সফর ১৪৪৩   ||   সেপ্টেম্বর ২০২১

করোনা থেকে পরিত্রাণের প্রকৃত উপায়

মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক

الحمد لله وسلام على عباده الذين اصطفى، أما بعد :

أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيم، بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ

وَ تُوْبُوْۤا اِلَی اللهِ جَمِیْعًا اَیُّهَ الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ.

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বান্দাদের উপর যেসব আমল ফরয করেছেন, এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হল তওবা। তওবা অর্থ হল, তাঁর দিকে ফিরে আসা। এটা আল্লাহর সকল বান্দাদের উপর ফরয। মুসলিম-অমুসলিম সবার উপরে ফরয। অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করে নাই, ঈমান আনে নাই; তার উপরও ফরয- কুফর থেকে, র্শিক থেকে তওবা করে মুসলিম হয়ে যাওয়া, ঈমান গ্রহণ করা। যে ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাআলা মুসলিম হওয়ার তাওফীক দান করেছেন, তার উপর ফরয তাকওয়ার জিন্দেগী অবলম্বন করা। অর্থাৎ যতকিছু আল্লাহ তাআলা হারাম করেছেন, যত পাপ, যত গুনাহ সবকিছু থেকে বেঁচে থাকা।

আল্লাহর ফরযগুলো আদায় করা, এটা হল তাকওয়া। সকল মুমিন-মুসলিমের উপর তাকওয়ার জিন্দেগী অবলম্বন করা ফরয। ন্যূনতম তাকওয়ার স্তুর হল গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা আর আল্লাহর ফরয আদায় করা। আল্লাহর হক আদায় করা, বান্দার হক আদায় করা। এই ফরয অনেকসময় লঙ্ঘিত হয়ে যায়। আমরা খেয়াল করি না, ভুল হয়ে যায়, গুনাহ হয়ে যায় এবং ফরয-ওয়াজিব  কোনো আমল ছুটে যায় এবং অজান্তে, অনিচ্ছায় বা সম্পূর্ণ বেখেয়ালিতেও অনেকসময় জরুরি আমল ছুটে যায় এবং কোনো গুনাহ হয়ে যায়। এজন্য সর্বাবস্থায় তওবা করা উচিত। গুনাহ হয়ে গেলে তো বটেই। আমার খবর নেই, আমার ধারণা যে, কোনো গুনাহ হয় নাই তবুও তওবা করা। কেন? কারণ আমি তো মানুষ! শুধু মানুষ না, আমি একজন সাধারণ মুমিন। রাসূলুল্লাহর উম্মত।

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তো মানুষ। কিন্তু তিনি রাসূল, নবী, মাছুম, নিষ্পাপ। আখেরী নবী হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাতামুন নাবিয়্যীন। সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর আর কোনো নবী আসবে না। নতুন করে কোনো নবী হতে পারে না, আসতে পারে না।

কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ মুসলিম হবে, মুমিন হবে সবাই কার উম্মত? হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মত। উম্মত তো আর মাছুম না। ভুলের ঊর্ধ্বে না। তার ভুল হয়ে যায়, গুনাহ হয়ে যায়। খাতামুন নাবিয়্যীন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর আগের নবীগণ মাছুম। তাঁরা ছিলেন নিষ্পাপ। তাঁরাও তওবা করতেন। ইস্তিগফার করতেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতেন এবং তওবা করতেন। তাহলে উম্মতের আরো বেশি করে তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে। এটা হল সাধারণ কথা। যে কোনো সময়, সুখ-শান্তিতে আছি, কোনো অশান্তি নেই, কোনো মহামারি নেই, বিপদ নেই, মসিবত নেই, নিরাপদে আছি, শান্তিতে আছি তখনও বিধান হল তওবা-ইস্তিগফার করা।

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত ইস্তিগফার করতেন, তওবা করতেন। কোনো মজলিসে সাহাবায়ে কেরামের সাথে বসে আছেন, দেখা যায়, মজলিসের মধ্যে ৭০ বার বা ১০০ বারের মত ইস্তিগফার পড়া হয়ে গেছে। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা.-এর নিম্নোক্ত হাদীসে এই কথাটিই বলা হয়েছে-

إِنْ كُنَّا لَنَعُدُّ لِرَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَجْلِسِ الْوَاحِدِ مِائَةَ مَرَّةٍ: رَبِّ اغْفِرْ لِي، وَتُبْ عَلَيَّ، إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ.

