শাবান-রমযান ১৪৪৩   ||   মার্চ-এপ্রিল ২০২২

সারোগেসি : গর্ভ নেই প্রসব নেই এ কেমন মাতৃত্ব

মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ

হাল আমলে একশ্রেণীর লোকদের নবজাতক নিয়ে গণমাধ্যমের কৌতূহল লক্ষ করা যাচ্ছে। গণমাধ্যম যাদেরকে তারকাহিসেবে প্রচার করে তাদের ঘরে কোনো সন্তান এলেই সেটাকে দেখানোর জন্য- সে খবরাখবর প্রচারের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এমনই একটি খবর এসেছে দুজন দুদেশী তারকাখ্যাত দম্পতির ঘরে সন্তান আসা নিয়ে। ওই মহিলার দাবি, তিনি মা হয়েছেন। অথচ গণমাধ্যমের প্রচার-প্রচারণা অনুযায়ী মানুষ কাছাকাছি সময়ে তার মধ্যে মায়ের কোনো আলামতই লক্ষ করেনি। এ প্রশ্নের জবাব তারাই বের করে এনেছেন। তিনি সারোগেসি তথা গর্ভ ভাড়া নিয়ে মাতৃত্বের স্বাদ নিয়েছেন। এ নিয়ে অনেকের মধ্যেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ আবার এর শরয়ী বিষয়ও জানতে চেয়েছেন। আজ শরয়ী বিষয় বলা মূল উদ্দেশ্য নয়। আজ থেকে ১৭ বছর আগে আমরা মাসিক আলকাউসারে টেস্ট টিউব বেবীনিয়ে কথা বলেছিলাম। সেখানেও এধরনের গর্ভ ভাড়ার কথা সম্ভবত ছিল। এ বিষয়ের শরয়ী হুকুমের কিছুটা বিশ্লেষণও ছিল। সারোগেসির শরয়ী হুকুমের চেয়েও খবরটি দেখার পরেই যে কারণে অবাক হয়েছি সেটি হল, গর্ভ নেই প্রসব নেই এ আবার কেমন মাতৃত্ব! সঙ্গে সঙ্গেই আমার মনে পড়েছে আলকুরআনুল কারীমের এই আয়াত-

وَ وَصَّیْنَا  الْاِنْسَانَ بِوَالِدَیْهِ  اِحْسٰنًا  حَمَلَتْهُ  اُمُّهٗ كُرْهًا وَّ وَضَعَتْهُ كُرْهًا.

আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করার হুকুম দিয়েছি। তার মা তাকে অতি কষ্টে গর্ভে ধারণ করেছে এবং অতি কষ্টে তাকে প্রসব করেছে। -সূরা আহকাফ (৪৬) : ১৫

সংবাদটি পড়ে আমি এই আয়াত বহুবার জপেছি। ঘুরে-ফিরে একথাই মনে এসেছে, আহ দুনিয়াতে মা-বাবার প্রতি সদাচার করতে আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে কতভাবে বলেছেন। এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা মায়ের প্রতি যত্নবান হওয়ার কথা বলেছেন। আমরা সবাই তো জানি, হাদীসে তিনবার মায়ের কথা বলা হয়েছে। চতুর্থবার বাবার কথা বলা হয়েছে। মায়ের যে সম্মান ও মর্যাদা এবং তাঁর প্রতি সদয় হওয়ার যে গুরুত্ব- উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ তাআলা সেদিকে কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন। এখানে মা-বাবা উভয়ের প্রতি সদয় হতে বলেছেন, যত্নবান হতে বলেছেন। এই নির্দেশের মধ্যে আল্লাহ তাআলা মায়ের মহত্ত্ব এমনভাবে বিশ্লেষণ করেছেন, যেন তা সন্তানের মনের ভেতর ভালো করে গেঁথে যায়। আল্লাহ বলেছেন-

حَمَلَتْهُ  اُمُّهٗ كُرْهًا وَّ وَضَعَتْهُ كُرْهًا.

