শাওয়াল ১৪৪২   ||   মে ২০২১

দুআয়ে মাগফিরাতের আবেদন

الحمد لله، وسلام على عباده الذين اصطفى، وأشهد أن لا إله إلا الله، وأشهد أن محمدا عبده ورسوله، خاتم النبيين ورحمة للعالمين، صلى الله تعالى عليه وعلى آله وبارك وسلم، أمابعد:

পূর্ববর্তীদের জন্য মাগফিরাতের দুআ করতে থাকা কুরআনে কারীমের শিক্ষা। কুরআন এটিকে নেক উত্তরসূরীদের আমল আখ্যা দিয়েছে।

ইরশাদ হয়েছে-

وَ الَّذِیْنَ جَآءُوْ مِنْۢ بَعْدِهِمْ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَ لِاِخْوَانِنَا الَّذِیْنَ سَبَقُوْنَا بِالْاِیْمَانِ وَ لَا تَجْعَلْ فِیْ قُلُوْبِنَا غِلًّا لِّلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا رَبَّنَاۤ اِنَّكَ رَءُوْفٌ رَّحِیْمٌ.

অর্থাৎ যারা তাদের (মুহাজির ও আনসারগণের) পরে এসেছে তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! ক্ষমা করুন আমাদেরকে এবং আমাদের সেই ভাইদেরকেও, যারা আমাদের আগে ঈমান এনেছে এবং আমাদের অন্তরে ঈমানদারদের প্রতি কোনো হিংসা-বিদ্বেষ রাখবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি অতি মমতাবান, পরম দয়ালু। -সূরা হাশর (৫৯) : ১০

সূরা হাশরের এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা প্রবীণ মুহাজির ও আনসারগণের পরে আগত মুমিনদের এই বৈশিষ্ট্যটির প্রশংসা করেছেন; তারা পূর্ববর্তীদের জন্য এভাবে দুআ করে-

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَ لِاِخْوَانِنَا الَّذِیْنَ سَبَقُوْنَا بِالْاِیْمَانِ وَ لَا تَجْعَلْ فِیْ قُلُوْبِنَا غِلًّا لِّلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا رَبَّنَاۤ اِنَّكَ رَءُوْفٌ رَّحِیْمٌ.

এই দুআ কুরআন-সুন্নাহ্য় বর্ণিত সকল দুআর মত বড় অর্থবহ ও হৃদয়স্পর্শী। এই দুআ কেবল দুআ নয়; বরং পূর্ববর্তীদের প্রতি পরবর্তীদের আবেগ-অনুভূতি কেমন হওয়া উচিত এবং মুমিনদের পরস্পরের প্রতি মনের অবস্থা কেমন থাকা উচিত- সেটার শিক্ষাও এই আয়াতে বিদ্যমান।

এই দুআ ছাড়াও কুরআনে সকল মুমিন নর-নারীর জন্য দুআ করার নিমিত্তে আরও অনেক দুআ শেখানো হয়েছে। যেমন-

رَبَّنَا اغْفِرْ لِیْ وَ لِوَالِدَیَّ وَ لِلْمُؤْمِنِیْنَ یَوْمَ یَقُوْمُ الْحِسَابُ.

হে আমাদের প্রতিপালক! যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে ক্ষমা করুন। -সূরা ইবরাহীম (১৪) : ৪১

رَبِّ اغْفِرْ لِیْ وَ لِوَالِدَیَّ وَ لِمَنْ دَخَلَ بَیْتِیَ مُؤْمِنًا وَّ لِلْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ.

হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও এবং প্রত্যেক এমন ব্যক্তিকেও, যে মুমিন অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে। আর সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও। -সূরা নূহ (৭১) : ২৮

رَبَّنَاۤ اِنَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَ قِنَا عَذَابَ النَّارِ.

হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা (আপনার প্রতি) ঈমান এনেছি। সুতরাং আমাদের পাপরাশি ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ১৬

رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَ ارْحَمْنَا وَ اَنْتَ خَیْرُ الرّٰحِمِیْنَ.

হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। -সূরা মুমিনূন (২৩) : ১০৯

এই দুআসমূহ এবং এ ধরনের অন্যান্য দুআ দৈনন্দিনের মুনাজাতে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া উচিত, যেগুলোতে সকল মুসলমানের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে।

বিশেষত আমাদের প্রতি যে ব্যক্তিবর্গের বিশেষ ইহসান ও হক রয়েছে তাদের জন্য দুআ করা ও দুআ চাওয়া আরো বেশি কাম্য।

মাসিক আলকাউসারে পাঠকবর্গের নিকট মরহুমদের জন্য মাগফিরাতের দুআ চাওয়ার সৌভাগ্য অর্জনের চেষ্টা করতাম। এখন বিভিন্ন ওজরের কারণে সেই সৌভাগ্য থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি।

গত এক-দেড় মাসের ভেতর আমাদের অনেক মুরব্বী ইনতিকাল করে গেছেন। হযরত মাওলানা নূর হুসাইন কাসেমী রাহ.-এর পর আমরা দেশের আরো কয়েকজন আলেমকে হারিয়েছি।

গত ১৬ শাবান ১৪৪২ হি. (৩১ মার্চ ২০২১ ঈ.) বুধবার দেশের প্রখ্যাত আলেম ও বুযুর্গ হযরত মাওলানা মুফতী ওয়াক্কাস রাহ. ইনতিকাল করেন।

১৯ শাবান শনিবার আশরাফিয়া সাইনবোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামিম হযরত মাওলানা মুফতী আবদুল বারী ছাহেবও (সাবেক মুহতামিম, বড় কাটারা মাদরাসা) আমাদের ছেড়ে চলে যান।

এর আগে ৭ শাবান (২২ মার্চ) সোমবার হযরত মাওলানা নোমান ফয়যী রাহ. ইনতিকাল করেন।

এঁদের সকলের আগে ২৩ রজব (৮ মার্চ) সোমবার দিবাগত রাতে নোয়াখালীর হযরত মাওলানা মুমিনুল্লাহ ছাহেব আখিরাতের সফরে রওয়ানা হয়ে যান। তিনি শাইখুল ইসলাম মাদানী রাহ.-এর শাগরিদ এবং হযরত হাফেজ্জী হুযুর রাহ.-এর খলীফা ছিলেন। তিনি একটা সময় পর্যন্ত হযরত হাফেজ্জী হুযুর রাহ.-এর গ্রামের মাদরাসা (ইশাআতুল উলূম, লুধুয়া, লক্ষ্মীপুর)-এর মুহতামিমও ছিলেন।

মারকাযুদ দাওয়াহ্য় এই চার বুযুর্গেরই আগমন ঘটেছিল এবং মারকাযুদ দাওয়াহর প্রতি সবারই আলহামদু লিল্লাহ আন্তরিকতা ও ভালবাসা ছিল। তবে হযরত মাওলানা মুমিনুল্লাহ ছাহেব রাহ.-এর মারকাযের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সবচেয়ে গভীর। মারকাযে তাঁর খুব যাতায়াত ছিল। অনেকসময় তিনি মারকাযে অবস্থানও করতেন।

বড় ভাইজান হযরত মাওলানা মুফতী আবুল হাসান মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ ও আমাকে তিনি অনেক সুপরামর্শ  এবং উপদেশ প্রদান করতেন। এমনকি মারকাযের সকল উস্তাযের সঙ্গেই তাঁর কমবেশি আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।

মোহম্মদী হাউজিংয়ের ৯ নম্বর বাসা  থেকে হযরতপুরের প্রধান প্রাঙ্গণ পর্যন্ত সকল জায়গায় আলহামদু লিল্লাহ হযরতের আগমন ঘটেছিল।

তিনি বলতেন, মারকাযে যদিও উপকরণের স্বল্পতা আছে, তবে আলহামদু লিল্লাহ কাজের জন্য যোগ্য মানুষ বিদ্যমান রয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাঁর সুধারণাকে বাস্তব বানিয়ে দিন- আমীন।

তিনি বলতেন, আপনারা গভীর রাত পর্যন্ত কাজে ব্যস্ত থাকেন। এর চেয়ে ভাল পন্থা এই- রাতে জলদি শুয়ে পড়বেন এবং শেষরাতে উঠে কাজ করবেন। অর্থাৎ কিছু নফল ও দুআর পর কাজ করতে থাকবেন।

তিনি বারবার এ বিষয়ে সতর্ক করতেন- মাদরাসার কবুলিয়াতের একটি শর্ত এটাও, মাদরাসার আসাতিযা-তলাবা শেষরাতে মাদরাসার জন্য আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করবেন।

তাঁর ইনতিকালের সংবাদ শুনে আমি নিজেকে এবং সাথীদেরকে তাঁর এই উপদেশগুলো স্মরণ করিয়েছি।

তিনি হযরত মাদানী রাহ.-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের আলোচনা বারবার করতেন। দাওরায়ে হাদীসের দরসে কেউ তাঁকে কোনো মাসআলা জিজ্ঞেস করলে তিনি উঁচু ও স্পষ্ট আওয়াজে পরিষ্কার বলে দিতেন-

دار الافتاء ميں چلے جايئے

দারুল ইফতায় চলে যাও!

