নবীর দরবারে উম্মতির নাযরানা
পৃথিবীর সকল সমৃদ্ধ ভাষার সাহিত্যে কবি ও কবিতা এক স্বতন্ত্র মর্যাদায় সমাসীন। কাব্যসাহিত্যের অঙ্গনে আবার না‘ত ও কাছীদাহ তথা নবী-প্রশস্তিকার মর্যাদা হলো সর্বোচ্চ। সর্বযুগে সর্বদেশের সাহিত্যে আশিকানে রাসূল অসংখ্য না‘ত ও কাছীদার মাধ্যমে প্রিয়তম নবীর দরবারে পেশ করেছেন তাদের আকীদাত ও মুহাববাতের নাযরানা। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা এবং ভক্তি-শ্রদ্ধা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সব যুগে, সব দেশেই এর প্রকাশ ঘটেছে। মানবজাতির ইতিহাসে এমন বহু ব্যক্তিত্বের দেখা আমরা পাই যারা তাদের অমর কীর্তি ও কর্মের গুণে মানুষের অন্তর্জগতে অপরিসীম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার আসন লাভ করেছেন। মানুষ তাদেরকে ভালোবেসে এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধার অর্ঘ্য নিবেদন করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেছে। কিন্তু নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক্ষেত্রেও অনন্য মর্যাদার অধিকারী। সর্বযুগে সর্বদেশে মুসলিম উম্মাহর পক্ষ হতে যে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা তিনি লাভ করেছেন সত্যি তার কোন তুলনা নেই। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার জগতে যদি অসংখ্য আসন ও একটিমাত্র সিংহাসন থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যায়, মানবজাতির শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিগণ বিভিন্ন আসনে হলেও ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সেই স্বর্ণসিংহাসনে সমাসীন আর কেউ নন, তিনি আমাদের প্রিয় নবী তাজদারে মাদীনা, রাহমাতে আলাম হযরত মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। ছাহাবী হযরত আবু সুফয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন মুশরিক ছিলেন, তখন ছাহাবা কেরামের এই নবী-প্রেম দেখেই অবাক বিস্ময়ে বলে উঠেছিলেন, ‘আমি দেখিনি কেউ কাউকে এমন ভালোবাসে যেমন ভালোবাসে মুহাম্মাদের সঙ্গীরা মুহাম্মদকে।’
নবীর প্রতি উম্মতের ভালোবাসা ও মুহাববাত নিবেদনের বিভিন্ন পথ ও মাধ্যম রয়েছে। তন্মধ্যে একটি মাধ্যম হলো না‘ত ও কাছীদা। অর্থাৎ হৃদয়ের উদ্যানে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার যে কুসুমকলি ফুটেছে সেগুলো বিভিন্ন ভাষার শব্দে ও ছন্দে প্রকাশ করা, বাংলায় এটাকে আমরা বলতে পারি নবীপ্রশস্তিকা।
