স্বামীর আনুগত্য : সুখী দাম্পত্যের প্রথম সোপান
সব নারীর মনেই একজন ভালো স্বামী পাওয়া এবং দুজনে মিলে একটি সুখী সংসার গড়ে তোলার স্বপ্ন থাকে। ষধঁৎধ ফড়ুষব -এরও স্বপ্ন ছিল এবং সংসার জীবনের শুরুতেই সে স্বপ্ন পেখম মেলতে শুরু করেছিল। এরপর কী থেকে কী হয়ে গেল। চলুন তার মুখ থেকেই শোনা যাক- ষধঁৎধ ফড়ুষব তার ঃযব ংঁৎৎবহফবৎবফ রিভব গ্রন্থের ভূমিকায় নিজের জীবনের চিত্র এভাবে এঁকেছেন-
“তখন মাত্র বিয়ে হয়েছে আমার। কত রঙ্গীন স্বপ্ন পেখম মেলেছিল চোখের সামনে। জীবনের রাঙ্গাভোরে রঙধনুর বর্ণচ্ছটা রঙ ছড়াচ্ছিল। জোসনা ও শিশিরের ¯িœগ্ধতায় অনেক সুখেই কাটছিল আমার দিনগুলো।
দাম্পত্যজীবন ঝঞ্ঝাটপূর্ণ- এটা আমি জানতাম। তবু আমার বিশ্বাস ছিল, আমাদের বৈবাহিক জীবন অনেক সুন্দর কাটবে। আমার স্বামী অনেক ভালোবাসতো আমাকে । এজন্যই এ শুভস্বপ্নটি অনেক উজ্জ্বল হয়ে চোখের সামনে উদ্ভাসিত হয়েছিল। আধুনিকতার উচ্ছল স্রােতে আমি বেড়ে উঠেছি। তাই ছিলাম অতিমাত্রায় স্বাধীন। স্বামীভক্তি ও পতিসেবা ইত্যাদি শুনলেই গা কেমন ছমছম করে উঠত।
বিবাহিত জীবনের শুরুটা আমাদের ভালোই কাটছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সব বদলে যেতে লাগল। আমি মাঝে মাঝেই তার বিভিন্ন জিনিসের সমালোচনা করতাম। মনের অজান্তেই তার উপর নিজের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইতাম। এসবকিছুই অশুভ বার্তা নিয়ে এল আমার জীবনে। কেমন অন্ধকারে ছেয়ে যেতে লাগল সবকিছু। তার উপর কর্তৃত্ব খাটানোটা একদম পছন্দ করত না সে। তাই আমার সাথে তার আচরণও বদলে যেতে লাগল ধীরে ধীরে। অমি কোনোভাবেই চাচ্ছিলাম না- আমাদের মধুর দাম্পত্য জীবনটা এভাবে ভেঙ্গে পড়–ক। তাই সমস্যা সমাধানের জন্য সবকিছু করতেই প্রস্তুত ছিলাম আমি।
একদিন এক বান্ধবীর সাথে আলোচনা করলাম তার সুখী দাম্পত্যজীবনের রহস্য নিয়ে। সে বলল, আমি কখনো স্বামীর কোনো কথা বা কাজের সমালোচনা করিনি; তা আমার কাছে যত অপছন্দনীয়ই হোক।
ভাবলাম, এ পথই অবলম্বন করতে হবে আমাকে। তাই শান্তির নিভু নিভু প্রদীপ হাতে নিয়ে নতুন করে পথচলার সিদ্ধান্ত নিলাম। ভাবতেও পারিনি, এটা ছিল স্বামীর আনুগত্য ও তার প্রতি পূর্ণ সমর্পণের প্রথম ধাপ। এবং এ সমর্পণই আমার দাম্পত্যজীবনের হারিয়ে যাওয়া সুখ আবার ফিরিয়ে দেবে। এরপর নিজের আচরণ পুরো বদলে ফেলি। আমার মত করে নয় তার মত করেই সবকিছু ভাবতে শুরু করি। এখন আমি আমার স্বামীর পূর্ণ অনুগত। আর এতেই কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন রাতের পর আমার জীবনে উদিত হয়েছে সুখের আলোঝলমলে দিন।”
পশ্চিমা চিন্তা-চেতনায় প্রভাবিত আধুনিকতাপ্রিয় অনেক তরুণীরই স্বামীসেবা, পতিভক্তি ইত্যাদি শুনলে চোখ কপালে উঠে যায়। এসবকে তারা দাসবৃত্তি হিসেবে মনে করে। অথচ এ নারীরাই আবার চায় তার স্বামী হোক তার হাতের পুতুল। তাই ষধঁৎধ ফড়ুষব তাদের শুভাকাক্সক্ষী হয়ে দাম্পত্যজীবনের সুখের রহস্য মেলে ধরে বলেন, “স্বাধীনচেতা হওয়া কিংবা স্বামীর কাজের সমালোচনা বা তার উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার মানসিকতা থাকলে আপনি কখনো সুখী হতে পারবেন না। বরং স্বামীর প্রতি পূর্ণ সমর্পণের মাধ্যমে স্বামীর পূর্ণ অনুগত হয়েই আপনি পেতে পারেন অচিন্তনীয় সুখ।”
