মুহাররম ১৪৪০   ||   অক্টোবর ২০১৮

‘দান করেছি লুকমানকে হিকমাহ...’ আল্লাহর মা‘রিফাত ও তাঁর গুণাবলীর পরিচয়

মাওলানা মুহাম্মাদ যাকারিয়া আব্দুল্লাহ

یٰبُنَیَّ اِنَّهَاۤ اِنْ تَكُ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ فَتَكُنْ فِیْ صَخْرَةٍ اَوْ فِی السَّمٰوٰتِ اَوْ فِی الْاَرْضِ یَاْتِ بِهَا اللهُ  اِنَّ اللهَ لَطِیْفٌ خَبِیْرٌ.

এটি সূরা লুকমানের ১৬ নম্বর আয়াত। এখান থেকে পুনরায় লুকমান হাকীম আ.-এর উপদেশগুলো বর্ণিত হয়েছে। তাঁর প্রথম উপদেশ ছিল তাওহীদ বিষয়ে, যা শিরকের ভয়াবহতা ও তা থেকে বেঁচে থাকার অপরিহার্যতার মধ্য দিয়ে বিবৃত হয়েছে। এরপর মা-বাবার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশের পাশাপাশি বলা হয়েছে যে, তাদের আদেশেও শিরকে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই। এতে শিরকের বর্জনীয়তা ও তাওহীদ অবলম্বনের অপরিহার্যতার আরো তাকীদ হয়েছে। এরপর উপরের আয়াতে আল্লাহ তাআলার সুগভীর ও সুবিস্তৃত ইলম ও কুদরত তথা জ্ঞান ও শক্তির বয়ান রয়েছে। মৌলিকভাবে এটিই এ আয়াতের বিষয়বস্তু। একারণে এই উপদেশের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে আল্লাহর মা‘রিফাত ও তাঁর গুণাবলীর পরিচয়।

یٰبُنَیَّ اِنَّهَاۤ اِنْ تَكُ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ فَتَكُنْ فِیْ صَخْرَةٍ اَوْ فِی السَّمٰوٰتِ اَوْ فِی الْاَرْضِ یَاْتِ بِهَا اللهُ،  اِنَّ اللهَ لَطِیْفٌ خَبِیْرٌ.

অর্থাৎ, প্রিয় পুত্র! শিরক থেকে বেঁচে তাওহীদের উপর থেকো! আর আল্লাহর নাফরমানী থেকে বেঁচে তাঁর ফরমাবরদারীর মধ্যে থেকো। কারণ আল্লাহ সব জানেন, সব বিষয়ে পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন। তোমার কর্ম, ভালো হোক বা মন্দ, যদি একটি সরিষার দানার সমপরিমাণও হয়, এরপর তা যদি থাকে কোনো পাথরের ভিতরে অথবা আসমানসমূহে অথবা ভূমিতে, সেটিও আল্লাহ উপস্থিত করবেন।

একটি সরিষার দানা কত ক্ষুদ্র! হাতে ভালো করে ধরাই যায় না, তালুতে নিলেও কোনো ওজন অনুভব হয় না, মাটিতে পড়ে থাকলে সাধারণত চোখে পড়ে না। কাজেই ক্ষুদ্রতার উপমা যদি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের কোনো চেনা বস্তু দ্বারা দিতে হয় এর দ্বারা দেওয়া  যায়। এরপর এরূপ ক্ষুদ্র একটি বস্তু যদি কোনো শক্ত ও নি-িদ্র কিছুর মধ্যে গায়েব থাকে, যেমন নি-িদ্র একটি পাথর, সরিষার দানাটি যদি এই পাথরের ভিতরে থাকে, তাহলে কে এর খোঁজ পাবে? কে তা দেখতে পাবে? এই ক্ষুদ্র বস্তুটি এই নি-িদ্র পাথরের মধ্যে লুক্কায়িত থাকলে মানুষের দৃষ্টি থেকে অন্তর্হিত হতে পারে, আল্লাহর দৃষ্টি থেকে নয়। ওখানেও সেটা আল্লাহর কাছে পরিষ্কার। অথবা মনে করুন, একটি সরিষার দানাকে যদি মহাশূন্যে ফেলে দেওয়া হয়, যে মহাশূন্যের বড় বড় নক্ষত্রকে আমরা পৃথিবী থেকে সরিষার দানার মত দেখি, তাহলে সরিষার দানাটাকে কী রকম দেখব? দেখতেই পাব না। খুঁজেই পাব না। সেটা আমাদের জ্ঞান ও কর্তৃত্বের সীমা থেকে বেরিয়ে গেলেও আল্লাহর জ্ঞান ও শক্তির বাইরে না। ওখানেও সেটা কোথায় কীভাবে আছে তা তাঁর কাছে স্পষ্টই থাকবে।

