হাদীস ও আসারে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ও রাকাত-সংখ্যা
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
আবু যর রা. থেকে বর্ণিতÑ
أَذّنَ مُؤَذِّنُ رَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ بِالظّهْرِ، فَقَالَ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ: أَبْرِدْ، أَبْرِدْ، أَوْ قَالَ: انْتَظِرِ، انْتَظِرْ، وَقَالَ: إِنّ شِدّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنّمَ، فَإِذَا اشْتَدّ الْحَرّ، فَأَبْرِدُوا عَنِ الصّلَاةِ، قَالَ أَبُو ذَرٍّ: حَتّى رَأَيْنَا فَيْءَ التّلُولِ.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুআযযিন যোহরের আযান দিলেন। তখন নবীজী বললেন, ঠাণ্ডা কর, ঠাণ্ডা কর। অথবা বললেন, অপেক্ষা কর, অপেক্ষা কর। এবং বললেন, গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে। অতএব গরম যখন তীব্র হয় তখন যোহরের সালাত তোমরা ঠাণ্ডা করে পড়বে। (সেদিন নবীজী যোহরের সালাত বিলম্ব করলেন) এমনকি আমরা টিলার ছায়া দেখতে পেলাম। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৫৩৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬১৬
আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনÑ
أَبْرِدُوا بِالظُّهْرِ، فَإِنّ شِدّةَ الحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنّمَ.
তোমরা যোহর ঠাণ্ডা করে পড়; কারণ গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৫৩৮
আবু হুরায়রা রা. এবং আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনÑ
إِذَا اشْتَدّ الحَرّ فَأَبْرِدُوا عَنِ الصّلاَةِ، فَإِنّ شِدّةَ الحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنّمَ.
যখন গরম তীব্র হয় তখন তোমরা ঠাণ্ডা করে (যোহরের) সালাত আদায় করবে। কারণ গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৫৩৩
কাসেম ইবনে সাফওয়ানের সূত্রে সাফওয়ান রা. থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনÑ
أَبْرِدُوا بِالظّهْرِ، فَإِنّ شِدّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنّمَ.
তোমরা যোহর ঠাণ্ডা করে পড়। কারণ গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে। Ñমুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ৩৩০৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৮৩০৬
قال علاء الدين مغلطاي في شرح سنن ابن ماجه (৪৭২/২) : هو إسناد صحيح.
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
كُنْتُ أُصَلِّي الظّهْرَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ، فَآخُذُ قَبْضَةً مِنَ الْحَصَى لِتَبْرُدَ فِي كَفِّي أَضَعُهَا لِجَبْهَتِي أَسْجُدُ عَلَيْهَا لِشِدّةِ الحَرِّ.
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে যোহরের সালাত আদায় করতাম। তখন আমি এক মুষ্ঠি পাথর নিয়ে হাতে রাখতাম, যেন তা ঠাণ্ডা হয়। প্রচণ্ড গরমের কারণে সেগুলো কপালের জায়গায় রেখে তার উপর সিজদা করতাম। Ñসুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৯৯; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ১০৮১
قال مغلطاي في شرح سنن ابن ماجه (২/৪৬৪): رواه أبو داود بإسناد صحيح.
বুরায়দা আসলামী রা. থেকে বর্ণিতÑ
أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ كَانَ يَقْرَأُ فِي الظّهْرِ بِـ "اِذَا السَّمَآءُ انْشَقَّتْ" وَنَحْوِهَا.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যোহরের সালাতে اِذَا السَّمَآءُ انْشَقَّتْ এবং এই পরিমাণের কোনো সূরা পড়তেন। Ñসহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস ৫১১
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক সাহাবী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
كَانَتْ تُعْرَفُ قِرَاءَةُ النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ فِي الظّهْرِ بِتَحْرِيكِ لِحْيَتِهِ.
যোহরের সালাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কেরাত পড়া বোঝা যেত তাঁর দাড়ি মোবারক নড়ার দ্বারা। Ñমুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৩৬৫৬; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৩৫১৩
قال الهيثمي (২৬৮৩): رجاله ثقات. وقال البوصيري في إتحاف الخيرة ১৭৩/২: هذا إسناد رجاله ثقات.
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشّمْسُ وَاقِعَةٌ فِي حُجْرَتِي.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের সালাত আদায় করতেন যখন সূর্যের আলো আমার কামরায় থাকত। Ñসহীহ মুসলিম, হাদীস ৬১১; সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৪৫
আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
كُنّا نُصَلّي العَصْرَ، ثُمّ يَخْرُجُ الإِنْسَانُ إِلَى بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، فَنَجِدُهُمْ يُصَلّونَ العَصْرَ.
আমরা আসরের সালাত আদায় করতাম, অতঃপর কেউ আমর ইবনে আওফ গোত্রে গিয়ে দেখত, তারা আসর পড়ছে। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৫৪৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬২১
আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনÑ
مَنْ فَاتَتْهُ الْعَصْرُ، فَكَأَنّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ.