স্বামীর অনুগত হওয়া দাম্পত্য জীবনে সুখের মূল ভিত। শরীয়তের নির্দেশনা অনুসারে স্ত্রী যদি স্বামীর অনুগত থাকে তাহলে যেমন দুনিয়াতে সুখী হবে তেমনি আখিরাতেও। সুখের এ রহস্য অনেক আগেই নবীজী বলে দিয়েছেন আমাদের। এর মাধ্যমেই মিলবে দুনিয়ায় সুখের দাম্পত্য জীবন এবং আখেরাতের অনন্ত রাজত্ব। ইরশাদ হয়েছে- যে মহিলা পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়বে, রমযানের রোযা রাখবে, লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে এবং স্বামীর আনুগত্য করবে তাকে বলা হবে, তুমি জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ কর। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৬৬১; মুসনাদে বায্যার, হাদীস ৭৪৮০; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৪১৬৩
আর স্বামীর এ অবস্থান ও দায়িত্ব আল্লাহপ্রদত্ত। আল্লাহ স্বামীকে পরিবার প্রধান বানিয়েছেন, পরিবারের পরিচালনা ও দায় তার উপরেই ন্যস্ত করেছেন আর স্ত্রীকে বানিয়েছে সহকর্মী; তাই স্বামীর আনুগত্য করা স্ত্রীর একান্ত কর্তব্য। আর কর্তব্য পালনে সম্মান-অসম্মানের কিছু নেই।
কিছু কিছু ইবাদাত এমন রয়েছে, যেগুলো অনেক ফযীলতপূর্ণ। তবে নারীদের সে সকল ইবাদাত করার সুযোগ হয় না। তাহলে কি নারীরা সেসকল ইবাদাতের সাওয়াব থেকে বঞ্চিত থাকবে? নারী সাহাবীদের মনেও এমন প্রশ্ন জেগেছিল। তখন নারীদের পক্ষ থেকে হযরত আসমা বিনতে ইয়াযিদ রা. নবীজীর দরবারে গিয়ে আরয করেন, নারীদের পক্ষ থেকে আমি আপনার কাছে আগমন করেছি। (আল্লাহর রাসূল!) আল্লাহ তাআলা আপনাকে নারী ও পুরুষ সবার কাছেই রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছেন। আমরা আপনার উপর ও আপনার প্রতিপালকের উপর ঈমান এনেছি। আমরা নারীরা তো ঘরের কাজ-কর্ম আঞ্জাম দেই। সন্তান গর্ভে ধারণ করি। (তাদের লালন-পালন করি) আমাদের উপর (বিভিন্ন ইবাদাতের ক্ষেত্রে) পুরুষদের ফযীলত রয়েছে। তারা জামাতের সাথে নামায আদায় করে। রোগী দেখতে যায়। জানাযায় শরীক হয়। একের পর এক হজ্ব করে। সবচেয়ে বড় ফযীলতের ব্যাপার হল তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করতে পারে। তো আমরা কীভাবে তাদের মত ফযীলত ও সাওয়াব লাভ করতে পারব? নবীজী তখন সাহাবায়ে কেরামের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কোনো দ্বীনী বিষয়ে তোমরা কি কোনো নারীকে এর চেয়ে সুন্দর প্রশ্ন করতে শুনেছ কখনো? এরপর নবীজী সে নারীকে লক্ষ করে বললেন, তুমি আমার কথা ভালোভাবে অনুধাবন কর এবং অন্যান্য মহিলাদেরও একথা জানিয়ে দাও যে, স্বামীর সাথে সদাচরণ করা, তার সন্তুষ্টি কামনা করা ও তার পছন্দনীয় কাজ করা এসকল আমলের সমতুল্য সাওয়াব ও মর্যাদা রাখে। -শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৮৩৬৯; মুসনাদে বাযযার, হাদীস ৫২০৯
