দুঃখী মানুষের সাহায্যে উলামায়ে কেরাম
প্রয়োজনীয় প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয়
এটি শুধু এবারের ঘটনাই নয়। বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে বারবার। আলেমগণ যেকোনো বিপর্যয়ের সময় গণমানুষের পাশে স্বতস্ফূর্তভাবে নিজেদের যা কিছু আছে তা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। বিপর্যয় যত বড়, মসিবত যত বেশি সেখানে সহযোগিতার প্রয়োজনও তত বেশি হয়। সেখানেই সাহায্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসা লোকদের তৎপরতা নজরে পড়ে বেশি। সিলেট-সুনামগঞ্জের সাম্প্রতিক সময়ের দু-দফার বন্যায়ও এমনটি ঘটেছে। দেশের উত্তরপূর্ব সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর লক্ষ লক্ষ মানুষ স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় যখন নিজেদের ঘর-বাড়ি, গবাদিপশু ও অন্যান্য সম্পদ এমনকি অনেকে নিজেদের কলিজার টুকরা সন্তান হারিয়ে দিশেহারা অবস্থায় পতিত হয়েছে, সেসময় অনেকে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। স্যোশাল মিডিয়ার কল্যাণে কারও কারও ত্রাণ তৎপরতার বিষয়টি ব্যাপকভাবে ভাইরালও হয়েছে।
যদি প্রশ্ন করা হয়, এই মহাবিপর্যয়ে কোন্ শ্রেণি-পেশার লোকজন মানুষের সেবায় সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী হয়ে অংশগ্রহণ করেছেন? কোনো সন্দেহ ছাড়াই আলেম-উলামা ও দ্বীনদার শ্রেণির কথাই সবার আগে উঠে আসবে। যাঁরা আক্রান্ত এলাকার আশপাশে বসবাস করেন, যাঁরা ওই সময়গুলোতে সেসব এলাকায় জনসেবার কাজে নিয়োজিত ছিলেন এবং যাঁরা ওই বিপদে-দুর্দশায় পড়েছিলেন তাদের মধ্যে নিরপেক্ষ ও সত্যবচন লোকদের জিজ্ঞেস করলে সহজেই এর প্রমাণ মিলবে। আজকের নিবন্ধে আমরা এ বিষয়েই দু-চারটি কথা আরজ করব।
কয়েক বছর আগে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কর্তৃক জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের পাহাড়ী উপত্যকাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিল তখনও বিষয়টি স্পষ্টভাবে সামনে এসেছিল। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উলামায়ে কেরাম ও তাঁদের অনুসারী লোকজন ত্রাণসামগ্রী ও নগদ সহায়তা নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন।
দূরবর্তী জেলাগুলো এমনকি সুদূর উত্তরবঙ্গ থেকেও দলে দলে আলেমগণ ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থকড়ি একত্র করে উখিয়া-টেকনাফে হাজির হয়েছিলেন। তৈরি করে দিয়েছেন অসংখ্য মসজিদ-মাদরাসাও। পরবর্তীতে দেশী-বিদেশী এনজিওদের তৎপরতায় পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণকারীদের কড়াকড়িতে পড়ে যাওয়ায় এভাবে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু যতদিন সুযোগ ছিল আলেম-উলামা ও দ্বীনদার শ্রেণির লোকজন খুব ভালোভাবেই এ দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন।
এটিই ফিতরাত এটিই ইসলামের শিক্ষা
দুঃখী মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসা, বিপদগ্রস্ত লোকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হল ফিতরাত। এটিই মানুষের স্বভাবজাত প্রকৃতি। সে-ই প্রকৃত মানুষ, যে অন্য মানুষের দুঃখে দুঃখী হয়। বিপদগ্রস্তের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে আসে।
মানুষকে বলা হয় ইনসান। কেউ কেউ বলেছেন, الْإِنْسَانُ শব্দটির মূল ধাতু হচ্ছে উনস أُنْس। যার অর্থ ভালবাসা, দরদ, মমতা।
وَمَا سُمِّيَ الْإِنْسَانُ إِلّا لِأُنْسِه + وَلَا الْقَلْبُ إِلّا أَنَّهُ يَتَقَلَّبُ
ইনসানকে ইনসান বলা হয় ‘উনসের’ (সদয় হওয়ার) কারণে।
কলবকে কলব বলা হয় ‘তাকাল্লুবের’ (পরিবর্তনশীল হওয়ার) কারণে।
তাই দুঃখী-দরদী মানুষের সেবায় সহযোগিতায় এগিয়ে আসা মানুষের ফিতরাত তথা স্বভাবজাত বিষয়। ইসলাম যেহেতু ‘দ্বীনে ফিতরত’ তথা স্বভাবজাত ধর্ম, তাই মানবতার সর্বোচ্চ শিক্ষা রয়েছে ইসলামে। ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানবতার মুক্তির দূত ও রহমাতুল লিল আলামীন। তিনি নিজে যেমন পরোপকারে সর্বাগ্রে থাকতেন তেমনি মুসলমানদের জন্য রেখে গেছেন কল্যাণকামিতা ও সহমর্মিতায় উদ্বুদ্ধকারী অনেক অমীয় বাণী। যেমন এক হাদীসে তিনি ইরশাদ করেছেন-
تَرَى المُؤْمِنِينَ فِي تَرَاحُمِهِمْ وَتَوَادِّهِمْ وَتَعَاطُفِهِمْ، كَمَثَلِ الجَسَدِ، إِذَا اشْتَكَى عُضْوٌ، تَدَاعَى لَهُ سَائِرُ جَسَدِهِ بِالسّهَرِ وَالحُمَّى.