যার আসরের সালাত ছুটে গেল, তার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ যেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেল। Ñসহীহ মুসলিম, হাদীস ৬২৬; সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৫২
রাফে ইবনে খাদীজ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
كُنّا نُصَلِّي مَعَ النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ العَصْرَ، فَنَنْحَرُ جَزُورًا، فَتُقْسَمُ عَشْرَ قِسَمٍ، فَنَأْكُلُ لَحْمًا نَضِيجًا قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشّمْسُ.
আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে আসর পড়তাম, এরপর উট জবাই করে সেটাকে দশ ভাগ করা হতো এবং সূর্যাস্তের পূর্বে আমরা পাকানো গোশত খেতাম। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ২৪৮৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬২৫
বুরায়দা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনÑ
مَنْ تَرَكَ صَلاَةَ العَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ.
যে আসরের সালাত ছেড়ে দিল, তার আমল বরবাদ হয়ে গেল। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৫৫৩
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
قَاتَلَ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ عَدُوّا، فَلَمْ يَفْرُغْ مِنْهُمْ حَتّى أَخّرَ الْعَصْرَ عَنْ وَقْتِهَا، فَلَمّا رَأَى ذَلِكَ قَالَ: "اللهُمّ مَنْ حَبَسَنَا عَنِ الصّلاةِ الْوُسْطَى، فَامْلَأْ بُيُوتَهُمْ نَارًا، وَامْلَأْ قُبُورَهُمْ نَارًا" أَوْ نَحْوَ ذَلِكَ.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করলেন। তাদের থেকে অবসর হতে হতে আসরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেল। এটা দেখে তিনি বললেন, হে আল্লাহ! যারা আমাদেরকে ‘সালাতুল উসতা’ (মধ্যবর্তী সালাত) থেকে আটকে রেখেছে, আপনি তাদের ঘর আগুনে ভরে দিন এবং তাদের কবরও আগুনে ভরে দিন। Ñমুসনাদে আহমাদ, হাদীস, ২৭৪৫; আলমুজামুল কাবীর, তবারানী, হাদীস ১১৯০৫
قال الهيثمي (১৭১৯): رجاله موثقون.
হুযায়ফা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَقُولُ يَوْمَ الْخَنْدَقِ: شَغَلُونَا عَن صَلَاةِ الْعَصْرِ مَلَأَ اللهُ قُبُورَهُمْ وَبُيُوتَهُمْ نَارًا.
খন্দকের দিন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ওরা আমাদেরকে আসরের সালাত থেকে ব্যস্ত রেখেছে। আল্লাহ ওদের কবর ও ঘর আগুনে ভরে দিন। Ñসহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ২৮৯১; মুসনাদে বাযযার, হাদীস ২৯০৬
قال الهيثمي (১৭২২): رواه البزار ورجاله رجال الصحيح.
বারা ইবনে আযিব রা. থেকে বর্ণিতÑ
كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ صَلّى نَحْوَ بَيْتِ المَقْدِسِ، سِتّةَ عَشَرَ أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا، وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يُحِبّ أَنْ يُوَجّهَ إِلَى الكَعْبَةِ، فَأَنْزَلَ اللهُ: قَدْ نَرٰی تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِی السَّمَآءِ [البقرة: ১৪৪]، فَتَوَجّهَ نَحْوَ الكَعْبَةِ "، وَقَالَ السّفَهَاءُ مِنَ النّاسِ، وَهُمُ اليَهُودُ: مَا وَلّٰىهُمْ عَنْ قِبْلَتِهِمُ الَّتِیْ كَانُوْا عَلَیْهَا ؕ قُلْ لِّلهِ الْمَشْرِقُ وَ الْمَغْرِبُ ؕ یَهْدِیْ مَنْ یَّشَآءُ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ، فَصَلّى مَعَ النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ رَجُلٌ، ثُمّ خَرَجَ بَعْدَ مَا صَلّى، فَمَرّ عَلَى قَوْمٍ مِنَ الأَنْصَارِ فِي صَلاَةِ العَصْرِ نَحْوَ بَيْتِ المَقْدِسِ، فَقَالَ: هُوَ يَشْهَدُ: أَنّهُ صَلّى مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ، وَأَنّهُ تَوَجّهَ نَحْوَ الكَعْبَةِ، فَتَحَرّفَ القَوْمُ، حَتّى تَوَجّهُوا نَحْوَ الكَعْبَةِ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ষোল-সতের মাস বাইতুল মাকদিসের দিকে ফিরে সালাত আদায় করেন। তবে তাঁর ইচ্ছা ছিল, কাবামুখী হয়ে সালাত আদায় করা। তাই আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেনÑ
قَدْ نَرٰی تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِی السَّمَآءِ.