অথবা মনে করুন, একটি সরিষার দানা পড়ে আছে ভ‚মিতে কোথাও। ওটা খুঁজে পাওয়া সম্ভব? আমরা তো অসম্ভব কিছু খোঁজাকে বলি ‘খড়ের গাদায় সুঁই খোঁজা।’ নিঃসন্দেহে সুঁই সরিষার একটি দানার চেয়ে বড় আবার একটি খড়ের গাদাও এই বিস্তৃর্ণ ভ‚মি ও বিস্তৃত আকাশমণ্ডলীর থেকে অনেক ছোট! তো আল্লাহ তাআলা তাঁর সীমাহীন, বন্ধনহীন জ্ঞান ও কর্তৃত্বের উপমা দিয়ে বলেছেন একটি সরিষার দানা যদি  আমাদের দৃষ্টিতে সীমাহীন এই ভ‚মি বা আকাশমণ্ডলীর কোথাও পড়ে থাকে, কিংবা নি-িদ্র পাথরের ভিতরে লুক্কায়িত থাকে সেটাও আল্লাহর জ্ঞান-দৃষ্টির বাইরে নয়। তিনি জানেন, সেটা কোথায় কীভাবে আছে। সেটাও তাঁর কর্তৃত্বের বাইরে নয়। ইচ্ছা করলেই তা হাজির করতে পারেন।

আসলে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র এবং গোপন থেকে গোপন কোনো কিছুও আল্লাহ পাকের কাছে অস্পষ্ট নয়, তাঁর ইচ্ছা ও কর্তৃত্বের বাইরে নয়। আমাদের কাছে অস্পষ্ট হয় কেন? আমাদের জ্ঞান এবং ইন্দ্রিয়ের সীমাবদ্ধতার কারণে। আমাদের কত সীমাবদ্ধতা! আমরা চোখে দেখি বটে কিন্তু এই দেখাটার জন্য কত শর্ত! সামনে কোনো বাধা থাকতে পারবে না, সামনে কিছু থাকলে সেটার পিছনের কিছু আমরা দেখি না। আমরা যখন মসজিদে বসে থাকি তখন আমাদের ঘরে কী হচ্ছে, তা কি দেখি? দেখি না। আমাদের ঘরে কী কথাবার্তা হচ্ছে তা কি শুনি? শুনি না। অথচ আমাদের তো কান আছে, সেই কানে শ্রবণশক্তিও আছে। আমাদের চোখ আছে, সেই চোখে দৃষ্টিশক্তিও আছে। কিন্তু এসবের সাথে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতাও আছে। আমাদের শক্তি একটি নির্দিষ্ট সীমার ভিতরে কাজ করে। নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে কাজ করে। এসব কারণে আমাদের কাছে কিছু জিনিস স্পষ্ট ও প্রকাশ্য আর কিছু অস্পষ্ট ও অপ্রকাশ্য। আমাদের জ্ঞান ও অবগতির যে অবস্থা শক্তি ও কর্তৃত্বেরও একই অবস্থা। পক্ষান্তরে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জ্ঞানে কোনো বাধা নেই, শর্ত নেই। আল্লাহ তাআলার কাছে কোনো কিছুই অপ্রকাশিত নয়। এই বাধা-বন্ধনহীন উন্মুক্ত অসীম জ্ঞান ও কর্তৃত্বকে একটি উপমা দিয়ে বোঝানো হয়েছে।

আমরা যখন কয়েকজন মানুষ পাশাপাশি বসে থাকি তখনও কি একজন আরেকজনের মনের কথাটা শুনতে পাই? পাই না। হতে পারে, একজন দরসে তাফসীরে বসে এই কথাগুলো শুনছেন এবং চিন্তা করছেন, সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ পাকের জ্ঞান কত বিস্তৃত! আরেকজন হয়ত চিন্তা করছেন, অনেক সময় হয়ে গেছে, ক্ষুধাও পেয়ে গেছে! বাসায় যেন আজ কী পাক করেছে? যাই চিন্তা করুন, আমরা কিন্তু সেটা জানছি না! যদি জানতাম, তাহলে কি আমাদের উপায় ছিল? আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের ভালোর জন্যই এই পর্দা দিয়ে দিয়েছেন।

