থিতি কেন হল? পূর্বের ঋণ এবং সুদ আদায়ের জন্যই তো এই ঋণ! ধ্বংসাত্মক, অভিশপ্ত পুঁজিবাদী ও সুদী ব্যবস্থাটাই এমন যে, আপনাকে বেড়াজালে আবদ্ধ করে রাখবে। আপনি একটি থেকে বের হতে গিয়ে আরেকটিতে আটকে যাবেন। ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে আবার ঋণ। সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে আবার সুদ। সুদ তো এমনি এমনি অভিশপ্ত হয়নি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে অভিশাপ দিয়েছেন, সুদের বিরুদ্ধে কুরআনে কারীমে যে যুদ্ধের ঘোষণা এসেছে- কেন এসেছে? এজন্য বলা হয়েছে, সুদ এমন একটা অর্থব্যবস্থা, এমন একটা চিন্তা, এটা মানুষকে ধীরে ধীরে অজান্তেই ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। এটার চাক্ষুস প্রমাণ আমরা দেখছি। এখন প্রায় প্রতি বছরই তো জাতীয় বাজেটে খরচের সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকে ঋণ পরিশোধের  জন্য। এ সুদ পরিশোধ না করতে হলে হয়তো বাজেট ঘাটতিও আর হতো না। নতুন করে ঋণও নেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। এখন তো আবার ঋণ পরিশোধের জন্য বিশে^র দরবারে হাতও পাততে হচ্ছে। যদিও ঠাকুর ঘরে কে রে জিজ্ঞেস করা ছাড়াই মন্ত্রী সাহেব বলেছেন, ‘না আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী তেলের দাম বাড়েনি।তবে অনেকে বলছেন, আইএমএফের শর্ত পূরণের জন্যই তেলের দাম অগ্রীম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা হাত যখন পাতি তখন এটা নিচের হাত। তখন আমাদেরকে মাথা নত করতেই হবে। এমনি এমনি তো আর ঋণ পাওয়া যাবে না। তো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে ঋণ চাইতে বাধ্য হচ্ছে, প্রথমে আমরা ভাব ধরি। রাখঢাক করি। লাগলেও প্রকাশ করি না। পরবর্তীতে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর স্বীকার করি- ঋণ চাওয়া হয়েছে। ঋণ নিলে কি আর অজানা থাকবে? চীনের ঋণ হোক আর যে দেশের ঋণই হোক, কেউ বিনা সুদের ঋণ দিয়ে দেবে না। নিঃশর্ত ঋণ দেবে না। এজন্য যেকোনো ঋণ নিতে ভাবা দরকার এবং ঋণ নেওয়া এবং যেসব কারণে ঋণ নিতে হয় সেসব পথ বন্ধ করা উচিত।

 

* ব্যাংক লুটেরাদের দাপটে ক্ষমতাহীন বাংলাদেশ ব্যাংক

ইডিএফ (এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড) লোন নিয়ে কারসাজি

স্টেট ওয়াচ, ১২ আগস্ট ২০২২

# সেই লুটেরারা কারা? লুটেরারা তো বিদেশি কেউ না; এদেশেরই লোকজন। এদেশেরই হোমড়া-চোমড়ারাযারা ক্ষমতার চারপাশে ঘুরপাক খান তারা। সবাই জানে, সরকারের খুব কাছের লোক ছাড়া ব্যাংকের অনুমোদন পায় না। আগের সরকারের সময় যেসমস্ত ব্যাংক অনুমোদন পেয়েছিল সেগুলোর অনেকগুলোরই পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন হয়ে গেছে এবং মূল মালিকানায় পরিবর্তন হয়ে গেছে, সেখানে ক্ষমতাসীনদের আশির্বাদপুষ্ট ও কাছের লোকেরাই আছে। যদি লুটেরাই হয়ে থাকে তাহলে তারা তো অন্য কেউ না।

 

* ব্যাংকের মূল হিসাবের বাইরে প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা

খেলাপি ঋণ কমানোর কৌশল অবলোপন

আমাদের সময়, ১৪ আগস্ট ২০২২

# সাধারণ মানুষ নিরাপদ মনে করে ব্যাংকে অর্থ গচ্ছিত রাখে। সম্পদের সুদ মুনাফা যেটাই বলুক ব্যাংক থেকে এখন যা পাওয়া যায় তা খুব নগণ্য। সে নিরাপত্তাও এখন নেই। কায়েকদিন আগে খেলাপি ঋণ সোয়া লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার খবর পত্রিকায় এসেছে। এখন খবর নিলে দেখা যাবে, এক লাখ ত্রিশ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। খেলাপি ঋণগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নতুন গভর্নর এসে উঠেপড়ে লেগেছেন। সেখানে বিভিন্নভাবে ঋণখেলাপিদের রাস্তা খুলে দেওয়া হয়েছে, এতদিন পর্যন্ত খেলাপি বলা যাবে না। এই সুযোগ দিতে হবে, ওই সুযোগ দিতে হবে। জনগণের টাকা বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও লাভ দেওয়ার নামে নেয়; কিন্তু এগুলো তারা নেয় ফেরত না দেওয়ার জন্য। খেলাপি অবস্থায় থাকলে সে অন্য ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারে না। এ ব্যাংক থেকেও আর অতিরিক্ত লোন নিতে পারে না। খেলাপি হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। এ বাধাগুলো দূর করতে হবে না? কেউ পাঁচ শ কোটি, হাজার কোটি খেলাপি ঋণ নিয়ে বসে আছে, সে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সে সিআইপি; তার তো আরও ঋণ দরকার। আরও ঋণ নেওয়ার জন্য এ রাস্তাগুলো খোলা হয়। কিছু হিসেবের বাইরে ধরা হয় যে, এটা খেলাপি নয়। কৌশল অবলম্বন করা হয়। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলেই এমন বিভিন্ন রাস্তা তৈরি করা হয়। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে রেখেছে তাদেরকে কীভাবে খেলাপির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায়। কারণ, তাদের তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নতুন গভর্নর এসে নিজ পরিচয় দিয়ে দিয়েছেন। ঋণখেলাপিদের জন্য রাস্তা খুলে দিয়েছেন।

হিসাব-নিকাশে শুধু ৪৪ হাজার কোটিই না। গোমর এবং ফাঁকফোকর আরও আছে। ডলারের রিজার্ভ নিয়ে সরকার বলে ৪ বিলিয়ন ডলার। বিদেশিরা বলে, এটা ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি না। কারণ যে ডলারকে আমরা হিসেবের মধ্যে রাখছি সেগুলো দিয়ে আমদানি করা যাবে না। শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ঋণ এবং আরও যত গ্যারান্টি সরকার দিয়েছে রিজার্ভের হিসাবে সেগুলোও ধরা হয়েছে। নামে ডলার আছে, কিন্তু কাজে সেটা ব্যবহারযোগ্য নয়। এবং এটা যেমন হিসাবের মারপ্যাঁচ ওটাও হিসাবের মারপ্যাঁচ।