[হে নবী! আমি আপনার চেহারাকে বারবার আকাশের দিকে উঠতে দেখেছি। Ñসূরা বাকারা (২) : ১৪৪]
এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সালাতে) কাবার দিকে মুখ করলেন। তখন নির্বোধেরা অর্থাৎ ইহুদীরা বললÑ
مَا وَلّٰىهُمْ عَنْ قِبْلَتِهِمُ الَّتِیْ كَانُوْا عَلَیْهَا ؕ قُلْ لِّلهِ الْمَشْرِقُ وَ الْمَغْرِبُ ؕ یَهْدِیْ مَنْ یَّشَآءُ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ.
[সেটা কী জিনিস, যা এদেরকে (মুসলিমদেরকে) তাদের কিবলা থেকে অন্য দিকে মুখ ফেরাতে উদ্বুদ্ধ করল, যার অভিমুখী তারা এ যাবত ছিল? আপনি বলে দিন, পূর্ব-পশ্চিম সব আল্লাহরই। তিনি যাকে চান সরল পথের হেদায়েত দান করেন। Ñসূরা বাকারা (২) : ১৪২]
এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সালাত আদায় করে বের হলেন। তিনি একদল আনসারের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেসময় তাঁরা বাইতুল মাকদিসের দিকে ফিরে আসরের সালাত আদায় করছিলেন। তখন লোকটি সাক্ষ্য দিয়ে বললেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সালাত আদায় করেছেন। সালাতে তিনি কাবার দিকে মুখ করেছেন। তখন তাঁরা ঘুরে কাবামুখী হয়ে গেলেন। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৩৯৯
সালামা ইবনে আকওয়া রা. থেকে বর্ণিতÑ
أَنّ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ كَانَ يُصَلِّي الْمَغْرِبَ إِذَا غَرَبَتِ الشّمْسُ، وَتَوَارَتْ بِالْحِجَابِ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিব পড়তেন যখন সূর্য অস্তগমন করে এবং পর্দার আড়ালে চলে যায়। Ñ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬৩৬; সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৬১
রাফে ইবনে খাদীজ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
كُنّا نُصَلِّي المَغْرِبَ مَعَ النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ، فَيَنْصَرِفُ أَحَدُنَا وَإِنّهُ لَيُبْصِرُ مَوَاقِعَ نَبْلِهِ.
আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে মাগরিব আদায় করতাম। এরপর আমাদের কেউ তার বাড়িতে ফিরে যেত এবং সে তার নিক্ষিপ্ত তীরের পতনস্থল দেখতে পেত। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৫৫৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬৩৭
জুবায়ের ইবনে মুত্ইম রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ: قَرَأَ فِي المَغْرِبِ بِالطّورِ.
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মাগরিবের সালাতে সূরা তূর তিলাওয়াত করতে শুনেছি। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৭৬৫ ও ৩০৫০; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৬৩
উম্মুল ফযল রা. থেকে বর্ণিতÑ
خَرَجَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ وَهُوَ عَاصِبٌ رَأْسَهُ فِي مَرَضِهِ، فَصَلّى الْمَغْرِبَ، فَقَرَأَ: بِالمُرْسَلاَتِ، فَمَا صَلاّهَا بَعْدُ حَتّى لَقِيَ اللهَ عَزّ وَجَلّ.
অন্তিম অসুস্থতার সময়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার (মাগরিবের সালাতের জন্য) আগমন করলেন। (মাথা ব্যথার কারণে) তখন তাঁর মাথা মুবারক পট্টি দিয়ে বাঁধা ছিল। সেদিন তিনি মাগরিবের সালাতে সূরা ‘মুরসালাত’ তিলাওয়াত করলেন। এটিই ছিল তাঁর শেষ মাগরিবের সালাত। Ñজামে তিরমিযী, হাদীস ৩০৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ৭৬৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৬২
যুবাইর ইবনে আওফা রাহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
أَقْرَأَنِي أَبُو مُوسَى، كِتَابَ عُمَرَ: أَنِ اقْرَأْ بِالنّاسِ فِي الْمَغْرِبِ بِآخِرِ الْمُفَصّلِ.
আবু মূসা আশআরী রা. আমাকে উমর রা.-এর চিঠি পড়ে শুনিয়েছেনÑ ‘তুমি লোকদের নিয়ে (অর্থাৎ জামাতে) মাগরিবের সালাতে ‘মুফাসসালের’ শেষ থেকে তিলাওয়াত করবে’। Ñমুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১২৮১
আবু উসমান নাহদী রাহ. থেকে বর্ণিতÑ
أَنّهُ صَلّى خَلْفَ ابْنِ مَسْعُودٍ الْمَغْرِبَ فَقَرَأَ قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ.
তিনি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর পেছনে মাগরিবের সালাত আদায় করেন। সালাতে ইবনে মাসউদ রা. قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ (সূরা ইখলাস) তিলাওয়াত করেন। Ñসুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৮১৫; সুনানে বাইহাকী, খ. ২, পৃ. ৩৯১
আবু নাওফিল ইবনে আবু আকরাব রাহ. আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. সম্পর্কে বলেনÑ
سَمِعْتُهُ يَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ اِذَا جَآءَ نَصْرُ اللهِ وَ الْفَتْحُ.
