ঈমানের পূর্ণতার জন্যে চাই পূর্ণ সমর্পণ
পবিত্র কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা গুণবাচক কত নামেই তো নিজের পরিচয় দিয়েছেন। কোথাও রহমান, কোথাও রহীম, কোথাও গফফার, কোথাও কহহার, কোথাও আযীযুন হাকীম, কোথাওবা গফূরুন হালীম। অধিক পরিমাণে যে নামগুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেসবের মাঝে ‘আযীযুন হাকীম’ অন্যতম। অর্থ- তিনি পরাক্রমশালী, তাঁকে পরাস্ত করার মতো কেউ নেই এবং তিনি হেকমতওয়ালা, প্রজ্ঞাবান, তাঁর কোনো কাজ কোনো সিদ্ধান্তই হেকমতবিহীন নয়।
বিচিত্র এ পৃথিবীতে আমরা বিচিত্র কত কিছু দেখি! প্রতিদিন কত বিচিত্র বিষয়ের মুখোমুখি হই! এর সবই আল্লাহ তাআলার হেকমত ও প্রজ্ঞার অধীন। আমাদের স্থূল জ্ঞানে আমরা এসবের খুব সামান্যই তৎক্ষণাৎ বুঝে উঠতে পারি। হেকমত কখনো বুঝে আসে কোনো কিছু ঘটে যাওয়ার কিছু সময় পরে, কখনো বা অনেক সময় পরে। কাক্সিক্ষত কোনো বিষয় যখন ঘটে, তখন আমাদের খুশির সীমা থাকে না। এর রহস্য ও যৌক্তিকতা বুঝতেও কোনো সমস্যা হয় না। সংকট হয় তখনই, যখন অনাকাক্সিক্ষত কোনো কিছু ঘটে। কিন্তু অনেক সময় পরে হলেও, যখন সেই অনাকাক্সিক্ষত বিষয়টির কোনো কল্যাণময় দিক পরিস্ফূট হয় তখন মুমিন বান্দা অবচেতনভাবেই উচ্চারণ করে- আল্লাহর মেহেরবানি, আল্লাহ যা করেন ভালোই করেন! এমনটি আমাদের সবার জীবনেই হয়তো কমবেশি ঘটে থাকবে। কুরআনে কারীমের বাণী কত স্বচ্ছ ও আলোকময়, দেখুন-
عَسٰۤی اَنْ تَكْرَهُوْا شَیْـٔا وَّ هُوَ خَیْرٌ لَّكُمْ وَ عَسٰۤی اَنْ تُحِبُّوْا شَیْـٔا وَّ هُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَ اللهُ یَعْلَمُ وَ اَنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ .
তোমরা যা অপছন্দ কর হতে পারে তা তোমাদের জন্যে কল্যাণকর এবং যা তোমরা ভালোবাস সম্ভবত তা তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। আল্লাহ জানেন আর তোমরা জান না। -সূরা বাকারা (২) : ২১৬
মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে কত বিধান আসে। কত ফয়সালায় তো হয়। তিনি যা চান তাই হয়। তাঁর সিদ্ধান্ত প্রতিহত করার মতোও কেউ নেই। আবার তিনি না চাইলে কোনো কিছু বাস্তবায়নের সাধ্যও কারও নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচাত ভাই প্রিয় সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.। স্নেহের ভাইকে স্নেহের সুরে তিনি একদিন বললেন-
إِذَا سَأَلْتَ فَاسْأَلِ اللَّهَ ، وَإِذَا اسْتَعَنْتَ فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ، وَاعْلَمْ أَنَّ الأُمَّةَ لَوْ اجْتَمَعَتْ عَلَى أَنْ يَنْفَعُوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَنْفَعُوكَ إِلاَّ بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ لَكَ، وَلَوْ اجْتَمَعُوا عَلَى أَنْ يَضُرُّوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَضُرُّوكَ إِلاَّ بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَيْكَ.
