নানুকে আমি যেমন দেখেছি
আমার নানু ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিনী। একজন আদর্শ শিক্ষিকা। এক আদর্শ বংশের জননী। সর্বোপরি তিনি ছিলেন আল্লাহর এক ওলী ও তাঁর নেক বান্দী। তিনি বি.বাড়িয়ার মুফাসসির হুযুর হযরত মাওলানা সিরাজুল ইসলাম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর বড় মেয়ে ও নাদিয়াতুল কুরআনের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মাওলানা আব্দুল ওয়াহ্হাব রাহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর জীবন-সঙ্গিনী ছিলেন। লেখা-পড়ার একটি সময় আমাকে নানুবাড়ীতে কাটাতে হয়েছিল। সেই সুবাদে নানুকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। নানুর ওফাতের পর থেকে প্রায়ই সেই দৃশ্যগুলো আমার মনের পর্দায় ভেসে ওঠে। আল্লাহর উপর ভরসা করে সে বিষয়গুলো কাগজে অর্পণ করার প্রয়াস পেয়েছি। যাতে আমরা নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী তা থেকে উপকৃত হতে পারি।
আমার নানুকে আল্লাহ তাআলা যেভাবে বহু গুণে গুণান্বিত করেছিলেন তেমনি করেছিলেন অঢেল ধন-সম্পদের অধিকারিণী। কিন্তু তাঁর মাঝে কখনও অহমিকার কোনো আচরণ দেখিনি। শুনিনি তাঁর মুখে কখনও কোনো কটু বাক্য। বরং সহাস্য বদন, কোমল ও বিনীত আচরণই ছিল তাঁর স্বভাবজাত।
প্রায় প্রতিদিনই তাঁর বাসায় মেহমান থাকত। রাত-দুপুর দিন-দুপুর সবসময় মেহমান আসা-যাওয়া করত। এমনকি রাতে বিছানায় যাওয়ার পরও মেহমান আসতে দেখেছি। তখন শুনেছি, নানু হেসে বলছেন- ‘আল্লাহ যখন ইচ্ছা করবেন তখনই আমি ঘুমাতে পারব।’ এমনও হয়েছে যে, নানু গোসলখানায় প্রবেশ করেছেন এমন সময় মেহমান এসেছে, তিনি তাদের জন্য খানা পাঠিয়ে তারপর গোসল করেছেন। এমনও দেখিছি, তিনি কোনো ওয়াক্তের সুন্নাত নামায পড়েছেন এখনও ফরয পড়েননি এমন সময় মেহমান এসেছে, তখন তিনি আগে তাদের জন্য খানা পাঠিয়ে এরপর বাকি নামায পড়েছেন।
এত ঝামেলায় থাকার পরও কখনও নানু-নানাজির মাঝে কথা কাটাকাটি হতে দেখিনি। দেখিনি কখনও পরস্পরে ঝগড়া ও মনোমালিন্য হতে। অথবা নানাজীর অগোচরে তাঁর দোষ চর্চা করতে।
পাড়া-প্রতিবেশীর সাথেও কখনো খারাপ আচরণ করতে দেখিনি। গায়ে পড়ে কেউ ঝগড়া করতে এলেও নানুর ব্যবহারে খুশি হয়ে ফিরত। একজন গৃহিণী হিসাবে ঘরে-বাইরে ছিল তাঁর যথেষ্ট সম্মান। যে কেউ তাঁর নিকট যে কোনো সময় আসতে পারত এবং প্রয়োজনীয় কথা বলতে পারত। তবে বেহুদা কথা বলার সাহস পেত না। তিনি নিরিবিলি স্বভাবের ছিলেন। বৈঠকে বসে অনর্থক কথা তিনি পসন্দ করতেন না। কেউ বললে তাঁর খারাপ লাগত, চেহারার রং পরিবর্তন হয়ে যেত।
তিনি ছিলেন দ্বীন ও মানবের খাদেমা। নানাজী যখন অসুস্থ হলেন তখন একমাত্র খাদেমা ছিলেন নানুই। দীর্ঘ ন’ মাস রাতদিন ২৪ ঘণ্টা নানাজীর পাশে ছিলেন। নানাজীর খেদমতে নানু কখনও অনীহা প্রকাশ করতেন না। তাঁর মাঝে কোনো অভিযোগ ছিল না। কোনো ক্লান্তি ছিল না।
