শাওয়াল ১৪৪৩   ||   মে ২০২২

খবর ... অতঃপর ...

* বাংলাদেশ প্রেস ফটো কনটেস্ট ২০২২ : কান্নারত সেই শিশুর ছবিটিই হল সেরা।-প্রথম আলো, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

# ছবিটি তো সেরা পুরস্কার পেল। কিন্তু শিশুটি কি তার বাবাকে ফেরত পেয়েছে? আসলে এগুলোও এক ধরনের গণমাধ্যমের এবং তথাকথিত সমাজচিন্তকদের প্রহসন। একটি আধুনিক স্বাধীন রাষ্ট্রে নাগরিকের যদি নিরাপত্তা না থাকে, নাগরিক যদি গুম হয়ে যায়, সেটার যদি কোনো সমাধান না হয়, এর চেয়ে দুঃখের আর ব্যর্থতার কী হতে পারে? সেটার জন্য কি গণমাধ্যম উঠেপড়ে লেগেছে? গণমাধ্যম, সমাজকর্মী, তথাকথিত সুশীল, যারা নিজেদেরকে সুশীল বলে প্রচার করতে ব্যস্ত থাকে বা অন্যরা যাদেরকে প্রচার করতে ব্যস্ত থাকে, দেশে যে অসংখ্য মানুষ গুম হয়ে যাচ্ছে সেজন্য আজ পর্যন্ত তারা কতগুলো মানবন্ধন করেছে? তাদের মতবাদ ও চিন্তার বাইরের লোক গুম হয়ে গেলে তারা কি তাদের জন্য কিছু করেছে? শুধু ছবিকে পুরস্কার দিয়ে নিজেদেরকে স্বাধীনচেতা ও জনদরদী প্রচারের মানসিকতা ত্যাগ করা উচিত। এসবের বিরুদ্ধে পরিপূর্ণভাবে নামা উচিত।

 

* বাজারে অস্থিরতা : রমজান সামনে রেখে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।-যুগান্তর, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২

# দৃষ্টি কেন দেবে? দাম বাড়ানোর জন্য, না কমানোর জন্য? দৃষ্টি তো আমরা প্রতিবারই দিতে দেখি। কথায় কথায় যারা বিদেশ টেনে আনে সেসব দেশে উৎসবের সময় দ্রব্যমূল্য কম থাকে আর আমাদের এখানে দেওয়া হয় বাড়িয়ে। মূল্যে এই কারসাজি কি ধর্মকর্মের সাথে জড়িত লোকেরা করে? এর সাথে কি ধর্মের কোনো যোগ আছে? নিশ্চয় নেই। ধর্ম বরং উল্টোটাই বলে। এই সুযোগটা কারা নিচ্ছে? বিত্তবান এবং ক্ষমতাসীনদের যারা পৃষ্ঠপোষকতা পায় তারাই নিচ্ছে। মজার ব্যাপার হল, মূল্যবৃদ্ধির অনেক দিন পর সরকার একটা দাম নির্ধারণ করে দেয়। সে দামের কমে আর বাজারে বিক্রি হয় না। এ জাতিকে দেখার আর কে আছে?!

 

* শহীদ মিনারে ছাত্রলীগ নেতার মাথা ফাটিয়েছেন এক নেত্রী’।-প্রথম আলো, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

# মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।     

 

* ক্রেডিট সুইসে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের অর্থ।-প্রথম আলো, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

# ভদ্র দেশগুলোর তো মানবাধিকার দরকার স্বজাতির জন্য। অন্য দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়াই তো তাদের চরিত্র। এটি তারই একটি নমুনা।

 

* আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট : ভাষা গবেষণায় পিছিয়ে।-প্রথম আলো, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

# ভাষার কথা তো শুধু ফেব্রুয়ারি এলেই বলা হয়। ভাষা আন্দোলেনের সত্তর বছর এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও দেশের কোন্ কোন্ সেক্টরে পরিপূর্ণ বাংলা চালু হয়েছে?

