‘কাপড় তো ঠিক নেই’!
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক জ্যোতির্ময় বাণী-
الطُّهُورُ شَطْرُ الْإِيمَانِ
‘পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক।’ বাক্যটি এক দীর্ঘ হাদীসের প্রথম অংশ, যা তাহারাত ও পবিত্রতার গুরুত্ব বর্ণনা করছে।[1]
ইসলামী জীবন দর্শনে ‘পবিত্রতা’র রয়েছে অতি বিস্তৃত অর্থ। অর্থাৎ বাহ্যিক ও দৈহিক পবিত্রতা, আভ্যন্তরীণ ও অন্তকরণের পবিত্রতা এবং স্বভাব ও চারিত্রিক পবিত্রতা ইত্যাদি। তবে এ হাদীসে বাহ্যিক ও দৈহিক পবিত্রতাই মুখ্য। হাদীসের ভাষ্যকারগণ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই আলোকিত বাক্যের বিস্তৃত ব্যাখ্যা করেছেন এবং এর বিভিন্ন দিক ও সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন। একটি ব্যাখ্যা এই- ঈমানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত সালাত। এটি মুমিনের কাছে ঈমানের বড় দাবি এবং এরই মাধ্যমে সাব্যস্ত হয় মুমিনের ঈমানী পরিচয়। ঈমান ও সালাতের এই মেল-বন্ধনের কারণে কুরআনে কারীমে সালাতকে সরাসরি ‘ঈমান’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। সূরা বাকারার ১৪৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
وَ مَا كَانَ اللهُ لِیُضِیْعَ اِیْمَانَكُمْ
‘আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান ব্যর্থ করেন।’ এ আয়াতের প্রেক্ষাপট ‘সালাত’। অনেকেরই জানা আছে, ইসলামে কিছুকাল বাইতুল মাকদিস অভিমুখী হয়ে সালাত আদায়ের বিধান ছিল। অর্থাৎ ঐ সময় বাইতুল মাকদিস ছিল মুসলমানের কিবলা। এরপর আল্লাহর পক্ষ হতে কা‘বার দিকে মুখ ফেরানোর বিধান এল। তখন কা‘বা হল মুসলমানের কিবলা। আল্লাহর আদেশ অনুসারে যখন বাইতুল মাকদিস কিবলা ছিল তখন মুসলিমগণ বাইতুল মাকদিসের দিকে ফিরে আর যখন কা‘বা কিবলা হল তখন কাবার দিকে ফিরে সালাত আদায় করেছেন। আল্লাহর আদেশ পালনে তাঁদের কোনো প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু ইহুদীদের একটি শ্রেণি, যারা ধর্মে ও ধর্মের নানা অনুষঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা আরোপ করেছিল এবং আল্লাহর বিধানকে আল্লাহর বিধানরূপে বিবেচনা করার পরিবর্তে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়নে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল তাদের জন্য এই কিবলা-পরিবর্তনের বিধান মেনে নেয়া শক্ত হয়ে দাঁড়াল। ওদের মূল্যায়ন ছিল, বাইতুল মাকদিস ‘আমাদের’ আর কা‘বা ‘ওদের’। এক্ষেত্রে ‘আমাদের’-‘ওদের’-এর বিভাজনই হচ্ছে ঐ সাম্প্রদায়িকতা। কারণে তারা ধর্মের মর্মবাণী- আল্লাহর বিধান শিরোধার্য করার শিক্ষাই বিস্মৃত হয়েছিল। আল্লাহ তাআলা ওদের সাম্প্রদায়িকতার জবাব দিতে বলেছেন এভাবে-
قُلْ لِّلهِ الْمَشْرِقُ وَ الْمَغْرِبُ
‘বল, আল্লাহরই তো মাশরিক ও মাগরিব।’ -সূরা বাকারা (২) : ১৪২
সুতরাং বাইতুল মাকদিসও আল্লাহর, কা‘বাও আল্লাহর। তিনি যার দিকে মুখ ফেরাবার আদেশ করবেন সেটাই কিবলা।
যাইহোক, সাম্প্রদায়িক ইহুদীরা সহজ-সরল মুসলিমদের বিরক্ত করতে লাগল, এবং বলতে লাগল, কেন তোমরা কেবলা বদল করলে? কা‘বাই যদি কিবলা হয়ে থাকে তাহলে এতদিন যে বাইতুল মাকদিসের দিকে ফিরে নামায পড়লে! তোমাদের কতজন তো কিবলা বদলের আগেই মারা গেল। ওদের নামাযের কী হবে? ওরা তো আসল কিবলা পেলই না?!
