আল্লাহ তাআলার সাহায্য লাভের একটি সহজ উপায়
আল্লাহ তাআলার সাহায্য ছাড়া মানব জীবন অচল। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বান্দা আল্লাহ তাআলার সাহায্যের মুখাপেক্ষী। তিনি সাহায্য না করলে মানুষের পক্ষে কোনো কাজ করাই সম্ভব নয়। এজন্য সর্বদা তাঁরই কাছে সাহায্য কামনা করা বান্দার অবশ্যকর্তব্য। তাইতো বান্দা প্রতি নামাযে, প্রতি রাকাতে বলে-
اِیَّاكَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاكَ نَسْتَعِیْنُ.
আমরা তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য চাই। -সূরা ফাতিহা (১) : ৪
নিজের জীবনে আল্লাহ তাআলার সাহায্য পাওয়ার একটি সহজ উপায় হল, অন্যকে সাহায্য করা। মানুষকে সহযোগিতা করলে নিজের কাজেও আল্লাহ তাআলার সাহায্য পাওয়া যায়। এটা অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এর ফযীলতও অনেক। বিভিন্ন হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে সাহায্য করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। এক বিখ্যাত হাদীসে এসেছে-
وَاللهُ فِي عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ.
বান্দা যখন তার ভাইয়ের সাহায্যে নিরত থাকে, আল্লাহও তার সাহায্যে থাকেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬৯৯
উক্ত হাদীসে মানুষকে সাহায্য করার একটি বিশাল ফযীলত বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি মানুষের সাহায্য-সহযোগিতা করবে আল্লাহ তাআলাও তাকে সাহায্য করবেন।
সরাসরি সাহায্য করা কিংবা পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করাসহ সবধরনের সাহায্যই এর অন্তর্ভুক্ত। সব শ্রেণির মানুষকে সাহায্য করাও এর অন্তর্ভুক্ত। সকল মুসলমান ভাই ভাই। হাদীসেও মুসলিম না বলে ভাই শব্দ বলা হয়েছে। মানুষ আপন ভাইকে যেমন আন্তরিকতার সাথে সাহায্য করে, তেমনি তার মুসলমান ভাইকেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করবে।
আরেকটি বড় হাদীসের একাংশে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আবূ যর গিফারী রাযিয়াল্লাহু আনহুকে বলেছেন-
تُعِينُ صَانِعًا أَوْ تَصْنَعُ لِأَخْرَقَ.
কোনো কারিগরকে সাহায্য কর অথবা কোনো অক্ষম ব্যক্তির জন্য কাজ কর। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৪; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৫১৮
এই হাদীসে নির্দিষ্ট করে যারা জীবিকা উপার্জনের জন্য নিজে পরিশ্রম করে, তাদেরকে সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে টাকা পয়সা দিয়ে, আবার কোনো ক্ষেত্রে তার কাজে সহযোগিতা করে। যার দ্বারা যেমন ও যতটা সহযোগিতা করা সম্ভব, সেটাই করা।
কোনো কারিগরকে তার কাজে সাহায্য করার পাশাপাশি আরেকটি বড় সওয়াবের ক্ষেত্র হল, যে ব্যক্তি কোনো কাজ জানে না, তাকে উপযুক্ত কোনো কাজ শিখিয়ে দেওয়া। যার জন্য যে ধরনের কাজ সহজ এবং উপযুক্ত তাকে সে কাজ শিখিয়ে দেওয়া। অথবা তার কাজের ক্ষেত্র বানিয়ে দেওয়া।