আল্লাহ পাক আমাদেরকে আমাদের প্রয়োজন পরিমাণ জ্ঞান দান করেছেন, যেন আমরা দুনিয়াতে চলতে পারি, দুনিয়ার কাজ করতে পারি এবং যেন আল্লাহর হুকুমকে বুঝতে পারি আর আখেরাতের প্রস্তুতি নিতে পারি । তো জ্ঞান আল্লাহ পাক আমাদেরকে দান করেছেন, কিন্তু এই জ্ঞানের মাঝে অনেক পর্দা দিয়ে দিয়েছেন।

একজন আরেকজনের মনের কথা জানি না, কিন্তু আল্লাহ জানেন। এই গোটা পৃথিবীর প্রতিটি অণু-পরমাণু সম্পর্কে আল্লাহ পাক জানেন, সব আল্লাহর সামনে প্রকাশিত। মানুষের সকল কর্ম ও চিন্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে প্রকাশিত।

তো লোকমান আ. তাঁর সন্তানকে বলছেন, কোনো কর্ম- সেটা ভালো হোক বা মন্দ- সেটা যদি সরিষার দানার মতোও ক্ষুদ্র হয় আর সেটা অতি সংগোপনে কিংবা অতি নিশ্ছিদ্র কোনো জায়গাতেও সম্পন্ন হয় যেখানে মানুষের অবগতি বা কর্তৃত্বের চিন্তাই করা যায় না, যেন এই ক্ষুদ্র সরিষার দানাটি মহাশূন্যে অথবা এই বিস্তীর্ণ ভ‚মির কোথাও পড়ে আছে কিংবা কোনো নিশ্ছিদ্র পাথরের ভিতরে সুরক্ষিত রয়েছে- এরকমও যদি হয় তবুও আল্লাহ পাক ঐ কর্মটা হাজির করবেন।

اِنَّ اللهَ لَطِیْفٌ خَبِیْرٌ.

কারণ আল্লাহ পাক ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র বিষয় এবং গোপন থেকে গোপন বিষয় সম্পর্কেও অবগত।

আমরা যে সমস্ত বিষয় জানি বলে মনে করি সেগুলোও কিন্তু পুরো জানি না অর্ধেক জানি, সিকি জানি। আপনি একজন মানুষকে ভালো মনে করছেন, অনেক দেখে শুনে, অনেক চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, লোকটা ভালো। এটা আপনার জ্ঞান। কিন্তু দেখা যাবে যে, ও-ই লোকটারও অনেক কিছু আপনার জানা নাই। তো আপনি যে এই লোকটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন, সেটা নিয়েছেন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, কিন্তু কে না জানে যে, মানবীয় অভিজ্ঞতার মাঝে অনেক ফাঁক-ফোঁকড় রয়েছে।

একজন মানুষ একটা কাজ করছে, আপনি দেখছেন কাজটা ভালো, আপনি সিদ্ধান্তে এলেন, এই লোকটা একটা ভালো কাজ করেছে, আপনি যা জানলেন তা কিন্তু অর্ধেক জানলেন। আপনি জানেন না যে, এই লোকটা কোন্ নিয়তে কাজটা করছে। নিয়তের কারণে তো কাজের মূল্য, কাজের মর্যাদা এমনকি কাজের রূপও পরিবর্তন হয়ে যায়।

কিন্তু আল্লাহ পাক সকল বিষয় পরিপূর্ণরূপে সম্যকভাবে জানেন। বান্দা যে কাজটা করে তা যেমন আল্লাহ পাক জানেন, কোন্ নিয়তে করে সেটাও আল্লাহ পাক জানেন। কিয়ামতের দিন তিনি সেটা হাজির করবেন।

কুরআন মাজীদের অন্য জায়গায় আছে-

فَمَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَیْرًا یَّرَهٗ،  وَ مَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا یَّرَهٗ.

যে এক কণা পরিমাণ ভালো কাজ করবে সে তা দেখতে পাবে। আর যে এক কণা পরিমাণ মন্দ কাজ করবে, সে তা দেখতে পাবে। -সূরা যিলযাল (৯৯) : ৭-৮

তাহলে আমাদের করণীয় কী? আমাদের করণীয় হচ্ছে, যথাসম্ভব ভালো কাজে থাকা। আর যথাসম্ভব মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা।