সব কথার মূল কথা হচ্ছে, দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি ভঙ্গুরতার দিকে যাচ্ছে। একসময় রাখঢাক করা হয়েছে এখন সে রাখঢাকের সময়ও পার হয়েছে। গরিবী চলে গেছে, দেশ অসাধারণ হয়ে গেছে, সারা বিশ্বের জন্য রোলমডেল হয়েছে বলে জ্ঞানপাপীদের চিৎকার শোনা গেছে! সরকার তো বলতে থাকবেই। মন্ত্রীদের কাজই হল, এ ধরনের অবাস্তব কথা বলা। সাধারণ মানুষকে বোকা বানানো। আশ্চর্যের বিষয় হল, একশ্রেণির সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, তথাকথিত অর্থনীতির বিশেষজ্ঞদের একসাথে বছরকে বছর উন্নয়নের রোলমডেলের যে প্রচারণা সেটা যে শুধুই জারিজুরি ও মুখের বুলি ছিল তা বহু লোক আগে থেকেই জানত। দেশের নিরপেক্ষ শিক্ষিত শ্রেণি, যাঁরা খোঁজ-খবর রাখেন বোঝেন- তাঁরা কিন্তু জানতেন আসলে কী হচ্ছে? আমি তো অন্তত মনে করি, শ্রীলঙ্কার দুরবস্থায় এ দেশের জন্য কিছুটা আশীর্বাদ বা ভালোর দিকও রয়েছে; এদেশের ক্ষমতাসীনদের আগে থেকে ভাবতে বাধ্য করেছে। মানুষের যখন কঠিন অবস্থা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সাধারণ মানুষজন জীবন-জিবিকার জন্য হিমশিম খাচ্ছে- এমন পরিস্থিতিতে এসে সরকার তেলের দাম বাড়িয়ে দিল। এটা সবাই জানে, কোন্ মন্ত্রী সাহেবও যেন বললেন, জ্বালানী তেলের দাম বাড়লে সবকিছুর দাম বাড়বে। দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষের যে নাভিশ্বাস হচ্ছে, তেলের দাম বৃদ্ধি করে সরকার সেটাকে ইচ্ছা করেই বাড়িয়ে দিল। যেটাকে অজুহাত হিসেবে পেশ করা হল, সেটা হাস্যকর। অজুহাত দেওয়া হয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। এখন তো আন্তর্জাতিক তেলের বাজার অব্যাহতভাবে কমছে। তেলের দাম বাড়ানোর আরেকটা অজুহাত দেওয়া হয়, তেল পাশর্^বর্তী দেশে পাচার হয়ে যাওয়া। তাহলে দেশের হাজার হাজার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা কী করে? আমাদের সীমান্ত কি অরক্ষিত? এটা তো সোনা বা টাকা নয় যে পকেটে করে নিয়ে যাবে! দু-চার লিটার তেল নিলে তো মাথাব্যথা হওয়ার কথা না। তাহলে কীভাবে তেল পাচার হয় বিদেশে? সেসব প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়ার অজুহাত দেওয়া শুধু হাস্যকরই নয়, দেশের জন্য বিব্রতকরও বটে। আসলে আমরা কখন কী বলি, সেটা আমার পক্ষে যাচ্ছে, না বিপক্ষে যাচ্ছে সেটাও খেয়াল করি না। এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা জনগণ ও রাষ্ট্রের ওপর বিশাল প্রভাব পড়বে সে সিদ্ধান্তের পক্ষে ঠুনকো অজুহাত পেশ করা হচ্ছে। আসল কথা হচ্ছে, নিজেদের রক্ষার জন্য, বিলাসিতা অব্যাহত রাখার জন্য জনগণ থেকে টাকা উঠিয়ে নিতে হবে। যে জন্য তেলের দাম ৫২ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা জনগণের খাদ্য থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। যে পর্যন্ত না আমরা জাতীয়ভাবে সংশোধিত হব ততদিন পর্যন্ত এর প্রভাব থাকবে।

 

* ৩৭ হাজার বোতল মদের গন্তব্য ছিল বার-ক্লাব, এনেছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আজিজ

মানবজমিন, ২৫ জুলাই ২০২২

# ক্ষমতাসীন দলের ধর্মবিষয়ক কমিটির সদস্য বলে কথা!

 

* বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুলবাড়িতে অবস্থান করছেন সৌদি যুবরাজ

এনটিভি, ২৯ জুলাই ২০২২

# খবরে এ-ও বলা হয়েছে, এ বাড়ির মালিক নাকি মূলত তিনি নিজেই। বিভিন্ন সূত্র বলছে, বাড়িটি তিনি নিজের নাম গোপন করে এজেন্টদের মাধ্যমে খরিদ করেছেন। আল্লাহ তাআলার দেওয়া খনিজ সম্পদ এভাবেই অপচয় করে থাকে এই রথি মহারথিরা।

 

* সেই পদ্মা ও সেতুর নাম পরিবর্তন করেছে পরিবার

যুগান্তর, ০৩ আগস্ট ২০২২

# কথায় বলে, হুজুগে বাঙালী। হুজুগেরও একটা মেয়াদ থাকে।

 

* ঢাকায় ওসির আটতলা বাড়িসহ বিপুল সম্পদ

রাজধানীর বছিলায় আটতলা বাড়ি, কেরাণীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় রমনা থানার ওসির একাধিক প্লট রয়েছে।

প্রথম আলো, ০৫ আগস্ট ২০২২

# এ আর কী? সামান্য! ঢাকা শহরের একটি থানার ওসি, তাও মন্ত্রীপাড়ার এলাকায় অবস্থিত থানা। এমন গুরুত্বপূর্ণ থানার ওসির অল্প-স্বল্প সম্পদ নিয়ে কি অন্যদের মাথা ঘামানো উচিত?