 

* বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় না বসতে আসিয়ান দূতের প্রতি আহ্বান মিয়ানমার জান্তার। -প্রথম আলো, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

# জান্তারা ভারত-চীনসহ বিভিন্ন পরাশক্তি থেকে বারবার সমর্থন পেয়েই তো এমন আহ্বান জানানোর সুযোগ পাচ্ছে!

 

* বিশ্ব বাণিজ্য : বড় সেই ব্র্যান্ডগুলো আজ আর নেই

ব্যবসায়িক সফলতার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে নাম-যশ-খ্যাতি সবই ছিল। কিন্তু অসততা-অদূরদর্শিতা, যুগোপযোগী পদক্ষেপ ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারার কারণে কালের অতলে হারিয়ে গেছে নামীদামি অনেক ব্র্যান্ড, তথা কোম্পানি।-প্রথম আলো, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

 

# মাথা যত উঁচুই হোক একসময় তাকে নোয়াতেই হয়। এভাবে একসময় সবকিছুই কালের গহ্বরে হারিয়ে যাবে। মামলূক যুগের কবি আবুল বাকা আর-রানদী (জন্ম : ৬০১ হি. মৃত্যু : ৬৮৪ হি.) বলেছেন-

لِكُلِّ شَيءٍ إِذا ما تَمّ نُقصانُ + فَلا يُغَرّ بِطيبِ العَيشِ إِنسانُ

পূর্ণতার পর সব জিনিসেরই লয় আসে/তাই জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে যেন মানুষ প্রতারিত না হয়।

 

* মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে মামলার প্রস্তুতি বাংলাদেশের।-প্রথম আলো, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

# আলজাযিরার সে রিপোর্টের বিরুদ্ধে মামলার ফলাফল তো এখনও কিছু জানা যায়নি। যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা যদি সজোরে বলে ওঠে, জীবনে আমেরিকা যাব না। আমাদের দেশ এর চেয়েও সুন্দর। তাতে কী আর আসে যায়? প্রশ্ন হল, এ সৎসাহস দেখানোর মতো অবস্থানে কি আমরা আছি?

 

* চট্টগ্রামে নিজের অর্থে মেট্টোরেল করে দিতে চায় চীন।-প্রথম আলো, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

# একটু ধীরে। পরে আবার শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটার মতো পুরো শহরটাই না নিয়ে নেয়!

 

* সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হবে এক বছরের মধ্যে, জানালেন অর্থমন্ত্রী।-প্রথম আলো, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

# এর বিস্তারিত কাঠামো এলেই মন্তব্য করা যাবে। তবে একটি কথা আগে থেকেই বলে রাখা দরকার, পেনশনের নামে এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মপ্রাণ মানুষকে সুদের সাথে জাড়ানোর কোনো পরিকল্পণা যেন না করা হয়। মানুষ থেকে বিভিন্ন কিস্তিতে টাকা নিয়ে একসময় তাকে আবার ফেরত দেওয়ার মতো ব্যবস্থা তো বিভিন্ন ব্যাংকে এখনই আছে। সরকারিভাবে এমন পদক্ষেপ নিয়ে সে টাকা হেফাজতে থাকবে তো? বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ খোয়া যাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকের শত শত কোটি টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার খবরগুলো পড়লে তো এমন কোনো আশা করা যায় না। সুতরাং সুবিধাবাদী আমলাদের পরামর্শ শুনে রাষ্ট্র ও জনগণের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

 

* মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তিন গুণ বেড়েছে : তথ্যমন্ত্রী।-প্রথম আলো, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

# কথা তো সত্য। কারণ যিনি বলছেন তাঁদের মতো আরও অনেক লক্ষ লোকের তো বেড়েছে। তাঁরাও তো মানুষ। কিন্তু সাধারণ লোকের ক্রয়ক্ষমতা কতগুণ কমেছে সেটা অবশ্য বলেননি মন্ত্রী মহোদয়। সেটি তার জানতে হলেও তো কষ্ট করতে হবে। তাদের কি আর সাধারণ লোকদের দেখা, নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং করার সুযোগ আছে? তারা তো অনেক ব্যস্ত মানুষ।

 

* ‘উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলাই তো মহাপাপ, নীতিমালার কথা তো পরে’।-বিবিসি বাংলা, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

# এ বাস্তবতার মধ্যেই তো আমরা বাস করছি। তবে সাধারণ লোকজনও এখন বুঝে গেছে, যত উন্নয়ন তত কামাই। যত উন্নয়ন তত দুর্নীতি।

 

* প্রথম দিনেই রেকর্ড ডাউনলোড ট্রাম্পের সোশ্যাল অ্যাপের।-বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

# ট্রাম্প সাহেবের মতো লোকজন যে সে জাতির কাছে এখনও ব্যাপক জনপ্রিয় তার প্রমাণ।

 

* নারীর একাকী ভ্রমণে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ নগরী মদীনা : জরিপ।-নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

# আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ। কারণ, নারী জাতির সর্বকালের একমাত্র মুক্তি ও কল্যাণের পথ দেখিয়েছে সে মদীনারই শ্রেষ্ঠ রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বর্তমান সৌদি শাসকদের অব্যাহতভাবে ইসলাম থেকে দূরে সরতে থাকার পরও এই ফলাফল রাহমাতুল লিল আলামীনেরই মুজিযার বহিঃপ্রকাশ।

 

* আমার উচ্চ রক্তচাপ আছে, আর কোনো চাপ নেই : সিইসি।-প্রথম আলো, ০১ মার্চ ২০২২

# কেউ কি জিজ্ঞেস করেছে, ঠাকুর ঘরে কে রে?

 

* এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা।-প্রথম আলো, ০২ মার্চ ২০২২

# খেলাপি ঋণ হয় খাস লোকদের। এগুলো নিয়ে বেশি কথা বলা উচিত নয়। মনে পড়ছে, কয়েক বছর আগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাহেব জাতীয় সংসদে ঋণখেলাপিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেন। সেখানে তালিকার শুরুতেই সরকারে থাকা রাঘব-বোয়ালদের নাম চলে আসে। তাদেরকে অবশ্য আগে থেকেই দেশবাসী ঋণখেলাপি হিসেবে চিনত। কিন্তু কয়েক দিনের মাথায় অর্থমন্ত্রীকে সংসদে আবার বিবৃতি দিতে হয়, উনারা এখন আর খেলাপি নেই। এদেশে একটি আইন আছে, ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে না। সাধারণভাবেই প্রশ্ন জাগে, তাহলে ওসব সৎ (?) ব্যবসায়ীরা নির্বাচন করেন কীভাবে? আসলে এর জন্য রাস্তাও তারা বানিয়ে নিয়েছে। সেটি হল, রিসিডিউল তথা পুনঃতফসীলীকরণ। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে অথবা আরও ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হলে অল্প কিছু টাকা দিয়ে ঋণ রিসিডিউল করে নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। সুতরাং আজকের ঋণখেলাপি কালকে ভালো ঋণগ্রহিতা। ব্যাংকব্যবস্থার হাজার হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করেই তারা ভিআইপি, সিআইপি।

 

* চালুর আগেই নষ্ট ঢাকার স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা : অর্ধশত কোটি টাকার প্রকল্পের সুফল নিয়ে সংশয়।-বণিক বার্তা, ০২ মার্চ ২০২২

# সেই অর্ধশতাব্দী আগ থেকেই ঢাকায় দেখছি ট্রাফিকের লাল-নীল বাতি। যারা বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন তারা জনেন, পৃথিবীতে ট্রাফিক ব্যবস্থা প্রায় পুরোটাই স্বয়ংক্রিয়। মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। কিন্তু আমাদের দেশে কী হচ্ছে? প্রশ্ন হল, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ যদি পুলিশের হাতেই হয় তাহলে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে এসব বাতি কেনার দরকার কী? সেগুলো লাগনোরই বা কী প্রয়োজন? ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে যে বাতি লাগানো আছে, শুনেছি সেগুলো অনেক মূল্যবান। তাহলে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে কার স্বার্থে? শুধু কি কেনা-বেচার লাভের জন্য! যদি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় আমরা না-ই যেতে পারি, ট্রাফিক পুলিশের হাত দিয়েই আমদের চলতে হয় তাহলে এত টাকা ব্যয় করে আমরা ট্রাফিক বাতি কিনব কেন? রাষ্ট্রীয় সম্পদ, জনগণের সম্পদ অপচয়ের এসব মহড়া আর কতদিন চলবে?

 

* শাহ সুলতান মাল্টিপারপাস : সুদমুক্ত লাভের কথা বলে গ্রাহকের ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা।-প্রথম আলো, ১৩ মার্চ ২০২২

# ২০০ কোটি টাকা তো একদিনে বা দুয়েকজন থেকে নিয়ে যেতে পারেনি। অসংখ্য লোকের সঙ্গে এবং বহুদিন থেকেই এ কারবারগুলো করেছে। দুটো প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসে। নিয়ন্ত্রণকারী কতৃর্পক্ষ কোথায়? আর জনগণের সতর্কতা কোথায়? সুদমুক্ত লাভ দেবে বললেই টাকা খাটানো, অন্যের হাতে টাকা দিয়ে দেওয়া বুদ্ধি-বিবেচনার পরিচয় বহন করে না। এজন্য সবচেয়ে বেশি দরকার জনসচেতনতা। মিষ্টি কথায় না বুঝে, না যাচাই করে আকৃষ্ট না হওয়া। আর রেগুলেটরী বা নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কথা বলে লাভই বা কী?

