যে সকল আমল দ্বারা গোনাহ মাফ হয়
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
নবীজীর উপর দরূদ পাঠ : মর্যাদা বৃদ্ধি করে গোনাহ মাফ করে
নবীজীর উপর দরূদ পাঠ- এটি উম্মতের উপর নবীজীর সাধারণ হক। যাঁর মাধ্যমে হেদায়েতের আলো পেলাম, যাঁর মাধ্যমে সকল অন্ধকার থেকে মুক্তি পেলাম তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা তো সাধারণ দাবি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হক্ব আদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে দরুদ পাঠ।
আল্লাহ তাআলা মুমিনদের নির্দেশ দিয়েছেন- তাঁর উপর দরূদ পাঠ করতে। এমনকি একদল ফিরিশতা নিযুক্ত আছে, উম্মতের দরূদ নবীজী পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য। দুআর আগে-পড়ে দরূদ পাঠ করলে সে দুআ কবুল হয়। তাছাড়া অধিক দরূদ পাঠ আখেরাতে নবীজীর সান্নিধ্য পাওয়ার একটি বড় মাধ্যম। জুমার দিন অধিকহারে দরূদ পাঠের ব্যাপারে হাদীসে উৎসাহিত করা হয়েছে।
দরূদ পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত লাভ হয়, মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং গোনাহ মাফ হয়। আনাস ইবনে মালেক রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ صَلّى عَلَيّ صَلَاةً وَاحِدَةً صَلّى اللهُ عَلَيْهِ عَشْرَ صَلَوَاتٍ، وَحُطّتْ عَنْهُ عَشْرُ خَطِيئَاتٍ، وَرُفِعَتْ لَهُ عَشْرُ دَرَجَاتٍ.
যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ তার প্রতি দশটি রহমত নাযিল করবেন। তার দশটি গোনাহ মাফ করে দিবেন এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। -সুনানে নাসায়ী, হাদীস ১২৯৭
শুধু তাই নয়, দরূদ পাঠের মাধ্যমে বান্দার দুনিয়ার ফায়েদাও রয়েছে। দুনিয়ার চিন্তা-পেরেশানীও দূর হয়।
এক হাদীসে এসেছে, এক সাহাবী দুআর মধ্যে বেশি বেশি দরূদ পাঠ সম্পর্কে নবীজীকে জিজ্ঞাসা করলেন; আমার দুআর কতটুকু অংশ দরূদ পাঠ করব? একপর্যায়ে সাহাবী বললেন, আমি আমার পুরো দুআতেই দরূদ পাঠ করব। তখন নবীজী বললেন-
إِذًا تُكْفَى هَمّكَ، وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ.
তাহলে তো তোমার চিন্তা-পেরেশানী দূর হবে এবং গোনাহ মাফ হবে। -জামে তিরমিযী, হাদীস ২৪৫৭
একহাজার নেকী লাভ একহাজার গোনাহ মাফ
প্রতিদিন এক হাজার নেকী লাভ হওয়া এবং এক হাজার গোনাহ মাফ হওয়ার সৌভাগ্য কে হাতছাড়া করতে চায়! তাও আবার যদি হয় সহজ কোনো আমলের দ্বারা। তাই তো নবীজী এ আমলের ফযীলত উপস্থাপনই করলেন একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। তিনি বললেন-
أَيَعْجِزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَكْسِبَ كُلّ يَوْمٍ أَلْفَ حَسَنَةٍ؟
তোমাদের জন্য কি প্রতিদিন এক হাজার নেকী লাভ করা কঠিন কিছু?
তখন এক সাহাবী বললেন, আল্লাহর রাসূল! কী করলে এক হাজার নেকী লাভ করা যাবে? তখন নবীজী বললেন-
يُسَبِّحُ مِائَةَ تَسْبِيحَةٍ، فَيُكْتَبُ لَهُ أَلْفُ حَسَنَةٍ، أَوْ يُحَطّ عَنْهُ أَلْفُ خَطِيئَةٍ.
একশ বার সুবহানাল্লাহ বললে এক হাজার নেকী লেখা হবে অথবা (কোনো কোনো বর্ণনায় রয়েছে- এবং) এক হাজার গোনাহ মোচন হবে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬৯৮ ; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৮২৫; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ৭২৩
ফজর ও মাগরিবের পর যে এই দুআ পড়বে...
সকাল-সন্ধ্যার বিভিন্ন দুআর মধ্যে এই দুআটি উল্লেখযোগ্য-
لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ.
হাদীস শরীফে এসেছে-
مَنْ قَالَ إِذَا صَلّى الصّبْحَ: لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ عَشْرَ مَرّاتٍ، كُنّ كَعَدْلِ أَرْبَعِ رِقَابٍ، وَكُتِبَ لَهُ بِهِنّ عَشْرُ حَسَنَاتٍ، وَمُحِيَ عَنْهُ بِهِنّ عَشْرُ سَيِّئَاتٍ، وَرُفِعَ لَهُ بِهِنّ عَشْرُ دَرَجَاتٍ، وَكُنّ لَهُ حَرَسًا مِنَ الشّيْطَانِ حَتّى يُمْسِيَ، وَإِذَا قَالَهَا بَعْدَ الْمَغْرِبِ فَمِثْلُ ذَلِكَ.