 

* আর কোনো ব্যক্তিকে যেন ভুলভাবে মামলায় জড়ানো না হয় : দুদককে হাইকোর্ট

প্রথম আলো, ০৬ আগস্ট ২০২২

# দুদক হাইকোর্টের নসীহত শুনবে কি না জানি না। তবে হাল আমলে দেশে দেশে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে দুষ্টের পালন ও শিষ্টের দমনের কাজে ব্যবহারের রেওয়াজটি ব্যাপকভাবে বাড়ছে। এজন্য ভালো নাম ও সৎ উদ্দেশ্য প্রকাশ করে তৈরি হওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপকভাবেই বদনাম হচ্ছে। দুদক মানে দুর্নীতি দমন কমিশন। নামটি খুবই ভালো। বিভিন্ন দেশেই কাছাকাছি নামের সংস্থা আছে। ব্যাপকভাবেই দেখা যায়, এসব সংস্থার অফিসার ও প্রধানদের বিরুদ্ধে শুধু বিরোধীরাই না, নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরাও অভিযোগ করে থাকেন। দেশে যখন যাঁরা ক্ষমতায় থাকেন তাঁরা এসব সংস্থাকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। অথচ কতই না ভালো হত, যদি এ ধরনের সংস্থা সরকারি, বেসরকারি, ক্ষমতাবান নির্বিশেষে সকলের, বিশেষত যারা বেশি ক্ষমতাবান, যাদের ভয়ে সাধারণ লোকেরা তটস্থ থাকে, যাদের দুর্নীতি দমানো বা কমানো সাধারণভাবে সম্ভব নয়, তারা যদি তাদেরকে শায়েস্তা করতে পারত তাহলে কতই না ভালো হত। ইসলামী সরকারে ইহতিসাবনামে একটা বিভাগ থাকে। সে বিভাগের কাজই হল, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কেউ অন্যায় কাজে জড়িয়ে পড়লে সেখানে হস্তক্ষেপ করা এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা। এ বিভাগটি স্বাধীন ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকে।

প্রথম প্রথম দুদক জাতীয় সংস্থা দেখে আমাদের মনে হয়েছিল, তারা এ ধরনের কাজই করবে। একসময় বাংলাদেশের সংবিধানে ন্যায়পালশব্দ উল্লেখ ছিল। স্বাধীনতার বহু বছর পরও ন্যায়পালগঠন করা হয়নি। যদিও সংবিধানে লেখা ছিল, রাষ্ট্র ন্যায়পাল নিয়োগ করবে। এই ন্যায়পাল আর বাংলাদেশ পায়নি। মনে হয়, এটা সংবিধান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সরিয়ে ভালোই হয়েছে। কারণ, বিতর্কিতভাবে থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। যাই হোক, কবে যে দেশে ইসলামী ইহতিসাব এবং নিরপেক্ষ দুর্নীতি দমনের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে? সেই প্রতীক্ষায় কত বছর থাকতে হবে আল্লাহ্ই ভালো জানেন।

 

* গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ২৪

প্রথম আলো, ০৭ আগস্ট ২০২২

# কিছুদিন আগেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সৌদি আরব ও  ইসরাইলে গেলেন। প্রকাশ্যেই সৌদি আরবের আকাশ খুলে গেল ইসরাইলের জন্য। সেই সাহসেই ইসরাইল নতুন করে জুলুম হামলা শুরু করেছে। বিজাতিরা আমাদের ওপর আক্রমণ করা সত্ত্বেও আমাদের শাসকরা তাদেরকে পুরস্কৃত করে। এর আগেও দেখা গেছে, ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকার মুসলমানদের ওপর যখন নির্যাতন করে তখন আরব রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে মোদি পুরস্কৃত হয়। এখনও দেখা গেল, মুসলমানদের প্রাণকেন্দ্র মক্কা-মদীনার দেশের আকাশ খুলে দিল দখলদার জালিমদের জন্য। অন্যদিকে তারা আবার নতুন করে হত্যা-নির্যাতন শুরু করেছে। যতদিন পর্যন্ত মুসলিমরা জেগে না উঠবে, তাদের মতলববাজ শাসকদেরকে হটাতে না পারবে ততদিন এগুলো চলবে।

 

* হেফাজত আমীরের অনীহা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কওমী আলেমদের বৈঠক স্থগিত

