কোন্ জীবনে পালিয়ে গেল মেয়েটি?!
রাহাফ মুহাম্মাদ আল কুনুন। সম্প্রতি পরিবার থেকে পালানো এই সৌদি তরুণীকে নিয়ে বেশ তোলপাড় দেখা গেল। জাতিসঙ্ঘ থেকে শুরু করে বিশে^র বড় বড় দেশ এ নিয়ে প্রকাশ করল অপরিসীম উদ্বেগ ও তৎপরতা। পরিশেষে কানাডা মেয়েটিকে আশ্রয় দেয়ার (প্রকৃত অর্থে সাদরে আতিথেয়তা) কথা ঘোষণা করে। মিডিয়ার কল্যাণে মোটামুটি ঘটনা কারো অজানা নেই। সৌদি আরব থেকে মেয়েটি তার মা-বাবার সাথে কুয়েত আসে। এখান থেকে পালিয়ে সে চলে যায় থাইল্যান্ডে। এখানে সুবর্ণ ভূমি বিমানবন্দরে থাই কর্তৃপক্ষ তাকে কুয়েতে ফেরত পাঠাতে চাইলে সে একটি হোটেলে গিয়ে নিজেকে আবদ্ধ করে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনা ও ছবি শেয়ার করতে থাকে। বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায় সাথে সাথে। জাতিসঙ্ঘসহ বড় বড় দেশ তৎপর হয়ে ওঠে। অন্য অর্থে বললে তার জন্য অপেক্ষায় থাকা তার নব্য অভিভাবকরা ক্ষেত্র তৈরি করতে থাকে। জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) একজন প্রতিনিধি তার সাথে সাক্ষাতের পর অভিবাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। ওই সাক্ষাতের পর থাইল্যান্ডের প্রধান অভিবাসন কর্মকর্তা বলেন, রাহাফকে বহিষ্কার করা হবে না। তাকে ইউএনএইচসিআরের অধীনে ব্যাংককে নিরাপদ হেফাজতে নেওয়া হবে। তাকে শরণার্থী মর্যাদা দেয়ার জন্য কাজ করবে ইউএনএইচসিআর। নানামুখী কথাবার্তা চলতে থাকে। মেয়েটি প্রথমে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও পরে ইউরোপ-আমেরিকার কয়েকটি দেশের যে কোনোটিতে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানায়। এ পর্যন্ত নীরব থাকলেও এই পর্যায়ে এসে কানাডা সরব হয়। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন টুডো সাংবাদিকদের বলেন, কানাডা সবসময়ই মানবাধিকার এবং বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার। জাতিসঙ্ঘ আমাদের কাছে রাহাফ আল কুনুনকে আশ্রয় দেয়ার অনুরোধ করলে আমরা তাতে রাজি হয়েছি। ১১ জানুয়ারি শুক্রবার দিবাগত রাতে সে থাইল্যান্ড থেকে সিউল হয়ে কানাডার টরেন্টোয় পৌঁছায়।
বিবিসিকে সে জানায়, সে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছে। তার আশংকা সৌদীআরবে ফিরে গেলে পরিবার তাকে হত্যা করবে। সে ধর্মত্যাগের ঘোষণা দেয় এবং নাম পরিবর্তন করে।
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوْبَنَا بَعْدَ اِذْ هَدَیْتَنَا وَ هَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً اِنَّكَ اَنْتَ الْوَهَّاب.
এই ঘটনাটিতে কয়েকটি বিষয় খুব চোখে পড়ার মতো। একটি বিষয় হচ্ছে, জাতিসঙ্ঘসহ বড় বড় দেশের এত তৎপরতা দেখা গেল যে ধনাঢ্য ঘরের দুলালীর জন্য, তার চালচলন ও বেশ-ভূষা প্রমাণ করে, তার বাড়ীতে তেমন দ্বীন চর্চা হতো না। তার কাছে অর্থ সম্পদের কোনো অভাব থাকার কথা নয়। অথচ বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ শরণার্থী মানবেতর জীবন-যাপন করছে দেশে দেশে। মায়ানমার, ফিলিস্তিন, সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের মুসলিম দেশত্যাগীগণকে বিতাড়িত করা হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশ থেকে। সেসব ক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘকে এত তৎপর দেখা যায় না সচরাচর। কত দেশেই তো নারী সমাজ নিগৃহীত-নিপীড়িত হচ্ছে চরমভাবে। কিন্তু তাদের সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষার বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের কোনো সংস্থা বা বড় বড় দেশগুলো থেকে এর সিকিভাগ তৎপরতাও চোখে পড়ে না। এই দ্বৈত অবস্থান কেন?