আমি তাঁকে মাগরিবের সালাতে اِذَا جَآءَ نَصْرُ اللهِ وَ الْفَتْحُ (সূরা নাসর) তিলাওয়াত করতে শুনেছি। Ñমুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৩৬১৭
হাসান বসরী রাহ. বলেনÑ
كَانَ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ يَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ إِذَا زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ وَالْعَادِيَاتِ
ইমরান ইবনে হুসাইন রা. মাগরিবের সালাতে সূরা إِذَا زُلْزِلَتِ (সূরা যিলযাল) ও সূরা আদিয়াত তিলাওয়াত করতেন। Ñমুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ২৬২১
হিশাম ইবনে উরওয়া রাহ. থেকে বর্ণিতÑ
أَنّ أَبَاهُ كَانَ يَقْرَأُ فِي صَلَاةِ الْمَغْرِبِ بِنَحْوِ مَا تَقْرَءُونَ وَالْعَادِيَاتِ وَنَحْوِهَا مِنَ السُّوَرِ
তাঁর পিতা (উরওয়াহ ইবনে যুবাইর রাহ.) মাগরিবের সালাতে সূরা আদিয়াত ও এজাতীয় সূরা পড়তেন, যেমনটি তোমরা পড়ে থাক। Ñসুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৮১৩
যাহ্হাক ইবনে উসমান রাহ. থেকে বর্ণিতÑ
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: مَا صَلّيْتُ وَرَاءَ أَحَدٍ أَشْبَهُ صَلاةً بِرَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ مِنْ هَذَا الْفَتَى. يَعْنِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ.
قَالَ الضّحّاكُ: فَكُنْتُ أُصَلِّي وَرَاءَهُ فَيُطِيلُ الأَوّلَتَيْنِ مِنَ الظّهْرِ وَيُخَفِّفُ الآخِرَتَيْنِ وَيُخِفّ الْعَصْرَ وَيَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِقِصَارِ الْمُفَصّلِ وَيَقْرَأُ فِي الْعِشَاءِ بِوَسَطِ الْمُفَصّلِ وَيَقْرَأُ فِي الصّبْحِ بِطِوَالِ الْمُفَصّلِ.
আনাস রা. উমর ইবনে আবদুল আযীয রাহ. সম্পর্কে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সদৃশ সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে এই যুবক থেকে অগ্রগামী আর কারো পেছনে আমি সালাত পড়িনি।
যাহ্হাক রাহ. বলেন, আমি উমর ইবনে আবদুল আযীয রাহ.-এর পেছনে সালাত পড়তাম। তিনি যোহরের প্রথম দুই রাকাত দীর্ঘ করতেন এবং শেষের দুই রাকাত সংক্ষিপ্ত করতেন। আসরের সালাত সংক্ষিপ্ত করতেন। মাগরিবের সালাতে ‘কিসারে মুসফাসসাল’ পড়তেন। এশার সালাতে ‘আওসাতে মুফাসসাল’ পড়তেন। ফজরের সালাতে ‘তিওয়ালে মুফাসসাল’ পড়তেন। Ñতবাকাতে ইবনে সা‘দ, খ. ৫, পৃ. ১৬১-১৬২; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৮৩৬৬
আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
مَكَثْنَا ذَاتَ لَيْلَةٍ نَنْتَظِرُ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ لِصَلَاةِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ، فَخَرَجَ إِلَيْنَا حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللّيْلِ، أَوْ بَعْدَهُ، فَلَا نَدْرِي أَشَيْءٌ شَغَلَهُ فِي أَهْلِهِ، أَوْ غَيْرُ ذَلِكَ، فَقَالَ حِينَ خَرَجَ: إِنّكُمْ لَتَنْتَظِرُونَ صَلَاةً مَا يَنْتَظِرُهَا أَهْلُ دِينٍ غَيْرُكُمْ، وَلَوْلَا أَنْ يَثْقُلَ عَلَى أُمّتِي لَصَلّيْتُ بِهِمْ هَذِهِ السّاعَةَ.
এক রাতে আমরা এশার সালাতের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অপেক্ষা করছিলাম। যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হল, কিংবা আরো পরে তিনি আগমন করলেন। জানি না, তিনি পরিবারের কোনো বিষয়ে ব্যস্ত ছিলেন, নাকি অন্যকিছু। কামরা থেকে বের হয়ে তিনি বললেন, তোমরা এরকম একটি সালাতের অপেক্ষায় আছ, যার জন্য তোমরা ছাড়া অন্য কোনো ধর্মের লোক অপেক্ষা করেনি। যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর না হত, তবে অবশ্যই আমি তাদের নিয়ে এই সময় সালাত আদায় করতাম। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৫৭০; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬৩৯
আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিতÑ
أَخّرَ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ صَلاَة العِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللّيْلِ، ثُمّ صَلّى، ثُمّ قَالَ: قَدْ صَلّى النّاسُ وَنَامُوا، أَمَا إِنّكُمْ فِي صَلاَةٍ مَا انْتَظَرْتُمُوهَا.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন এশার সালাত অর্ধরাত বিলম্ব করে আদায় করেন। এরপর বলেন, মানুষ সালাত আদায় করে ঘুমিয়ে পড়েছে। শোন! যতক্ষণ তোমরা সালাতের অপেক্ষায় ছিলে, ততক্ষণ তোমরা সালাতেই ছিলে। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৫৭২; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬৪০
জাবের ইবনে সামুরা রা. থেকে বর্ণিতÑ
كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يُؤَخِّرُ صَلَاةَ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার সালাত বিলম্ব করে আদায় করতেন। Ñসহীহ সুমলিম, হাদীস ৬৪৩
যায়েদ ইবনে খালিদ আলজুহানী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনÑ
لَوْلَا أَنْ أَشُقّ عَلَى أُمّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ، وَلَأَخّرْتُ صَلَاةَ الْعِشَاءِ إِلَى ثُلُثِ اللّيْلِ.
আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর হবেÑ এই আশংকা যদি না হত, আমি তাদের প্রতি সালাতের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম এবং রাতের একতৃতীয়াংশ পর্যন্ত এশার সালাত পিছিয়ে নিতাম। Ñজামে তিরিমযী, হাদীস ৩৩
قال الترمذي : هذا حديث حسن صحيح.
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনÑ
لَوْلاَ أَنْ أَشُقّ عَلَى أُمّتِي لأَمَرْتُهُمْ أَنْ يُؤَخِّرُوا العِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ أَوْ نِصْفِهِ.
আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর হবেÑ এই আশংকা যদি না হত, আমি রাতের একতৃতীয়াংশ বা মধ্য রাতে এশার সালাত আদায় করতে নির্দেশ দিতাম। Ñসুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৬৪; জামে তিরমিযী, হাদীস ১৬৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ২৯০
قال الترمذي : حديث أبي هريرة حديث حسن صحيح.
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিতÑ
خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ عَلَى أَصْحَابِهِ ذَاتَ لَيْلَةٍ، وَهُمْ يَنْتَظِرُونَ الْعِشَاءَ، فَقَالَ: صَلّى النّاسُ وَرَقَدُوا وَأَنْتُمْ تَنْتَظِرُونَهَا، أَمَا إِنّكُمْ فِي صَلَاةٍ مَا انْتَظَرْتُمُوهَا، ثُمّ قَالَ: لَوْلَا ضَعْفُ الضّعِيفِ وَكِبَرُ الْكَبِيرِ لَأَخّرْتُ هَذِهِ الصّلَاةَ إِلَى شِطْرِ اللّيْلِ.
একরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের নিকট আগমন করলেন। তাঁরা এশার সালাতের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি বললেন, মানুষ সালাত আদায় করে শুয়ে পড়েছে আর তোমরা সালাতের অপেক্ষায় আছ। শোন! তোমরা যতক্ষণ সালাতের অপেক্ষা করেছ ততক্ষণ তোমরা সালাতেই ছিলে। এরপর বললেন, যদি দুর্বলের দুর্বলতা এবং বৃদ্ধের বার্ধক্য না হত, আমি এই সালাত মধ্যরাত পর্যন্ত পিছিয়ে নিতাম। Ñমুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ১৯৩৯; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ১৫২৯
قال الهيثمي في مجمع الزوائد (২/৫৮): إسناد أبي يعلى رجاله رجال الصحيح.
আয়শা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
مَا نَامَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ قَبْلَ الْعِشَاءِ، وَلَا سَمَرَ بَعْدَهَا.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার আগে ঘুমাননি এবং এশার পরে কথাবার্তা বলেননি। Ñসুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৭০২; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ৪৭৮৪
قال البوصيري في "مصباح الزجاجة" (২৬০) : هذا إسناد صحيح، رجاله ثقات.
উরওয়া ইবনে যুবায়ের রাহ. থেকে বর্ণিতÑ
كتب عمر إلى أبي موسى أن صلوا صلاة العشاء فيما بينكم وبين ثلث الليل، فإن أخرتم فإلى شطر الليل، ولا تكونوا من الغافلين.
উমর রা. আবু মূসা আশআরী রা.-এর নিকট পত্র লেখেনÑ তোমরা এশার সালাত রাতের এক তৃতীয়াংশের মধ্যে আদায় করবে। যদি আরো বিলম্ব কর তবে মধ্যরাত পর্যন্ত। তোমরা উদাসীনদের অন্তভুর্ক্ত হয়ো না। Ñমুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ২১০৮, ২১০৯
সুয়াইদ ইবনে গাফালা রাহ. থেকে বর্ণিত তিনি বলেনÑ
سمعت عمر بن الخطاب يقول: صلوا العشاء قبل أن ينام المريض، ويكسل العامل.