ইহুদীদের কূট-প্রশ্নের জবাবে কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-
وَ مَا كَانَ اللهُ لِیُضِیْعَ اِیْمَانَكُمْ
(অর্থাৎ ওহে ঈমানদার! যারা আমার আদেশ মেনে বাইতুল মাকদিস অভিমুখী হয়ে নামায পড়েছে তাদের এই নামায তো ঈমান। আর আমি কি এমন যে, তোমাদের ঈমান ব্যর্থ করে দিব? কক্ষনো না।) আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান ব্যর্থ করেন।
পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, গোটা বিষয়টিই সালাতকে কেন্দ্র করে। আর সালাতকেই এখানে ঈমান বলে অভিহিত করা হয়েছে।
তো সালাত যদি ঈমান হয় এই ঈমানের অর্ধেকই কি পবিত্রতা নয়? শরীরের, কাপড়ের ও স্থানের পবিত্রতা তো সালাতের অপরিহার্য শর্ত। কাজেই বলা যায়, সালাতরূপ ঈমানের অর্ধেক হচ্ছে পবিত্রতা।
অন্যভাবে বললে, পবিত্রতা ছাড়া সালাত হয় না। আর সালাত ছাড়া ঈমান হয় না। সেটা কেমন ঈমান যে ঈমানের সাথে সালাত নেই? এদিক থেকে ঈমানের অর্ধেক হচ্ছে পবিত্রতা আর অর্ধেক সালাত।
চিন্তা করুন, ইসলামে পবিত্রতা কী অপরিহার্য ব্যাপার। পবিত্রতার এই মহিমা ইসলামেরই বৈশিষ্ট্য। সুতরাং এ বিষয়ে অবহেলা যে হবে অতি গুরুতর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমসহ হাদীসের বিখ্যাত গ্রন্থগুলোতে একটি হাদীস বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনার একটি বাগান থেকে বের হয়ে (দুটি কবরের কাছ দিয়ে অতিক্রমকালে) দু’জন মানুষের আওয়াজ শুনতে পেলেন, যাদের কবরে আযাব হচ্ছিল। তিনি বললেন-
يُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، وَإِنَّهُ لَكَبِيرٌ، كَانَ أَحَدُهُمَا لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ البَوْلِ، وَكَانَ الآخَرُ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ.
দুজনের আযাব হচ্ছে। তবে সে আযাব কঠিন কোনো কারণে হচ্ছে না। (অর্থাৎ যা থেকে বিরত থাকা ওদের জন্য কঠিন ছিল) তবে নিশ্চয়ই তা গুরুতর। এদের একজন পেশাব থেকে বাঁচত না। অন্যজন চোগলখোরি করে বেড়াত।... -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬০৫৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১১
অর্থাৎ একজনের আযাব হচ্ছে পেশাব থেকে শরীর ও কাপড় পাকসাফ না রাখার কারণে আর অপরজনের আযাব হচ্ছে চোগলখোরির কারণে। চোগলখোরি মানে একজনের কথা আরেকজনের কাছে লাগানো, যার ফলে মনোমালিন্য ও বিবাদ-বিসংবাদের সৃষ্টি হয়। তাহলে এ দুটি বিষয় কবর-আযাবের কারণ। সুতরাং তা গুরুতর।
পরিণাম ও আখেরাতের শাস্তির দিক থেকে যেমন পার্থিব ক্ষতি ও অনিষ্টের দিক থেকেও তেমনি। চোগলখোরির কারণে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়, প্রীতি ও আস্থা বিনষ্ট হয়। বিবাদ-বিসংবাদ তৈরি হয় এবং গীবত-শেকায়েত, মিথ্যা অপবাদ, প্রাণহানী-সম্পদহানী একে একে সবই ঘটতে থাকে। অথচ চোগলখোরি কাজটা থেকে বিরত থাকা কঠিন ছিল না। এর জন্য প্রয়োজন শুধু সংযম ও সংকল্প। ব্যক্তি যদি কথা বলার ক্ষেত্রে সংযমের অভ্যাস গড়ে তোলে এবং চোগলখোরি থেকে বিরত থাকার সংকল্প করে তাহলেই আল্লাহর তাওফীকে তা থেকে বিরত থাকা সম্ভব।
তদ্রূপ পেশাব থেকে শরীর ও কাপড়- চোপড় পবিত্র না রাখাও অতি গুরুতর ব্যাপার। কারণ এ অবস্থায় সালাত হয় না। আর সালাত না হলে তার যে কল্যাণ নেই এ তো বলাই বাহুল্য। এ কারণে পেশাব থেকে পবিত্র না থাকাকে, আলিমগণ কবীরা গুনাহ সাব্যস্ত করেছেন। এর এক দলীল তো বুখারী-মুসলিমের উপরোক্ত হাদীসে وَإِنَّهُ لَكَبِيرٌ (আর নিশ্চয়ই তা গুরুতর) বাক্যটি। দ্বিতীয়ত এর কারণে কবর-আযাবের হুঁশিয়ারি এসেছে, যা এর গুরুতরতা প্রমাণ করে।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
تَنَزَّهُوا مِنَ الْبَوْلِ فَإِنَّ عَامَّةَ عَذَابِ الْقَبْرِ مِنْهُ.
