নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবাদের অত্যন্ত ভালবাসতেন। এ ভালবাসার বিশেষ তাৎপর্য ছিল। একটি ঘটনা
একদিন হযরত আব্বাস রা. ও হযরত আলী রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনার পরিবারবর্গের মধ্যে কে আপনার কাছে সবচেয়ে প্রিয়? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ফাতিমা। তাঁরা বললেন, আমরা আপনার সঙ্গী ও স্বজনদের সম্পর্কে প্রশ্ন করছি।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, উসামা ইবনে যায়েদ। তাঁরা জিজ্ঞাসা করলেন, এরপর কে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আলী ইবনে আবী তালিব। একথা শুনে আব্বাস রা. বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনার চাচাকে সবশেষে স্থান দিলেন! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আলী তোমার আগে হিজরত করেছে।’-জামে তিরমিযী; মিশকাত শরীফ পৃ. ৫৭২
লক্ষ্য করুন, অধিক মহাব্বতের কারণ হিসেবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতে অগ্রগামিতার কথা উল্লেখ করেছেন। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভালবাসার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এ কারণেই সাহাবায়ে কেরাম তাঁর ভালবাসাকে বিশেষভাবে মূল্যায়িত করেছেন।
সুনানে তিরমিযীর বর্ণনায় আছে যে, উমর রা. তাঁর খিলাফত-আমলে উসামা ইবনে যায়েদ রা.-এর জন্য সাড়ে তিন হাজার (দিরহাম বা দীনার) ভাতা নির্ধারণ করেন। আর আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা.-এর জন্য করেন তিন হাজার। পুত্র পিতাকে প্রশ্ন করলেন, উসামা ইবনে যায়েদকে আমার উপর প্রাধান্য দিলেন কেন? সে তো কোনো যুদ্ধে আমার চেয়ে অগ্রগামী ছিল না? হযরত উমর ফারূক রা. উত্তর দিলেন, বেটা, তোমার পিতার চেয়ে উসামার পিতা (যায়েদ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অধিক প্রিয়পাত্র ছিলেন আর তোমার চেয়ে উসামা নবীজীর অধিক প্রিয়ভাজন ছিল। তো আমি আমার প্রিয়ভাজনের উপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রিয়ভাজনকে প্রাধান্য দিলাম।’-মিশকাত শরীফ পৃ. ৫৭১