মুহাররম ১৪২৯   ||   জানুয়ারি ২০০৮

এটা হাদীস নয়

চল্লিশ বছরের আমল বিনষ্ট হবে

কিছু দিন আগে এক ভাই ফোন করে বললেন, একজন তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে শুনিয়েছেন যে, পাঁচ কাজ এমন রয়েছে যেখানে দুনিয়াবী কথা বললে চল্লিশ বছরের ইবাদত নষ্ট হয়। আযান, ওযু ও যিয়ারতের সময় দুনিয়াবী কথা বললে এবং মসজিদে বসে দুনিয়াবী কথা বললে।

আমি জিজ্ঞাসা করলাম, পঞ্চম কাজ কী? তিনি বললেন, ভুলে গেছি!

সত্যি বলতে কি, এ ধরনের ভিত্তিহীন কথা আগাগোড়াই ভুলে যাওয়া ভালো। মওজু বর্ণনা বিষয়ক গ্রন্থাবলিতে এ পর্যন্ত শুধু মসজিদে কথা বলার বিষয়ে ওই কথা পাওয়া যেত। এখন দেখা গেল, এর সঙ্গে কেউ আরো চারটি বিষয় যুক্ত করেছে।

মনে রাখতে হবে, এ ধরনের বর্ণনার কোনো ভিত্তি নেই। একে হাদীস মনে করা অনেক বড় গুনাহ।

এটা ঠিক যে, ওযুর সময় বিনা প্রয়োজনে কথাবার্তা না বলাই ভালো। এ সময় দৈহিক পবিত্রতা অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে আত্মিক পবিত্রতার নিয়তে আল্লাহর দিকে মন নিবিষ্ট রাখা কর্তব্য। তদ্রূপ যিয়ারতের সময় আখেরাতের ধ্যান-খেয়াল মনে রাখা উচিত। অনর্থক কথাবার্তা যদি বলতেই হয় তাহলে আর এখানে আসা কেন?

আযানের সময়ও একাগ্রতার সঙ্গে আযানের জবাব দেওয়া উচিত। আর মসজিদে মশগুল থাকবে যিকর-ফিকিরে। এ মূল্যবান সময়গুলো অপ্রয়োজনীয় দুনিয়াবী কথাবার্তায় ব্যয় করা উচিত নয়। তবে কেউ যদি প্রয়োজনে কিংবা বিনা প্রয়োজনে কোনো দুনিয়াবী কথা বলে ফেলে তাহলে তার কৃত ইবাদত, এমনকি চল্লিশ বছরের ইবাদত বিনষ্ট হবে-এটা একেবারেই ভিত্তিহীন বানানো কথা। #

 

 

advertisement