মানুষকে নানানভাবেই সাহায্য-সহযোগিতা করা যায়। যেমন, রাস্তাঘাটে অনেক বয়স্ক মানুষকে দেখা যায়, পরিশ্রম করে নিজের কাজ করছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু পয়সা উপার্জনের জন্য কষ্ট করে তাকে কাজ করতে হচ্ছে। ওই মুহূর্তে তাকে সাহায্য করা। কেউ হয়ত ভারি কোনো বোঝা তুলছে, তাকে সেটা তুলতে সাহায্য করা। কেউ কোনো ভারি জিনিস নামাচ্ছে তাকে সেটা নামাতে সাহায্য করা। কেউ কোনো কাজ করতে না পারলে অথবা কাজ করে ক্লান্ত হয়ে পড়লে তাকে সাধ্যমত সহযোগিতা করা। মোটকথা, যার যেমন সাহায্য-সহযোগিতা দরকার, নিজের পক্ষে যতটুকু সম্ভব করে দেওয়া।
যারা আমাদেরই অধীনে কাজ করে, তাদেরকেও কাজে সাহায্য করা। তাদের কাজ হালকা করে দেওয়া, কমিয়ে দেওয়া। এতে তাদের উপকারের পাশাপাশি নিজেরও উপকার রয়েছে।
আরেকটি উপায় হল, অনেকসময় দেখা যায়, কেউ কোনো কাজের কথা বলে, কিন্তু সেই কাজ করার জন্য তার কাছে কোনো উপকরণ থাকে না। তার কাছে সেটা কেনার মত পয়সাও থাকে না। তাকে কিছু টাকা পয়সা দিলে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে অথবা বানাতে পারবে।
বিখ্যাত সাহাবী হযরত সালমান ফারসী রাযিয়াল্লাহু আনহুর প্রসিদ্ধ ঘটনাটি তো সকলেরই জানা আছে। তিনি মদীনায় এক ইহুদীর গোলাম ছিলেন। নবীজী তাকে বললেন, তুমি আযাদ হওয়ার জন্য তোমার মনিবের সাথে ‘মুকাতাবা’ চুক্তি করো।
সেই ইহুদী সালমান ফারসী রাযিয়াল্লাহু আনহুকে শর্ত দিল, নিজের পক্ষ থেকে তিন শ খেজুর গাছ রোপণ করে দিলে এবং চল্লিশ উকিয়া স্বর্ণ দিলে দাসত্ব থেকে মুক্তি পাবে।
সালমান ফারসী রাযিয়াল্লাহু আনহু নবীজীকে বিষয়টি জানালে নবীজী সাহাবায়ে কেরামকে সহযোগিতা করতে বললেন। সাহাবায়ে কেরামের কেউ বিশটি, কেউ পনেরটি, কেউ দশটি করে খেজুর গাছের চারা দিলেন। তারপর নবীজী নিজ হাতে সেগুলো রোপণ করে দিলেন। (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৩৭৩৭)
এভাবে নবীজীসহ সাহাবায়ে কেরাম মিলে হযরত সালমান ফারসী রাযিয়াল্লাহু আনহুকে দাসত্ব থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করলেন। তিন শ খেজুর গাছের চারা তাঁর একার পক্ষে যোগাড় করা অনেক কঠিন ছিল। কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম সকলে কিছু কিছু করে চারা দেওয়ায় খুব সহজেই তাঁর তিন শ চারার ব্যবস্থা হয়ে গেল। কেবল চারা দিয়েই সাহাবায়ে কেরাম ক্ষান্ত হননি। সেগুলোর জন্য গর্তও খুঁড়ে দিয়েছেন। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়াসাল্লাম স্বয়ং সেগুলো রোপণ করে দিয়েছেন।
হাদীসে আরেকটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে-
এক আনসারী সাহাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে তীব্র অভাব-অনটনের কথা জানালেন। নবীজী বললেন, তোমার কাছে যা আছে নিয়ে এসো।
আনসারী সাহাবী একটা মোটা কাপড় আর বাটি নিয়ে এসে বললেন, এই কাপড়ের এক অংশ বিছিয়ে আরেক অংশ গায়ে দিয়ে আমরা ঘুমাই, এই বাটি দিয়ে পানি পান করি।
নবীজী সাহাবায়ে কেরামকে বললেন, এগুলো এক দিরহাম দিয়ে আমার কাছ থেকে কে কিনবে?
একজন বললেন, আমি।
নবীজী বললেন, এক দিরহামের বেশি দিয়ে কে নেবে?