তাঁর পুত্র-কন্যা, পৌত্র-দৌহিত্র সবাই মাদরাসায় পড়েছেন। অনেকেই হাফেয-আলেম ও হাফেযা-আলেমা হয়েছেন। তাদের প্রায় সকলেই দ্বীনের খেদমতে নিয়োজিত আছেন। তাঁর দুহিতা-দৌহিত্রি ও তাদের কন্যাদেরও বিবাহ হয়েছে হাফেয-আলেমদের সাথে। যাদের প্রায় সকলেই ইলমে দ্বীন ও খেদমতে দ্বীনে নিয়োজিত আছেন। আমি প্রায়ই আবু মুহাম্মাদকে বলে থাকি- আমার নানু ছিলেন এক আদর্শ মা, তাই তিনি উপহার দিয়েছেন এক আদর্শ বংশ।
এ বংশের মেয়েদের প্রাথমিক লেখাপড়ার জন্য বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। ঘরেই তা সম্পন্ন হয়েছে। কায়েদা, আম্মাপারা, কুরআন শরীফ, বেহেশতি জেওর, তা‘লীমুল ইসলাম ও দু‘আ-দরূদসহ দ্বীনিয়াতের প্রাথমিক জ্ঞান প্রত্যেকের ঘরে ঘরেই হয়েছে। আমরাও আমাদের মায়ের কাছেই এসব শিখেছি।
নানু বলতেন, ছেলে মেয়েদের প্রথম শিক্ষিকা হলেন- মা। মা ছেলে-মেয়েদেরকে যেভাবে গড়ে তুলবেন তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। মায়েরা সন্তানদের গালমন্দ করবে, গায়ে হাত তুলবে এটা তিনি মোটেও পসন্দ করতেন না। তিনি বলতেন, সন্তানদের মানুষ করতে হলে নিজেদের আরাম-আয়েশ ত্যাগ করতে হয়।
নানুকে কেন্দ্র করেই বাড়ীতে মক্তব তৈরি হয়। ছোট ছোট অনেক মেয়ে প্রতিদিন সকালে নানুর কাছে পড়তে আসত। তিনি তাদেরকে কায়েদা, আম্মাপারা, কুরআন শরীফ, আদইয়ায়ে মাসূরা, বেহেশতি জেওর, তা‘লীমুল ইসলামসহ দ্বীনিয়াতের প্রাথমিক বিষয়গুলো শিক্ষা দিতেন। আমার সকল খালাও একই পদ্ধতিতে নিজনিজ পরিসরে মক্তবের খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। এবং নানুর প্রায় সকল নাতি-পুতিও একইভাবে এ ধারা ধরে রেখেছেন। আল্লাহ তাআলা যেন এখলাস ও উসূলের সাথে কিয়ামত পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত রাখেন- সকলের কাছে এই দুআ কামনা করি।
নানুর কাছে কুরআন শরীফ, অযু-নামায শিক্ষার জন্য নিজ পাড়া ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে বিভিন্ন বয়সের মহিলারা এসে ভীড় করত। কত বয়স্ক মহিলা এমন রয়েছেন, যিনি কালিমাও জানতেন না, অথচ নানুর কাছে আসার পর কুরআন শরীফ, দুআ-কালাম শিখেছেন। এমনকি সূরা ইয়াসীনও মুখস্থ করেছেন। তাঁর কাছে কুরআন শরীফ শেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকেও কিছু কিছু মহিলা চাল-ডাল নিয়ে আসতেন। নিজে রান্না করে নিজের খাবার খেতেন আর নানুর কাছে কুরআন শরীফ শিখতেন। আমরা কখনও নানুর কক্ষে গিয়ে অপরিচিত কোনো মহিলাকে দেখে জিজ্ঞাসা করতাম- ইনি কে? নানু বলতেন, কুরআন শরীফ শেখার জন্য এসেছেন।
এছাড়া নানু প্রতি সপ্তাহে একবার বয়স্ক মহিলাদের তা‘লীমের ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন। তাতে এলাকার বহু মহিলা অযু, নামায, পাক-নাপাকীর মাসআলা ও দ্বীনের জরুরি জ্ঞান অর্জন করেছেন।
নানুকে কখনও সকালে ঘুমাতে দেখিনি। তাঁর নিয়ম ছিল, রাতেই সকালের নাস্তার ফিকির করতেন। ফজরের নামায আদায় করে কিছুক্ষণ দুআ-কালাম, যিকির ও সূরা ইয়াসীন তিলাওয়াত করতেন। এরপর নাস্তার প্রাথমিক ব্যবস্থা করে মক্তবে মেয়েদের সবক শুনতেন। তারপর নাস্তার অবশিষ্ট কাজ শেষ করতেন।