কিছু চাইতে হলে আল্লাহর কাছেই চাও, সাহায্য চাইলে আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাও। জেনে রেখো, পুরো উম্মত যদি তোমাকে কোনো উপকার করতে সংঘবদ্ধ হয়, তবুও তারা শুধু ততটুকুই করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্যে লিখে রেখেছেন। আর তারা যদি তোমার কোনো ক্ষতি করতে একজোট হয়, তখনো তারা ততটুকুই ক্ষতি করতে পারবে, তোমার যতটুকু ক্ষতি তিনি ফয়সালা করে রেখেছেন। -জামে তিরমিযী, হাদীস ২৫১৬
আল্লাহ পাক তো নিজেই বলেছেন :
وَ اِنْ یَّمْسَسْكَ اللهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهٗۤ اِلَّا هُوَ وَ اِنْ یُّرِدْكَ بِخَیْرٍ فَلَا رَآدَّ لِفَضْلِهٖ ...
এবং আল্লাহ তোমাকে ক্লেশ দিলে তিনি ব্যতীত তা মোচনকারী আর কেউ নেই। এবং তিনি যদি তোমার মঙ্গল চান তাহলে তাঁর অনুগ্রহ রদ করারও কেউ নেই। আপন বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি মঙ্গল দান করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। -সূরা ইউনুস (১০) : ১০৭
পানির মতো সরল বক্তব্য। আল্লাহ চাইলেই হয়, না চাইলে হয় না। যা কিছু হয় তাঁর সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই হয়। যা কিছু হয় না তাঁর সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই হয় না। কিন্তু ওই যে বলে এলাম- তিনি হাকীম, তিনি প্রজ্ঞাবান, তাই আপাত দৃষ্টিতে তাঁর কোনো ফয়সালার রহস্য আমাদের বুঝে না এলেও আমাদের প্রকৃত কল্যাণ তাতেই নিহিত। মনে-প্রাণে এ বিশ্বাস ধারণ করতে হবে, এ বিশ্বাসকেই লালন করে যেতে হবে। আল্লাহ পাকের ফয়সালার সামনে নিজের সবটুকু সমর্পণ করে দিতে হবে।
ইতিহাসের পাতা থেকে একটি উদ্ধৃতি দিই। ষষ্ঠ হিজরিতে অর্থাৎ মক্কা থেকে হিজরতের ছয় বছর পর, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে সাহাবীগণকে সঙ্গে নিয়ে মক্কার দিকে রওয়ানা হলেন। কিন্তু মক্কার কাছাকাছি হুদায়বিয়া নামক স্থানে কাফেররা এসে তাদের আটকে দেয়। তখন অল্প সময়ের ব্যবধানে কত কিছু ঘটে গেল! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত উসমান রা-কে দূত হিসেবে মক্কায় পাঠালেন। মককার কুরাইশ কাফেররা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সঙ্গীগণকে ওমরা পালনের সুযোগ দিতে নারাজ। এদিকে কীভাবে যেন খবর ছড়িয়ে পড়ল- হযরত উসমান রা.-কে হত্যা করা হয়েছে। এ সংবাদ শুনে দূত হত্যার বদলা নিতে পূর্ণ উজ্জীবিত মুসলিম শিবির। হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে হাত দিয়ে সকলে বাইয়াত গ্রহণ করলেন। দুদিকেই চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মক্কার কুরাইশদের পাঠানো প্রতিনিধির সঙ্গে সন্ধি করলেন হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বাহ্যত এটাকে তো আর দুই পক্ষের সন্ধিচুক্তি বলা যায় না, একে বলা যায়- কাফেররা মুসলমানদের ওপর একটি সন্ধিনামা চাপিয়ে দিয়েছে! বাহ্যত অনেকটা নীচু হয়েই সন্ধির সব শর্ত মেনে নিলেন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বিষয়টি সাহাবীগণের অনেকেই মেনে নিতে পারছিলেন না। হযরত উমর রা. তো বলেই বসলেন- ‘আপনি কি সত্য নবী নন? আমরা কি সত্যের অনুসারী নই? আমাদের শত্রুরা কি ভুলের অনুসারী নয়? তাই যদি হয়, তাহলে কেন আমরা আমাদের দ্বীনের বিষয়ে এতটা নীচতাকে মেনে নিচ্ছি?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : হাঁ, আমি অবশ্যই আল্লাহর রাসূল, আমি তাঁর অবাধ্য হতে পারি না, তিনি আমাকে সাহায্য করবেন। হযরত উমর বললেন, আপনি কি আমাদের বলেননি, আমরা কাবাঘরে যাব, আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করব? হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন : হাঁ, আমি তো তা বলেছি, তবে আমি কি একথা বলেছি যে, তুমি এ বছরই সেখানে যাবে? হযরত উমর বললেন, না। হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাই যদি হয়, তাহলে তুমি অবশ্যই সেখানে যাবে এবং সে ঘর তাওয়াফ করবে।...
