যে আওয়াজ অন্যকে কষ্ট দেয়
অন্যকে কষ্ট দেওয়া ভালো কাজ নয়। প্রকৃত মুসলিম তো সেই যার দ্বারা অন্যে কষ্ট পায় না। দৈনন্দিন চলাফেরায় আমার দ্বারা যেন কেউ কষ্ট না পায়- এ চেষ্টা সকলেরই কিছু না কিছু থাকে। কিন্তু কিছু বিষয় আছে, যার দ্বারা অন্যে কষ্ট পায় ঠিকই কিন্তু আমি উপলব্ধি করতে পারি না। এর তালিকা তো দীর্ঘ; এখানে শুধু কয়েকটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আল্লাহ আমলের তাওফিক দিন।
চেয়ার-টেবিল সরানোর সময় যে আওয়াজ হয় তা যে কত কষ্টদায়ক তা আমি সরালে বুঝতে পারি না। কিন্তু আমি ঘুমে থাকলে বা কোনো কাজে মগ্ন থাকলে বুঝতে পারি, এ আওয়াজ কত কষ্টদায়ক। আর যদি ভবনের উপর তলায় কেউ (উঁচু করা ছাড়া) ঠেলা দিয়ে কাঠের চেয়ার বা টেবিল সরায় এতে যে কী বিরক্তিকর আওয়াজ হয়- আমি নিচ তলার বাসিন্দা হলে তা বুঝতে পারবো। এগুলো আমাকে যেমন কষ্ট দেয়, অন্যেও এর দ্বারা কষ্ট পায়।
মসজিদ থেকে একে একে বের হচ্ছে আর হাত থেকে যমীনের উপর ঠাস ঠাস আওয়াজে জুতা ফেলছে। যারা বের হচ্ছেন তাদের কাছে এটা তেমন কিছু মনে হচ্ছে না বা খেয়াল করছেন না। কিন্তু যিনি নামাযে আছেন তার কাছে আওয়াজটি খুবই বিরক্তিকর লাগছে এবং নামাযের ব্যাঘাত ঘটছে। আর নামায বা মসজিদ বলে কথা নয়, এভাবে আওয়ায করে জুতা-সেন্ডেল যমীনে ফেলা ভদ্রতা পরিপন্থীও বটে।
তেমনি আরেকটি বিষয় হল, সশব্দে দরজা বন্ধ করা। আমার দরজা বন্ধের আওয়াযে হতে পারে কারো কাঁচা ঘুম ভেঙে গেল, আর ঘুমই আসছে না বা মা অনেক কষ্টে শিশুকে ঘুম পাড়িয়েছেন কিন্তু আমার কারণে শিশুটির ঘুম ভেঙে গেল, মা কষ্ট পেলেন।
তো এই যে আমার দ্বারা অন্যের কষ্ট পাওয়া; একটু সচেতনতাই এ থেকে আমাকে বাঁচাতে পারে। এবং এ থেকে বাঁচার আরো বড় উপায় হল, যে যে ক্ষেত্রে অন্যের আচরণে আমি কষ্ট পায় ঐ সকল স্থানে আমার থেকে যেন কেউ কষ্ট না পায় সে বিষয়ে সতর্ক হওয়া।