সৌভাগ্যের বিষয় এই যে, না‘ত ও কাছীদার শুভসূচনা হয়ে গিয়েছিলো ছাহাবা কেরামেরই পাক যবানে এবং স্বয়ং নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে। ফলে দরবারে রিসালাত থেকেও না‘ত ও কাছীদা লাভ করেছে মাকবূলিয়াতের সনদ। হযরত কা‘ব বিন যুহায়র [রা.]কে তাঁর অমর কাছীদার জন্য নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি চাদর পুরস্কার দিয়েছিলেন, যার কারণে সেই কাছীদা চিরস্মরণীয় হয়ে আছে কাছীদায়ে বুরদা [চাদর-কাছীদা] নামে। ছাহাবী হযরত হাস্সান বিন ছাবিত [রা.] তো শাইরুর-রাসূল বা নবী দরবারের কবি খেতাব লাভ করেছিলেন। তাঁর জন্য মসজিদে নববীতে আল্লাহর নবী আলাদা মিম্বর স্থাপন করেছিলেন। এর চেয়ে বড় মর্যাদা আর কী হতে পারে, যারা নবীজীর শানে না‘ত ও কাছীদা পেশ করেন তাদের জন্য?! আরো সৌভাগ্যের বিষয় এই যে, হযরত হাস্সান [রা.]এর জন্য আল্লাহর নবী দুআ করেছিলেন, যেন আল্লাহ তাঁকে হযরত জিবরীল আমীনের মাধ্যমে সাহায্য করেন। সুতরাং আমার বিশ্বাস, যারা নবীজীর শানে কাছীদা নিবেদন করেন এবং সত্যের জন্য কাব্যসাধনা করেন অবশ্যই তারা ওহীর বাহক হযরত জিবরীল আমীনের সাহায্য লাভ করেন। কিন্তু আফসোস বাংলাদেশের আলিম সমাজ বাংলাসাহিত্যের সকল অঙ্গনে যেমন তেমনি কাব্যসাধনা ও না‘ত রচনার অনন্য মর্যাদাপূর্ণ অঙ্গনেও অনুপস্থিত। এই লজ্জাজনক অবস্থার অবশ্যই অবসান হওয়া উচিত। আল্লাহ আমাদের ভালো করুন।
না‘ত ও কাছীদার শুভসূচনা হয়েছিলো ছাহাবা কেরামের মাধ্যমে এবং প্রধানত নবী-দরবারের কবি হযরত হাস্সান বিন ছাবিত [রা.]এর মাধ্যমে, একথা আগেই বলা হয়েছে। তবে নবীজীর শানে প্রথম না‘ত ও কাছীদা রচনা করেছিলো মদীনার শিশুরা। হিজরতের সময় মদীনার কচি কোমল শিশুরাই ‘তালা‘আল বাদরু আলাইনা মিন ছানিয়্যাতিল ওয়াদা‘ঈ’ এই কাছীদার মাধ্যমে তাদের প্রিয় নবীকে স্বাগতম জানিয়েছিলো এবং নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিশুঅন্তরের ভক্তি-ভালোবাসার এই অপূর্ব সুন্দর প্রকাশকে খুব পছন্দ করেছিলেন।
ছাহাবা কেরামের পর যুগে যুগে, দেশে দেশে, কত ভাষায়, কত সাহিত্যে কত অসংখ্য না‘ত ও কাছীদা যে রচিত হয়েছে তার কোন হিসাব নেই! কেউ বলেছেন, ‘বালাগাল উলা বিকামালিহী’, কেউ বলেছেন, ‘বা‘দ আয খোদা বুযুর্গ তুঈ’, কেউ বলেছেন, ‘ওয়ো নবীয়োঁ ম্যাঁ রহমত লকব পানে ওয়ালা’, আর আমাদের বাংলাদেশের কবি বলেছেন, ‘তুমি নূরের রবী, তুমি ধ্যানের ছবি।’ বহু না‘ত ও কাছীদা হৃদয়ের দরদে, ভাবের উচ্ছ্বাসে এবং কাব্যছন্দের সৌন্দর্যে এমন অমরত্ব লাভ করেছে যে, আকাশের তারা, বাগানের ফুল, ভোরের শিশির এবং ঝিনুকের মুক্তারাও সেগুলোকে ঈর্ষা করে।