তোমরা পেশাব থেকে সতর্ক থাক। কারণ অধিকাংশ কবরের আযাব এই কারণে। -সুনানে দারাকুতনী, হাদীস ৪৫৯
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
أَكْثَرُ عَذَابِ الْقَبْرِ مِنَ الْبَوْلِ
অধিকাংশ কবরের আযাব পেশাবের কারণে। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩৪৮
এক সাধারণ অভিজ্ঞতা এই যে, পেশাবের ছিটে-ফোঁটা থেকে শরীর ও কাপড় পবিত্র না থাকায় অনেক মানুষ নামায পড়া থেকেও বিরত থাকে। এই তো কয়েকদিন আগে এক দোকানে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য যাওয়া হলে দোকানী নানা কথার পর আফসোস করে বলল, ‘হুযুর! আমাদের তো কাপড়-চোপড় পাক থাকে না, তাই নামায পড়তে পারি না’।
এমন অভিজ্ঞতাও হয়েছে যে, নামাযের সময় হয়েছে মসজিদে যাওয়ার সময় কাউকে বলা হল, চলুন, নামাযটা পড়ে আসি! তখন সে আমতা আমতা করতে থাকে। একপর্যায়ে লজ্জিত স্বরে বলেই ফেলে, ‘কাপড় ঠিক নেই।’
এখানে এক ব্যাপার হতে পারে- পবিত্রতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। আর এ কারণে নাপাকী নয় এমন কিছুকেও নাপাকী মনে করা হতে পারে। যেমন ধুলা-বালু, ঘাম ইত্যাদির কারণে বা অন্য কোনো অপরিচ্ছন্নতাকেও কেউ অপবিত্রতা মনে করতে পারেন এবং এ কারণেও সময় মতো নামায পড়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। এমন হয়ে থাকলে সেটা বিভ্রান্তি, যার নিরসন কাম্য। তবে সাধারণত যেটা হয় তা হচ্ছে, ব্যক্তির নিজেরও জানা থাকে যে, পেশাবের ছিটে-ফোঁটা থেকে তিনি তার শরীর ও কাপড় পবিত্র রাখেন না। তাই শরীর পাক নেই, কাপড় ঠিক নেই। আর এ অজুহাতে নামাযও পড়া হয় না! কী ভয়ানক ব্যাপার!