তার জীবনের শুরু যেখানে সেখান থেকেই তাঁর মা তাকে নয় মাস পেটে ধারণ করেছেন। আল্লাহ كُرْهًا শব্দ ব্যবহার করেছেন। এর অর্থ হল, খুব কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছেন। وَضَعَتْهُ كُرْهًا প্রসবও হয়েছে খুব কষ্ট করে। এখনকার সময়ের কেউ বলতে পারে, আজকাল তো সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে অনেক শিশুর জন্ম হয়। এতে তো প্রসবের কষ্ট নেই। প্রসবের কষ্ট না থাকলেও সিজারের কষ্ট তো আছে। প্রসবের সেই কষ্ট না থাকলেও সন্তানের জন্য পেট কাটতে দিতে হয়। এর ফলে সারা জীবন কাটার কষ্ট বয়ে বেড়াতে হয়। গর্ভধারণ, প্রসব ও পরিচর্যার কষ্ট সন্তানের প্রতি মায়ের মমতা সৃষ্টি করে। গর্ভধারণ ও প্রসবের কষ্টই যদি না থাকে- সন্তানের প্রতি মায়ের, মায়ের প্রতি সন্তানের কীসের মমতা তৈরি হবে? সাধারণত যে কোনো শিশুর প্রতি পৃথিবীর মানুষ যেই স্বাভাবিক মমতা অনুভব করে সে মমতা হয়তো থাকবে; কিন্তু গর্ভধারণ, প্রসব ও পরিচর্যার দরুন যে মমতার সৃষ্টি হয় তা কী করে হবে?

আমরা তো এখন বুড়ো হতে চলেছি। নাতি-নাতনি হয়েছে। ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় হওয়ার সুবাদে ছোট ভাই-বোনদের সময় নিজ মায়ের মাতৃত্বকালীন কষ্ট কিছুটা অনুভব করতে পেরেছি। এরপর বাবা হয়েছি। তখন তো মাতৃত্বের কষ্ট আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করার সুযোগ হয়েছে। এরপর আল্লাহ তাআলা নানা, দাদাও বানিয়েছেন।  মেয়ে ও বউমাদের কষ্টও অনুভব করতে হয়েছে। কিন্তু এটি তো শুধু দূর থেকে যা উপলব্ধি করা যায় তা। আসল কষ্ট তো তিনিই বোঝেন, যিনি মা হয়েছেন। আমার কাছে মনে হয়, এই গর্ভধারণ, জন্মদান, জন্মপরবতীর্ পরিচর্যা ও লালন পালনের ব্যাপারটি না থাকলে আসলে মাতৃত্বের সেই মমতা সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়।

দাদা-নানার কাছে নাতি-নাতনিরা সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়। কখনো ওদের মা-বাবারা বকাঝকা বা শাসন করলে আমরা ওদের মা-বাবাকে বাধা দিই। মন্দ বলি। এত কিছুর পরও এত আদরের নাতি-নাতনিরা কাপড় নষ্ট করলে ওদের মায়েদেরকেই ডাকি, ‘এই কোথায় গেলে। বাচ্চাটা কাপড় নষ্ট করেছে ওকে ধরো।নিজেরা সাফ করতে পারি না। মায়েরা এসে ওদেরকে পরিষ্কার করে। কোথায়, দাদা-নানারা তো মায়ের এ কাজটা করতে পারে না। পরিচর্যার মূল জায়গাটা মাকেই করতে হয়। মায়ের কাছে মনেই হয় না, সন্তানের পায়খানা-প্রস্রাব গায়ে কিংবা কাপড়ে লেগেছে। মায়েদের কাছে কোনো গন্ধ লাগছে বলেও মনে হয় না।

এখন তো অনেকের কাছে ডায়াপারের যুগ। কিন্তু এই ডায়াপার চেঞ্জ করাও তো অনেক কঠিন। এগুলো খুশিমনে পরিষ্কার করা মায়েদের দ্বারাই সম্ভব। শুধু কি তাই- শিশুর জন্য মায়ের অসংখ্য রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাওয়া এবং নিজে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার নজির তো অসংখ্য। কিন্তু এখনকার তথাকথিত আধুনিক সমাজ মাতৃত্বের সেই সৌন্দর্যই নষ্ট করে দিতে চাচ্ছে। তারা এমন কালচার সমাজে নিয়ে আসছে, শুধু টাকা পয়সার জোরে মাতৃত্বের স্বাদ নেবে। এ যেন ঢাল নেই, তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার! এখানেও একই কথা, গর্ভ নেই, প্রসব নেই, পরিচর্যা নেই- নাম তার মা