আল্লাহ আমাকে অনেক নেয়ামত দান করেছেন, কিন্তু আমার নেই কবিতার যোগ্যতা এবং ছন্দজ্ঞান। তাই যদিও দিলে আমার গুনগুন করে না‘ত ও কাছীদার সুর, কিন্তু ছন্দের মালায় সেগুলোকে গেঁথে আনতে পারি না কখনো। তবু আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন হঠাৎ আমি কবি হয়ে যাবো এবং আমার হৃদয়-উদ্যানে নবী-প্রেমের প্রস্ফুটিত পুষ্পের সুবাস মেখে নবীজীর শানে লিখবো একে একে অসংখ্য না‘ত ও কাছীদা এবং শোনাবো নবীজীকে তাঁর রওযা শরীফে দাঁড়িয়ে। এই স্বপ্ন দেখার মাঝে হঠাৎ একদিন আমার ভিতর থেকে একটি আওয়াজ এলো; কে যেন আমাকে বললো হে নির্বোধ! তুমি বসে আছো ছন্দের প্রতীক্ষায়! নবীর আশিকগণ বিভিন্ন ভাষায় যত না‘ত ও কাছীদা রচনা করেছেন সেগুলোকে তুমি তুলে আনো না কেন তোমার গদ্যের ভাষায়! তাহলে তুমিও তো শামিল হয়ে যেতে পারো না‘ত ও কাছীদার সুদীর্ঘ চৌদ্দ শতাব্দীর মোবারক কাফেলায়! হাশরে কাউছারে সেই কাফেলার পিছনে দাঁড়িয়ে তুমিও তো নিবেদন করতে পারো- ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার ছন্দ ছিলো না আপনার শানে কাছীদা লেখার, তবে আমি চেষ্টা করেছিলাম যারা আপনার শানে কাছীদা লিখেছেন তাদের কাতারে শামিল হওয়ার। কে জানে তাতেই হয়ত তোমার কিসমতের সিতারা চমকে উঠতে পারে। আল্লাহর রহমত তো তালাশ করে শুধু বাহানা!
এই সব ভাবনার মুহূর্তে একটি কিতাবে একদিন পেয়ে গেলাম আরবী ভাষার দীর্ঘ একটি কাছীদা, যার রচয়িতা হলেন আল-ইমাম, আল-আরিফ বিল্লাহ আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ ইবনে উমার [রাহ.]। কাছীদাটি আমি পড়লাম, একবার দু’বার এবং অনেকবার। প্রথমে আমার হৃদয় আপ্লুত হলো, তারপর উদ্বেলিত হলো, তারপর হলো বিগলিত। আমার সর্বসত্তা নবীপ্রেমের তরঙ্গে হলো আন্দোলিত। আমি আরো অভিভূত হলাম যখন জানলাম, কবিতার রচয়িতা শায়েখ আবু মুহাম্মাদ একবার স্বপ্নযোগে নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাঁর কাছীদাটি শুনিয়েছিলেন। যখন তিনি কাছীদাটির সর্বশেষ অংশ উচ্চারণ করলেন তখন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রিয় উম্মতিকে স্মিত হাসি উপহার দিয়ে বললেন, খুশী হয়েছি! খুশী হয়েছি!
এরপর থেকে আল্লাহর বহু নেক বান্দা এই মোবারক কাছীদাকে তাদের কিতাবে সংকলন করে আসছেন এ আশায় যে, তিনিও পাবেন ‘খুশী হয়েছি! খুশী হয়েছি!’ এই খোশখবরের একটু সুবাস!
আমিও তখন একই আশায় বুক বাঁধলাম এবং সিদ্ধান্ত নিলাম, এ কাছীদাটির তরজমা দিয়েই আমি, যুগে যুগে নবীজীর শানে যাঁরা কাছীদা লিখেছেন তাঁদের পিছনে শামিল হওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করবো। আল্লাহ যেন কবুল করেন, আমীন।
دَارُ الحَبِيبِ أحقُّ أن تَهْواها # وَتَحِنُّ مِن طَرَبٍ إلى ذِكْراها.
ভালোবাসবেই যদি বাসো তবে প্রিয়তমের বাসভূমি। বিভোর হবে যদি, হও তবে প্রিয়তমের প্রিয় ভূমির স্মৃতি স্মরণ করে।
وعلى الجُفونِ متى همَمتَ بِزَوْرَةٍ # يا ابنَ الكِرامِ عليك أن تَغْشاها.