আমরা ছোটবেলা থেকে নানুর পর্দার বিষয়টি খুব গভীরভাবে অনুভব করেছি। পর্দার বিষয়ে তিনি ছিলেন অতি সতর্ক। বাইরের তো দূরের কথা ভিতরের কোনো গায়রে মাহরাম পুরুষ নানুর আঁচলও দেখতে পারেনি কোনো দিন। আমার ওয়ালিদে মুহতারাম হযরত মাওলানা হারুনুর রশীদ দামাত বারাকাতুহুম হলেন নানুর বড় জামাতা। তিনি তাঁর শাশুড়ির পর্দার বিষয়টি এভাবে বলেছেন- ‘আমার বিয়ের পর প্রায় দু’বছর পর্যন্ত আমার শাশুড়ি আমার সামনে আসেননি। জামাতা হিসাবে আদর-আপ্যায়নের সবটুকুই করতেন। কথাও বলতেন। তবে সামনে আসতেন না। ছোট থাকতেই ‘মা’-কে হারিয়েছি, এদিকে শাশুড়িকেও দেখতে পাই না, এটা আমাকে পীড়া দিত। আমার শাশুড়ী ছিলেন বিচক্ষণ। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে একদিন পর্দার আড়াল থেকে বললেন, ‘বাবা! আমি তো কোনো দিন কোনো পরপুরুষের সামনে যাইনি, কথাও বলিনি, তাই আপনার সামনে যেতে সংকোচ লাগে। ধীরে ধীরে এটা ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আপনি কষ্ট নিবেন না।’
এ কারণেই আমার এক দুলাভাই আপাকে বলেছেন, তোমাদের পর্দার ভিত্তি হিমালয় পাহাড়ের মত মজবুত। প্রবল বন্যার স্রোত কোনো কোনো পরিবারের পর্দায় আঘাত হানলেও তোমাদের পর্দায় আঘাত হানতে পারেনি।
নানু ছিলেন ধনে জনে পরিপূর্ণ। তাঁর শুধু নাতি-নাতনি ও তাদের সন্তানাদির সংখ্যাই ছিল ১৮৬ জন। এতদসত্বেও এগুলো তাঁর নামায ও ইবাদতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারেনি।
এক শবে বরাতে আমি নানুর কাছে ছিলাম। মাগরিবের সাথে সাথেই নানু সারা রাতের ইবাদতের জন্য ফারেগ হয়ে গেলেন। এশার কিছুক্ষণ পর নানুর পেটব্যথা শুরু হয়। ব্যথাসহই ধীরে ধীরে নামায পড়তে থাকেন। তবে তীব্র ব্যথায় কয়েকবার অচেতন হয়ে পড়েন। কিন্তু যখনই ব্যথা কমত তখনই দুআ-কান্নাকাটিতে মশগুল হয়ে যেতেন। সাহরীর সময় হলে সবাই বলল, রোযা রাখলে আপনার কষ্ট হতে পারে। কিন্তু নানু রোযা রাখবেনই এবং রেখেছেনও। সারাদিন ব্যথা ছিল। আসরের সময় প্রচণ্ড ব্যথার সাথে বমি হয়ে নানু অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন সবাই মিলে নানুর মুখে পানি দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি হাতের ইশারায় না করেন। ইফতারের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেন।
আল্লাহ তাআলা নানুকে হজ্ব করার তাওফীক দিয়েছিলেন। তিনি হজ্বে গিয়ে দুআ করেছিলেন- আল্লাহ যেন তাঁর সকল ছেলে-মেয়েকে হজ্ব করার তাওফীক দান করেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর দুআ কবুল করেছেন। তাঁর জীবদ্দশাতেই তাঁর সকল ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে হজ্ব করেছেন। এরপর কয়েকজন একাধিকবারও হজ্ব করেছেন।
ذٰلِكَ فَضْلُ اللّٰهِ يُؤْتِيْهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ.