এই হল ইসলামের শিক্ষা। স্ত্রীর প্রতি ইসলামের নির্দেশনা। এই খোদায়ী নির্দেশ ও নববী নির্দেশনা মেনে চললে সংসার হবে যেন জান্নাতের টুকরা। সুখের জোৎ¯œা ঝরে ঝরে পড়বে ঘরের মধ্যে। সবুজ-সুন্দর ও ফুটন্ত গোলাপের মত সুরভিত হয়ে উঠবে দাম্পত্য জীবন।
তাই তো স্বামীর ঘরে পাঠানোর পূর্বে মায়েরা আপন কন্যাদের মনে করিয়ে দিতেন এ সোনালী নির্দেশনাগুলো। কন্যার প্রতি এমন এক আলোকিত নসীহতে উজ্জ্বল হয়ে আছে ইতিহাসের পাতা।
আওফ আশশায়বানীর মেয়ের বিয়ে হলে স্বামীর হাতে মেয়েকে তুলে দেয়ার মুহূর্তে মা উমামা বিনতে হারেস মেয়েকে একান্তে ডেকে নিয়ে বলেন,
মেয়ে আমার! যে ঘরে তুমি বেড়ে উঠেছ, খুশি ও আনন্দে যাকে ভরে রেখেছ সে ঘর ছেড়ে অপরিচিত ঘরে অপরিচিত একজন মানুষের কাছে তুমি যাচ্ছ। জীবনের এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমার কয়টি নসীহত মনে রেখ। এগুলো তোমার সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে। (তার অনেক নসীহতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নসীহত ছিল) সে তোমাকে কোনো আদেশ করলে কখনো তা অমান্য করবে না। এবং তার ব্যক্তিগত কোনো কথা অন্য কারো কাছে প্রকাশ করবে না। ...মনে রাখবে, নিজের চাওয়া ও চাহিদার উপর স্বামীর চাওয়া ও চাহিদাকে প্রাধান্য না দেওয়া পর্যন্ত তুমি কখনো তার মন জয় করতে পারবে না। তুমি যদি তার দাসী হও তাহলে সে তোমার দাস হবে।” -আল ইকদুল ফারীদ, খ- ৩, পৃষ্ঠা ১৯১ আলমুসতাতরাফ, খ- ২ পৃষ্ঠা ১৮৪
আগের যুগের মেয়েরাও সোনালী উপদেশগুলো মনে গেঁথে রাখত। দাম্পত্য জীবনের সুদীর্ঘ পথের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করত। ফলে বাস্তবেই তাদের স্বামীরা তাদের জন্য কোরবান ছিল।
আগের যুগের মেয়েরা স্বামীর পছন্দ-অপছন্দ নতুন জীবনের শুরুতেই জিজ্ঞেস করে নিতেন; যেন সারা জীবন তা মেনে চলতে পারেন। তাই তাদের জীবন হত অনেক সুখের ও আনন্দের।
কাযী শুরাইহ বলেন, বিয়ের রাতে স্ত্রী আমাকে বলল, আমি একজন অপরিচিত নারী। আপনার চাওয়া-পাওয়া ও পছন্দ-অপছন্দ কিছুই আমার জানা নেই। তাই আপনার পছন্দের বিষয়গুলো বলুন যেন আমি তা করতে পারি। আর অপছন্দনীয় বিষয়গুলোও বলুন যেন সেগুলো থেকে বিরত থকতে পারি। কাযী শুরাইহ তার পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো জানান। তার স্ত্রী সেগুলো এতটা যতেœর সাথে মেনে চলতেন যে, কাযী শুরাইহ বলেন-
مكثت معي عشرين سنة لم أعتب عليها في شيء إلا مرة واحدة و كنت لها ظالما.
বিশ বছর সে আমার সঙ্গে ছিল। কিন্তু এ দীর্ঘ সময়ে সে এমন কোনো কাজ করেনি, যার কারণে তাকে ভর্ৎসনা করার প্রয়োজন পড়েছে। তবে একবার ব্যতীত; আর সেবারও ভুলটা আমারই ছিল। (আল ইকদুল ফরীদ, ২ খ- পৃষ্ঠা ১৯২, আল মুসতাতরাফ, খ- ২ পৃষ্ঠা১৮৬)
দেখুন, স্ত্রীর আনুগত্যের কারণে স্বামী কীভাবে নিজের ভুল স্বীকার করছে- “আর সেবারও ভুলটা আমারই ছিল”। এটা ওই আনুগত্যেরই ফল। এর দ্বারা স্বামী যেমন নিজের ভুল ও অন্যায় স্বীকার করবে তেমনি স্ত্রীকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসবে, তার জন্য কোরবান হবে।