আমরা বলি না যে, একটি মেয়ের জন্য জাতিসঙ্ঘ ও বড় বড় দেশ তৎপর হতে পারবে না? না, একথা আমরা বলি না। একটি মানুষকেও জুলুম হতে রক্ষার জন্য যদি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তৎপরতা শুরু হয় সে তো অতি সুখের ব্যাপার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, চলমান বিশে^ জাতিসঙ্ঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও মোড়ল দেশগুলো কি মানবতা ও সুবিচারের জন্য এতই আন্তরিক?
বাস্তব চিত্র বোধহয় এরকম নয়। আর সে কারণেই প্রশ্ন জাগছে যে, আলোচ্য দৃষ্টান্তটির ক্ষেত্রে এই ব্যতিক্রম কেন? মানবাধিকার, নারী-অধিকার ইত্যাদি যা কিছুই বলা হোক, বর্তমান বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে চোখ কান খোলা যে কেউ বুঝবেন যে, এই ব্যতিক্রমী উৎসাহের পিছনে মেয়েটির ইসলাম ত্যাগই হচ্ছে মুখ্য কারণ। একটি আঠার বছর বয়সী মেয়ে তার মা-বাবার বিরুদ্ধে একতরফা অভিযোগ করে দিল যে, তার জীবন সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। বিশে^র বড় বড় সংস্থা ও ব্যক্তি তার সহযোগিতায় নেমে পড়ল ওমনিতেই। তারা কি ঐ মেয়ের দাবি যাচাই করে দেখেছে? এমনও তো হতে পারে মেয়েটি কোনো অপরাধ প্রবণতার সাথে জড়িত আছে বা জড়াতে চাচ্ছে। কারণ, তার মা-বাবা অথবা ঐ দেশের কেউ তো মেয়েটির দাবিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তাহলে কি ‘মার চেয়ে মাসির দরদ বেশি’ প্রবাদটি এক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে? যে মেয়ে একটি ভিন দেশে গিয়ে ইমিগ্রেশনকে ফাঁকি দিয়ে হোটেল রুমে নিজেকে বন্দি করতে পারে, ছবি ও ভিডিও টুইট করে বিশ্ব কাঁপাতে পারে সে কি আসলেই অসহায়?
আমাদের সর্বস্তরের মুসলমানদের জন্য ঘটনাটি একটি দৃষ্টান্ত। পশ্চিমাদের তথাকথিত উদারতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রায়োগিক রূপ বোঝার জন্য এইসকল দৃষ্টান্ত মনে রাখা দরকার।
পশ্চিমা প্রপাগান্ডার কারণে মুসলিমসমাজের যে শ্রেণি বর্তমান বিশে^ ধর্মকে খুব নগণ্য বিষয় মনে করতে চান, তাদের জন্য এখানে চিন্তার খোরাক আছে। বিশ্বব্যাপী মিশনারী তৎপরতার পাশাপাশি বিচ্যুতি-বিভ্রান্তির শিকার তরুণ-তরুণীদের সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার নীতি ও দৃষ্টান্ত কি প্রমাণ করে, ধর্মের বিষয়টি খুবই গৌণ? মুসলমানদের কর্তব্য, নিজের দ্বীন ও জীবনাদর্শের মূল্য ও মর্যাদা উপলব্ধি করা। নিজের দ্বীন ও ঈমান রক্ষায় সর্বোচ্চ সচেতনতার পরিচয় দেয়ার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি সদস্যের দ্বীন ও ঈমান রক্ষায় সচেষ্ট হওয়া। একে গৌণ মনে করার কোনো অবকাশ নেই। সাথে সাথে নিজ নিজ সন্তানাদির চালচলন ও জীবন-যাপনের দিকেও অভিভাবকদের নজর থাকা দরকার। তাদেরকে দ্বীন-ঈমান নির্ভর নৈতিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেয়া এবং নিজেরাও দ্বীনের উপর চলা সময়ের দাবি। না হয় নানামুখী মিডিয়ার এ যুগে বেহায়াপনার সয়লাব সকলকে ডুবাবে। আলোচ্য ‘রাহাফ’ মেয়েটি এক্ষেত্রে একটি উদাহরণ মাত্র। এ আগুনে কত পরিবার যে জ¦লছে তার হিসাব কে জানে।
দ্বিতীয়ত, নিজের দ্বীনী পরিচয় নিয়ে কুণ্ঠিত হওয়া শুধু ঈমান-পরিপন্থী বিষয়ই নয়, বর্তমান বিশে^র চলতি পরিস্থিতিতে সাধারণ বিবেক-বুদ্ধিরও পরিপন্থী। সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনের যারা নিজেদের মুসলিম পরিচয় প্রকাশে কুণ্ঠিত, ইসলামী শিক্ষা ও আদর্শের পক্ষে দাঁড়ানো নিয়ে শঙ্কিত ও লজ্জিত তাদের জন্যও উপরের ঘটনাটি একটি দৃষ্টান্ত। মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণকারী বিচ্যুত ছেলে-মেয়ের পক্ষে বিভিন্ন শিরোনামে বড় বড় দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে জাতিসঙ্ঘ পর্যন্ত সরাসরি দৃশ্যপটে চলে আসাটা কী বার্তা প্রদান করে?