 

* আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল <br>

সমালোচনার মুখে মো. আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছর সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ শুক্রবার আমির হামজার নাম বাদ দিয়ে নতুন করে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নামের তালিকা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেখানে আমির হামজা ছাড়া আগে ঘোষণা করা সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে।-প্রথম আলো, ১৮ মার্চ ২০২২

# এক আমীর হামযা বা তার সরকারি কর্মকর্তা ছেলেকে দোষ দিয়ে লাভ কী? এদেেশে কি বড় বড় সরকারি পুরস্কারগুলো সত্যিকারের সবোর্চ্চ যোগ্যরা পেয়ে থাকেন? কোনোভাবে দলীয় তকমা বা আনুগত্যের সিল গায়ে লাগেনি এমন কজন লোকই বা রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছেন? এসকল অস্বস্তি থেকে কখনো কখনো এক-আধজন সত্যিকারের যোগ্য ব্যক্তি পুরস্কার নিতে অস্বীকারও করেছেন। তাই ব্যক্তির পেছনে না পড়ে পুরো পদ্ধতিটিই সংস্কার করা দরকার।

 

* দেশে এক বছরে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ৮ হাজার ৮৬।-দৈনিক ইনকিলাব, ২০ মার্চ ২০২২

# দেশে কোটিপতির সংখ্যা এক লক্ষ অতিক্রম করে গেছে অনেক আগেই। এটি তো একটি সাধারণ পরিসংখ্যান। শুধু ব্যাংকের একাউন্ট দেখে সম্ভবত এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে। সেখানেও হয়তো এমন বহু লোক থাকতে পারে, যাদের একাধিক একাউন্ট রয়েছে। যার সমষ্টি কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ভিন্ন ভিন্ন হিসেব থাকায় কোটির অংকে পৌঁছে না। বাস্তবে যে দেশে কোটিপতির সংখ্যা আরও বেশি এতে কোনো সন্দেহ নাই। এই হিসেব ধরেই বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গাল-গল্প আমরা যে শুনে থাকি তার আসল রহস্য বের হয়ে আসে। মূলত তো দেশে সম্পদ আছে, সম্পদশালীও আছে। কিন্তু সে সম্পদ আগ্রাসী পুঁজিবাদী, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও কলা-কৌশলের সুবাদে মুষ্টিমেয় লোকদের হাতে আবদ্ধ। তারা শুধু এককভাবে সম্পদ ভোগই করছে না, সে সম্পদের বাহাদুরিতে ছড়ি ঘুরাচ্ছে দেশের সাধারণ লোকদের ওপর। ক্ষমতায়ও তারা আছে। গণমাধ্যমেও তারা আছে। সব সেক্টরেই তারা। আবার তারা প্রহসনও করছে। তারা বলছে, মাথপিছু আয় এখন এত টাকা। মাথা পিছু আয় তো আছে। তাদের একজনের কাছে এক কোটি টাকা। আরেকজনের কাছে আছে শত কোটি টাকা। আরেকজনের কাছে আছে হাজার কোটি টাকা। সেই হাজার কোটি টাকা একটি গ্রামকে ভাগ করে দিলেও তো মাথাপিছু তিন হাজার ডলার করে পড়বে। তারা সেভাবে হিসাব করে দিচ্ছে। আপনি যদি বলেন, আমার পরিবারের মাথাপিছু তিন হাজার ডলার আয়। আমাদের পরিবারে দশজন আছে। ত্রিশ হাজার ডলার আমাদের বর্ষিক কামাই হওয়া উচিত। ডলারের দাম ৮৬/৮৭ টাকা করে ধরা হলেও দশ জনের পরিবারে আড়াই কোটি টাকারও বেশি সম্পদ বছরে থাকার কথা। এখন কেউ যদি জিজ্ঞেস করে, আমার টাকা কোথায়? তারা বলবে, আছে তো। তোমার সম্পদ আমার কাছে আছে। এগুলো হল, মাথাপিছু আয়, জিডিপি, সাধারণ লোকদের আয় বেড়ে যাওয়া, মধ্যম আয়ের দেশের দিকে অগ্রসর হওয়ার মাহাত্ম্য। অর্থাৎ সম্পদ তো অনেক রয়েছে, কিন্তু তা অল্প কিছু লোকের হাতে আবদ্ধ হয়ে আছে। পুঁজিবাদ তার কৌশল পাল্টেছে। একসময় ১০ পরিবার, ২২ পরিবার- এ ধরনের প্রবাদ চালু ছিল। অর্থাৎ কোটিপতি বলতে সীমিত কিছু লোকই থাকত। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের পর টিকে থাকার স্বার্থেই পুজিবাদ তার কৌশল পরিবর্তন করেছে। এখন সীমিত কিছু লোক আর পুরো সম্পদ কুক্ষিগত করে না। অধিকাংশ সম্পদ অল্প কিছু লোকের হাতে থাকলেও  আরো বহু  লোককে তার আওতায় নিয়ে আসে। আওতা বাড়িয়ে দল ভারি করার চেষ্টা করে নিজের টিকে থাকার স্বার্থে। সেই কৌশলের সুবাদেই কোটিপতির সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে।