দয়া, মায়া ও হৃদ্যতায় মুমিনদেরকে দেখবে এক দেহের মতো। কোনো এক অঙ্গ আক্রান্ত হলে তার সারা শরীর নির্ঘুম ও জ¦রাক্রান্ত হয়ে পড়ে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬০১১
আরও বহু আয়াত ও হাদীসে এ মানবিক আচরণের কথা এসেছে।
গণমানুষের এ আস্থা ধরে রাখতে হবে
সাধারণ দুঃখী-দরিদ্র মানুষদের আর্থিক সহায়তা অথবা হঠাৎ নেমে আসা বিপদগ্রস্ত লোকজনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তো দরকার হয় অর্থকড়ির। সীমিত আয়ের লোকদের এত অর্থকড়ি থাকেও না। তাই এখানে সঠিক উদ্যোগটাই মূল বিষয় হয়ে থাকে। অন্যান্য সময়ের মতো এবারের সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যায়ও ত্রাণ তৎপরতা ও পরবর্তী পুনর্বাসন কাজে উলামায়ে কেরাম এবং দ্বীনদার শ্রেণির লোকদেরকেই এ মহতি উদ্যোগ নিতে বেশি দেখা গেছে। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে মাদরাসার শিক্ষক, মসজিদের খতীব এবং দ্বীনদার মুসল্লী সমাজ অসংখ্য ছোট-বড় দলে ভাগ হয়ে এ সহযোগিতা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন। যে কথা বলছিলাম, এখানে অর্থকড়ির প্রয়োজনীয়তা সর্বাধিক। আর একজন মানুষ অন্যের হাতে স্বতস্ফূর্তভাবে তার কষ্টার্জিত অর্থ তখনই উঠিয়ে দেয় যখন সে তাকে বিশ্বাস করে। যখন সে মনে করে, এ লোকের হাতে দিলে আমার টাকা যথাস্থানে পৌঁছবে। একথা ব্যাখ্যা করে বলার দরকার নেই, বর্তমানে আমরা যারা দ্বীনী কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত আমাদের পূর্বসূরিদের তুলনায় আমাদের শত দুর্বলতা ও ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। তা সত্ত্বেও এখনো দেশের আলেমসমাজই গণমানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রথম সারিতে রয়েছেন। আর এটি খুবই স্বাভাবিক। কারণ সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া সততা, নিষ্ঠা, বিশ^স্ততা ও দুনিয়াবি শান-শওকত বিমুখতায় এখনও তো তারাই সমাজের পথপ্রদর্শক। সুতরাং মানুষ তাদেরকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করবে এটিই তো কাম্য। আলেমগণ সে বিশ্বাসের প্রতিদানও দিচ্ছেন। মানুষের দেওয়া আমানত নিজেরা গিয়ে কষ্ট করে যথাস্থানে পৌঁছে দিচ্ছেন। অনেকেই নিজেদের সামান্য উপার্জনের অংশবিশেষও সাথে যোগ করে দিচ্ছেন। এখন প্রয়োজন হল, মানুষের এ আস্থা ধরে রাখা। এটি যেন সর্বদা অটুট থাকে। কোনোভাবেই যেন তাতে চীড় না ধরে।
মানুষের স্বতস্ফূর্ত দান জমা করা, সেগুলো দিয়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাটাকা করা, যথাস্থানে দুঃখী লোকদের হাতে পৌঁছে দেওয়াসহ একাজের যত প্রক্রিয়া আছে সবকিছুই হওয়া উচিত সুন্দর ও সঠিক পরিকল্পনা ও নিয়ম মাফিক। সর্বস্তরেই থাকা দরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মানসিকতা। মানুষ বিশ্বাস করে হাতে টাকা উঠিয়ে দিচ্ছে, এজন্য নিজেদেরকে জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে ভাবা ঠিক হবে না; বরং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা যত বেশি থাকবে গণমানুষের আস্থা তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাই এ আস্থা ধরে রাখতে হবে। এ সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক আরও দুয়েকটি কথা আরজ করতে চাই।