একটি বাস্তব ঘটনা মনে পড়ে গেল, এক দম্পতির সন্তান হাচ্ছিল না। তারা অন্য ঘর থেকে একটি মেয়েশিশু পালক আনলেন, যাদের কয়েকটি মেয়ে ছিল। মেয়েটি পালক বাবা-মায়ের কাছেই বড় হয়েছে। তারাই তার বিয়ে-শাদী দিয়েছেন। যদিও তার মা-বাবার সাথেও এ পরিবারের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু উভয় পরিবার মেয়েটির কাছে প্রকৃত ঘটনা গোপন রেখেছিল। মেয়েটি তার প্রকৃত মাকে পালক নেয়া মায়ের  বান্ধবী মনে করে সম্মান-শ্রদ্ধা করত। কিন্তু কোনো এক সময় আসল ঘটনা প্রকাশ পেয়ে যায়। এরপর থেকে ঐ মেয়ে তার প্রকৃত মাকে অবজ্ঞা করতে শুরু করে। তার যে কোনো উপহার, আদর-যত্ন সে প্রত্যাখ্যান করে। সে পরিষ্কার বলে দেয়, আপনি যদি আমার মা-ই হতেন তাহলে নিজে লালন-পালন ও পরিচর্যা না করে আমাকে অন্যের হাতে উঠিয়ে দিলেন কী করে? আমাদের কাছের পরিচিতজনদের মধ্যেই ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি অনেকের মনেই দাগ কেটেছিল।

সারোগেসির মত বিষয়গুলো কেন দিন দিন ব্যাপকতা লাভ করছে? টেস্টটিউব বেবির কথা আমরা জানি, সেখানে কারও কারও ওযরের কারণে এ চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। মানবশিশু জন্মের যেই সাধারণ প্রক্রিয়া সে প্রক্রিয়ায় কারও সন্তান না হলে তখন দুজন থেকে প্রয়োজনীয় পদার্থ নিয়ে টিউবের মধ্যে রাখা হয়। সেখানে নির্দিষ্ট একটি সময় রেখে মায়ের গর্ভে দেওয়া হয়। এটা ওযর। এখানে মাসআলা আছে। কোন্ শর্তে জায়েয হবে, কোন্ শর্ত লঙ্ঘন হলে জায়েয হবে না- তা সুস্পষ্টভাবে আছে। যারা বর্তমানে এ প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিচ্ছে তাদের কি এ ধরনের বিপদ আছে? খেঁাজ নিলে দেখা যাবে, এধরনের কোনো বিপদ তাদের নেই। আসলে তারা ফ্যাশনেবল মা, ফ্যাশনেবল বাবা। তারা নিজেরা কোনো কষ্ট সইতে চায় না। তারা শুধু তাদের অঢেল সম্পদের উত্তরাধিকারী রেখে যেতে চায়। সন্তান না হলে পালক সন্তান নেয়ার প্রচলন আছে। কিন্তু পালক তো পালকই। তাই বিত্তবানেরা নিজের সন্তান দেখাতে চায়। তাই তারা এ পদ্ধতি অবলম্বন করে। এটা পুঁজিবাদসৃষ্ট তথাকথিত মা হওয়ার একটি প্রক্রিয়া।

সারোগেসি নিয়ে পড়তে গিয়ে দেখলাম, আমেরিকাতে গর্ভ ভাড়া নিতে এক লক্ষ বিশ হাজার ডলার থেকে শুরু হয়ে দুই লক্ষ ডলার পর্যন্ত খরচ হয়। এক লক্ষ বিশ হাজার ডলারও যদি ধরা হয়, আমাদের দেশে কোটি টাকারও বেশি। এ বিপুল খরচ দেখলে আমরা বুঝতে পারি, এটা কোনো সাধারণ টাকা-পয়সাওয়ালাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এটা কেবলই টাকার বাহাদুরি। আমার টাকা আছে, আমি গরীবের গর্ভ ভাড়া নিয়ে বাবা-মা হয়ে যাচ্ছি। ভারতে এ প্রক্রিয়া চালু ছিল। স্বাভাবিকভাবেই এখানে খরচ কিছুটা কম ছিল। ভারতে আইন করে নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া শুরু হলে অনেকে এটা নিয়ে লেখালেখি করে। তথাকথিত প্রগতিশীলরা এটার পক্ষে আওয়াজ তোলে। এর পক্ষে যুক্তি তৈরি করে; যে গরীবদের কথা বলে এ আইন তৈরি করা হচ্ছে তাদের তো উপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের তো আরও ক্ষতি হবে। বর্তমানে আমরা লক্ষ করলে দেখি, পুঁজিবাদীদের যে কোনো কাজে, যে কোনো অন্যায়-অবিচারে, তাদের ভোগবাদী চিন্তা-চেতনায় বাধ সাধলেই তারা বলে, গরীবের উপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে। এরা বিপদে পড়ে যাবে। এভাবে তারা দারিদ্র্য টিকিয়ে রাখতে চায়। পতিতালয় বন্ধ করতে গেলে তারা চিৎকার করে ওঠে, তারা কী খেয়ে বাঁচবে। মনে রাখবেন, এটি তাদের মুখের ভাষা-

وَمَا تُخْفِیْ صُدُوْرُهُمْ اَكْبَرُ.

