কেন এই দুর্বলতা?
গত শুক্রবার ১৪-১২-০৭ঈ. দৈনিক যায়যায়দিনের একটি রিপোর্ট আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। রিপোর্টটি ছিল ব্র্যাক কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে। ইতোপূর্বে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার ছবি ও অপহৃত হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। তখন তার মাথায় টুপি ছিল না এবং চেহারায় দাড়ি ছিল না। কিন্তু মুক্তি পেয়ে ফেরার সময় তাকে টুপি পরিহিত ও শ্মশ্রুশোভিত চেহারা দেখা গেছে। রিপোর্টটিতে তার জবানিতে বলা হয়েছে- ‘তিনি বিরাশিদিন অপহরণকারীদের কব্জায় ছিলেন। একটি গুহায় তাকে রাখা হয়েছিল এবং রুটি ও সবজি খেতে দেওয়া হয়েছিল। তবে অপহরণকারীরা তাকে কোনো জুলুম-নির্যাতন করেনি।’
এই রিপোর্টটি পড়তে গিয়ে শুরুতে আমাকে বড়ধরনের ধাক্কা খেতে হয়েছে। রিপোর্টটির প্রথম কটি লাইন হুবহু তুলে দিচ্ছি- ‘প্লেন থেকে নেমেই মাথা এবং মুখ দিয়ে মাতৃভূমির স্পর্শ নিলেন ব্র্যাক অফিসার নুরুল ইসলাম।’ মাথা এবং মুখ দিয়ে মাতৃভূমি স্পর্শ নিলেন, এতগুলো শব্দ ব্যবহার করতে হল কেন? তিনি যে সিজদা করেছেন এ কথাটা বলতেই কি এত কষ্ট?
রিপোর্টটিতে রিপোর্টারের নাম নেই। লেখা আছে, যাযাদি রিপোর্ট। এটা কি ওই রিপোর্টারেরই ভাষা, না ডেস্কের কাজ তা আমাদের জানা নেই। যার কাজই হোক, তার প্রতি ধিক্কার।
উল্লেখ্য, সেদিনের ‘দৈনিক আমাদের সময়’ নামের পত্রিকাটিও দেখার সুযোগ হয়েছে। ওই পত্রিকার চরিত্রও সকলের জানা। তবে তাদের রিপোর্টে এ সংবাদের শিরোনামে সিজদা শব্দটি ছিল।