জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৩   ||   জানুয়ারি ২০২২

কুরআনের ভাষায়
আখেরাতে অবিশ্বাসীদের স্বীকারোক্তি ও আর্তনাদ

মাওলানা ফযলুদ্দীন মিকদাদ

আল্লাহ তাআলা আখেরাতে ইহজীবনের ভালো-মন্দ কাজের প্রতিদান দেবেন। যারা পার্থিব জীবনে আল্লাহ তাআলার বিধান মেনে জীবন কাটিয়েছে, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে জান্নাতসহ আরও অনেক নিআমত দান করবেন। কুরআন কারীমের ভাষায় তারাই সফলকাম। জান্নাতে তারা নিআমত উপভোগ করতে করতে বলবে, (তরজমা) আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আমরা তা সত্য পেয়েছি।’ -সূরা আরাফ (৭) : ৪৪

অন্যদিকে যারা দুনিয়ায় আল্লাহ ও রাসূলের অবাধ্যতায় জীবন কাটিয়েছে, তারা সেদিন চরম ব্যর্থ হবে। সেদিন অনুতাপ করে তারা নিজেদেরকেই দোষারোপ করতে থাকবে। আর বলবে, (তরজমা) হায় আফসোস! যদি এমন না করতাম!’ 

আখেরাতে বিফল জাহান্নামীরা কীভাবে আফসোস করবে, তা বিশদভাবে আল্লাহ তাআলা কুরআন কারীমে বলে দিয়েছেন। 

অপরাধীদের আমলনামা উপস্থিত করা হলে, তারা তা দেখে চমকে উঠবে এবং আফসোস করতে থাকবে,

কুরআন কারীমে ইরশাদ হয়েছে-

وَ وُضِعَ الْكِتٰبُ فَتَرَی الْمُجْرِمِیْنَ مُشْفِقِیْنَ مِمَّا فِیْهِ وَ یَقُوْلُوْنَ یٰوَیْلَتَنَا مَالِ هٰذَا الْكِتٰبِ لَا یُغَادِرُ صَغِیْرَةً وَّ لَا كَبِیْرَةً اِلَّاۤ اَحْصٰىهَا وَ وَجَدُوْا مَا عَمِلُوْا حَاضِرًا وَ لَا یَظْلِمُ رَبُّكَ اَحَدًا.

আমলনামাসামনে রেখে দেওয়া হবে। তখন তুমি অপরাধীদেরকে দেখবে, তাতে যা (লেখা) আছে, তার কারণে তারা আতঙ্কিত এবং তারা বলছে, হায়! আমাদের দুর্ভোগ! এটা কেমন কিতাব, যা আমাদের ছোট-বড় যত কর্ম আছে, সবই পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব করে রেখেছে। তারা তাদের সমস্ত কৃতকর্ম সামনে উপস্থিত পাবে। তোমার প্রতিপালক কারও প্রতি কোনো জুলুম করবেন না। -সূরা কাহ্ফ (১৮) : ৪৯

আমলনামা উপস্থিত করা হলে তারা দেখবে দুনিয়াতে ছোট-বড় যা কিছু করেছে, সব সেখানে লেখা রয়েছে।  ইহজীবনে  যে গুনাহকে তুচ্ছ ভেবে উদাসীন থেকেছে। আমলনামায় তা দেখে হতভম্ব হয়ে যাবে, হায় হায়! এ কী! কোনো কিছুই বাদ দেওয়া হয়নি!  

আরও ইরশাদ হয়েছে-

وَ اَمَّا مَنْ اُوْتِیَ كِتٰبَهٗ بِشِمَالِهٖ  فَیَقُوْلُ یٰلَیْتَنِیْ لَمْ اُوْتَ كِتٰبِیَهْ وَ لَمْ اَدْرِ مَا حِسَابِیَهْ یٰلَیْتَهَا كَانَتِ الْقَاضِیَةَ مَاۤ اَغْنٰی عَنِّیْ مَالِیَهْ هَلَكَ عَنِّیْ سُلْطٰنِیَهْ.

সেই ব্যক্তি, যার আমলনামা দেওয়া হবে তার বাম হাতে; সে বলবে, আহা! আমাকে যদি আমলনামা দেওয়াই না হত! আর আমি জানতেই না পারতাম, আমার হিসাব কী? আহা! মৃত্যুতেই যদি আমার সব শেষ হয়ে যেত! আমার অর্থ-সম্পদ আমার কোনো কাজে আসল না! আমার সব ক্ষমতা লুপ্ত হয়ে গেল। -সূরা আলহাক্কাহ (৬৯) : ২৫-২৯