হে আদর্শ প্রেমিক! যাবে যখন সেই পুণ্যভূমির অভিসারে, তখন হাঁটবে তুমি পায়ের পাতা ছেড়ে চোখের পাতায় ভর করে।
ولأنت أنتَ إذا حَللتَ بطَيْبةٍ # وظللتَ تَرتع فى ظلالِ رباها.
পাবে যখন তায়বার ধূলির পরশ এবং খেজুরগাছের ছায়া, হয়ে যাবে তুমি তখন অন্য ‘তুমি’।
لا تَحْسب المِسْكَ الذكيَّ كتربها # هَيهاتَ أين المسكُ من رياها.
সমান ভেবো না মিশক আর মদীনার ধূলিকণা। হায়, কোন সুবাসের সাথে কোন সুবাসের তুলনা!
طابتْ فإن تَبغي التطيب يافتى # فأدِمْ على الساعات لَثْمَ ثَراها.
সেই সুবাসে হতে যদি চাও সুবাসিত তুমি, চুম্বন করো, চুম্বন করো মদীনার পুণ্যভূমি।
وأبْشِرْ ففي الخبر الصحيح مقرر # إن الإله بطابة سماها.
শোনো বন্ধু, শোনো হাদীছের খোশখবর, মদীনার তায়বা নাম দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহু আকবর।
واختصها للطيبين لطِيبِها # وأختارَها ودَعَاها إلى سُكْناها.
তাইয়েব যারা তাদের নির্বাচন করেছেন আল্লাহ, তায়বার সীমানায় বাস করবে শুধু তারা।
لا كالمدينة منزل وكفى لها # شَرَفا حُلولُ محمدٍ بِفِناها.
দুনিয়ার বুকে মদীনার মত নেই কোন বাসভূমি, সেখানে শুয়ে আছেন প্রিয় মুহাম্মাদ, আর কি গৌরব চাও তুমি!
حُظِيْت بهجرة خير من وَطِئ الثرى # وأجلّهم قدرا، فكيف ثراها.
কেমন হবে খোশবু এ ভূমির, যা ধন্য শ্রেষ্ঠ নবীর হিজরতে, তাঁর পদধূলিতে!
إني لأرهب من توقع بينها # فيظلّ قلبي مُوجَعا أوّاها.
দুরু দুরু কাঁপে বুক, এখানে হয় যদি ভুলচুক; তাই অশান্ত মন আমার, অস্থির চিত্ত আমার!
ولقلما أبصرت حال مودع # إلا رثت نفسي لها وشجاها.
শুনি যখন বিদায়-বিরহীর বিলাপধ্বনি, আমারও মন কাঁদে তার শোকে, আমারও চোখে জল আসে।
يا رب أسأل منك فضل قناعة # بيسيرها وتحببا لحماها.
হে আল্লাহ! মদীনার সামান্য খেজুরেই যেন তৃপ্ত থাকি, আর মদীনার আশ্রয় যেন ভালোবাসি।
ورضاك عني دائما ولزومها # حتى توافى مهجتي أخراها.
চাই সন্তুষ্টি তোমার, আর চাই মাটি মদীনার, জীবনকালে এবং মৃত্যুর পরে।
فأنا الذي أعطيت نفس سؤلها # وقبلت دعوتها، فيا بشراها.
এ স্বপ্ন আমার চিরকালের, এ প্রার্থনা আমার হৃদয়ের, কবুল যদি করো, ধন্য আমি, ধন্য আমি।
بجوار أوفى العالمين بذمة # وأعز من بالقرب منه يباهي.
[মাটির উপরে ও তার নীচে] থাকি যেন পড়শী তাঁর, নৈকট্যে যার গর্ব হয় ফেরেশতার এবং বিশ্বজগতে যার নেই তুলনা আর।
من جاء بالآيات والنور الذي # داوى القلوب من العمى فشفاها.
এনেছেন যিনি পাক কোরআনের বাণী এবং সেই নূর যা করে দূর হৃদয়ের ব্যাধি ও অাঁধার।
أولى الأنام بحظة الشرف التي # تدعى الوسيلةَ خير من يعطاها.