যে ব্যক্তি ফজরের নামাযের পর দশ বার পড়বে- ...لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ। এর বিনিময়ে তার আমলনামায় চারজন গোলাম আযাদ করার সওয়াব লেখা হবে, দশটি নেকী লেখা হবে, দশটি গোনাহ মাফ হবে, দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং এ কালিমাগুলো সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে হেফাজতের কারণ হবে।
তেমনি মাগরিবের পর পড়লে অনুরূপ সওয়াব মিলবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান থেকে হেফাজতে থাকবে। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৩৫১৮
কোনো কোনো বর্ণনায় দুআটিতেيُحْيِي وَيُمِيتُ শব্দ রয়েছে-
لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ.
(দ্র. জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৫৩৪)
আর দুআটি কখন পড়তে হবে- এ ব্যাপারে কোনো বর্ণনায় রয়েছে, নামাযের বৈঠক থেকে ওঠার পূর্বে, কোনো কথা বলার আগেই পড়বে। কোনো বর্ণনায় শুধু নামাযের পর পড়ার কথা এসেছে। (দ্র. জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৫৩৪, ৩৪৭৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭৯৯০)
আবার ফযীলতের বিষয়ে কোনো বর্ণনায় এসেছে-
كُتِبَ لَهُ بِهَا مِائَةُ حَسَنَةٍ، وَمُحِيَ عَنْهُ بِهَا مِائَةُ سَيِّئَةٍ، وَكَانَتْ لَهُ عَدْلَ رَقَبَةٍ.
...তার আমলনামায় একশ নেকী লেখা হবে, একশ গোনাহ মাফ হবে এবং একজন গোলাম আযাদ করার সওয়াব পাবে। (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৮৭১৯)
কোনো বর্ণনায় আছে, ইসমাঈল আ.-এর বংশধরের একজন গোলাম আযাদ করার সওয়াব পাওয়া যাবে। কোনো বর্ণনায় এসেছে, দশজন গোলাম আযাদের সওয়াব পাওয়া যাবে। (দ্র. সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫০৭৭; জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৫৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৩৫৬৮)
যাইহোক, আমাদের আলোচ্য বিষয় হল, ফজর ও মাগরিবের পর এই দুআর আমলের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার গোনাহ মাফ করেন।
যে আমল গোনাহকে পাল্টে দেয় নেকীতে
নেক আমল দ্বারা আল্লাহ বান্দার গোনাহ তো মাফ করেনই; কিন্তু কোনো কোনো নেক আমল দ্বারা গোনাহমাফির সাথে সাথে আল্লাহ গোনাহগুলোকে নেকী দ্বারা পরিবর্তিতও করে দেন।
যখন কিছু মানুষ একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়ে আল্লাহর যিকির করে- তাঁর বড়ত্ব ও মহত্ব বর্ণনা করে, তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করে, প্রশংসা করে, আল্লাহর মহিমা সম্পর্কে আলোচনা করে, তাঁর নিআমতের আলোচনা করে, দুআ-ইসতিগফার করে, তাঁর সৃষ্টি নিয়ে আলোচনা ও চিন্তা-ফিকির করে, কুরআন তিলাওয়াত করে, কুরআনের ইলম নিয়ে মুযাকারা করে, দ্বীনী আলোচনা করে, দ্বীনী ইলমের চর্চা করে তখন আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং মাফ করে দেন। শুধু মাফ করেই দেন না, তাদের গোনাহগুলো নেকী দ্বারা পরিবর্তিত করে দেন।
হাদীসের ভাষ্যমতে এ ধরনের মজলিশের ব্যাপারে হাদীসের এই বাণী প্রযোজ্য হয় যে, তাদের উদ্দেশে আসমান থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকেন-
قُومُوا مَغْفُورًا لَكُمْ، قَدْ بُدِّلَتْ سَيِّئَاتُكُمْ حَسَنَاتٍ.
যাও, তোমরা ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়েছ আর তোমাদের গোনাহগুলো নেকী দ্বারা পরিবর্তিত করে দেওয়া হয়েছে। (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১২৪৫৩; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৫৩০; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ৪১৪১)
যে ব্যক্তি এই বাক্য দ্বারা ইসতিগফার করবে...
শয়তানের প্রতিজ্ঞা- বনী আদমকে সে গোনাহে লিপ্ত করেই ছাড়বে। কিন্তু তাতে কী আসে যায়- আল্লাহ তো বনী আদমকে ইসতিগফারের হাতিয়ার দিয়েছেন। বান্দা দিল থেকে ক্ষমা চাওয়ার সাথে সাথেই আল্লাহ মাফ করে দিবেন আর শয়তানের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে।
একটি হাদীসে নবীজী বলেছেন-
إِنّ الشّيْطَانَ قَالَ: وَعِزّتِكَ يَا رَبِّ، لَا أَبْرَحُ أُغْوِي عِبَادَكَ مَا دَامَتْ أَرْوَاحُهُمْ فِي أَجْسَادِهِمْ، قَالَ الرّبّ: وَعِزّتِي وَجَلَالِي لَا أَزَالُ أَغْفِرُ لَهُمْ مَا اسْتَغْفَرُونِي.