একজন বললেন, আমি দুই দেরহাম দেব।
নবীজী দুই দেরহাম দিয়ে তার কাছে সেগুলো বিক্রি করে দিলেন। তারপর ওই আনসারী সাহাবীকে বললেন, নাও, এক দিরহাম দিয়ে তোমার পরিবারের জন্য খাবার কিনবে। আর এক দেরহাম দিয়ে কুঠার কিনবে। তারপর ওই উপত্যকায় গিয়ে কাঁটাদার ও শুকনো ডাল কাটবে (এবং বিক্রি করবে)। দশ দিন পর এসে অবস্থা জানিয়ো।
ওই সাহাবী দশ দিন পরে এসে বললেন, আপনি আমাকে যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে আমার অনেক বরকত হয়েছে। -শরহু মাআনিল আছার, তহাবী, হাদীস ৪২৪৬
এখানে দেখুন, ওই আনসারী সাহাবীর ঘরে তীব্র অভাব ছিল, খাবার কিছু ছিল না। আয়-রোযগার করারও কোনো ব্যবস্থা ছিল না। নবীজী বললনে, তোমার যা আছে, তা-ই নিয়ে এসো। সাহাবী একটি মোটা কাপড় আর একটি বাটি নিয়ে এলেন, যা আপাত দৃষ্টিতে মূল্যহীনই ছিল। কিন্তু নবীজী নিলাম ডেকে সেটা বিক্রি করলেন। তারপর ওই টাকা দিয়ে সাহাবীর পরিবারের খাদ্যও জোগাড় হল এবং তার জীবিকার ব্যবস্থাও হল।
এর অনুসরণে আমরাও বিভিন্ন পন্থায় মানুষকে সাহায্য করতে পারি। কাউকে গৃহপালিত পশু কিনে দিয়ে। কাউকে সেলাই মেশিন কিনে দিয়ে। কাউকে নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী কাঁচামাল কিনে দিয়ে। কোনো অসচ্ছল নারীকে সেলাইয়ের কাজ শিখিয়ে দিয়ে। অথবা কারও কাজে লাগবে এমন কিছু নিজের কাছে থাকলে তাকে সেটা দিয়ে। আরও নানান উপায় হতে পারে।
হযরত মাওলানা মুফতী শফী রাহ.-এর একটি ঘটনা উল্লেখ করছি। তিনি বলেন-
‘...তখন হিন্দুস্তানে থাকতাম। একদিন ফজর নামাযের জন্য মসজিদে যাচ্ছিলাম। আমাদের ঘর থেকে মসজিদের পথে একটি কুয়া ছিল। এক বৃদ্ধা মহিলাকে দেখলাম, কুয়া থেকে পানি নিয়ে কলস ভরছে। বৃদ্ধা আমাদের ঘরের কাছাকাছিই থাকত। কলসটা অনেক ভারি। মহিলাও বৃদ্ধা হওয়ার কারণে কিছুদূর যাওয়ার পর মাটিতে পড়ে গেল। আমি ততক্ষণে সেখানে পৌঁছে গেলাম। তার কলসটা তুলে দিতে চাইলাম। মা আমি তুলে দিচ্ছি। কিন্তু উঠানোর সময় মনে হল, কেমন কথা, কলসটা উঠিয়ে আবার বৃদ্ধার মাথায়ই তুলে দেব! তাই নিজের মাথায় নিয়ে বৃদ্ধাকে বললাম, মা আপনার ঘর কোন্ দিকে বলুন। আমি পৌঁছে দিচ্ছি। তিনি রাস্তা বলে দিলেন, আমি কলস মাথায় নিয়ে পথ চলতে শুরু করলাম।
ঘরের কাছে পৌঁছে বললাম, মা আপনি ঘরে গিয়ে পর্দা ঠিক করুন, আমি ভেতরে নিয়ে রেখে দিচ্ছি। তিনি ভেতরে গিয়ে পর্দা ঠিক করে বললেন, বেটা, এখানে রেখে দাও। আমি নির্দেশিত জায়গায় রেখে দিলাম। বের হওয়ার আগেই বৃদ্ধা আমাকে হৃদয়ের গভীর থেকে আন্তরিকভাবে দুআ দিতে লাগলেন। আমার নামাযের তাড়া ছিল, তাই তাড়াতাড়ি চলে গেলাম। তবে দূর থেকেও তার দুআ শুনতে পাচ্ছিলাম।
আমার মনে হল, এটা অনেক সহজ সওদা। কাজ অল্প, কিন্তু প্রাপ্তি অনেক। সিদ্ধান্ত নিলাম, প্রতিদিন এই কাজ করব।
পরদিন আগে আগে ঘর থেকে বের হলাম। তিনি তখন কুয়া থেকে পানি ভরছিলেন। আমি বললাম, মা দেন, আমি পানি ভরে দেই।
আমি বালতি দিয়ে কুয়া থেকে পানি উঠিয়ে কলসটা ভরলাম এবং তার ঘরে পৌঁছে দিলাম।