অপরাধীদের বাম হাতে আমলনামা দেওয়া হবে, তারা আমলনামা গ্রহণ করতে চাইবে না। বলবে, হায়! যদি আমলনামা না দেওয়া হত! পৃথিবীতে যে মৃত্যু থেকে বাঁচতে সর্বস্ব ত্যাগ করতেও পিছপা হত না, সেই মৃত্যুই তখন বড় কামনার বিষয় হবে। জাগতিক ধন-সম্পদ বিত্ত-বৈভব ও ক্ষমতা সেদিন কোনো কাজে আসবে না। 

শয়তানের অনুসরণে যারা জীবন কাটায়। শয়তানের দোসর হয়ে নিজেও আল্লাহ-রাসূলকে ভুলে থাকে, মুমিনদেরকেও দ্বীনের পথে বাঁধা দান ও পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করে। কিয়ামতের দিন যখন তারা এর ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখবে, তখন শয়তান থেকে যোজন যোজন দূরত্ব কামনা করবে। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-

حَتّٰۤی اِذَا جَآءَنَا قَالَ یٰلَیْتَ بَیْنِیْ وَ بَیْنَكَ بُعْدَ الْمَشْرِقَیْنِ فَبِئْسَ الْقَرِیْنُ.

পরিশেষে এরূপ ব্যক্তি যখন আমার কাছে আসবে তখন (সে তার সঙ্গী শয়তানকে) বলবে, আহা! আমার ও তোমার মধ্যে যদি পূর্ব ও পশ্চিমের ব্যবধান থাকত। কেননা তুমি বড় মন্দ সঙ্গী ছিলে। -সূরা যুখরুফ (৪৩) : ৩৮

অথচ আল্লাহ তাআলা কুরআনে বহুবার সতর্ক করে দিয়েছেন, শয়তান কিয়ামত পর্যন্ত মানুষকে পথভ্রষ্ট করার অঙ্গীকার করেছে। শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। শয়তান দুনিয়াতে মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপথগামী করে রাখছে। আখেরাতে সে বলবে, আমি তো তোমাদেরকে জোর করিনি, আমি শুধু ডেকেছিলাম, তোমরা সাড়া দিয়েছো। কাজেই আমাকে দোষ না দিয়ে নিজেদেরকেই দোষারোপ কর। বস্তুত শয়তানের তখন তাদেরকে সাহায্য করার কোনো উপায়ও থাকবে না। 

যারা অসৎ সঙ্গীর পাল্লায় পড়ে আল্লাহ তাআলার বিধান ভুলে যায়। আল্লাহর হুকুম মানতে অবহেলা করে। বন্ধুর মন রক্ষার্থে আল্লাহ যা করতে আদেশ করেছেন, তা করে না। যা করতে নিষেধ করেছেন, তা-ই করে। আখেরাতে  তারাই এদের মনস্তাপ ও সর্বনাশের কারণ হবে। সেদিন কোনো বন্ধুত্ব থাকবে না। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন-

وَ یَوْمَ یَعَضُّ الظَّالِمُ عَلٰی یَدَیْهِ یَقُوْلُ یٰلَیْتَنِی اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُوْلِ سَبِیْلًا یٰوَیْلَتٰی لَیْتَنِیْ لَمْ اَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِیْلًا لَقَدْ اَضَلَّنِیْ عَنِ الذِّكْرِ بَعْدَ اِذْ جَآءَنِیْ  وَ كَانَ الشَّیْطٰنُ لِلْاِنْسَانِ خَذُوْلًا.

যেদিন জালেম ব্যক্তি (মনস্তাপে) নিজের হাত কামড়াবে এবং বলবে, হায়! আমি যদি রাসূলের সাথে পথ ধরতাম! হায় আমার দুর্ভোগ! আমি যদি অমুক ব্যক্তিকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম! আমার কাছে তো উপদেশ এসে গিয়েছিল, কিন্তু সে (ওই বন্ধু) আমাকে তা থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল। আর শয়তান তো (এমনই চরিত্রের; সময়কালে সে) মানুষকে অসহায় অবস্থায় ফেলে চলে যায়। -সূরা ফুরকান (২৫) : ২৭-২৯।

বন্ধুদেরকে দোষারোপ করার পাশাপাশি পৃথিবীতে যারা বিপথগামীতায় তাদেরকে নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের প্রতি তারা ক্ষোভে ফেটে পড়বে। বলবে, (তরজমা) আল্লাহ! আমরা আমাদের নেতাদের অনুসরণ করেছিলাম, তারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে। আল্লাহ! যারা আমাদেরকে বিপথগামী করেছে, আমাদেরকে আজ এমন শাস্তির সম্মুখীন করেছে, তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দিন এবং তাদের প্রতি লানত করুন, মহা লানত। -সূরা আহযাব (৩৩) : ৬৭-৬৮