শয়তান বলল, হে রব! আপনার ইযযতের কসম! আপনার বান্দাদেরকে আমি পথভ্রষ্ট করতেই থাকব যতক্ষণ তাদের দেহে প্রাণ থাকবে। তখন আল্লাহ বললেন, আমার ইযযত ও জালালের কসম! আমিও তাদের ক্ষমা করতে থাকব যতক্ষণ তারা ইসতিগফার করতে থাকবে-ক্ষমা চাইতে থাকবে। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১১২৩৭
হাদীস শরীফে ইসতিগফারের বিভিন্ন বাক্য বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি ইসতিগফারের ব্যাপারে এসেছে-
مَنْ قَالَ أَسْتَغْفِرُ اللهَ الّذِي لَا إِلٰهَ إِلّا هُوَ الحَيّ القَيّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ، غُفِرَ لَهُ وَإِنْ كَانَ فَرّ مِنْ الزّحْفِ.
যে ব্যক্তি বলবে-
أَسْتَغْفِرُ اللهَ الّذِي لَا إِلٰهَ إِلّا هُوَ الحَيّ القَيّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ.
তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে। -জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৫৭৭; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৫১৭
আরেক হাদীসে ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ قَالَ أَسْتَغْفِرُ اللهَ الّذِي لَا إِلٰهَ إِلّا هُوَ الْحَيّ الْقَيّومُ، وَأَتُوبُ إِلَيْهِ، ثَلَاثًا غُفِرَتْ ذُنُوبُهُ، وَإِنْ كَانَ فَارّا مِنَ الزّحْفِ.
যে ব্যক্তি তিনবার বলবে-
أَسْتَغْفِرُ اللهَ الّذِي لَا إِلٰهَ إِلّا هُوَ الْحَيّ الْقَيّومُ، وَأَتُوبُ إِلَيْهِ.
তার পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়। -মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ২৫৫০
থাক বার্ধক্যের সাদা চুল : গোনাহ মাফ হোক
প্রতিটি মানুষই চায়- চির যুবক থাকতে। কিন্তু তা তো আর সম্ভব না এই দুনিয়াতে। একটু বয়স বাড়ার সাথে সাথেই ভাটা পড়ে যৌবনে। উকিঝুঁকি দেয় বার্ধক্য। সর্বপ্রথম বার্ধক্যের যে আলামত প্রকাশিত হয় তা হল, চুল পাকা। দু-একটি করে চুল সাদা হতে থাকে। এ যেন বার্ধক্যের ‘হোয়াইট সিগনাল’- আসছে বার্ধক্য; প্রস্তুত হও...!
এতদিনের যুবক তখন আগত বার্ধক্য মানতে চায় না; স্বীকার করতে চায় না- সে বার্ধক্যে পা রাখতে চলেছে। তখন সে চেষ্টা করে আড়াল করতে; সাদা চুল কালো করে কিংবা সমুলে উপড়ে ফেলে। কিন্তু কী লাভ তাতে! বার্ধক্য তো আর বাধাপ্রাপ্ত হয় না এতে।
যাইহোক, মুসলিমের এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। মুসলিম বাস্তবতাকে মেনে নেবে এবং আখেরাতের প্রস্তুতিতে মনোযোগ দেবে। আগত বার্ধক্যের সাদা চুলের উপর সবর করবে এবং সওয়াবের আশা রাখবে। এ চুল উপড়ে ফেলবে না।
কারণ, সে নবীজীর হাদীস শুনেছে-
نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ عَنْ نَتْفِ الشّيْبِ، وَقَالَ: هُوَ نُورُ الْمُؤْمِنِ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বার্ধক্যের সাদা চুল উপড়ে ফেলতে নিষেধ করেছেন। এবং বলেছেন- এ হল ‘মুমিনের নূর’। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৬৯৩৭)
নূর বলতে- কিয়ামতের দিন তা নূর হবে, যেদিন নূরের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আমর ইবনে আবাসা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ شَابَ شَيْبَةً فِي الإِسْلَامِ كَانَتْ لَهُ نُورًا يَوْمَ القِيَامَةِ.
মুসলিম অবস্থায় যার কোনো চুল বা দাড়ি পাকবে, কিয়ামতের দিন তা ঐ ব্যক্তির জন্য নূর হবে। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৬৩৪
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেছেন-
مَا شَابَ رَجُلٌ فِي الْإِسْلَامِ شَيْبَةً، إِلّا رَفَعَهُ اللهُ بِهَا دَرَجَةً، وَمُحِيَتْ عَنْهُ بِهَا سَيِّئَةٌ، وَكُتِبَتْ لَهُ بِهَا حَسَنَةٌ.
যখন কোনো মুসলিমের চুল বা দাড়ি পাকে তখন আল্লাহ এর বিনিময়ে একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন, একটি গোনাহ মাফ করা হয় এবং একটি নেকী লেখা হয়। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৬৯৩৭; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪২০২