ঘটনার বিবরণ অনেক দীর্ঘ। সন্ধি করে ফিরে যাওয়ার সময় আল্লাহ তায়ালা ওহি নাযিল করলেন-
اِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُّبِیْنًا
অর্থাৎ নিশ্চয়ই আমি তোমাকে দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয়। -সূরা ফাত্হ (৪৮) : ১
কোনো কোনো সাহাবী তখন অবাক হয়েছিলেন- নীচু হয়ে এভাবে সন্ধি করে ফেরাকেও কি বিজয় বলা যায়! বাহ্যত এটা পরাজয় ছাড়া আর কী! গিয়েছিলেন ওমরা পালনের পবিত্র উদ্দেশ্যে। অথচ শত্রুদের বাধায় ওমরা না করে সন্ধি করে ফিরে আসলেন। সন্ধিতেও ছিল খোলা চোখের দেখায় কিছু অবমাননাকর শর্ত। আর এটাকেই বলা হচ্ছে বিজয়! কিন্তু এ সন্ধির সুযোগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্বিঘ্নে দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার সুযোগ পান বিভিন্ন রাজা-বাদশাহের দরবারে। অবশেষে মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে সেই মক্কা বিজয়! জ্ঞানঘনিষ্ঠ বিখ্যাত সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. তাই বলেছেন, তোমরা তো মক্কা বিজয়কেই বিজয় মনে করে থাক, আর আমরা হুদায়বিয়ার সন্ধিকেই বিজয় মনে করি। (তাফসীরে ইবনে কাসীর, সূরা ফাতহের তাফসীর দ্রষ্টব্য)
সোজা কথা, এ জীবনে আমরা যত কিছুর মুখোমুখি হই না কেন, তা আমাদের কাক্সিক্ষত ও প্রত্যাশিত হোক আর অনাকাক্সিক্ষত হোক, মেনে নিতে হবে- আমার জন্যে এটাই আমার দয়াময় প্রভুর ফয়সালা।
দুনিয়াতে চলতে গিয়ে আমরা নানান ধরনের বিপদের শিকার হতে পারি। ধনসম্পদ বাড়িঘর সন্তান-সন্ততি পরিবার-পরিজন এমনকি নিজের শরীরটিও দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হতে পারে। বিপদে পড়লে যে সবর করতে হয়, আল্লাহ তাআলার ফয়সালার সামনে নিজেকে পূর্ণরূপে সঁপে দিতে পারলে সেই সবরের পথটিই সুগম হয়। আবার এমনও হতে পারে, অর্থকড়ির জন্যে কিংবা পার্থিব অন্য যে কোনো বিষয়ের জন্যে অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারছি না, অথবা কাক্সিক্ষত লক্ষ্য স্পর্শ করতে পারছি না, তখনো এটাই সান্ত্বনা- আমার জন্যে এটাই আল্লাহ তাআলার ফয়সালা। আর এ তো শুধু সান্ত¡না নয়, এ সংকটের সমাধানও এতেই নিহিত।
এর বিপরীতে কেউ যদি নিজেকে আল্লাহর ফয়সালার সামনে সঁপে দিতে না পারে, তাহলে হয়তো সে আক্ষেপ করে মনোকষ্টে ভুগতে থাকবে। এমনকি একপর্যায়ে -নাউযুবিল্লাহ- সে পরম দয়াময় প্রভুর নামে অভিযোগও করে বসতে পারে- ‘আল্লাহ কি শুধু আমাকেই দেখেন’ জাতীয় কথাবার্তা বলে। এভাবে সে নেমে যেতে থাকে অন্ধকার থেকে গভীর অন্ধকারে। সঙ্গে ঈমান হারানোর শঙ্কা তো রয়েছেই। এ শঙ্কা যদি সত্য হয় তাহলে তো দুনিয়া-আখেরাত সবই গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্পষ্ট বাণী-
مِنْ سَعَادَةِ ابْنِ آدَمَ رِضَاهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ، وَمِنْ شَقَاوَةِ ابْنِ آدَمَ تَرْكُهُ اسْتِخَارَةَ اللهِ، وَمِنْ شَقَاوَةِ ابْنِ آدَمَ سَخَطُهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ.