আমি উমর ইবনে খাত্তাব রা.-কে বলতে শুনেছিÑ তোমরা অসুস্থ ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়ার পূর্বে এবং কর্মজীবীর অলসতা আসার আগে এশার সালাত আদায় করবে। Ñমুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ২১২৯
খারাশা ইবনে হুর রাহ. থেকে বর্ণিতÑ
رَأَى عُمَرُ بْنُ الْخَطّابِ قَوْمًا سَمَرُوا بَعْدَ الْعِشَاءِ فَفَرّقَ بَيْنَهُمْ بِالدِّرّةِ، فَقَالَ: أَسَمَرًا مِنْ أَوّلِهِ، وَنَوْمًا مِنْ آخِرِهِ.
উমর রা. এশার পর কিছু লোককে গল্প-গুজব করতে দেখে চাবুক দিয়ে তাদের পৃথক করে দিলেন। আর বললেন, প্রথমরাতে গল্প আর শেষরাতে ঘুম! Ñমুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ২১৩৪
বুরাইদা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَقْرَأُ فِي العِشَاءِ الآخِرَةِ بِـ " وَ الشَّمْسِ وَ ضُحٰىهَا" وَنَحْوِهَا مِنَ السّوَرِ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার সালাতে وَ الشَّمْسِ وَ ضُحٰىهَا (সূরা শামস) এবং তার অনুরূপ সূরা পড়তেন। Ñজামে তিরমিযী, হাদীস ৩০৯; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৯১৯
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিতÑ
بَيْنَا فَتًى مِنَ الْأَنْصَارِ عَلَفَ نَاضِحَهُ، وَأَقَامَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ صَلَاةَ الْعِشَاءِ، فَنَزّلَ الْفَتَى عَلَفَهُ، فَقَامَ فَتَوَضّأَ، وَحَضَرَ الصّلَاةَ، وَافْتَتَحَ مُعَاذٌ بِسُورَةِ الْبَقَرَةِ، فَصَلّى الْفَتَى وَتَرَكَ مُعَاذًا، وَانْصَرَفَ إِلَى نَاضِحِهِ فَعَلَفَهُ - أَوْ فَعَلَفَهَا - فَلَمّا انْصَرَفَ مُعَاذٌ جَاءَ الْفَتَى، فَسَبّهُ وَنَقَصَهُ، ثُمّ قَالَ: لَآتِيَنّ نَبِيّ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ فَأُخْبِرَهُ خَبَرَكَ، فَأَصْبَحْنَا فَاجْتَمَعَا عِنْدَ النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ، فَذَكَرَ لَهُ مُعَاذٌ شَأْنَهُ، فَقَالَ الْفَتَى: إِنّا أَهْلُ عَمَلٍ وَشُغْلٍ، فَطَوّلَ عَلَيْنَا، اسْتَفْتَحَ بِسُورَةِ الْبَقَرَةِ، فَقَالَ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ: يَا مُعَاذُ، أَتُرِيدُ أَنْ تَكُونَ فَتّانًا؟ إِذَا أَمَمْتَ النّاسَ فَاقْرَأْ بِـ سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى، وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى، وَ اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ، وَ الضُّحٰی، وَبِهَذَا النّحْوِ.
এক আনসারী যুবক তার পানি সিঞ্চনের উটকে খাওয়াচ্ছিল। তখন মুআয ইবনে জাবাল রা. এশার সালাত শুরু করলেন। সে তার উটকে খাওয়ানো রেখে অযু করে সালাতে হাজির হল। মুআয রা. সূরা বাকারা আরম্ভ করলেন। তখন ওই যুবক মুআয রা.-কে ছেড়ে একাকী সালাত পড়ে ফেলল এবং গিয়ে তার উটকে খাওয়াল। মুআয রা. সালাত শেষ করার পর সে (আবার) এল। মুআয রা. তাকে মন্দ বললেন এবং তিরস্কার করলেন। এরপর বললেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গিয়ে তোমার বিষয় জানাব।
পরের দিন তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে একত্র হলেন। মুআয রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ওই যুবকের বিষয়ে বললেন। তখন যুবক বলল, আমরা কর্ম করে রোযগার করি এবং ব্যস্ত জীবন কাটাই। আর তিনি আমাদের নিয়ে দীর্ঘ সালাত পড়েছেন। সূরা বাকারা পড়া শুরু করেছেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মুআয! তুমি কি ফিতনাকারী হতে চাও? যখন তুমি লোকদের ইমামতি করবে তখন তুমি পড়বেÑ সূরা আ‘লা, সূরা লাইল, সূরা আলাক এবং সূরা দুহা। Ñমুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৩৭২৫
বারা ইবনে আযিব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
سَمِعْتُ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَقْرَأُ: وَالتِّينِ وَالزّيْتُونِ فِي العِشَاءِ، وَمَا سَمِعْتُ أَحَدًا أَحْسَنَ صَوْتًا مِنْهُ أَوْ قِرَاءَةً
আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এশার সালাতে والتِّينِ وَالزَّيْتُونِ (সূরা তীন) তিলাওয়াত করতে শুনেছি। আমি তাঁর চেয়ে সুন্দর তিলাওয়াত করতে আর কাউকে শুনিনি। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৭৬৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৬৪
যুরারা ইবনে আওফা রাহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
أَقْرَأَنِي أَبُو مُوسَى كِتَابَ عُمَرَ إِلَيْهِ: أَنِ اقْرَأْ بِالنّاسِ فِي الْعِشَاءِ بِوَسَطِ الْمُفَصّلِ
আমাকে আবু মূসা আশআরী রা. তাঁর প্রতি প্রেরিত উমর রা.-এর পত্র পড়ে শুনিয়েছেনÑ ‘তুমি লোকদের নিয়ে এশার সালাতে ‘আওসাতে মুফাসসাল’ থেকে তিলাওয়াত করবে’। Ñমুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৩৬১১
আবু রাফে‘ বলেনÑ
صَلّيْتُ مَعَ عُمَرَ الْعِشَاءَ فَقَرَأَ اِذَا السَّمَآءُ انْشَقَّتْ.