خوشبوئوں کا اک نگر آباد ہونا چاہئے + اس نظامِ زر کو اب برباد ہونا چاہئے

সুরভিত এক নগর নির্মাণ হওয়া উচিত/এ ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা বরবাদ হওয়া উচিত।

 

* -পাসপোর্টের সার্ভার ডাউন, ভোগান্তিতে মানুষ।প্রথম আলো, ২১ মার্চ ২০২২

# ডিজিটাল বাংলাদেশের সত্যিকারের প্রতিচ্ছবি!

 

* মর্যাদা রক্ষায়৪ কোটি টাকার ফ্লাইট < br >

২৬ মার্চ ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইটে সরকারের ৪ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। এই পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট মূলত মর্যাদা রক্ষার ফ্লাইটএই উদ্বোধনী ফ্লাইটে থাকবেন ১২০ জন। এর মধ্যে সাধারণ যাত্রী ৩৬ জন। আর ফিরতি ফ্লাইটে থাকবে ১৪০ জন যাত্রী। সেখানে সাধারণ যাত্রী থাকছেন ১৯ জন।

প্রথম আলো, ২৪ মার্চ ২০২২

# কীসের মর্যাদা? ফ্লাইটের, না ওই ফ্লাইটে ফ্রিতে আরোহণ করা মানুষদের, না দেশের? আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তাদের মর্যাদার প্রশ্নই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর নতুন খবর হচ্ছে, মর্যাদা রক্ষার ফ্লাইটটি আকাশে উড়লেও ঢাকা-টরন্টো রুটের সরাসটি ফ্লাইটটি কিন্তু চালু হতে পারেনি। অর্থাৎ মর্যাদা নিরঙ্কুশই থেকে গেল।

 

* সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন ৮৭ বার পেছাল।-বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৭ মার্চ ২০২২

# এভাবে যত বিলম্ব হতে থাকবে তত গণমানুষের সন্দেহ বাড়তে থাকবে। নিশ্চয় তারা বিশেষ কোনো কিছুর হদিস পেয়ে গিয়েছিল। যে কারণে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।

 

*য় দেড় মাসে মোটা চালের দাম বাড়েনি : কৃষিমন্ত্রী।-বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট, ২৭ মার্চ ২০২২

# মন্ত্রীমহোদয় কি মোটা চাল কোনোদিন কিনতে গিয়েছেন, না চোখে দেখেছেন? কারো কারো মতে তো তা শুধু গরুর খাদ্য।

 

* দেশের বিভিন্ন খাতে যোগ্য লোকের অভাব রয়েছে’ <br>

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।-মানবজমিন, ৩০ মার্চ ২০২২

# কেন, আমরা তো শুনতে পাই, বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নেতৃত্ব দেবে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্নজন তো বছর বছর ধরে বলে বেড়াচ্ছেন।

 

* ছাত্রসমাজের ইফতারে জিএম কাদের <br>

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে আস্থা নেই জাতীয় পার্টির।-নয়াদিগন্ত, ০৯ এপ্রিল ২০২২

# আস্থা থাকবে কেন? আস্থা থাকলে কি স্বঘোষিত গৃহপালিত বিরোধী দল হিসেবে যুগ যুগ ধরে থাকা যায়? মন্ত্রী পদমর্যাদা ভোগ করা, তথাকথিত বিরোধীদলীয় নেতা, উপনেতা, চিফহুইপ, হুইপ থাকা- এসকল সুবিধাই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তিরই ফসল।

গ্রন্থনা : ওয়ালিউল্লাহ খান

 

 

advertisement