রজব ১৪৪১   ||   মার্চ ২০২০

১৭ জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪১ হিজরী, ১২-০২-২০২০ ঈ. বুধবার

আজ তাশরীফ আনেন দারুল উলূম দেওবন্দের প্রবীণ মুহাদ্দিস বাহরুল উলূম আল্লামা নেয়ামাতুল্লাহ আযমী দামাত বারাকাতুহুম। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত হযরত মারকাযে অবস্থান করেন। মারকাযের বিভিন্ন বিভাগ বিশেষ করে কিসমুদ দাওয়াহ ও রচনা-গবেষণা বিভাগের খোঁজ-খবর নেন। 

 

বাংলা ভাষাভাষী সকল স্তর ও পেশার মুসলমানের জন্য বাংলাভাষায় দ্বীনী বিষয়ে নির্ভরযোগ্য, মানসম্মত ও পর্যাপ্ত বই-পুস্তক প্রণয়নের তাকীদ দেন।

বাদ যোহর দস্তরখান শেষে আলমাকতাবাতুল মারকাযিয়্যাহ পরিদর্শন করেন। এরপর তালেবে ইলমদের মজলিসে সংক্ষিপ্ত বয়ান  করেন। বয়ান শেষে তিনি উপস্থিত আসাতেযা ও তালাবায়ে কেরামকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আদর্শের উপর অটল থাকার শর্তে হাদীসের ইজাযত প্রদান করেন। হযরত সবাইকে সব বিষয়ে  সুন্নাতের অনুসরণ করার তাকীদ দেন; বিশেষভাবে সামনাসামনি তারীফ না করার সুন্নতের উপর আমল করার তাকীদ দেন।

আমাদের যাদের হযরতকে ইতিপূর্বে দেখার সৌভাগ্য হয়নি, তাদেরও আজ হযরতের মোতালাআ-নিমগ্নতার এক ঝলক দেখার সুযোগ হর। হযরতের সামনে কামরা ভর্তি মেহমান, আসাতেযা, তলাবা। হযরত বিভিন্ন কিতাব তলব করছেন বা হযরতকে কোনো কিতাব হাদিয়া দেয়া হচ্ছে, হযরত সে কিতাব হাতে পেয়েই তাতে পুরোপুরি নিমগ্ন হয়ে যাচ্ছেন। ‘ফযলুল বারী শরহু সহীহিল বুখারী’ হাতে পেয়ে কিছু সময়ের জন্য হযরত তাতে এমন গভীরভাবে নিমগ্ন হয়ে যান, যেন সবার মাঝে থেকেও সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে কিতাবের মাঝে ডুবে আছেন।

ইতিপূর্বে হযরত মারকাযুদ দাওয়াহ্র প্রধান দফতর মিরপুরেও একবার তাশরীফ এনেছিলেন।

আল্লাহ তাআলা আমাদের আকাবির মুরব্বীগণকে আফিয়াতের সাথে দীর্ঘ নেক হায়াত দান করুন। তাঁদের আগমনকে আমাদের দেশের জন্য, দ্বীনী মাদারেস-মারাকেযের জন্য বিশেষভাবে মারকাযুদ দাওয়াহ্র জন্য খায়র ও বরকতের ওসীলা বানিয়ে দিন- আমীন। হ

[প্রস্তুতকরণ : মুকাম্মিল]

 

 

advertisement