একটি জাহেলী কথা
নামায না পড়লে কী হয়েছে, ঈমান ঠিক আছে!
কোনো মুমিন নামায তরক করতে পারে না। নামায পরিত্যাগ করা কবীরা গুনাহ। কিছু মানুষ নিজের এ অন্যায় ঢাকতে একটি বাক্যের আশ্রয় নেয়- নামায না পড়লে কী হয়েছে, ঈমান ঠিক আছে!
এটি একটি জাহেলী বাক্য; শয়তানের বানানো বাক্য, যা দ্বারা সে মুমিনকে ধোঁকায় ফেলে রাখে। কোনো মুমিন এমন কথা বলতে পারে না। যার ঈমান ঠিক আছে সে কি নামায তরক করতে পারে?
ঈমানের প্রধান আলামতই তো হল নামায। নামাযই ঈমান-কুফরের পার্থক্যরেখা। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
بَيْنَ الرّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكُ الصّلَاةِ
ব্যক্তি ও শিরক-কুফরের মাঝের পার্থক্যরেখা হল, নামায। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮২
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা.-কে জিজ্ঞাসা করা হল-
مَا كَانَ يُفَرِّقُ بَيْنَ الْكُفْرِ وَالْإِيمَانِ عِنْدَكُمْ مِنَ الْأَعْمَالِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ؟ قَالَ: الصّلَاةُ.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে আপনাদের কাছে কোন্ জিনিস ঈমান ও কুফরের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী ছিল? তিনি বললেন, নামায। -শারহু উসূলি ই‘তিকাদি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামাআহ, বর্ণনা ১৫৩৮
সুতরাং আমরা নামাযের প্রতি যত্নবান হব; কখনো নামায পরিত্যাগ করব না এবং এজাতীয় শয়তানী ধোঁকার বাক্য মুখে আনব না।