এজন্যই বলছিলাম, নিজের দ্বীনী পরিচয় ও সাধ্যমতো দ্বীনী কর্মতৎপরতার মধ্যে থাকা সচেতনতার পরিচায়কও বটে। যেন আমরা নিজেদের অজান্তেই কারো ষড়যন্ত্রের শিকার না হয়ে যাই।
যে কেউ মেয়েটির নতুন জীবন সম্পর্কে উৎসাহিত হতে পারেন। কী করছে সে? কী রকম স্বাধীনতা উপভোগ করছে? তাহলে শুনুন, ডেইলি মেইলের সূত্রে বিভিন্ন দৈনিক (১৮ জানুয়ারি) রিপোর্ট করেছে, কানাডায় গিয়ে রাহাফ তার নতুন জীনবযাত্রার কিছু ছবি শেয়ার করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাতে দেখা গেছে, মদ, শূকরের মাংস আর গাঁজা হয়ে উঠেছে তার জীবনসঙ্গী। তাকে দেখা গেছে পশ্চিমা ধাঁচের পোশাকে। গায়ে হাটু পর্যন্ত উলের পোশাক। মেয়েটি ¯œ্যাপচ্যাটে কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে সে কানাডিয়ান স্টাইলে বেকন (শূকরের মাংস) খাচ্ছে বলে জানিয়েছে। এই ছবির সাথে মদ ও সিগারেটের টুকরার ছবি দিয়ে সেগুলো সে দারুণ উপভোগ করছে বলে জানিয়েছে।
প্রিয় পাঠক! কী বুঝা যাচ্ছে? আসলেই কি অসহায় ছিল? পৃথিবীর শরণার্থী শিবিরগুলোর শিশুরা যেখানে এক টুকরো রুটির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হয় সেখানে এ শরণার্থী মেয়েটির উদ্যাপন লক্ষ করুন।
হায়! পশ্চিমের যে জীবনে অসংখ্য নারী হাঁপিয়ে উঠেছে সে জীবনের জন্যেই এত কিছু!
তৃতীয় বিষয়টি হচ্ছে, বিচ্যুত সৌদি তরুণীটিকে নিয়ে পশ্চিমাদের এই উৎসাহ ও তৎপরতার ঘটনাটি এমন সময় ঘটল যখন সৌদিতে চলছে পশ্চিমাদের কাছে এমবিএস খ্যাত সৌদি যুবরাজের তথাকথিত সংস্কার। এ যেন পশ্চিমাদের তরফ থেকে একটি চপেটাঘাত। বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধির বিষয়। ঘটনাটি প্রমাণ করছে যে, মেয়েদের বেপর্দা করা, সিনেমা চালু করা, তথাকথিত বিনোদন কেন্দ্র খোলাসহ নানামুখী ‘সংস্কার’ সত্ত্বেও এমবিএসের সৌদীআরব পশ্চিমাদের ‘আস্থা’ অর্জনে সক্ষম হয়নি। শুধু তাই নয়, এই ‘সংস্কারক’ সৌদি যুবরাজের প্রতি পশ্চিম ন্যূনতম সৌজন্য প্রদর্শনেরও প্রয়োজন বোধ করেনি। আসলে নতজানুতা ‘আস্থা’ ও ‘সৌজন্য’ অর্জনের পথ নয়। ‘সৌজন্য’ ও ‘আস্থা’র পথ হচ্ছে দৃঢ়তা, স্বকীয়তা ও শক্তিমত্তা। মুসলিম জনতাকে তথাকথিত সংস্কার বা পশ্চিমায়নের মাধ্যমে পশ্চিমের আস্থা অর্জনের এই পথের কোনো শেষ নেই। কুরআন মাজীদে জানানো হয়েছে-
وَ لَنْ تَرْضٰی عَنْكَ الْیَهُوْدُ وَ لَا النَّصٰرٰی حَتّٰی تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمْ.