আমি উমর রা.-এর পেছনে এশার সালাত পড়েছি। সালাতে তিনি اِذَا السَّمَآءُ انْشَقَّتْ (সূরা ইনশিকাক) তিলাওয়াত করেছেন। Ñমুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৩৬৩৬, ৪২৬৮
হিলাল ইবনে ইয়াযীদ রাহ. থেকে বর্ণিতÑ
أَنّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقْرَأُ وَالْعَادِيَاتِ ضَبْحًا فِي الْعِشَاءِ.
তিনি আবু হুরায়রা রা.-কে এশার সালাতে وَالْعَادِيَاتِ ضَبْحًا (সূরা আদিয়াত) পড়তে শুনেছেন। Ñমুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৩৬৩৩
আলকামা ইবনে আবু ওয়াক্কাস রাহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطّابِ يَقْرَأُ فِي الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ سُورَةَ يُوسُفَ قَالَ: وَأَنَا فِي مُؤَخّرِ الصّفِّ حَتّى إِذَا ذَكَرَ يُوسُفَ سَمِعْتُ نَشِيجَهُ، وَأَنَا فِي مُؤَخّرِ الصّفُوفِ.
উমর ইবনুল খাত্তাব রা. এশার সালাতে সূরা ইউসুফ তিলাওয়াত করতেন। আলকামা বলেন, (একদিন ইশার সালাতে) আমি কাতারের পেছনের দিকে ছিলাম। উমর রা. যখন হযরত ইউসুফ আ.-এর আলোচনা সম্বলিত আয়াত পড়লেন, আমি পেছনের কাতার থেকেই তার কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম। Ñমুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ২৭০৩
তারেক ইবনে শিহাব রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনÑ
الْجُمُعَةُ حَقّ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ فِي جَمَاعَةٍ إِلّا أَرْبَعَةً: عَبْدٌ مَمْلُوكٌ، أَوِ امْرَأَةٌ، أَوْ صَبِيّ، أَوْ مَرِيضٌ.
জামাতের সঙ্গে জুমার সালাত আদায় করা প্রতিটি মুসলিমের উপর অবশ্য পালনীয় ফরয; তবে চার প্রকারের মানুষ ব্যতীতÑ ক্রীতদাস, মহিলা, শিশু এবং অসুস্থ। সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১০৬৭
قال النووي في "خلاصة الأحكام في مهمات السنن وقواعد الإسلام" (২/৭৫৭) : رواه أبو داود بإسناد على شرط الشيخين.
আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. ও আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তাঁরা বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাঁর মিম্বরে একথা বলতে শুনেছিÑ
لَيَنْتَهِيَنّ أَقْوَامٌ عَنْ وَدْعِهِمُ الْجُمُعَاتِ، أَوْ لَيَخْتِمَنّ اللهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ، ثُمّ لَيَكُونُنّ مِنَ الْغَافِلِينَ.
লোকেরা যেন জুমার সালাত ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে; অন্যথায় আল্লাহ অবশ্যই তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। ফলে তারা গাফেলদের অন্তভুর্ক্ত হয়ে যাবে। Ñসহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৬৫
আবুল জা‘দ যামরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনÑ
مَنْ تَرَكَ الجُمُعَةَ ثَلَاثَ مَرّاتٍ تَهَاوُنًا بِهَا طَبَعَ اللهُ عَلَى قَلْبِهِ.
অবহেলাবশত যে তিন জুমা তরক করবে, আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। Ñসুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১০৫২; জামে তিরিমযী, হাদীস ৫০০; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ১৩৬৯; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১১২৫
قال الترمذي : حسن.
و قال النووي في "خلاصة الأحكام في مهمات السنن وقواعد الإسلام" (২/৭৫৮) : رواه الثلاثة بإسناد حسن، ولم يضعفه أبو داود.