হিসাব নিকাশে স্বচ্ছতা
সাধারণ মানুষজন আলেম, ইমাম, খতীব বা নেতৃস্থানীয় কোনো দ্বীনদার ব্যক্তির হাতে টাকা উঠিয়ে দিয়ে থাকেন। দাতাগণের ইচ্ছা থাকে, তিনি এ সহায়তার কাজটি বাস্তবায়ন করুন। সে অনুযায়ী তাঁরা করেও থাকেন। কিন্তু এখানে দরকার হল, কেনাকাটা থেকে শুরু করে বিলি-বণ্টন পর্যন্ত সবকিছুর পূর্ণ হিসাব রাখা এবং সম্ভব হলে নিরাপত্তার স্বার্থে টাকা-পয়সা নিজেদের হাতে রাখলেও হিসাবের দায়িত্ব জেনারেল শিক্ষিত কারও হাতে অর্পণ করা। যেন স্বচ্ছতার বিষয়টি পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়। সেটি না করা গেলে নিজেরাও যদি বিস্তারিত হিসাব-নিকাশ রাখেন এবং সম্ভব হলে দাতাদের জানিয়ে দেন তাহলে এতেও সমস্যা নেই। যা দরকার তা হল, স্বউদ্যোগী হয়ে সততা ও জবাবদিহিতার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা।
আড়ম্বরতা পরিহার করা
আরেকটি বিষয় হল, দান-খয়রাতের পণ্য ও অর্থ বিলি করতে গিয়ে খরচাদিতে কৃচ্ছ্রতা সাধনও জরুরি। দেশী-বিদেশী একশ্রেণির এনজিও ও নেতাদের মতো কোটি কোটি টাকার গাড়ি হাঁকিয়ে, লাখ লাখ টাকা খরচ করে, ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কয়েক হাজার টাকার পণ্য বিলি করার মানসিকতা তো আল্লাহর রহমতে উলামায়ে কেরামের নেই। তবুও এসব ক্ষেত্রে সতর্কতা খুব জরুরি। এসবের কোনো কিছুই যেন আমাদের মধ্যে দেখা না যায়। ত্রাণ তৎপরতায় গিয়ে বেড়ানোর আমেজ, দুঃখী ও বিপদগ্রস্ত লোকদের সামনে হাসি-তামাশা ও আমোদফুর্তি থেকেও সম্পূর্ণ বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়। নিজ পকেটের খরচেও এসব ক্ষেত্রে আড়ম্বরতা ও খোশমেযাজী দেখানো উচিত নয়।
এটি যেমন পরিবেশের সাথে বেমানান তেমনি বিপদগ্রস্ত লোকজনের মনোকষ্টেরও কারণ হয়ে থাকে। ইমদাদী কাজে যাওয়া তরুণ-যুবকদের বিষয়টি অধিক খেয়ালে রাখা দরকার।
পরোক্ষ দাওয়াত
উলামায়ে কেরাম ও দ্বীনদার শ্রেণির এ উদ্যোগগুলো সময়ের প্রয়োজন। এটি দ্বীনী দায়িত্ব হওয়ার সাথে সাথে পরোক্ষভাবে দাওয়াতী কাজও বটে। শুধু মুখে দ্বীনী কথা শোনালেই দাওয়াত হয় না; বরং জরুরি প্রয়োজন মিটিয়ে দিয়ে বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে এবং সদাচরণ দিয়েও নীরব দাওয়াত হয়ে থাকে। বিশেষত যেসব ক্ষেত্রে দারিদ্র্য ও বিপদের সুযোগ নিয়ে ইসলামের দুশমন কর্তৃক মুসলমানদের ঈমান হরণের ঘটনা ঘটে সেসব ক্ষেত্রে তো এটি ফরজও বটে। তাই এর প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
সর্বদা সদাচরণ
একশ্রেণির সাধারণ এনজিও ও দাতাগণের ত্রাণ কাজ এবং দ্বীনদার শ্রেণির সাহায্য কার্যক্রমে আচরণগত দৃশ্যমান তফাৎ থাকাও বাঞ্ছনীয় এবং আল্লাহর ফজলে অনেক ক্ষেত্রে থাকেও। কুরআনুল কারীমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইরশাদ সকলেরই জানা-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُبْطِلُوْا صَدَقٰتِكُمْ بِالْمَنِّ وَ الْاَذٰی.