-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৫১৬; জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৪৩৪

প্রত্যেক ইস্তিগফারের সাথেই তওবা আছে। তওবা বিহীন ইস্তিগফারের মূল্য নেই। আর ইস্তিগফার বিহীন তওবা সম্ভবই না। ইস্তিগফার এবং তওবা।

ইস্তিগফার মানে কী? আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। আয় আল্লাহ! আমার ভুল হয়েছে, আমাকে ক্ষমা করে দিন। আল্লাহ আমি গুনাহ করে ফেলেছি, আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি আমার উপর অনেক জুলুম করেছি। গুনাহের কারণে, গুনাহের মাধ্যমে মানুষ শুধু নিজের উপরই জুলুম করে না-

بے ادب تنہا نہ خود  را  داشت بَد

بلکہ آتش در ہمہ آفاق زَد

বেআদব শুধু নিজেকেই বরবাদ করছে- তা না।

بلکہ آتش در ہمہ آفاق زَد

বরং পুরো পৃথিবীতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।

কে বেআদব? বেআদব কী জানেনসবচেয়ে বড় বেআদব হল গুনাহগার।

আর যেটাকে আমরা বেআদবি মনে করি, যেমন বলি যে, ছেলেটা বেআদব; কেমন বেআদবি করছে- সেটাও গুনাহ। সে বেআদবিও গুনাহ।

যে গুনাহের কাজ করে সে শুধু নিজের উপর জুলুম করে- তা না। আমরা বলি-

اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلَا يَغْفِرُ الذَّنْبَ إِلّا أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ.

আমি আমার উপর অনেক অত্যাচার করেছি, গুনাহ করে নিজের উপর অনেক অত্যাচার করেছি।

নিজের উপর অত্যাচার মানে কী? নিজের উপর অত্যাচার মানে হল, আমি আমার উপর অত্যাচার করে আমি আমাকে বরবাদ করেছি।

সাহাবায়ে কেরাম বুঝতেন বিষয়টা। হালাকতু ওয়া আহলাকতু’- আমি নিজেও বরবাদ হয়েছি, অন্যকেও বরবাদ করেছি। অন্যকে বরবাদ করার অর্থ কী? আমার গুনাহের কারণে মসীবত নাযিল হয়। আসমান থেকে বালা নামতে থাকে। যমীন থেকে বালা ওঠে। আমার গুনাহের কারণে। বালা যে আসে সেটার কষ্ট কি শুধু আমার একার, না সবার কষ্ট? সবার কষ্ট।

গুনাহ করার কারণে শুধু নিজের উপর বালা আসে- তা না। গুনাহ করে একে তো নিজেকে বরবাদ করেছি। আবার আরো দশজনকে বরবাদ করেছি। সকলের ক্ষতির কারণ হয়েছি আমি। এজন্য তওবা করা সবসময় জরুরি কাজ।

এখন যে মহামারি, যে বালা-মসিবতে আমরা আছি, শুধু এ দেশ নয়, পুরা মুসলিম বিশ্ব, পুরা পৃথিবী যে মসিবতে আক্রান্ত। এসময় কাজ কী? একা একা তো সবাই তওবা করবেই। সবসময় করবে; কিন্তু এধরনের বালা-মসিবত দূর হওয়ার জন্য সকলকে তওবা করতে হবে-

وَ تُوْبُوْۤا اِلَی اللهِ جَمِیْعًا اَیُّهَ الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ.