অনুসৃতদেরকে তারা নিজেরাও শাস্তি দিতে চাইবে। বলবে, (তরজমা) আল্লাহ! জীন ও মানুষের মধ্যে যারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে, তাদেরকে দেখিয়ে দেন, আমরা তাদেরকে পায়ের নিচে পিষে লাঞ্ছিত করব।’ -সূরা হা-মীম সাজদা (৪১) ২৯

সেদিন তাদের পারস্পরিক বন্ধুত্ব এবং সদ্ভাব শেষ হয়ে যাবে। নিজেদের সর্বনাশের কারণে তারা পরস্পরের কঠোরতম শাস্তির আবেদন করবে। 

রাসূলগণ যখন তাদেরকে আল্লাহর একত্ববাদের দিকে দাওয়াত দিতেন তখন তারা বলত, ‘এসব পাগলের প্রলাপ, কাল্পনিক কথা।অথচ তাদেরই মাঝে বেড়ে ওঠা রাসূলের নিষ্কলুষতা তারা একবাক্যে স্বীকার করত। কিন্তু কবর, আখেরাত, জান্নাত, জাহান্নাম এসব যেন তাদের বিশ্বাসই হতে চায় না। নিজেদের অসম্পূর্ণ ও ভ্রান্ত যুক্তিকে তাদের যুক্তিপূর্ণ কথা মনে হয় আর আসল যুক্তির কথাকে মনে করে রূপকথা। কিন্তু সেদিন বুঝতে পারবে, রাসূলের সঙ্গ ত্যাগ করে কী দুর্ভাগ্য টেনে এনেছে। প্রথমে যদিও তারা নিজেদের কর্মকা- অস্বীকার করে বলবে, আমরা শিরক করতাম না। কারণ একে তো তারা নিজেরাও বাঁচার বাহানা খুঁজবে। উপরন্তু তারা যাদের উপাসনা করত, তারাও অন্তর্হিত হয়ে যাবে। তারপর যখন আল্লাহ বলবেন, ‘দেখো! কীভাবে নিজেদের ব্যাপারে মিথ্যা বলছে।তখন নিজ মুখে অপরাধ স্বীকার করবে। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, তারা বলবে-

رَبَّنَا غَلَبَتْ عَلَیْنَا شِقْوَتُنَا وَ كُنَّا قَوْمًا ضَآلِّیْنَ رَبَّنَاۤ اَخْرِجْنَا مِنْهَا فَاِنْ عُدْنَا فَاِنَّا ظٰلِمُوْنَ.

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উপর আমাদের দুর্ভাগ্য ছেয়ে গিয়েছিল এবং আমরা ছিলাম বিপথগামী সম্প্রদায়। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এখান থেকে উদ্ধার করুন। অতঃপর পুনরায় যদি আমরা সেই কাজই করি, তবে অবশ্যই আমরা জালেম হব। -সূরা মুমিনূন (২৩) : ১০৬-১০৭

সেদিন তাদের বুঝে আসবে, পার্থিব জীবনে হঠকারিতা ও রাসূলের অবাধ্যতা করে তারা কেমন জুলুম করেছে, আর সেদিন তারা একেবারে ভালো মানুষ হয়ে যেতে চাইবে। ইরশাদ হয়েছে-

وَ هُمْ یَصْطَرِخُوْنَ فِیْهَا  رَبَّنَاۤ اَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا غَیْرَ الَّذِیْ كُنَّا نَعْمَلُ.

তারা তাতে আর্তনাদ করে বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে মুক্তি দান করুন; আমরা আগে যে কাজ করতাম তা ছেড়ে ভালো কাজ করব। -সূরা ফাতির (৩৫) : ৩৭

এভাবে তারা আরেকবার পৃথিবীতে ফিরে আসার সুযোগ চাইবে। বলবে, আল্লাহ! এবার আমাদের বুঝে এসেছে, এখন আর আমরা আগের মতো ভুল করব না। আপনার সকল আদেশ নিষেধ মেনে চলব। এবার আমরা সত্যিকার মুমিন হয়ে যাব। আমাদেরকে শুধু আরেকবার ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিন।

কিন্তু আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের পর আর দ্বিতীয় কোনো সুযোগ দেবেন না। এজন্যই ইহজীবনে বারবার তিনি সতর্ক করছেন এবং মৃত্যুর পর কী ঘটবে তা আগেই বলে দিয়েছেন। সেদিন তিনি তাদের কোনো কথাই শুনবেন না।

যখন আক্ষেপ করে, অন্যকে দোষারোপ করে, আরেকটা সুযোগের আবেদন করে বা অন্য কোনোভাবেই পরিণতি এড়াতে পারবে না। তখন বলতে থাকবে- 

لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ اَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِیْۤ اَصْحٰبِ السَّعِیْرِ.