এ আনুগত্য শুধু স্বামীর জীবদ্দশায়ই ছিল না; বরং স্বামীর মৃত্যুর পরও মহিয়সী নারীগণ দেখিয়েছেন স্বামীর প্রতি আনুগত্যের পরাকাষ্ঠা। দুটো ঘটনা বলি। হযরত আসমা বিনতে উমাইস রা.। আবু বকর রা.-এর স্ত্রী। মৃত্যুর সময় স্ত্রীকে ওসীয়ত করে বলেছিলেন, আমি ইনতেকাল করলে তুমিই আমাকে গোসল দেবে। আসমা রা. সেদিন রোযা রেখেছিলেন। রোযা রেখে গোসল দেওয়া ও মৃত্যুপরবর্তী শোকপরিস্থিতি সামলানো কষ্ট হবে ভেবে আবু বকর রা. তাকে সেসময় রোযা ভাঙ্গতে বলেছিলেন। আবু বকর রা. ইনতেকাল করলে তিনিই তাকে গোসল দেন। তবে মৃত্যুপরবর্তী শোকের পরিবেশ ও বিভিন্ন ব্যস্ততায় রোযা ভাঙ্গার কথা ভুলে যান। আবু বকর রা.-এর দাফনের পর দিনের শেষে মনে পড়ে একথা। তখন দোদুল্যমান হয়ে পড়েন আসমা রা.। দিন প্রায় শেষ। ইফতারের সময়ও ঘনিয়ে এসেছে। একটু পড়েই আযান হবে। এ অল্প সময়ের জন্য রোযা ভেঙ্গে ফেলবেন? কিন্তু রোযা না ভাঙ্গলে তো স্বামীর কথাও মানা হবে না। স্বামীর আনুগত্য করা হবে না। তাই স্বামীর কথা মত দিন শেষ হয়ে এলেও রোযা ভেঙ্গে ফেলেন তিনি। -তবাকাতে ইবনে সা‘দ, খ- ৮, পৃষ্ঠা ২৮৪
স্বামীর আনুগত্যের কী উজ্জ্বল উদাহারণ! তাও আবার মৃত্যুর পর! স্বামীর মৃত্যুর পরও যারা আক্ষরিকভাবেই তার কথা রক্ষার্থে এমন আনুগত্য প্রকাশ করেছেন স্বামী জীবিত থাকাবস্থায় তার প্রতি কেমন অনুগত ছিলেন তা সহজেই অনুমেয়।
আরেকটা ঘটনা। তিনিও একজন খলীফার স্ত্রী। পৃথিবীর ইতিহাসে বিরলতম সৌভাগ্যের অধিকারিনী একজন নারী। তার বাবাও ছিলেন খলীফা, স্বামীও ছিলেন খলীফা, চার ভাইও ছিলেন খলীফা। হযরত ফাতেমা বিনতে আবদুল মালিক বিন মারওয়ান। ওমর ইবনে আবদুল আযীযের স্ত্রী। তার চার ভাইও একের পর এক খলীফা হয়েছেন। পরম আদর-যতেœ লালিত-পালিত এ মহিলার বিয়েও হয়েছে মহা ধুমধামের সাথে। বাবা তৎকালীন খলীফা আবদুল মালিক সোনা-গয়না, হিরে-জহরতের ‘ভা-ার’ যেন উজাড় করে দিয়েছিলেন মেয়ের বিয়েতে। তবে ওমর বিন আবদুল আযীয যখন খলীফা হন স্ত্রীকে সমুদয় গহনা বাইতুল মালে জমা দিতে বলেন। ফাতিমা রাহ.-ও স্বামীর কথা মত সবকিছু বাইতুল মালে দিয়ে দেন। ওমর বিন আবদুল আযীয রাহ. যখন মারা যান স্ত্রী-সন্তান-সন্ততির জন্য ওয়ারাসাত হিসেবে কোনো সম্পদ ছিল না। তার ভাই ইয়াযিদ ইবনে আবদুল মালেক যখন ওমর ইবনে আবদুল আযীযের মৃত্যুর পর খলিফা হন তখন বোনকে বাইতুল মাল থেকে তার সমুদয় সোনা-গহনা ফিরিয়ে দিতে চাইলেন। তিনি তখন বললেন, এ সব তো আমীরুল মুমিনের কথা মত বাইতুল মালে দান করে দিয়েছি-
فما كنت لأطيعه حيا وأعصيه ميتاً.
আমি জীবিতাবস্থায় তার আনুগত্য করে মৃত্যুর পর তার অবাধ্য হতে পারব না। -আর্দ্দুরুল মানসুর ফি তাবাকাতি রিবাতিল খুদুর, পৃষ্ঠা ৩৬৬
যখন তার সামান্য কিছু টাকারও ছিল মহা প্রয়োজন তখনও বর্তমান সময়ের মূল্যমানে কোটি টাকার সম্পদ ফিরিয়ে দিচ্ছেন কেবলমাত্র স্বামীর কথা রক্ষা ও তার আনুগত্যের জন্য। এ ত্যাগ ও কুরবানীর জন্যই ইতিহাসের পাতায় ওমর ইবনে আবদুল আযীযের পাশে তার নামটিও জ্বলজ্বল করছে চাঁদের মত; আজ হাজার বছর পরও।