অ ব মা ন না : কার্টুনিস্ট আরিফকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে
অবশেষে কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত মার্চের শেষ দিকের ঘটনা এটি। ছোট্ট করে পত্রিকাগুলোতে সে সংবাদটি ছাপা হয়েছে। অথচ এ নিয়ে কোথাও কোনো উচ্চবাচ্য হয়নি, উল্টা সংবাদে দেখা গিয়েছে, যে পুলিশ অফিসার তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন, আদালতে বাদী হিসেবে তার অনুপস্থিতির কারণেই আরিফ ছাড়া পেয়ে গেছে।
ঘটনাটির সূত্রপাত গত রমযানে। দৈনিক প্রথম আলোর অধুনা লুপ্ত ‘আলপিন’ নামক ম্যাগাজিনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামের অবমাননা করে একটি কার্টুন প্রকাশিত হলে সারাদেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনাটির বিচার ও শাস্তি দাবি করা হয়।
কিন্তু প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ প্রথমে দায়সারা ভঙ্গিতে ক্ষমা চায়। পরবর্তীতে বায়তুল মোকাররমের সাবেক খতীব মরহুম হযরত মাওলানা উবায়দুল হক রহ.-এর হাতে প্রথম আলো-সম্পাদক মতিউর রহমান ‘তওবা’ করে। আলপিন ম্যাগাজিনটি জনরোষের ভয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সে ম্যাগাজিনের সম্পাদককে চাকুরিচ্যুত করা হয়। আর ঐ কার্টুনটি এঁকে জমা দিয়েছিল যে প্রদায়ক কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে-ই থেকে সে কারাগারে ছিল। পুরো ঘটনাটির জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিচার-অনুষ্ঠানের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তবে, মূল কার্টুনিস্ট গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়ায় জনরোষ কিছুটা প্রশমিত হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে সেই আরিফুর রহমানকে কারাগার থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং সেটি হয় সরকারী কর্মকর্তার (মামলা দায়েরকারী পুলিশ অফিসার) স্বেচ্ছাকৃত খামখেয়ালি ও আদালতে তার নিয়মতান্ত্রিক অনুপস্থিতির কারণে। এটি নিঃসন্দেহে ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনার নিয়মতান্ত্রিক কোনো বিচার করতে না পারা ছিল আমাদের মতো মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য একটি ব্যর্থতা। তারপর গ্রেফতারকৃত কার্টুনিস্টকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া এ ক্ষেত্রে আরেকটি বড় ব্যর্থতা। জনগণকে হয়তো চালাকী করে এভাবে ঠকানো যাবে। কিন্তু এভাবে কর্তৃপক্ষ কি আল্লাহর ক্রোধ ও শাস্তি থেকে বেঁচে যেতে পারবেন?