আ ম রা হ ব তাঁ দে র ম তো : ইলমের জন্য কুরবানী
মুহাম্মাদ আওয়ামা
আবদুর রহমান ইবনে আবী হাতেম রাযী রাহ. (৩২৭ হি.)। বাবা আবু হাতেম রাযী রাহ. (২৭৭ হি.) এর মতো তিনিও ছিলেন হাদীস ‘ইলাল’ আর ‘জারহ-তা’দীলে’র ইমাম। হাদীসের রাবীদের ‘জারহ-তা’দীলে’র উপর নয় খণ্ডের সুবিশাল ‘আলজারহু ওয়াত তা’দীল’, দুই খণ্ডের ‘ইলালুল হাদীস’ আর দশেরও বেশি খণ্ডের কুরআনের তাফসীর তাঁর অমর রচনা।
এত বড় হওয়ার পেছনে ছিল তাঁর তালিবে ইলম-যিন্দেগীর অপরিসীম মেহনত-মুজাহাদা।
চলুন, তাঁর মুখেই শোনা যাক তাঁর জীবনের একটি কাহিনী।
তিনি বলেন, আমরা মিসরে ইলম অর্জনরত ছিলাম। একে একে সাতটি মাস চলে গেল। এক বেলাও রান্না করা কোনো খাবারের স্বাদ আমরা নিতে পারিনি। কারণ খাবার রান্না করার সময় আমাদের হত না। কারণ পুরো দিন ভাগ করা ছিল উস্তাদদের দরসের জন্য। আর সারা রাত কেটে যেত লেখা, নুসখা তৈরি ও নুসখার মুকারানা করার মাঝে।
একদিনের ঘটনা। আমি ও আমার এক বন্ধু এক শায়খের দরসে গেলাম। তিনি অসুস্থ ছিলেন।
তাই অবসর সময় পেয়ে ফিরে আসছি। বাজারে একটি মাছ দেখে আমাদের খুব পছন্দ হল। মাছটি কিনে আমরা বাড়িতে ফিরে এলাম। এদিকে অন্য উস্তাদদের দরসের সময় হয়ে গেল। মাছটি ঐভাবে রেখে আমরা দরসে চলে গেলাম।
এরপর তিন তিনটি দিন কেটে গেল। মাছটি রান্না করা হল না। ফলে তা বাসী হয়ে পঁচে যাওয়ার উপক্রম হল। বহুদিন পর যাওবা একটি মাছ কেনা হল সময়ের অভাবে তা-ও রান্না করা গেল না।
এই স্মৃতিকথা বর্ণনা করে তিনি (ইয়াহইয়া ইবনে আবী কাসীর রাহ.-এর ঐতিহাসিক কথাটি) বললেন, অর্থ : শরীরের রাহাতের সাথে ইলম পাওয়া যায় না।’
সূত্র : তাযকিরাতুল হুফফায ৩/৮৩০; সিয়ারু আলামিন নুবালা ১৩/২৬৬
অনুবাদ : ইবনে দানিশ