‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে’
আল্লাহ রাববুল আলামীন কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেন-
كُلُّ نَفْسٍ ذَآىِٕقَةُ الْمَوْتِ ؕ
প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
যে কোন প্রাণীই হোক তার উপর মৃত্যু একবার আসবেই। ভালো হোক খারাপ হোক তাকে মরতে হবে। আপনারা পত্রিকায় পড়েছেন হয়তো, গত মঙ্গলবার মাগরিবের পর দুনিয়া থেকে এক বড় বুযুর্গ আল্লাহর খাস ওলী হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক রহ. দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে গেছেন। ইন্তেকাল করেছেন আবরারুল হক হারদুঈ রহ.। বাংলাদেশে খুব আসা-যাওয়া ছিল তাঁর। অনেক বারই এসেছেন। সর্বপ্রথম ১৯৮১ তে এসেছিলেন। ২০০৪ এর ডিসেম্বরে শেষ বার এসেছেন। প্রায় সপ্তাহ খানেক ছিলেন। বয়সও হয়ে গিয়েছিল তাঁর ৮৫ থেকেও বেশি। মাঝে একবার বেশি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। এত বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যে, আশা ছিল না তিনি দুনিয়াতে থাকবেন। এরপর আল্লাহ রাববুল আলামীন সুস্থ করলেন। সুস্থ হওয়ার পর আরো প্রায় চার বছরের মত তিনি দুনিয়াতে ছিলেন। এরপর চলে গেছেন।
এ রকম দুনিয়াতে যেই আসে সেই চলে যাবে। এখানে আসার অর্থই তাকে যেতে হবে। আর আসার পর থেকেই যাওয়ার সময় এগুচ্ছে। একজন লোক আসার পর থেকে আমরা দেখছি সে বড় হচ্ছে। কিন্তু আসলে তার যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে। যাওয়ার দিকে সে অগ্রসর হচ্ছে। এই দুনিয়াতে কতজন আসে আবার কতজন যায়। কারো যাওয়াটা একটা বড় বিষয় আর কারো যাওয়াটা কোন বিষয়ই নয়। কোথায় সেই হিন্দুস্তানে আবরারুল হক সাহেবের ইন্তেকাল হয়েছে, কিন্তু হরদুঈ এলাকা বা শুধু হিন্দুস্তান নয়, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে আলোচনা চলছে যে, আল্লাহর খাস এক ওলী ছিলেন তিনি। মানুষকে সঠিক রাস্তা দেখাতেন, সুন্নতের রাস্তা দেখাতেন, খারাপ ছেড়ে ভালো পথে চলার পথ দেখাতেন। এই নেক কাজ তিনি করতেন, মানুষকে নেক কাজের উপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাঁর দিন-রাতের সাধনা ছিল এবং জীবন-মরণ শুধু সুন্নতের জন্যই ছিল। কিভাবে সুন্নাত প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, প্রতিটা ঘরে প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে কিভাবে সুন্নতী জীবন আসতে পারে এবং কিভাবে মানুষ গুনাহ থেকে, বিদআত থেকে, কুফর ও শিরিক থেকে বাঁচতে পারে- সেই এক ফিকির আর মাথা ব্যথা ছিল সর্বদা। উম্মতের দরদে, উম্মতের ব্যথায় তিনি ব্যথিত ছিলেন সব সময়। এই কথাটাই দেখবেন এখন আলোচনা হচ্ছে। শুধু এখানে নয় সব জায়গায়। কারণ তিনি নিজেকে আল্লাহর জন্য ওয়াকফ করে দিয়েছিলেন, নিজের জীবনকে আল্লাহর দ্বীনের জন্য ওয়াকফ করে দিয়েছেন।