ইহুদী-নাসারা ঐ পর্যন্ত তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না তাদের ধর্মাদর্শের হয়ে যাও। -সূরা বাকারা (২) : ১২০
আলোচিত ঘটনায় কুরআনের বাণীর সত্যতার উভয় দিকই স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। আমাদের ব্যক্তি থেকে শুরু করে সমাজচিন্তক এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পর্যন্ত সকলের জন্য কুরআন মাজীদের এই বাণীতে আছে গভীর শিক্ষা ও পথনির্দেশনা। শিক্ষা-সাহিত্য, সংস্কৃতি, জীবন-দর্শন, জীবন-ব্যবস্থা প্রভৃতি ক্ষেত্রে ইসলামী আদর্শ বিরোধী পশ্চিমায়নের দ্বারা মুসলিম উম্মাহর কোনোই উপকার হবে না। অবস্থা সেটাই হবে, যা কবির ভাষায়-
نہ خدا ہی ملا نہ وصال صنم
না খোদার সান্নিধ্য পাওয়া গেল, না প্রিয়ার মিলন!
দুঃখজনক আশ্চর্যের ব্যাপার হল, পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা যখন তাদের ধর্মের বিষয়গুলো পালন করতে ও তাদের ধর্মের লোকদের সাথে কাজ করতে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হচ্ছে। নিজেদের বানানো নীতি-আদর্শ, সংবিধান-আইন-কানুনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের আচরণ করতে কোনো প্রকার লজ্জাবোধ করছে না, ট্রাম্প সাহেবরা যখন বেছে বেছে শুধু মুসলিম দেশগুলোর নাগরিকদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছেন, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক দেশের দাবিদার রাষ্ট্রটি যখন শুধু গরুর জন্য মানব হত্যাকে বৈধতার চোখে দেখছে, যখন প্রকাশ্যেই মুসলিমদের দেশ থেকে বের করে দেয়ার বিভিন্ন অপকৌশল খোঁজ করছে, পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের ধর্মের লোকদের সে দেশে গিয়ে নাগরিকত্ব নেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আইন পাশ করছে, তখন কিনা মুসলিম নেতারা ব্যস্ত হচ্ছেন নিজেদের তাহযীব-তমদ্দুন জলাঞ্জলি দিয়ে ওদের পঁচা-গন্ধ সংস্কৃতির প্রসারে। সুতরাং মুসলিম মা-বাবাদের নিজ নিজ সন্তানাদির দ্বীনী পরিচর্যায় মনোযোগ দিতে হবে গোড়া থেকেই। আমাদের সন্তানদের ধর্মবিদ্বেষী করতে বিশ্বশক্তি কতভাবে এবং কী পরিমাণ তৎপর- সৌদি তরুণী রাহাফ তার একটি সামান্য উদাহরণ মাত্র। শত কোটি মুসলিম থেকে তারা নোবেল দেয়ার জন্য শুধু কেন কাদিয়ানী বিজ্ঞানী (মুসলিম নামধারী)-কেই খুঁজে পায়, অথবা বিশ্বব্যাপী তৃণমূল পর্যন্ত অভিশপ্ত সুদকে পৌঁছে দেয়ার কারিগরকেই শান্তির নোবেল দেয় এবং... তখন তাদের মতলব তো আর অস্পষ্ট থাকে না।
শত বাধা, ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও আল্লাহ তাআলার একমাত্র দ্বীন ইসলামের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। তা ঠেকানো কারো পক্ষেই সম্ভব হবে না। আমরা যারা এর অনুসারী তারা কতটুকু এতে অবদান রাখতে পারি তা হল দেখার বিষয়। দু-চারজন ধর্মচ্যুতকে শূকর ও গাঁজা খাইয়ে আর যাই অর্জন করা যাক, ইসলামের অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না- ইনশাআল্লাহ।