ইরাকে ভয়াবহ জেনেটিক বিপর্যয়ঃ ধ্বংস হোক এই দানব-সভ্যতা
ইঙ্গ-মার্কিন সভ্যতায় মানবতার কোনো সন্তান নেই। বস'বাদে এর সূচনা, পাশবিকতায় সমাপ্তি। শোষণ, নিপীড়ন, কপটতা ও মিথ্যাচার হল এর নানা অঙ্গের ভূষণ। এই সভ্যতা-জননীর মানস-সন্তানেরাই আজ গোটা পৃথিবীকে নরক বানিয়ে ছেড়েছে। সন্দেহ নেই, গোটা মানবজাতির জন্য এই সভ্যতা এক অভিশাপ।
গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের নামে পৃথিবীর বিভিন্ন জনপদে যে ভয়াবহ আগ্রাসন চলছে, এককথায় তা নজিরবিহীন। ইরাক ও আফগানিস্তানে ইঙ্গ-মার্কিন বর্বরতার চিহ্ন এখনো দগদগে। প্রতিনিয়ত তা থেকে রক্ত ঝরছে।
আজ এই সত্য দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, একটি নির্জলা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ইসলামী সভ্যতার প্রাচীন লীলাভূমি ইরাককে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা হয়েছে। গণতন্ত্র ও মানবতার প্রবক্তারাই লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে এবং অসংখ্য নারী ও শিশুর উপর পঙ্গুত্বের অভিশাপ চাপিয়ে দিয়েছে। সমপ্রতি ইরাকে দেখা দিয়েছে মারাত্মক জেনেটিক বিকৃতি। জন্ম নিচ্ছে অসংখ্য বিকলাঙ্গ ও প্রতিবন্ধী শিশু। আগামী পঁচিশ বছর পর্যন্ত এই অবস্থা বিদ্যমান থাকবে বলে ইরাকী চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
আমাদের বিশ্বাস, এই সভ্যতার আয়ু ফুরিয়ে এসেছে। ইঙ্গ-মার্কিন দানব-শক্তি ও তার দোসররা বিভিন্ন মুসলিম জনপদে যে বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে-এর পরিণাম তাদেরকে ভুগতে হবে, লক্ষ কোটি মানব-সন্তানকে তারা যে নরক-যন্ত্রণার মুখোমুখী করেছে-এর প্রায়শ্চিত্যও তাদেরকে করে যেতে হবে। আজ শুধু ফররুখের ক্ষমাহীন কণ্ঠে বলতে ইচ্ছে করে-
হে জড়-সভ্যতা!/মৃত সভ্যতার দাস/স্ফীতমেদ শোষকসমাজ!/মানুষের অভিশাপ নিয়ে যাও আজ;/তারপর আসিলে সময়/বিশ্বময়/ তোমার শৃঙ্খলগত মাংসপিণ্ডে পদাঘাত হানি/নিয়ে যাব জাহান্নাম-দ্বার-প্রান্তে টানি/ আজ এই উৎপীড়িত মৃত্যু-দীর্ণ নিখিলের অভিশাপ বও/ধ্বংস হও/তুমি ধ্বংস হও।