কু র আ ন আ মা র রা হ ব র
ইমাম আবু উবায়েদ রহ. বলেছেন, আমি ইলম অর্জনের জন্য কোনো মুহাদ্দিসের বাড়িতে গেলে কখনো ভিতরে সংবাদ পাঠিয়ে অনুমতি প্রার্থনা করিনি; বরং তিনি নিজে বের হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। আমি সর্বদা কুরআনে কারীমের এই আয়াতে যে নিয়ম শিক্ষা দেওয়া হয়েছে তা অনুসরণ করার চেষ্টা করেছি- এরপর তিনি সূরা হুজুরাতের একটি আয়াত তেলাওয়াত করলেন, যার তরজমা হচ্ছে- ‘তারা যদি আপনার বাহিরে আসা পর্যন্ত ধৈর্য্য ধারণ করত তবে সেটা তাদের জন্য কল্যাণকর হত’।
ই ল মে র জ ন্য বি ন য়
ইমাম মালিক রহ. বলেছেন, হারূনুর রশীদ আমার কাছে
সংবাদ পাঠালেন যে, তিনি হাদীস শরীফ শ্রবণ করতে চান।
আমি তাঁকে বিনয়ের সঙ্গে উত্তর দিলাম, ‘ইলম তো গমন করে না, ইলমের কাছে আগমন করতে হয়।’ এ কথা শুনে রশীদ
নিজে দরসে উপস্থিত হলেন, কিন্তু দেয়ালের সঙ্গে ঠেস দিয়ে বসলেন। আমি বললাম, ‘আমীরুল মু’মিনীন! বৃদ্ধ মুসলিমকে সম্মান প্রদর্শন করা অন্তরের খোদাভীতির পরিচায়ক এবং এতে আল্লাহতাআলাকেই সম্মান করা হয়।’ হারূনুর রশীদ তখন
বিনয়ের সঙ্গে বসলেন এবং হাদীস শ্রবণ করলেন।
অনেক দিন পর তাঁর সঙ্গে পুনরায় সাক্ষাত হলে তিনি বললেন,
‘আবু আব্দুল্লাহ, আপনার ইলমের প্রতি বিনয় প্রদর্শন করেছিলাম তাই আমি তা দ্বারা উপকৃত হয়েছি।’