মানবজমিন, ৮ আগস্ট ২০২২

# এ অনীহাগুলো যদি আগে থেকে থাকত! তখন হয়তো এ ধরনের সভায় ডাকার সাহসও কেউ করত না।

আরেক খবরে এসেছে, আল-হাইআতুল উলয়ার বৈঠকেও মন্ত্রীর মিটিংয়ে যেতে অপারগতা প্রকাশ করা হয়েছে। এই যে অপারগতা ও অনীহার বিষয়গুলো এখন সামনে আসছে, আগে থেকে যে রাস্তাগুলো তৈরি হয়েছে, কোথায় কোথায় ধরনা দিতে হবে, কোথায় যেতে হবে, কোন্ মসনদের কাছে পৌঁছাতে হবে, কারণে অকারণে মতামত নিতে হবে, পরামর্শ করতে হবে- এসবের কারণেই তো এখন এই অবস্থা। উলামায়ে কেরাম যদি পূর্বসূরিদের কথা অনুযায়ী চলতেন, হাদীসের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতেন, ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে যদি দূরে থাকার চিন্তা করতেন! দূরে থাকার অর্থ তো এই নয় যে, তাদের সঙ্গে লড়াই-ঝগড়া করতে হবে। ক্ষমতাসীনরা তাঁদের কাজ করবেন, আলেমরা তাঁদের কাজ করবেন। প্রত্যেকের ময়দান ভিন্ন। প্রয়োজন থাকলে ভিন্ন কথা। নিজেদের আজমত, নিজেদের হায়বত, নিজেদের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ইস্তিগনার সাথে সেটা করা যায়। এসব না করে কাছাকাছি যাওয়ার যে রেওয়াজ তৈরি হয়েছে সেখান থেকেই আজকের আহ্বান আর প্রত্যাখ্যানের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মুরব্বীদের স্বাতন্ত্র্য ও ইস্তেগনা ফিরিয়ে না আনলে মূল্য যা দেওয়া হয়েছে তারচে আরও অনেক বেশি দিতে হবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সর্বোচ্চ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব এবছর রাষ্ট্রীয় পদক হেলালে ইমতিয়াজ’-এ ভূষিত হয়েছেন। তিনি মাওলানা হানীফ জালান্ধরী, হযরত মাওলানা সালীমুল্লাহ খান ও অন্যান্য মুরব্বীদের তত্ত্বাবধানে বেফাকের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। নওজোয়ান এ আলেমেদ্বীন বিভিন্ন সরকারের আমলে মাদরাসাগুলোর উপর আসা হরেক রকম চাপ সামলেছেন সততা, বুদ্ধিমত্তা ও পরম সাহসিকতার সাথে। নীতির প্রশ্নে কখনো আপোস করেননি। রাষ্ট্র ও ক্ষমতাবানদের নিজেদের নীতিতে ও নিজেদের স্বার্থের অনুকূলে এনেছেন। কিন্তু ইসলামী শিক্ষায় রাষ্ট্রের কোনো হস্তক্ষেপ বরদাশত করেননি। এতদ্সত্ত্বেও রাষ্ট্র তাকে পদকে ভূষিত করেছে। তাঁদের কী বৈশিষ্ট্য ছিল? একদিক থেকে তাঁরা যেমন রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে  অপ্রয়োজনীয় উঠা-বসা, তদবীর করা, ব্যক্তিস্বার্থে দৌড়ঝাঁপ ইত্যাদির ধারে কাছেও যাননি; অন্যদিকে গায়ে পড়ে রাষ্ট্রের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদেও লিপ্ত হননি। তাঁরা কাজ করেছেন ইসলামী শিক্ষা ও কওমী মাদরাসার উন্নয়নে। রাষ্ট্র করেছে আপন কাজ। আর এই দেশে বিগত এক দশকে...।

 

* আগের দামে তেল বিক্রি করে ডিপো খালি, প্রশংসায় ভাসছেন মালিক

গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) হঠাৎ জারি করা প্রজ্ঞাপনে রাত ১২টা থেকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়। এতে অনেক ফিলিং স্টেশন সিন্ডিকেট করে পুরনো দামে কেনা তেল বেশি দামে বিক্রির জন্য মজুত করে রাখে এবং বর্ধিত দামেই বিক্রি করে। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল কক্সবাজারের করিম অ্যান্ড ফিলিং স্টেশন। সেখানে বর্ধিত নয়, পুরনো দামেই জ্বালানি তেল বিক্রি করে ডিপো খালি করেছেন ফিলিং স্টেশনের মালিক হুমায়ূন করিম সিকদার।

বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১০ আগস্ট ২০২২

# এরকম মানুষ যদি দেশে আরও কিছু থাকত, এমন ব্যবসায়ী যদি আরও কিছু হত তাহলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত এবং আমাদের সমাজব্যবস্থারও উন্নতি ঘটত। সেই সঙ্গে উপরের লুটেরারাও বদলি হতে বাধ্য হতো। অভিনন্দন তাঁকে। দেখা যাবে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে অন্য জায়গায় বরকত দিয়ে দেবেন।

 

* ক্ষমতা দেওয়ার মালিক মহান আল্লাহ : ওবায়দুল কাদের

যুগান্তর প্রতিবেদন, ১০ আগস্ট ২০২২

# সম্ভবত তাঁর মুখে প্রকাশ্যে প্রথম আল্লাহর নাম শোনা গেছে। তিনি যখন হসপিটালে ছিলেন তখন তাঁর লোকজন আল্লাহর কাছে দুআ করতে মানুষের কাছে আবেদন করেছিলেন। সবসময় তো তাঁর মুখে অন্যরকম শব্দই শোনা যায়। বিশ্বপরিস্থিতি এবং এবারের নির্বাচনের আগে ভিন্ন পরিবেশ দেখার কারণেই কি না!