আমরা যদি শুনতাম এবং বুদ্ধিকে কাজে লাগাতাম, তবে (আজ) আমরা জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম না। -সূরা মুল্ক (৬৭) : ১০

আরও বলবে-

یٰلَیْتَنِیْ قَدَّمْتُ لِحَیَاتِی.

হায়! আমি যদি আমার এই জীবনের জন্য অগ্রিম কিছু পাঠাতাম! -সূরা ফাজর (৮৯) : ২৪

তাদের বড়ই দুর্ভাগ্য, যারা এ ক্ষণস্থায়ী জীবনের জন্যই আমৃত্যু চেষ্টা ও শ্রম ব্যয় করে যায়। কিন্তু আখেরাতের অনন্ত জীবনের জন্য প্রস্তুতি নিতে অবহেলা করে। নবীজী ওই ব্যক্তিকে বুদ্ধিমান বলেছেন, যে আখেরাতের জন্য কাজ করে। বেছে বেছে এমন কাজ করার চেষ্টা করে, যেটা অনন্ত জীবনের সম্বল হবে।

জাহান্নামীরা আল্লাহ তাআলার কাছে অনুনয় করে শাস্তি এড়াতে না পেরে কমাতে চাইবে। জাহান্নামের পাহারাদার ফেরেশতাগণকে তারা বলবে, আপনারা আল্লাহর কাছে সুপারিশ করুন, যেন আমাদের শাস্তি খানিকটা কমিয়ে দেন, অন্তত এক দিনের জন্য হলেও কিছুটা লাঘব করে দেন। ফিরিশতাগণ তাদের হয়ে সুপারিশ করবেন না।

তারা জান্নাতীদেরকে ডাক দিয়ে বলবে, (তরজমা) আমাদের ওপর একটু পানি ঢেলে দাও, অথবা আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে যে নিআমত দান করেছেন, তার সামান্য কিছু হলেও দাও। জান্নাতীরা বলবে, এসব নিআমত আল্লাহ তাআলা কাফেরদের জন্য হারাম করেছেন।’ -সূরা আরাফ (৭) : ৫০

জান্নাতীদের সঙ্গে তাদের এমন কথাও হবে যে, জান্নাতীরা জিজ্ঞেস করবে, তোমরা জাহান্নামে কেন? তারা উত্তরে বলবে, (তরজমা) আমরা নামায পড়তাম না, মিসকীনদেরকে খাওয়াতাম না,... আখেরাত দিবসকে অস্বীকার করতাম। এখন এই নিশ্চিত বিষয়টি আমাদের সামনে এসে গেছে।’ -সূরা মুদ্দাছ্ছির (৭৪) : ৪৩-৪৭

কাজেই এখন আর তাদের জন্য কেউ সুপারিশ করবে না।

এভাবে তারা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে যাবে। আরহামুর রাহিমীন তাদের কথা শুনবেন না। রাসূল ও ফিরিশতাগণ তাদের জন্য সুপারিশ করবেন না। হাশরের ময়দানে তাদের স্বজন-পরিজন তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। শয়তানও তাদের উপকার করতে ব্যর্থ হবে। তখন তারা আফসোস করে বলবে, ‘হায়! যদি আমরা মাটি হয়ে যেতাম।তারা মাটির সাথে মিশে যেতে চাইবে। নিজেদের অস্তিত্ব মুছে ফেলতে চাইবে। কিন্তু শাস্তি ভোগ করা ছাড়া কিছুই করার থাকবে না। আল্লাহ তাআলা কুরআনে অনেক জায়গায় বলেছেন, আমি জানি, শাস্তির মুখোমুখি হওয়ার পরে তারা কী বলবে। বিভিন্নভাবে তিনি কুরআনে তা ব্যক্ত করেছেন।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হেদায়েত দান করুন, যেন সময় থাকতেই নিজেদেরকে শুধরে নিতে পারি। রাব্বুল আলামীন যে ভয়াবহ দিবসের ব্যাপারে বহুবার সতর্ক করেছেন, সেই চূড়ান্ত ফলাফলের দিন যেন আমাদেরকে আফসোস করতে না হয়। যাদের ব্যাপারে কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, তোমাদেরকে তো সতর্ক করা হয়েছিল, কিন্তু তোমরা তা শোনোনি। কাজেই এখন তোমাদের কথাও শোনা হবে না। তোমরা জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে থাকো। আমরা যেন সেদিন ওই দলভুক্ত না হই, যাদের ব্যপারে রাসূল বলবেন, আল্লাহ! এরা আপনার কথা বিলকুল পরিত্যাগ করেছিল।

আল্লাহ তাআলা সবাইকে রক্ষা করুন এবং তাঁর পথে ফিরে আসার ও দ্বীনের উপর অবিচল থাকার তাওফীক দান করুন- আমীন। হ

 

 

advertisement