হে মুমিনগণ! খোঁটা ও কষ্ট দিয়ে নিজেদের সদাকা নষ্ট করো না। -সূরা বাকারা (২) : ২৬৪
সুতরাং দান-খয়রাত, সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে গ্রহণকারীকে সম্মান দিয়ে সদাচরণের সাথে। তারা ক্ষুধার্থ, দরিদ্র, বিপদগ্রস্ত। অনেক সময় তাদের থেকে কাক্সিক্ষত আচরণ নাও পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এ কারণে নিজেরা ধৈর্যহারা হওয়া চলবে না।
প্রসঙ্গ : মিডিয়া
অনেকেই মূল গণমাধ্যমের আচরণ ও নীরবতায় দুঃখ পেয়ে থাকেন। তাদের অভিযোগ, মিডিয়াগুলো আলেমগণের এ ইতিবাচক কাজগুলো মোটেই প্রচার করে না। আসলে এতে অবাক হওয়ার ও দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। দ্বীনদার শ্রেণির সাথে তো তাদের এ আচরণ নতুন কিছু নয়। দ্বীনদার গণমানুষের লক্ষ লোকের জমায়েত হলেও যারা এর প্রচারে কুণ্ঠাবোধ করে তারা কিন্তু ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী এবং ঐ শ্রেণির গণমাধ্যমগুলো যাদের গোলামী করে তাদের সেই প্রভুদের ২০/৫০ জনের মিছিল-মিটিংও ফলাও করে প্রচার করে থাকে। আসলে তারা তো বিশেষ গোষ্ঠীর নির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়নের দায়িত্বে নিয়োজিত। এর বাইরে অন্যকিছু তাদের কাছে আশা করাও বৃথা। সুতরাং এ নিয়ে পেরেশান হওয়ার দরকার নেই; বরং কাজ হল আসল; প্রচার আসল নয়। এটি কোনো ব্যবসা নয় যে প্রচারেই প্রসার। বরং সঠিক পন্থায় দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ালে এর সুফল আসবেই ইনশাআল্লাহ। কেউ কেউ আবার কাজের চেয়ে ঘণ্টি বেশি বাজানো পছন্দ করেন। ইসলামের দৃষ্টিতে এটিও সঠিক বলে মনে হয় না। যদিও এখনকার বাতাস এমনি। যা হোক সাধারণ অলেমসমাজ ও দ্বীনদার শ্রেণি প্রচারের বিষয় চিন্তা না করেই দুঃখী মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসে থাকেন এবং এটিই কাম্য।
আগেই আরজ করেছি, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আকারে হলেও সংখ্যায় অনেক বেশি হওয়ার কারণে এ উদ্যোগগুলো দ্বীনী দাওয়াতী ক্ষেত্রেও ব্যাপক ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। অবশ্যই অন্যদের জন্য এটি অনুকরণীয় আদর্শ। শুধু প্রয়োজন সঠিক কর্মকৌশল ও হিকমাহ্র অনুকরণ এবং গণমানুষের আস্থার মূল্যায়ন। মনে রাখতে হবে, দেশে তো প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলও রয়েছে, রয়েছে সরকারিভাবে স্থানীয় আরও বহু ত্রাণ তহবিল। কিন্তু মানুষ তাদের হাতে টাকা না দিয়ে কিছু ব্যক্তির হাতে কেন তা উঠিয়ে দেয়? মূল প্রশ্নটি আসলে আস্থা ও বিশ^াসের। এ আস্থা ধরে রাখতে হবে। মহান আল্লাহ্ই একমাত্র তাওফীকদাতা।