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কাপড় ও শরীর পাক রাখা কি খুব কঠিন? আসলে কঠিন নয়। কঠিন যদি হত তাহলে নানা বয়সের ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দ্বীনদার মানুষ নিজেদের কাপড় ও শরীর পাক রাখতে পারতেন না। পাক-সাফ থাকার জন্য শুধু প্রয়োজন অভ্যাস ও সদিচ্ছা। হাম্মামে তো প্রত্যেকেরই সময় যায়। সেই সময়ের সাথে দু-চার মিনিট যুক্ত করেই এই পবিত্রতা অর্জন করা সম্ভব। টয়লেট-টিস্যুও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে পেশাবের অবশিষ্ট থেকে পরিচ্ছন্ন হওয়া খুবই সহজ। আর তা সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় যেখানে ব্যক্তিগত টয়লেটের ব্যবস্থা নেই সেখানেও তা সাথে থাকলে পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে কোনো জটিলতাই থাকে না। তো বিষয়টি কঠিন নয়। তবে চাই অভ্যাসের পরিবর্তন।
দেখুন, ইসলাম যে পবিত্রতা ও নির্মলতার শিক্ষা দান করেছে আধুনিক সভ্যতা ও জীবন-ধারা এখনও ঐ পর্যন্ত পৌঁছুতে পারেনি। চারদিকে সুরুচি ও সংস্কৃতিবানতার এত কলরব কিন্তু এরই সাথে শরীরে ও কাপড়ে ‘মূত্রাবশিষ্ট’ বয়ে বেড়ানো! অভ্যাসটাই এই রপ্ত হয়েছে, বা রপ্ত করানো হয়েছে, যা কাপড় ও শরীর দিনমান নাপাক করে রাখে। এই অভ্যাসের পরিবর্তনটাই মূল কাজ। বড় কিছু তো নয়, শুধু টয়লেট সারার সময় সতর্ক থাকা যেন পেশাব বা নাপাকির ছিটা শরীরে বা কাপড়ে না লাগে। এরপর নিশ্চিত হওয়া যে, আর পেশাব ঝরবে না, ব্যস এটুকু অভ্যাস করে নিলেই শরীরও পাক, কাপড়ও পাক। এখানে পবিত্রতার বিধান ব্যক্তির নিশ্চিত হওয়ার উপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। এর জন্য যদি চার-পাঁচ মিনিট ব্যয় করতে হয়, তা তো সারা দিনের পবিত্রতার তুলনায় কিছুই নয়। এরপর যখনই নামাযের সময় হচ্ছে, নিকটবর্তী মসজিদে গিয়ে নামায পড়ে নিন, মসজিদে যাওয়ার সুযোগ নেই তো নিজেরা জামাত করা যাচ্ছে। তা-ও হচ্ছে না তো একা পড়া যাচ্ছে। তাহলে চিন্তা করুন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী- ‘কিন্তু সে আযাব কঠিন কোনো বিষয়ে হচ্ছে না’, আজকের জন্যও কত প্রাসঙ্গিক।
আমাদের কর্তব্য, পবিত্রতার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং ঐ জীবনধারা অবলম্বন করা, যা মানুষকে পবিত্র থাকতে সহায়তা করে।
আধুনিক ভোগবাদী জীবনধারা মানুষের শুধু ভেতরটাই নয়, বাহিরটাকেও নাপাক করছে। নারী পুরুষের অবাধ মেলা-মেশা, মোবাইল, ইন্টারনেটের অন্যায় ব্যবহার ইত্যাদিও অনেকের ক্ষেত্রে পাক-পবিত্রতা রক্ষায় বাধা। আসলে এক পবিত্রতাই আরেক পবিত্রতাকে সহজ করে। যেমন এক অপবিত্রতা আরেক অপবিত্রতার দুয়ার খোলে। তাই অভ্যাস ও জীবনধারার পরিবর্তন খুবই জরুরি। আল্লাহ তাঁর ঐ বান্দাদের ভালবাসেন যারা প্রত্যাবর্তন করে এবং যারা পবিত্রতা অবলম্বন করে।
اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ التَّوَّابِیْنَ وَ یُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِیْنَ.
[1] ১ পুরো হাদীসটি এই-
الطُّهُورُ شَطْرُ الْإِيمَانِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ تَمْلَأُ الْمِيزَانَ، وَسُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ تَمْلَآَنِ - أَوْ تَمْلَأُ - مَا بَيْنَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، وَالصَّلَاةُ نُورٌ، وَالصَّدَقَةُ بُرْهَانٌ وَالصَّبْرُ ضِيَاءٌ، وَالْقُرْآنُ حُجَّةٌ لَكَ أَوْ عَلَيْكَ، كُلُّ النَّاسِ يَغْدُو فَبَائِعٌ نَفْسَهُ فَمُعْتِقُهَا أَوْ مُوبِقُهَا.
পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। আলহামদু লিল্লাহ মীযানকে ভরে দেয়। সুবহানাল্লাহ ও আলহামদু লিল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী সব কিছুকে। সালাত হচ্ছে জ্যোতি, সাদাকা প্রমাণ, সবর হচ্ছে রশ্মি আর কুরআন হয়তো তোমার পক্ষে দলীল অথবা বিপক্ষে । প্রতিটি মানুষ প্রত্যুষে উপণিত হয়ে নিজেকে বিক্রয় করে- এরপর সে হয়তো নিজেকে মুক্ত করে অথবা ধ্বংস করে। সহীহ মুসলিম, হাদীস ২২৩