উবায়দুল্লাহ ইবনে আবী রাফে‘ রাহ. থেকে বর্ণিতÑ
اسْتَخْلَفَ مَرْوَانُ أَبَا هُرَيْرَةَ عَلَى الْمَدِينَةِ، وَخَرَجَ إِلَى مَكّةَ، فَصَلّى لَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْجُمُعَةَ، فَقَرَأَ بَعْدَ سُورَةِ الْجُمُعَةِ، فِي الرّكْعَةِ الْآخِرَةِ: إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ، قَالَ: فَأَدْرَكْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ حِينَ انْصَرَفَ، فَقُلْتُ لَهُ: إِنّكَ قَرَأْتَ بِسُورَتَيْنِ كَانَ عَلِيّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ يَقْرَأُ بِهِمَا بِالْكُوفَةِ، فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ، يَقْرَأُ بِهِمَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ.
মারওয়ান আবু হুরায়রা রা.-কে মদীনায় নিজের স্থলাভিষিক্ত বানিয়ে মক্কার উদ্দেশে বেরিয়ে গেলেন। তখন আবু হুরায়রা রা. জুমার সালাতে ইমামতি করলেন। তিনি প্রথম রাকাতে সূরা জুমুআ পড়লেন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা মুনাফিকুন পড়লেন।
ইবনে আবী রাফে‘ বলেন, নামায শেষে আমি আবু হুরায়রা রা.-এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, আপনি (জুমার সালাতে) যে সূরাদুটি তিলাওয়াত করলেন, আলী ইবনে আবি তালিব রা. কুফায় (জুমার সালাতে) ওই দুই সূরা তিলাওয়াত করতেন। আবু হুরায়রা রা. বললেন, আমি জুমার সালাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই দুই সূরা পড়তে শুনেছি। Ñসহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৭৭
নুমান ইবনে বশীর রা. থেকে বর্ণিতÑ
كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ، وَفِي الْجُمُعَةِ بِسَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى، وَهَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ، قَالَ: وَإِذَا اجْتَمَعَ الْعِيدُ وَالْجُمُعَةُ، فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ، يَقْرَأُ بِهِمَا أَيْضًا فِي الصّلَاتَيْنِ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সালাতে এবং জুমার সালাতে سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلى (সূরা আ‘লা) এবং هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ (সূরা গাশিয়াহ) পড়তেন। তিনি এ-ও বর্ণনা করেন, একইদিনে ঈদ ও জুমা হলে উভয় সালাতেই এই দুই সূরা তিলাওয়াত করতেন। Ñসহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৭৮
আবু কাতাদা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ
أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ كَانَ يَقْرَأُ فِي الرّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ مِنَ الظّهْرِ وَالْعَصْرِ، بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةٍ وَيُسْمِعُنَا الْآيَةَ أَحْيَانًا، وَيَقْرَأُ فِي الرّكْعَتَيْنِ الْأُخْرَيَيْنِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যোহর ও আসরের প্রথম দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়তেন। তিনি কখনো কখনো আমাদের শুনিয়ে আয়াত পড়তেন। শেষ দুই রাকাতে তিনি সূরা ফাতেহা পড়তেন। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৭৭৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৫১
জাবের ইবনে সামুরা রা. থেকে বর্ণিতÑ
شَكَا أَهْلُ الكُوفَةِ سَعْدًا إِلَى عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، فَعَزَلَهُ، وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ عَمّارًا، فَشَكَوْا حَتّى ذَكَرُوا أَنّهُ لاَ يُحْسِنُ يُصَلِّي، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ، فَقَالَ: يَا أَبَا إِسْحَاقَ إِنّ هَؤُلاَءِ يَزْعُمُونَ أَنّكَ لاَ تُحْسِنُ تُصَلِّي، قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ: أَمّا أَنَا وَاللهِ فَإِنِّي كُنْتُ أُصَلِّي بِهِمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ مَا أَخْرِمُ عَنْهَا، أُصَلِّي صَلاةَ العِشَاءِ، فَأَرْكُدُ فِي الأُولَيَيْنِ وَأُخِفّ فِي الأُخْرَيَيْنِ، قَالَ: ذَاكَ الظّنّ بِكَ يَا أَبَا إِسْحَاقَ.
কুফাবাসীরা সা‘দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা. সম্পর্কে উমর রা.-এর কাছে অভিযোগ করল। তখন তিনি তাঁকে সরিয়ে আম্মার রা.-কে তাদের গভর্নর নিযুক্ত করলেন।
তাদের একটা অভিযোগ ছিল, তিনি যথাযথভাবে সালাত আদায় করেন না। উমর রা. তাঁকে ডেকে পাঠালেন। তাঁকে বললেন, আবু ইসহাক! এদের দাবি, আপনি নাকি যথাযথভাবে সালাত আদায় করেন না। আবু ইসহাক রা. বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তো তাদেরকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাতই পড়তাম; সেখান থেকে কিছু কম-বেশ করতাম না। আমি এশার সালাতে প্রথম দুই রাকাত দীর্ঘ করতাম আর দ্বিতীয় দুই রাকাত সংক্ষিপ্ত করতাম।
উমর রা. তখন বললেন, আবু ইসহাক! তোমার সম্পর্কে আমার ধারণা এমনই ছিল। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৭৫৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৫৩ হ