আদম সন্তানের একটি সৌভাগ্যের দিক হল, আল্লাহ তার জন্যে যে ফয়সালা করেন সে তাতেই সন্তুষ্ট থাকবে। আর আদম সন্তানের দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, সে আল্লাহর কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করা ছেড়ে দেবে। তার দুর্ভাগ্যের আরেকটি দিক, আল্লাহ তার জন্যে যে ফয়সালা করেন, সে তাতে অসন্তুষ্ট হয়। -জামে তিরমিযী, হাদীস ২১৫১
ওহীর ফয়সালা- আল্লাহ পাকের ফয়সালা মেনে নেয়ার মধ্যে আদম সন্তানের সৌভাগ্য নিহিত, আর সে ফয়সালায় অসন্তুষ্ট হওয়ার মাঝে রয়েছে তার দুর্ভাগ্য। কিন্তু তাই বলে কি চেষ্টা-তদবির কিংবা রাহমানুর রাহীমের দরবারে নিজের কল্যাণ প্রার্থনাও ছেড়ে দিতে হবে? না, বরং মনে রাখতে হবে, চেষ্টা-তদবির ছেড়ে দেয়ার নাম আল্লাহর সামনে নিজেকে সমর্পণ করা নয়। দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের জন্যে সাধ্য মতো যতটুকু চেষ্টা করা যায় সবটুকুই করতে হবে। চেষ্টা যেন সফল হয় সেজন্যে আল্লাহ তাআলার দরবারে দুআ-মুনাজাতেও মগ্ন হতে হবে। নিজের সাধ্যটুকু বিলিয়ে দেয়ার পর নিজেকে সঁপে দিতে হবে আল্লাহর ফয়সালার সামনে- আমার যেটুকু করার আমি করেছি, এবার আল্লাহ যে ফয়সালা করেন আমি তাতেই খুশি। মুমিনের বিষয় তো এমন-
وَ مَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَّ لَا مُؤْمِنَةٍ اِذَا قَضَی اللهُ وَ رَسُوْلُهٗۤ اَمْرًا اَنْ یَّكُوْنَ لَهُمُ الْخِیَرَةُ مِنْ اَمْرِهِمْ.
আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলে কোনো মুমিন পুরুষ কিংবা কোনো মুমিন নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্তের অবকাশ থাকে না। -সূরা আহযাব (৩৩) : ৩৬
সবশেষে একটি প্রশ্ন-অনাকাক্সিক্ষত কিছু যখন ঘটে যায় তখন তো মন ব্যথিত হয়। অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এগুলো কি সমর্পণের পরিপন্থী? না, কোথাও কোনো কষ্ট পেলে, শরীর-মন-অর্থসম্পদ-পরিবারপরিজন বিপদাক্রান্ত হলে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রিয়জনের বিরহে মন ব্যথিত হবে এটাই স্বাভাবিক। এ স্বাভাবিকতাকে ইসলাম অস্বীকার করে না। কিন্তু মানবিক এ অস্থিরতার স্বাভাবিকতার ভেতর দিয়েও আল্লাহ পাকের ফয়সালাকে মেনে নিতে হবে কল্যাণময় বিশ্বাসের সঙ্গে। সবরের সঙ্গে এ কল্যাণের বিশ্বাস আর পূর্ণরূপে নিজেকে সমর্পণ ছাড়া যে ঈমানই পূর্ণতা পায় না!