হে ঈমানদার বান্দারা!  তোমরা সবাই তওবা কর। তবে সবাইকে একসাথে, এক ময়দানে এসে তওবা করতে হবে- এটা বলা হয়নি। এটাও হতে পারে, নিষেধ নেই। কিন্তু جَمِيْعًا  জামিয়ানমানে সবাই। সকলকে তওবা করতে হবে। সবাই তওবা করো। সবাই তওবা করো, কারণ সমস্যা তো সবার।

কতজনের পাপের বা গুনাহের কারণে এই সমস্যা এসেছে সেটা আল্লাহ্ই ভালো জানেন। কার কার পাপের কারণে এসেছে সেটা আল্লাহ্ই জানেন। কিন্তু করতে হবে তওবা সবাইকে। কারণ, যে ধারণা করবে যে এটা আমার পাপের কারণে আসে নাই, তার এ ধারণাটাই পাপ। তার এই ধারণাটাই অন্যায় যে, অন্যদের পাপের কারণে এসেছে। কারো যদি এমন ধারণা মাথায় আসে, তাহলে তার এই ধারণা কঠিন অহংকার এবং মহা পাপ। সুতরাং সকলকেই তওবা করতে হবে।

তো অমুসলিম যারা, তারা তো আল্লাহকে চেনে না। আল্লাহর উপর ঈমান আনার তাওফীক হয় নাই। তো সকল মুমিন যদি তওবা করে, আল্লাহ্ মুসিবত উঠিয়ে নেবেন ইনশাআল্লাহ। কিন্তু সবাইকে তওবা করতে হবে। সকল শ্রেণির মানুষকে তওবা করতে হবে। সকল সদস্যকে তওবা করতে হবে।

সকল বাবা তওবা করবে যে, আমরা সন্তানদের কী হক নষ্ট করেছি। সকল সন্তান তওবা করবে যে, আমরা মা-বাবার কী হক নষ্ট করেছি। সকল যুবক তওবা করবে যে, আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে যে যৌবন দান করেছেন, এই যৌবন কোন্ পথে ব্যয় করেছি। এটা কি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টিতে ব্যয় করেছি, নাকি নাফরমানী করেছি? বৃদ্ধ তওবা করবে যে, আল্লাহ আমাকে এত দীর্ঘ হায়াত দান করেছেন, কিন্তু আমি আল্লাহর কী এমন ইবাদত-বন্দেগী করেছি, কী হক আদায় করেছি! পুরুষরা তওবা করবে। নারীরা তওবা করবে; কে আল্লাহর কী হক নষ্ট করেছে এবং কে আল্লাহর বান্দাদের ও মাখলুকের কী হক নষ্ট করেছে? শাসকশ্রেণি তওবা করবে যে, আল্লাহ আমাকে শাসক বানিয়েছেন, আমার অধীনস্তদের হক আদায় করেছি কি না। তাদের উপর কত জুলুম করেছি, আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। সাথে সাথে সেইসব জুলুমের কাফফারা করতে হবে। শাসক বানিয়েছেন আল্লাহ তাআলা, কিন্তু শাসন করছ নিজের ইচ্ছামতো, আল্লাহর বিধানমতো করছ না। হারাম! এটা থেকে তওবা করতে হবে আর আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করতে হবে।

এই যে পুরা বিশ্বে যত বুদ্ধিজীবী সমাজ আছে, যত শাসক আছে, দেশের কথা বলছি না শুধু, পুরো পৃথিবীর কথা বলছি, সবার কথা বলছি, মুসলিম-অমুসলিম সবাই, যত লিডার আছে, যত শাসক আছে সবাই সমাধান খুঁজছে এই মসীবতের! কিন্তু আল্লাহকে স্মরণ করছে না। সমাধান খুঁজছে লকডাউন দিয়ে। সমাধান খুঁজছে মাদরাসা-মকতব বন্ধ দিয়ে। সমাধান খুঁজছে জাগতিক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে। লকডাউন দিয়ে কি আল্লাহর কাছ থেকে বাঁচতে পারবে! লকডাউন দিয়ে আল্লাহর কাছ থেকে বাঁচা যাবে! স্বচক্ষে দেখছ, বাঁচতে পারছ না। সবাই বোঝে এটা তামাশা। তারপরও তামাশা করে।

এটা শুধু এই সরকারই করছে না। পুরা দুনিয়ার সবাই করছে। সবাই তামাশা করছে। শুধু লকডাউন দিয়ে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে বাঁচতে পারবে না। আল্লাহর কাছ থেকে বাঁচতে হলে তওবা করতে হবে। আল্লাহর দিকে ফিরে এসো। নিজের উপর কী জুলুম করেছ, নিজের অধীনস্তদের উপর কী জুলুম করেছ। সে জুলুমের কাফফারা কর। আল্লাহকে স্মরণ কর। আল্লাহর দিকে ফিরে এসো।