এই কাজ করে আমার এত নূর অনূভুত হল, আমি নিয়মিত আগে আগে বের হতে লাগলাম। যেন তাকে কুয়া থেকে পানিও তুলতে না হয়। আল্লাহ রাব্বুল ইয্যতের দয়া ও অনুগ্রহে এটা আমার নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাঁড়ায়। যতদিন এই বৃদ্ধা জীবিত ছিলেন আর আমি দেওবন্দে ছিলাম, সফরে বা অসুস্থ না থাকলে নিয়মিত বহুদিন পর্যন্ত এই কাজ করেছি। এই ঘটনা এতদিন আল্লাহ তাআলা, সেই বৃদ্ধা আর আমি ব্যতীত কেউ জানত না। আজ তোমাদের উপকারার্থে বললাম।’ (দ্র. হায়াতে মুফতী আ‘যম, পৃষ্ঠা ৫২)
সাহাবায়ে কেরাম এবং আমাদের আকাবির-আসলাফের প্রায় সবার জীবনেই এমন অনেক ঘটনা রয়েছে। যেখানে তারা নিঃস্বার্থভাবে মানুষকে সহযোগিতা করেছেন। কাজে সহযোগিতা করেছেন। আর্থিক সাহায্য করেছেন। তাদের অনেকে স্বাস্থ্যের দিক থেকে আমাদের চেয়ে বেশ দুর্বল ছিলেন। আর্থিকভাবে তো অনেকেই তীব্র অভাব-অনটনে ছিলেন। তবুও তারা মানুষকে সহযোগিতা করেছেন। মুহাজির সাহাবীরা যখন মদীনা থেকে হিজরত করে মক্কায় এলেন, তখন আনসারী সাহাবীরা নিঃস্বার্থ ও আন্তরিকভাবে আপন ভাইয়ের মত ভালবেসে যে যেভাবে পেরেছেন মুহাজির সাহাবীদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। আমাদের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে সেসব ঘটনা আজও লেখা রয়েছে।
আমাদের আকাবিরে দেওবন্দেরও এমন অনেক ঘটনা রয়েছে। দেওবন্দের মুফতীয়ে আযম ছিলেন হযরত মাওলানা মুফতী আযীযুর রহমান রাহ.। তিনি এশরাক নামাযের পরে প্রতিবেশী বিধবা মহিলাদের ঘরে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, কার কী বাজার লাগবে? তালিকা নিয়ে সবার বাজার করে দিতেন। কখনো কারও কিছু আনতে ভুল হলে আবার যেতেন। (দ্র. আকাবিরে দেওবন্দ কি য়া থে, পৃষ্ঠা ১০১)
হযরত মাওলানা মুযাফফর হুসাইন কান্ধলবী রহ. একবার এক বৃদ্ধের ভারি বোঝা বহন করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই বৃদ্ধ তাকে চিনত না। একপর্যায়ে বৃদ্ধ লোকটি তাকে জিজ্ঞেস করল, কোথায় থাকো?
তিনি বললেন, কান্ধলায়।
সে বলল, ওখানে মুযাফফর হুসাইন নামে এক বড় আলেম আছেন। এরপর তাঁর কাছেই তাঁর প্রশংসা করতে লাগল। কিন্তু তিনি একবারও বললেন না, আমিই মুযাফফর হুসাইন। একজন এসে ওই বৃদ্ধকে বলল, ইনিই মুযাফফর হুসাইন। বৃদ্ধ তখন তাঁর পায়ে লুটিয়ে পড়ল। -দ্র. আকাবিরে দেওবন্দ কিয়া থে, পৃষ্ঠা ১০০
মানুষকে সহযোগিতা করতে গিয়ে সাহাবায়ে কেরাম ও আমাদের আকাবির-আসলাফ নাম যশ খ্যাতির কথা ভাবেননি। নিজের সুনাম প্রচার করার জন্য এসব করেননি। সুখ্যাতি পাওয়ার আশায় করেননি। বরং যাদের যশ ছিল, তারা আরও গোপনে কাজ করেছেন। চেহারা ঢেকে কাজ করেছেন, যেন চেহারা দেখে কেউ চিনে না ফেলে। কেউ কেউ নাম জিজ্ঞেস করলে কৌশলে এড়িয়ে গেছেন, যেন অপরজন চিনতে পেরে লজ্জিত না হয়।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন, যেন আমরা হাদীসের শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারি। কোনো নেক কাজই ছোট করে দেখতে নেই। কখন কোন্ নেক কাজ আল্লাহ তাআলার দরবারে কবুল হয়ে যাবে আর সেটাই জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হবে। তাছাড়া মানুষকে সহযোগিতা করা কোনোও ছোট আমল নয়। অনেক হাদীসে এর ফযীলত ও ফায়েদার কথা বলা হয়েছে। আখেরাতে এর বিনিময়ে বিপুল সওয়াব লাভ হবে ইনশাআল্লাহ! এ লেখার শুরুতে আমরা পড়ে এসেছি, মানুষকে সহযোগিতা করলে আল্লাহও আমাদেরকে সাহায্য করবেন। আল্লাহ তাআলাই উত্তম তাওফীকদাতা! হ