সেই অনন্য মর্যাদার তিনি তো সেরা হকদার, আলওয়াছীলা নাম যার, তিনিই সর্বোত্তম, এ মাকাম যার।
إنسان عين الكون سر وجوده # يس إكسير المحامد طه.
তিনি জগতের মধ্যমণি, সৃষ্টির রহস্য তিনি, সর্বগুণের অাঁধার তিনি, তোয়াহা ইয়াসীন সবই তিনি।
حسبي فلست أفي بذكر صفاته # ولو أن لي عدد الحصا أفواها.
স্বীকার করি, আমি পারি না, কেউ পারে না, দিতে তাঁর গুণের বর্ণনা, যদিও করি হাজার মুখে তাঁর ‘বন্দনা’।
كثرت محاسنه فأعجز حصرها # وغدت وما نلفي لها أشباها.
অসংখ্য তাঁর গুণ ও গরিমা, কীরূপে ‘করিব’ শুমার! বিশ্বজগতে খুঁজে পাবে না তুমি তুলনা তাঁর!
إني اهتديت من الكتاب بآية # فعلمت أن غلاه ليس بضاها.
কোরআনের বাণী আমার সামনে খুলেছে এ রহস্য-দ্বার, মর্যাদা তাঁর ঊর্ধ্বে সবার ধরা-ছোঁয়ার।
ورأيت فضل العالمين محددا # وفضائل المختار لا تتناهى.
জগতের জ্ঞানী-গুণী যত, জ্ঞান ও গুণ দেখো তাদের সীমিত, কিন্তু হাবীবে খোদার, জ্ঞান ও গুণের নেই যে কূল-কিনার।
كيف التقصي والوصول لمدح من # قال الإله له وحسبك جاها.
إن الذين يبايعونك إنما # فيما يقول يبايعون الله.
উপায় কি তাঁর প্রশংসার সীমানা পাওয়ার, যার শানে বলেন স্বয়ং আল্লাহ ‘পরওয়ার’, আপনার হাতে বাইআত করে যারা, আল্লাহর হাতেই বাইআত করে তারা-এ যে চূড়ান্ত মহিমা!
هذا الفخار فهل سمعت بمثله # واها لنشأته الكريمة واها.
এমন গৌরব শুনেছো কি আছে কারো! মারহাবা, মারহাবা, ইয়া মুহাম্মাদ মারহাবা!
صلوا عليه وسلموا فبذلكم # تهدي النفوس لرشدها وغناها.
পড়ো দরূদ তাঁর শানে ছাল্লি ‘আলা, দরূদের পথেই পাবে তুমি হৃদয়ের আলো ও সান্ত্বনা।
صلى عليه الله غير مقيد # وعليه من بركاته أنماها.
আমাদের নবীর ‘পরে বর্ষিত হোক আল্লাহর করুণা বেশুমার, তাঁর তরে অবারিত হোক রহমতের, বরকতের দুয়ার।
وعلى الأكابر آله سرج الهدى # أحبب بعترته ومن والاها.
তাঁর পরিবার সকলে তারা, হেদায়েতের সূর্য-তারা, বড় প্রিয় তারা এবং তাদের ভালোবাসে যারা।
وكذا السلام عليه ثم عليهم # وعلى عصابته التي زكاها.
أعني الكرام أولى النهى أصحابه # فئة التقى ومن اهتدى بهداها.
সালাম নবী ও তাঁর পরিবারের প্রতি এবং ছাহাবাদের প্রতি, যারা পবিত্র, জ্ঞানে ও প্রজ্ঞায় যারা অনন্য, তাকওয়া যাদের অতুলনীয়, এবং সালাম তাদের যারা অনুসারী এই জামাতের।
والحمد لله الكريم وهذه # نجزت وظني أنه يرضاها.
শোকর আল্লাহর, পূর্ণ হলো কাছীদা আমার, পায় যেন তা সন্তুষ্টি হাবীবে খোদার!
ভূমিকা ও অনুবাদ : মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