আমরা যে সুযোগ পেলে অন্যায় করি, মন্দ কাজে জড়িয়ে পড়ি, এটা কী জন্য করতে পারি? এটা ঈমান দুর্বল হওয়ার কারণে করতে পারি। আল্লাহ পাক আমাকে দেখছেন, আমার সবকিছু তাঁর সামনে আর আমাকে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে- এই বাস্তবতা আমাদের চেতনায় হাজির নেই। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইলম ও কুদরত সম্পর্কে আমাদের ঈমান মজবুত না। কিন্তু তাই বলে তো বাস্তবতা পরিবর্তিত হয়ে যায় না। আমাদের বিশ্বাস মজবুত হোক না হোক, বাস্তবতা তো এটাই যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সব দেখছেন, সব জানেন। তো বাবা তার সন্তানকে এই নসীহতটা করছেন।

আমরা যদি চিন্তা করি, তাহলে কুরআন মাজীদের এই শিক্ষা আজকের জন্যও প্রাসঙ্গিক। আমি যদি চাই আমার সন্তান ভালো হোক, সৎ হোক, সব রকমের অন্যায়-অনাচার থেকে বেঁচে থাকুক, তাহলে তাকে আল্লাহর পরিচয় জানাতে হবে। তাঁর সিফাত ও গুণাবলী সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। তার অন্তরে ঈমানের আলো জে¦লে দিতে হবে। ঈমান এমন আলো যখন তা জ্বলে ওঠে তখন অনাচার ও পাপাচারের অন্ধকার দূর হয়ে যায়। তখন মন্দ কাজ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়ে যায়।

মানুষ মনে করে, আমার পক্ষে হয়ত মন্দ কাজ থেকে বেঁচে থাকা অসম্ভব। ভিতর-বাহিরের এত প্ররোচনা হাতছানি- কীভাবে এসব উপেক্ষা করা যায়? কিন্তু আসলেই কি তাই? যদি পরিস্থিতি তৈরি হয়, যার ফলে কেউ বিশ্বাস করতে বাধ্য হয় যে, আমার সকল আচরণ রেকর্ড হচ্ছে, তাহলে শত প্ররোচনা ও প্রলোভন সত্তে¡ও মানুষ অন্যায় থেকে বেঁচে থাকে। বেঁচে থাকাটাই তখন স্বাভাবিক হয়ে যায়।

আজকাল বিভিন্ন অফিসে সিসি ক্যামেরার মনিটরিং থাকে। বস তার রুমে বসেই সব মনিটর করছেন। সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। কর্মচারীরা কে কোথায় কী কাজ করছে, তা স্ক্রীনে দেখা যাচ্ছে। তো যে পর্যন্ত কর্মচারীরা জানে যে, বস রুমে আছেন, তিনি দেখছেন কি না, সেটা নিশ্চিত হওয়ার তো সুযোগ নেই। সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তো তার রুমে গিয়ে দেখতে হবে, তিনি স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে আছেন, না অন্য কাজ করছেন। কিন্তু এরপরও যেহেতু দেখে ফেলার সম্ভাবনা আছে তাই এইটুকু জানা থাকলেই সবাই এলার্ট। কাজ করুক না করুক, টেবিলের দিকে তাকিয়ে থাকে। যেন ছবিটা এমন আসে যে, সে খুব  ধ্যানমগ্ন হয়ে কাজে মনোযোগী হয়ে বসে আছে। ঐ সময় গল্পসল্প, এদিক-সেদিক যাওয়া, সব বন্ধ হয়ে যায়। কারণ সে জানে তাকে হয়তো মনিটরিং করা হচ্ছে।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বাবস্থায় মানুষের সবকিছু দেখছেন। এই বাস্তবতার বিশ্বাস যখন কারো অন্তরে বসে যায় তার জন্য মন্দ কাজের দিকে যাওয়া কঠিন হয়। হাঁ, মন্দকাজ সে করে ফেলতে পারে ঐ সময় যখন ঐ বিশ্বাস তার চেতনায় অনুপস্থিত। এরকম অবস্থায় ভুল-ত্রুটি হয়ে যেতে পারে, গুনাহ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় তার পক্ষে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়।

এজন্য একজন দায়িত্বশীল বাবার প্রথম কর্তব্য, সন্তানের  অন্তরে ঈমানের বীজ বপন করা। তাকে আল্লাহ তাআলার সিফাত ও গুণাবলির সাথে পরিচিত করা। তাঁর ইলম ও কুদরতের স্বরূপ তার সামনে উদ্ভাসিত করে তোলা। তাহলে ইনশাআল্লাহ আমাদের সন্তানরাও সুসন্তান হবে। সৎ মানুষ হবে।

 (চলবে ইনশাআল্লাহ)

 

 

advertisement