তিনি হযরত হাফেজ্জী হুযুর রাহ.-এর বিভিন্ন ঘটনা ও বাণী শোনাতেন। এই কথা কয়েকবার শুনিয়েছেন- আমরা যখন হযরতের নিকট দুআ চাইতাম, তিনি দুআ করতেন। তবে কখনও কখনও এই বলে সতর্ক করতেন, শুধু দুআ করানো যথেষ্ট নয়; আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক অর্জন করাও জরুরি।

যতই ক্লান্ত থাকতেন, ঘুমানোর আগে অবশ্যই পাঁচ সূরা তিলাওয়াত করতেন। সূরা ইয়াসীন, সূরা ওয়াকিয়া, সূরা মূলক এবং আরো দুই সূরা। বলতেন, এতে দুইশ আয়াতের সংখ্যাও পুরা হয়ে যায়। হাদীস শরীফে আছে, হাসান বসরী রাহ. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

مَنْ قَرَأَ فِي لَيْلَةٍ مِائَتَيْ آيَةٍ، كُتِبَ لَهُ قُنُوتُ لَيْلَةٍ.

যে ব্যক্তি রাতে দুইশ আয়াত পাঠ করবে তার জন্য সারারাতের ইবাদত লেখা হবে। -সুনানে দারিমী, খ. ১০ পৃ. ৫৭১ (ফাতহুল মান্নানসহ), হাদীস ৩৪২৮

(قال الحافظ ابن حجر في نتائج الأفكار في تخريج أحاديث الأذكار (৩/২৫১، المجلس: ২৭৯): مرسل بسند صحيح.)

এরপর শেষরাতে তাহাজ্জুদের জন্য ওঠা তো ছিল অবধারিত।

বার-তের বছর আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান। দীর্ঘ চিকিৎসার পর যদিও তিনি সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন তবে আগের অবস্থা আর ফিরে আসেনি। আর ইনতিকালের কয়েক বছর আগ থেকে তো কথা বলাই একদম বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বিশেষত কোনো প্রশ্নের জবাব তো একেবারেই দিতেন না। পরিষ্কার বলে দিতেন, ‘এখন আমার হুঁশ-জ্ঞান ঠিকমত কাজ করে না; আমি কিছু বলতে পারব না!এটা তাঁর প্রতি আল্লাহ তাআলার অনেক বড় রহমত। কেননা কারো কারো তো বয়োবৃদ্ধ হওয়ার পর সেটার অনুভূতিও থাকে না।

মারকাযুদ দাওয়াহর প্রধান প্রাঙ্গণে (হযরতপুর) তিনি একবারই এসেছিলেন। সেটা হয়েছিল এভাবে- ২ শাওয়াল ১৪৩১  হিজরী তারিখে আদীব হুযূর (হযরত মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ ছাহেব দামাত বারাকাতুহুম) আশরাফাবাদ থেকে হযরতপুর আসছিলেন। ইচ্ছা ছিল, বর্তমানে মাদরাসাতুল মাদীনাহর জামে মসজিদ ও অন্যান্য ভবন যেখানে অবস্থিত, সে জমিটা পরিদর্শন করা ও বায়না করা। সেসময় হঠাৎ আমি নূরিয়ার মাঠে হযরতকে দেখতে পেলাম। নিবেদন করলাম, আমাদেরকে যদি একটু সুযোগ দিতেন! বললেন, অমুককে খুঁজুন। যদি তার সঙ্গে আমাকে সাক্ষাৎ করিয়ে দিতে পারেন তাহলে আজকে সারাদিন আমি আপনার সঙ্গে থাকব।

আমি দুআ করছিলাম, আল্লাহ! আপনি তাকে মিলিয়ে দিন। দেখা গেল, কিছুক্ষণ পর সেই ব্যক্তি এসে হযরতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করল। এরপর হযরত ওয়াদা মাফিক গাড়িতে বসলেন। অধম দুই বুযুর্গের সঙ্গে হযরতপুর পৌঁছলাম। হযরত মাওলানা মুমিনুল্লাহ ছাহেব মারকাযুদ দাওয়াহর প্রথম মসজিদে (বাঁশ ও টিনের তৈরি) তাশরীফ রাখলেন। আর হযরত মুদীর ছাহেবসহ আমরা সবাই জমি দেখে আসলাম। এরপর মসজিদে বসে মুদীর ছাহেবের কলমে বায়না-চুক্তি লেখা হল। তাতে হযরত মাওলানা মুমিনুল্লাহ ছাহেবের দস্তখতও ছিল।

এশা পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ছিলাম। মহাখালীতে তাঁর জামাই মাওলানা ইহসানুল হকের ওখানে তাঁকে পৌঁছিয়ে দিয়ে আমরা বিদায় নিলাম।