তাদের অন্তরে যা গোপন আছে, তা আরও গুরুতর। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ১১৮

আসলে তাদের চিন্তা হল, এসব বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের বল্গাহীন বেহায়াপনা চলবে কী করে? ভোগবিলাস চলবে কী করে। ঐ নারীদের তথাকথিত ভক্তদের চিন্তা- মহিলাটি গর্ভধারণ করলে তো তাদের লোভলালসার সমস্যা হবে, আর নারীগুলোর ভাবনা- তাদের উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে। এজন্যই ঐ জগতে বিবাহ-সন্তান সবকিছু লুকানোর একটি সংস্কৃতি লক্ষ করা যায়। হায়রে মিথ্যা সুখ!

মূলত মুখে এটা-সেটা বললেও তারাই দারিদ্র্য তৈরি করে রেখেছে এবং এই দারিদ্র্যকে টিকিয়ে রাখতে তারাই আবার দারিদ্র্যকেই যুক্তি হিসেবে পেশ করে যাচ্ছে। তারা যদি অন্যায়ভাবে সম্পদ কুক্ষিগত করে না রাখত, দারিদ্র্যবিমোচন ও সম্পদের সুষম বণ্টনের ইসলামিক ও মৌলিক পন্থাগুলোর চর্চা করত তাহলে একজন মা বাধ্য হত না গর্ভ ভাড়া দিতে। কে চায়, নিজের গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান আরেকজনকে দিয়ে দিতে। গরীবের আট-দশটা সন্তান হলেও সে কষ্ট করে লালন-পালন করে; এর পরও সন্তান আরেকজনকে দিতে চায় না।

তাই এসমস্ত উল্টো চিন্তা থেকে সমাজকে বের হয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, পশ্চিমে পরিবার প্রথা তো রাতারাতি বা এমনি এমনিই ধ্বংস হয়ে যায়নি। সেবাযত্ন তো দূরের কথা, অনেকসময় যাদের সন্তানরা বাবা-মার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বা এর খরচাদী বহনেও আগ্রহী থাকে না। কেন? বহু কারণের মধ্যে মা-বাবা কতৃর্ক সন্তানের সেবাযত্ন ও পরিচর্যার ঘাটতিও এক্ষেত্রে বড় একটি কারণ। সুতরাং মুসলমানদের কেউ যেন এসমস্ত উল্টো ও নিকৃষ্ট চিন্তার দিকে ধাবিত না হয়- সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যারা এ ধরনের চিন্তা করছে তারা যেন এসব থেকে ফিরে আসে। আমাদের ভাবতে হবে, মায়ের মমতা কীভাবে হয়, মা হওয়ার প্রকৃত বাস্তবতা কী। যেই মা গর্ভ ধারণ করেন, যেই মা প্রসব করেন, যেই মা জন্মের পর সন্তানকে আগলে রাখেন তিনিই তো সত্যিকারের মা। সে মা-ই তো সন্তানের জন্য সব ত্যাগ করেন। সেই সন্তানই তো মায়ের সেবায় সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে দ্বীনের সঠিক উপলব্ধি দান করুন। এ সকল অলীক চিন্তা ও ভোগবাদী মানসিকতা থেকে মুসলিম নর-নারীদের রক্ষা করুন- আমীন। হ

১. স্বামী-স্ত্রী ছাড়া অন্য কারো উপাদান বা অন্যের গর্ভে স্বামী-স্ত্রীর উপাদান সংরক্ষণ করে সন্তান জন্মদানের বিষয়টি একের ক্ষেতে অন্যের শস্য রোপণের নামান্তর। এটি অভিশাপযোগ্য কবীরা গুনাহ। বুদ্ধির বিকৃতি ছাড়া কোনো সুস্থ চিন্তা, রুচি ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষ এ ধরনের প্রক্রিয়া অবলম্বনে সম্মত হতে পারে না। এছাড়া এতে বংশ পরিচয় নির্ধারণেরও একটি দুরূহ সমস্যা সৃষ্টি হয়। এদিক থেকেও এ পন্থা অবলম্বন আরেকটি কবীরা গুনাহ। (মাসিক আলকাউসার, জুলাই ২০০৫)

 

 

advertisement