 

* তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করার সুযোগ চীনকে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র : পেলোসি

ইত্তেফাক, ১১ আগস্ট ২০২২

# যুক্তরাষ্ট্র যে কী করতে পারবে তাইওয়ানে এসে তা ইতিমধ্যেই বোঝা হয়ে গেছে। এসমস্ত হাঁকডাক ও স্নায়ুযুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি করে গণমানুষের জীবন কঠিন করে তুলছে। বিশ্বমোড়লরা এরকম ঝগড়াঝাটি করে বিশ্বের গণমানুষেরই ক্ষতি করে থাকে।

 

* নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনও সুযোগ নেই : ওবায়দুল কাদের

ইত্তেফাক, ১১ আগস্ট ২০২২

# তা তো বটেই। কিন্তু নির্বাচন কোন্ ধরনের- সেটা আরকি কথা! সেটা রাতের নির্বাচন, না অগ্রীম সিল মারার নির্বাচন, না বিশেষ বোতাম টেপার নির্বাচন? কত ধরনের নির্বাচনই তো এদেশে আছে। ইতিমধ্যে হয়েছে এবং হচ্ছে।

 

* সরকারি গাড়ির তেল চুরি মাসে ১৮ হাজার লিটার, গ্রেপ্তার ৪

সমকাল, ১১ আগস্ট ২২

# যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শুধু কি তারা জড়িত না আরও কেউ আছে? তেলের লাইনে স্বীকৃত চুরি তো গোঁড়া থেকেই আছে। এই চুরির ঘটনাকে চুরির উপর বাটপারি বললে বলা যায় আরকি। শুধু এই সেক্টরেই না, সরকারের বিভিন্ন জায়গায় যে গাড়ি ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ থাকে সেগুলোতে তো এভাবেই চুরি হয়। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যখন চুরি-দুর্নীতি ঢুকে যায় এবং এর সঙ্গে সমাজের উচ্চপর্যায়ের লোকেরা জড়িত থাকে তখন তো এমন হবেই।

 

* জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় কেউ মারা যায়নি : পরিকল্পনামন্ত্রী

যাযাদি, ১০ আগস্ট ২০২২

# এগুলো আমরা আগেও বলেছি। কিছু জিনিস নিয়ে মন্তব্য করতেও ঘৃণা হয় অনেক সময়। চোখে যে চশমা দেবেন সামনে সে রঙই দেখবেন। মন্ত্রী-যন্ত্রী ও তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গরা যে ঐশ্বর্যের মধ্যে বাস করেন জনগণের কাছে তারা ভিড়লে জনগণ সম্পর্কে তাঁরা জানতে পারতেন। এখন তো মন্ত্রী-এমপি কারোরই জনগণের কাছে যেতে হয় না। কারণ, এখন ভোটের দরকার হয় না। ভোটের জন্য জনগণ লাগে না। এজন্য তাঁরা এমন মন্তব্য করেন। এগুলো আসলে কাটা ঘায়ে লবণের ছিটা দেওয়া। মানুষের  কষ্ট বাড়ানো এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এক ধরনের তাচ্ছিল্য করা। এ আজব দেশে ক্ষমতাবানদের যেহেতু জবাবদিহিতা করতে হয় না, তাই তারা যাচ্ছেতাই বলে যায়। যদি এনবিআর থেকে মন্ত্রী সাহেবদের কথার ওপর ট্যাক্স আরোপ করা হত তাহলে হয়তোবা এটা কিছু কমত।

 

* মুরাদনগরের লাকী সিনেমা হলএখন মাদরাসা

কুমিল্লা শহরের বিশিষ্ট প্রিন্টিং ব্যবসায়ী, ‘লাকী প্রিন্টার্স ও সরকার প্রিন্টার্স’-এর স্বত্বাধিকারী যুবায়ের আলম (মরহুম যুবায়ের আলম সরকার)-এর মালিকানাধীন, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জের লাকী সিনেমা হলটিকে এখন মাদরাসায় পরিণত করেছেন।