হযরতের সঙ্গে অধমের সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয় খিদমাহ হাসপাতালে, যখন তিনি সেখানে হযরত পাহাড়পুরী রাহ.-এর ইয়াদতে গিয়েছিলেন।

ঢাকায় হযরতের খাস মহব্বতের মানুষ জনাব আসাদুয যামান ভাই। তার মাধ্যমে হযরতের খোঁজ-খবর নিতাম। হযরতের ইনতিকালের সংবাদ আমি যথাসময়ে পেয়েছিলাম। আফসোস, বিভিন্ন ওজরের কারণে জানাযায় শরীক হওয়ার সৌভাগ্য হয়নি।

হযরতের স্মৃতি তো দীর্ঘ। তবে যেটুকু এখানে লিপিবদ্ধ হয়ে গেল, তাতেও এই অধমের জন্যে শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণের অনেক বিষয় রয়েছে।

তাঁর ইনতিকালের পর আমি হযরত মাওলানা ইসহাক উবায়দী দামাত বারাকাতুহুমেরও তাযিয়াত করেছি। কারণ তিনি তার তৃতীয় শায়েখ হযরত মাওলানা মুফতী সাঈদ আহমদ ছাহেব (লালপোল, ফেনী)-এর ইনতিকালের পর তৎক্ষণাৎ হযরত মাওলানা মুমিনুল্লাহ ছাহেবের দিকে রুজু করেন। তখন তিনি আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে গিয়ে হযরত মাওলানা ইসহাক উবায়দী দামাত বারাকাতুহুম তাঁর সঙ্গে ইসলাহী সম্পর্ক কায়েম করেন।

قدر جوہر شاہ بداند یا بداند جوہری.

হযরত মাওলানা মুমিনুল্লাহ ছাহেবের ইনতিকালের চারদিন আগে ১৯ রজব (৪ মার্চ) আমাদের মুহসিন মুরব্বী প্রফেসর ডক্টর আনওয়ারুল করীম সাহেবেরও ইনতিকাল হয়ে গেছে। সংকল্প আছে, যদি হায়াত থাকে এবং আল্লাহ তাআলা তাওফীক দেন তাহলে তাঁর জীবনের কিছু দিক এবং তাঁর সম্পর্কে আমার অনুভূতি বিস্তারিত লিখব।

মারকাযুদ দাওয়াহর সঙ্গে তাঁর যে সম্পর্ক, সেটার দাবি ছিল- তাঁর দাফন মারকাযের কবরস্থানেই হবে। সেজন্য আমরা তাঁর ওয়ারিসগণের নিকট আবেদন করলে তারা তা মঞ্জুর করেন। তিনিই মারকাযের কবরস্থানের প্রথম মাদফূন। আল্লাহ তাআলা তাঁর কবরকে জান্নাতের বাগান বানিয়ে দিন এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাঁকে আফিয়াত ও শান্তির সঙ্গে রাখুন। তাঁর উত্তরসূরীদেরকে ঈমানী যিন্দেগী দান করুন এবং সারা জীবন সুন্নতের উপর অবিচল থাকার তাওফীক দান করুন- আমীন।

আমি দুআয়ে মাগফিরাতের এই লেখাটি লিখছিলাম, ইতিমধ্যে কেউ আমাকে এই দুঃসংবাদটি শোনাল, (২০ রমযান দিবাগত রাত/ ৩ মে ২০২১ ঈ.) দারুল উলূম দেওবন্দের বিশিষ্ট উস্তায, ‘আদদায়ীরসম্পাদক, আরবী সাহিত্য বিভাগের প্রধান হযরত মাওলানা নূর আলম খলীল আমিনী ছাহেবও আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন-

اللهم اغفر له وارحمه، وأبدله دارا خيرا من داره، وأهلا خيرا من أهله، اللهم ألهم من بعده الصبر والسلوان، اللهم لا تحرمنا أجره، ولا تفتنا بعده.

এই লেখা শেষ হওয়ার পর হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী ছাহেব দামাত বারাকাতুহুম মারফত জানতে পারলাম, গত ৬ রমযান ১৯ এপ্রিল অধ্যাপক মাওলানা মুরতাহিন বিল্লাহ জাসির সাহেবেরও ইনতিকাল হয়ে গেছে। মাসিক আলকাউসারে তার কয়েকটি উপকারী প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে।

পাঠকবৃন্দের নিকট সকল মরহুমের জন্য দুআয়ে মাগফিরাতের আবেদন করছি।

-আরযগুযার

বান্দা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক

২১ রমযান ১৪৪২ হিজরী

৪ মে ২০২১ ঈসাব্দ

মঙ্গলবার

 

 

advertisement