(এটা আল্লাহর অনুগ্রহ। তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন এবং আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ)।
দুনিয়া কখনও নানুকে প্রভাবিত করতে পারেনি। নানু বলতেন, এগুলো না করলে কি দিন কাটে না? টাকা-পয়সা, ধন-দৌলতের উপর নানুর কোনো ভরসা ছিল না।
নানু আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসলে অনেক প্রতিবেশী তাঁকে দেখতে আসত। এই সুযোগে তিনি তাদেরকে মুহাব্বতের সাথে দ্বীনের দাওয়াত দিতেন।
নিজের কাজ নিজেই করা- শেষ বয়স পর্যন্ত নানুর এই মেযাজই ছিল। তিনি তাঁর পুত্রবধুদের আদেশ করতেন না। বধুদেরকে অধীন বানিয়ে রাখার প্রবণতা তাঁর মাঝে ছিল না। তবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে এমন কিছু বধু মিলিয়েছেন, যাদেরকে আদেশ করার প্রয়োজন হত না, তারা নিজেদের সৌভাগ্য মনে করে আগ্রহের সাথেই খেদমত আঞ্জাম দিতেন।
রমযানের রাত। নানু তারাবীর জন্য অযু করতে গেলেন। অযু করে এসেই শুয়ে পড়লেন। এক নাতনী বলল, নানু! শুয়ে পড়েছেন? তারাবী শেষ? নানু ইশারায় বললেন, না। পড়তে পারছি না। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। অনেকেই গিয়েছেন ইয়াদতের উদ্দেশ্যে। আমি গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি শুয়ে আছেন, তাঁর শরীর ও সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ একেবারে নিস্তেজ-নিথর। কোনো নড়া-চড়া নেই, কোনো স্পন্দন নেই, শুধু একটি অঙ্গ নড়ছে, তা হল জিহ্বা। দেখতে পেলাম তিনি খুবই শান্তি ও তৃপ্তির সাথে আল্লাহ আল্লাহ যিকির করছেন।
অসুস্থ হওয়ার পর থেকে প্রায় তিন চার মাস শুধু যিকিরে তাঁর জিহ্বা নড়ত। কেউ কথা বললে তিনি উত্তর দিতেন না। একবার ডাক্তার নানুকে বললেন, আপনার মুখের ব্যায়াম করতে হবে। ডাক্তার সাহেব তাঁকে ইংরেজি অক্ষর ট কিংবা ছ উচ্চারণ করতে বললেন। তিনি কিছুই উচ্চারণ করলেন না। কিন্তু পাশে আমার যে খালা বসা ছিলেন তিনি যখন বললেন, আম্মা! বলুন, সুবহানাল্লাহ। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ।
ইন্তেকালের তিন দিন আগ থেকেই নানু সশব্দে সূরা ইয়াসীন, ওয়াকিয়া, মুলক ইত্যাদি সূরা তিলাওয়াত করতে থাকেন। আর ইন্তেকালের রাতে মাগরিব থেকে তাঁর তিলাওয়াত, যিকির ও দুআ এত স্পষ্ট হচ্ছিল যে, কেবিনের সকলেই শুনতে পাচ্ছিল। এমনকি যারা নানুর অবস্থা জানার জন্য ফোন করেছিল তারা পর্যন্ত সেই যিকিরের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিল। তিনি কালিমায়ে তায়্যিবাহ, কালিমায়ে শাহাদাত, এস্তেগফার, লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, ইয়া হায়্যু ইয়া কায়্যূমু বিরাহমাতিকা আস্তাগীস- এজাতীয় বিভিন্ন দুআ বলছিলেন। এছাড়া হাতের ইশারায় নিজের ও অন্যদের মাগফিরাতের জন্য দুআ করছিলেন। রাত বারটায় আম্মা ফোন করলে তখনও তিনি নানুর দুআর আওয়ায শুনতে পেয়েছেন। অথচ এর তিন মিনিট পরই তিনি ইন্তেকাল করেছেন। যিকির ও দুআ করতে করতে ১৪৩৬ হিজরীর ১৪ মুর্হারম, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টা ৩ মিনিটে তিনি নিজ মালিকের ডাকে সাড়া দিয়ে চিরবিদায় গ্রহণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আল্লাহ তাআলা দয়া করে তাঁকে মাগফিরাত করুন। তাঁর কবরকে নূর ও রহমাত দ্বারা পরিপূর্ণ করুন। জান্নাতুল ফিরদাউসে তাঁকে উঁচু মর্যাদা নসিব করুন। এবং নারীসমাজকে তাঁর উত্তম আদর্শ অনুসরণ করার তাওফীক দান করুন। আমীন।
আমি তাঁর একজন নগণ্য নাতিন। আমি যে কয়দিন তাঁর সাহচর্যে থেকেছি কিংবা কোনো আত্মীয়ের কাছে সামান্য যা কিছু শুনেছি তা থেকেই এ কথাগুলো লিখেছি। যারা নানুর আরও কাছের মানুষ বা আরও গভীর জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অধিকারী তাঁরা যদি নানুর জীবনী লেখেন, তাহলে আশা করি উম্মতের নারীসমাজের জন্য মূল্যবান এক তুহফা হবে।