দৈনিক মানবকণ্ঠ১০ আগস্ট ২০২২

# অভিনন্দন। পাপ যত বড়ই হোক খালেস অন্তরে আল্লাহর কাছে তওবা করে ফিরে আসাটাই মহৎ কাজ।

 

* অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা বেহেশতে আছি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

প্রথম আলো, ১২ আগস্ট ২০২২     

আপনারা সবাই তো আমারে খায়া ফেললেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মানবজমিন, ১৪ আগস্ট ২০২২

# তিনি এটা কী করে ভাবলেন। বেহেশতে কেউ কাউকে খেতে পারে না। ওখানে এমনিতেই এত খাবার প্রস্তুত যে, অন্য কাউকে খেয়ে ফেলার সুযোগ নেই। তিনি অযথাই ভয় পাচ্ছেন।

 

* সালমান রুশদির ওপর হামলা

যুগান্তর, ১২ আগস্ট ২০২২

২০ সেকেন্ডে ১০-১৫ বার আঘাত করা হয় রুশদিকে

প্রথম আলো, ১৩ আগস্ট ২০২২

# হামলাকারী মালউন রুশদিকে আবার প্রচার পাওয়ার সুযোগ করে দিল। দেশে দেশে রুশদিদের দোসররা এমনকি আমাদের দেশের কিছু পেপার-পত্রিকাও তার গুণগান গাওয়ার সুযোগ পেল। নির্লজ্জের মতো গাইলও অনেকে। রুশদিকে হিরো বানানোর চেষ্টা চলল বেশ কিছু দিন। রুশদির হায়াত লম্বা না হলে আরও কিছু দিন হয়তো চলত। ইসলাম ও রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অবমাননার খেসারত হিসেবে সে তো বহুদিন ধরে আড়ালেই চলে গিয়েছিল। এ হামলা কয়েকদিনের জন্য আবার তাকে আলোচনায় নিয়ে এল। কিন্তু আমাদের দেশের জন্য  অত্যন্ত লজ্জার বিষয় হল, এদেশের কিছু কিছু জাতীয় দৈনিক সে হামলার খবর তো প্রচার করলই, সেইসঙ্গে শুধু তার গুণগানই গেয়ে গেল। কিন্তু সে কেন ধীকৃত হয়েছে, কীভাবে সে স্যাটানিক ভার্সেস লিখে মুসলমানদের অন্তরে আঘাত দিয়েছে, এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে গিয়ে কত মানুষ জান দিয়েছে তা ফলাও করে প্রচার করল না। সর্বোচ্চ প্রচারের দাবিদার একটি পত্রিকা অনলাইনে কয়েকদিন তার গুণগান নিয়েই শিরোনাম করেছে। ইসলামের বিষয়টি একদম চেপে গেছে। ছোট্ট করে শুধু দুয়েকবার ইসলাম অবমাননার বিষয়টি অবহেলিতভাবে এসেছে। এই যে মিথ্যাচার ও নির্লজ্জতা, সারা বিশ্ব যেটা জানে সেটাকে রাখঢাক করার যে চেষ্টা- এসব দ্বারা মানুষ বুঝতে পারে, পত্রিকাগুলোর পরিচালনায় যারা জড়িত, তাদের গোড়া কোথায়, এরা মূলত কাদের দোসর এবং তারা কার স্বার্থে কাজ করে?

 

* ভারতে গিয়ে আমি বলেছি, এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দুই দেশেরই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। এটি সম্ভব, যদি শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন দেয় ভারত।

প্রথম আলো, ১৯ আগস্ট ২০২২

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আ. লীগের কেউ নন, দাবি আ. লীগের সভাপতি ম-লীর সদস্য আবদুর রহমানের

আবদুর রহমান বলেন, ‘প্রশ্ন হল, তিনি তো (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) আমাদের দলের কেউ নন। সুতরাং আমাদের দল তাঁর এই বক্তব্যে বিব্রত হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের কেউ নন বলে আবদুর রহমান দাবি করলেও প্রকৃত সত্য হচ্ছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। এ ছাড়া তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রথম আলো, ২০ আগস্ট ২০২২

# পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বড় ভাই মরহুম আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাহেব ছিলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি একবার এত এত ব্যাংকের অনুমোদন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলে বসেছিলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় আমাদেরকে অনেক ব্যাংকের অনুমতি দিতে হয়েছে। অর্থাৎ দলীয় লোকদের ব্যাংকের মালিক বানাতে হবে তো! যেন জনগণের অর্থকড়ি... একবার তিনি সংসদে ঋণখেলাপিদের নাম প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। শুরুতেই ছিল তাঁর দলের বড় বড় ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠানের নাম। এ কারণে তাঁকে ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। পরে তাঁকে চেপে ধরে কথা ঘুরানো হয়েছে।

তাঁরা একই ঘরের লোক তো! পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়েরও মুখ ফসকে একথাটি বেরিয়ে গেছে। তিনি নতুন কিছু বলেননি। তিনি এমন কথাই বলেছেন, যা সম্ভবত এদেশের সর্বস্তরের মানুষ বিশ্বাস করে। এ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করার বিষয় আছে বলে মনে করি না। এটি ওপেনসিক্রেট বিষয়। তিনি শুধু মুখে বলে ফেলেছেন। এখন বলা হচ্ছে, তিনি আওয়ামী লীগের কেউ না। একটা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় ব্যক্তিগত সফরে নয়, রাষ্ট্রীয় সফরে বিদেশ গিয়েছেন। সে সফরনামা এসে তিনি শুনিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়ে কোনো মন্ত্রী ব্যক্তিগত কথা এভাবে বলেন- এমনটা শোনা যায় না। এখন যে বলা হচ্ছে, তিনি আওয়ামী লীগের কেউ না, তাহলে এটা কি জাতীয় সরকার? বহুদলীয় সরকার? আওয়ামী লীগের না হলে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন কী করে? তিনি কোন্ মার্কা নিয়ে এমপি হয়েছেন? কোন্ দলের মনোনয়নে এমপি হয়েছেন? এখন আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা বলছেন, তিনি আওয়ামী লীগের কেউ না। এটা বলার দরকার কী? রাখঢাকেরই বা কী দরকার? মনে হয় না, তিনি দোষের কোনো কথা বলেছেন। সবাই মেনে গেলেই হয়। এতে দোষের কী আছে? সবাই যে কথা জানে, বিশ্বাস করে, সে কথা নিয়ে রাখঢাক ও ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা কি উচিত? কথা তিনি যা বলেছেন সেটাই ঠিক। এ নিয়ে কারও কিছু আসে যায় না। আওয়ামী লীগের নেতারা চেপে গেলেই পারেন। তারা এতে চাপ বোধ করছেন কেন? এটা নিয়ে রাখঢাক করার প্রয়োজন জনগণও মনে করে না। জনগণও এটাই বিশ্বাস করে।

 

* কাবার সাবেক ইমামের ১০ বছর কারাদণ্ড

মসজিদে হারামের সাবেক জনপ্রিয় ইমাম ও খতীব, সৌদি আরবের উচ্চ আদালতের সাবেক বিচারপতি শায়েখ সালেহ আলে তালিবকে দশ বছরের কারাদ- দিয়েছে সে দেশের একটি আদালত। কী অভিযোগে তাঁকে এ দ- দেওয়া হল তার কোনো খোলাসা করেনি দেশটি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বে প্রদান করা একটি জুমার খুতবা এ গ্রেফতারের কারণ। যার পর পর তাকে প্রথমে গুম এবং পরে গ্রেফতার দেখানো হয়েছিল। সে খুতবায় তিনি নাম না ধরে সৌদি যুবরাজ এমবিএসের ইসলামবিরোধী ও একনায়ক মানসিকতা ও কার্যকলাপের ঘোর সমালোচনা করেছিলেন।

কালের কণ্ঠ, ২৬ আগস্ট ২০২২

# ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন শায়েখ সালেহ আলে তালিব। হারামাইন শারীফাইনে কত ইমামই তো আসেন আর যান। কিন্তু কজনের ভাগ্যে জোটে- كلمة حق عند سلطان جائر তথা জালিম শাহীর সামনে হক কথা বলা। শায়েখ তা করেছেন পরম সাহসিকতায় ঈমানের বলে বলিয়ান হয়ে। তিনি ইতিহাসের ক্ষণজন্মা নির্ভীক মুমিন মনীষীদের কাতারেই শামিল হননি; বরং একইসঙ্গে খলনায়কদের কাতারে শামিল করেছেন যুবরাজ এমবিএসসহ পৃথিবীর তামাম একনায়ক ভীরু-কাপুরুষদের।

 

গ্রন্থনা : মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ খান

 

 

advertisement