দুআর ভুবন
আযানের জবাব
ঘুম থেকে ওঠার পর যখন তুমি ফজরের আযান শুনবে, অথবা যে কোনো সময় মুআজ্জিনকে আযান দিতে শুনবে তখন তুমি কী বলবে জান? তখন তুমি মুআজ্জিন যা বলবে সাথে সাথে তাই বলবে- মুআজ্জিন اَللهُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ বললে তুমিও اَللهُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ বলবে। মুআজ্জিন যখন বলবে- أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلهَ إِلاّ اللهُ তুমিও বলবে- أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلهَ إِلاّ اللهُ । এভাবে মুআজ্জিন যা বলবে তুমিও তাই বলবে। তবে حَيّ عَلَى الصّلَاةِ ও حَيّ عَلَى الْفَلَاحِ -এর সময় বলবে- لَا حَوْلَ وَلَا قُوّةَ إِلّا بِاللهِ ।
এতে কী লাভ জান? মুআজ্জিনের সাথে সাথে যে ব্যক্তি অন্তর থেকে আযানের জবাব দেবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫২৭
আযান শেষে দরূদ ও দুআ
আযান শুনেছ, আযানের জওয়াবও দিয়েছ এবং অনেক সওয়াবের অধিকারী হয়েছ। এবার আযান শেষ হওয়ার পর প্রথমে নবীজীর উপর দরূদ পড়বে। দরূদ শরীফ তো তোমার মুখস্থই আছে। নামাযে তুমি যে দরূদ পড় সেই দরূদ পড়বে অথবা অন্য যে কোনো দরূদ। তারপর এই দুআ পড়বে-
اللّهُمّ رَبّ هَذِهِ الدّعْوَةِ التّامّةِ، وَالصّلاَةِ القَائِمَةِ آتِ مُحَمّدًا الوَسِيلَةَ وَالفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الّذِي وَعَدْتَهُ، إِنّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ.
অর্থ : হে আল্লাহ, এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত নামাযের প্রভু। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ওয়াসীলা এবং ফযিলত তথা উচ্চতম মর্যাদা দান করো। আর তাঁকে মাকামে মাহমুদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌঁছিয়ে দাও, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছ। (নিশ্চয় তুমি ওয়াদার ব্যতিক্রম কর না।)
এ দুআটি পড়লে কী লাভ জান? তুমি যদি আযানের পর এ দুআটি পড় তাহলে কিয়ামতের দিন নবীজীর শাফাআত ও সুপারিশ পাবে, যেদিন সকলেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শাফাআত ও সুপারিশ প্রত্যাশা করবে। আর নবীজী যার ব্যাপারে সুপারিশ করবেন সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫২৩; সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস ১৯৩৩
সুতরাং তুমি অবশ্যই আযানের পর প্রথমে দরূদ শরীফ পড়বে তারপর এই দুআটি পড়বে। যাতে নবীজীর সুপারিশ লাভ করতে পার এবং জান্নাতে যেতে পার।