একজন ভদ্রলোক!
রাইয়ান ইবনে লুৎফর রহমান
গ্রীষ্মের দুপুর। প্রচণ্ড গরম। জুমার নামায পড়ে বাসায় ফিরছি। হঠাৎ দেখি, এক ভদ্রলোক একজন রিকশাওয়ালার সাথে চরম উত্তেজিত ভাষায় কথা বলছে। তার চোখ-মুখ থেকে যেন আগুন বের হচ্ছে। এক পর্যায়ে ভদ্রলোকটি রিকশাওয়ালার কলার চেপে ধরল এবং তার গালে ঠাস ঠাস করে দু’ টো চর বসিয়ে দিল। সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। হাত আর মুখ তার সমান তালে চলল। অথচ আশপাশের অনেক মানুষ ছিল। কেউ এগিয়ে এল না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল। যেন এটা কোনো ঘটনাই নয়, এতে কারোর কিছু আসে যায় না-এমন একটা ভাব নিয়েই সবাই নীরবে যার যার গন্তব্যে চলে গেল। পরে জানতে পারলাম, রিকশাচালক নাকি দু’টি টাকা বেশি চেয়েছিল। এই তার অপরাধ। অনেক কষ্টে নিজেকে সংযত রাখলাম। সবচেয়ে কষ্ট হল মানুষের নীরবতা দেখে। কোন সমাজে বাস করছি আমরা? এই সব ভদ্রলোকই তো প্রতি বছর পয়লা মে উদযাপন করে ঢাকঢোল পিটিয়ে। আর শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের দাবিতে বক্তৃতা দেয় গলা ফাটিয়ে। কত অমিল এই সব ভদ্র লোকদের কথা ও কাজে!