ইটালিতে কী করেছে জানেন না! ওরা আল্লাহকে চেনার মত চেনে না। কুরআন যেভাবে বলেছে, ওভাবে চেনে না আল্লাহ্কে। কিন্তু যেহেতু খ্রিস্টান, বিকৃত ধর্মের অনুসারী, তো এতটুকু জানে যে, মাবুদ আছেন, আল্লাহ আছেন। এ কথা বোঝে না যে, আমাকে ঈমান এনে তওবা করতে হবে। আল্লাহর কাছে ঈমান ছাড়া তওবা কবুল হবে না। এতটুকু জ্ঞান নেই। কিন্তু একেবারে মাঠে নেমে গেছে সবাই। একসাথে কান্নাকাটি শুরু করেছে।

এটা করোনার প্রথম ধাপে ঘটেছে। তো এই যে হাত উঠিয়ে দুআ করা, কান্নাকাটি করা, এটা হল আল্লাহর দিকে ফিরে আসার ছোট স্তর। এটা হল তওবার ছোট স্তর। আসল তওবা হল, যে কারণে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হয়েছেনআল্লাহর নাফরমানী করে আমরা আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করেছি, ওটা থেকে তওবা করতে হবে। সকল গুনাহ থেকে তওবা করতে হবে। আল্লাহর বান্দাদের যে হক নষ্ট করেছি, ওটার জন্য তওবা করতে হবে এবং সে হক আদায় করতে হবে। আল্লাহর হক নষ্ট করেছি, সেটার জন্য তওবা করতে হবে এবং হক আদায় করতে হবে। এটাকেই বলে তওবা।

আল্লাহ আমি ক্ষমা চাই, আপনি ক্ষমা করেন, আপনি মাফ করেন, কান্নাকাটি করা। এটা হল তওবার দ্বিতীয় রোকন। তওবার দ্বিতীয় স্তম্ভ হল ইস্তিগফার এবং কান্নাকাটি করা। প্রথম স্তম্ভ, যা ছাড়া তওবা হবেই না, সেটা হল, ফিরে আসা। তুমি ফিরে এসো। অন্যায় থেকে ফিরে এসো। সঠিক রাস্তা অবলম্বন কর। আল্লাহকে বল, আল্লাহ আমি ফিরে এসেছি। পিছনের জন্য আমি লজ্জিত। এটার নাম তওবা।

وَ تُوْبُوْۤا اِلَی اللهِ جَمِیْعًا اَیُّهَ الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ.

হে মুমিনগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর কাছে তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলতা অর্জন কর। -সূরা নূর (২৪) : ৩১

তো মুমিনরা যদি সবাই তওবা করে, আল্লাহ মুমিনদের তওবার মাধ্যমে কাফের-মুশরিকদেরও বালা-মসিবত থেকে উদ্ধার করেন। কিন্তু তাদেরও এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা দরকার। উপদেশ গ্রহণ করা দরকার। সেই উপদেশ গ্রহণ করা তখনই সাব্যস্ত হবে, যদি ঈমানের তওফীক হয়ে যায় এবং ঈমান এনে মুসলিম হয়ে যায়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে খালেস অন্তরে তাওবাতান নাসূহাকরার তাওফীক দান করেন। ইনশাল্লাহ যদি আমরা তওবা এবং ইস্তিগফারের প্রতি যত্নবান হই এবং দুআ, যিকির-আযকারের মাধ্যমে আল্লাহর দিকে পরিপূর্ণভাবে রুজু করি, ইনশাআল্লাহ এই মসিবত উঠে যাবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বোঝার তাওফীক দান করুন- আমীন।

وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين.

 

[জুমাপূর্ব বয়ান

মারকাযদু দাওয়াহ হযরতপুর প্রাঙ্গণ

১৯-১২-১৪৪২ হি.

৩০-০৭-২০২১ ঈ.

শ্রুতিলিখন : আবু নুসাইবা খায়রুল বাশার]

 

 

advertisement