জুতা খুলতে তিন সেকেন্ড
জামাত দাঁড়িয়ে গেছে। ইকামত হচ্ছে। মসজিদ মুসল্লিতে ভরপুর। সকলে জুতা খুলে মসজিদের বড় সিঁড়ির চারপাশে রেখেছে। সফওয়ান দৌড়ে মসজিদে প্রবেশ করল। জুতা খোলার সময় একটি জুতা খুলল বাংলাদেশে, আরেকটি ভারতে। তাও আবার অন্যদের জুতার উপর। তার জুতার কারণে আরো চার পাঁচ জোড়া জুতা এলোমেলো হয়ে গেল এবং কাদা লেগে গেল। কাজটি কেমন হল?
আমার জুতা যদি অন্য কেউ জুতা দিয়ে মাড়ায় কিংবা কাদা লাগিয়ে দেয় তা কি আমার ভালো লাগবে? অথবা আমার সাজানো জুতা যদি কেউ এলোমেলো করে দেয়?
আচ্ছা, আমরা সাধারণত কয় সেকেন্ডে জুতা খুলি? এক সেকেন্ডে। অধিকাংশ সময় বেখেয়ালে একটু তাড়াহুড়ো করে খুলি। তাতে দেখা যায় আমার কারণে অন্যের সাজানো জুতা এলোমেলো হয়ে যায় বা অন্তত আমার জুতা এলোমেলো থাকে। দেখতে বড় বাজে লাগে।
আমরা যদি আর দুই সেকেন্ড সময় নিয়ে একটু খেয়াল করে তিন সেকেন্ডে জুতা খুলি- অর্থাৎ একটু খেয়াল করে খুলি তাহলে দেখা যাবে আমার জুতাও সুন্দর সাজিয়ে খুলতে পারি এবং আমার কারণে অন্যের জুতাও এলোমেলো হয় না। সব কথার মূল কথা হল, জুতা খোলা ও পরার সময় একটু খেয়াল করা; দুই সেকেন্ডের খেয়াল।
সারা দিনে যদি ত্রিশ বার জুতা খুলি তাহলে দুই সেকেন্ড করে বেশি হলে পুরো দিনে হয় এক মিনিট। তো মাত্র এক মিনিট সময় দেয়াতে বা বলতে পারি দুই সেকেন্ডের খেয়ালে কত সুন্দর একটি কাজ হয়ে গেল; নিজের জন্য ও সুন্দর পরিবেশের জন্য।
তো জুতা খুলতে তাড়াহুড়ো নয়, একটু খেয়াল করে খুলব। নিজের জুতা সোজা করে সাজিয়ে খুলব। অন্যেরটা এলোমেলো হয়ে গেলে ঠিক করে দিব। সারিবদ্ধভাবে খুলব; এক জোড়ার পাশে আরেক জোড়া। এক সারির পিছনে আরেক সারি। প্রতি দুই জোড়া জুতার মাঝে একটু ফাঁক রাখব, যাতে জুতা পরিধানের সময় অন্যের জুতা এলোমেলো না হয়। এবং সাবার আগে সুন্নতের প্রতি খেয়াল রাখব- জুতা পরার সময় ডান পা আগে। খোলার সময় বাম পা আগে। আল্লাহ তাওফীক দান করুন- আমীন।