‘আমার জীবন আমার মরণ আল্লাহর জন্য।’ তিনি তাঁর জীবনকে আল্লাহর জন্য ওয়াকফ করে দিয়েছেন। আর আল্লাহর বিধান এবং আ্ল্লাহর নীতি হল, যে আল্লাহর জন্য হয়েছে, নিজেকে আল্লাহর কাছে সোপর্দ করে দিয়েছে আল্লাহর জন্য ওয়াকফ করে দিয়েছে আল্লাহ তার হয়ে যান। আর যখন আল্লাহ তার হয়ে যাবেন তখন সকল মানুষ তার হয়ে যাবে। সমস্ত মাখলুকের অন্তর তো আল্লাহর হাতে। আল্লাহর কুদরতের কব্জায়। মাখলুকের দিলের খালেক আল্লাহ, দিলের মালিক আল্লাহ। তাদের অন্তরে তোমার মুহাববত আল্লাহই দিয়ে দিবেন। তো আজকে হযরত আবরারুল হক রহ. এর জীবনী বলা উদ্দেশ্য নয়, জীবনী বের হবে। পত্রিকায়ও আপনারা কিছু পড়েছেন, আরো অনেক কিছু জানা যাবে। যে কথাটা আজকের মজলিসে আমি বলতে চাই সেটা হল এই যে, আল্লাহর বান্দারা যাচ্ছেন। চলে যাচ্ছেন আল্লাহর ওলীরা। তাঁদের জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু নেওয়ার আছে। কুরআন মাজীদে আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন-
اُولٰٓىِٕكَ الَّذِیْنَ هَدَی اللّٰهُ فَبِهُدٰىهُمُ اقْتَدِهْ ؕ
এদেরকে আল্লাহ তাআলা হেদায়েত দান করেছেন। সুতরাং তুমিও তাদের পথের অনুসরণ কর। তুমিও তাদের হেদায়েতের পথে চল। যাদেরকে আল্লাহ তাআলা হেদায়াত দান করেছেন। যারা সিরাতে মুস্তাকীমের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আনিত শরীয়তের উপর, রাসূলের সুন্নতের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। আল্লাহ বলেছেন, তুমি তাদের রাস্তায় চল। তাহলে সেটাই হল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাস্তা, সাহাবায়ে কেরামের রাস্তা। আর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রাস্তায় চলেছেন সেটাই হেদায়েতের একমাত্র রাস্তা। আল্লাহকে রাজী-খুশি করার, আল্লাহকে পাওয়ার একমাত্র রাস্তা। তো এই যে লোকটা জীবনভর সুন্নতের দাওয়াত দিয়ে গেলেন, তাঁর শিক্ষা-দীক্ষার মধ্যে ছোট ছোট কিছু কথা আছে। একেবারে ছোট ছোট এক-দুইটা বাক্য, অল্প কয়েকটা কথা। যদি ভালোভাবে বুঝে এগুলোর উপর আমল করা যায় তাহলে সুন্নত এবং শরীয়তের রাস্তায় চলা আমাদের জন্য অনেক আসান। এই ধরনের কথা তাঁর জীবনে এবং শিক্ষা-দীক্ষার মধ্যে অনেক আছে। এটা তাঁর আবিস্কৃত নয়, তার আবিষ্কৃত হলে কে তার অনুসরণ করত? সব রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের জীবন ও সীরাত থেকে নেওয়া জিনিস। সে জন্যই বলা।
একটা ‘মাকূলা’ তিনি বলতেন বেশি বেশি ‘মা লা ইউদরাকু কুল্লুহু লা ইউতরাকু কুল্লুহু।’ আমরা বাংলায়ও বলি- ‘পূর্ণ নয় তো আধাই সই।’ এটা একটা থিওরি ছিল তার। এটা সহজ সরল কথা, যা দুনিয়ার ব্যাপারে আমরা বুঝি, আখেরাতের কাজের ব্যাপারে এটার দিকে লক্ষ করি না। আবরারুল হক সাহেব বলতেন, এটার দিকে তোমরা লক্ষ রাখ। যেটুকু পার শুরু কর। আমরা মনে করি, আহা বুযুর্গ হতে জানি কত কিছু করা লাগে। এত কিছু কি করা যাবে? এর জন্য অনেক বড় সাধনা দরকার। একেবারে বড় কোরবানী দরকার, ত্যাগ-তিতিক্ষা দরকার। সেটার জন্য তো আমরা ফারেগ নই। সেই সুযোগ আমাদের নেই। সেই হিম্মত আমাদের নেই। হযরত বলেন যে, না এটা কোনা কথা নয়। বরং তুমি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দুটি হাদীসের দিকে লক্ষ কর। অর্থাৎ কোনো নেক কাজকে ছোট মনে করে ছেড়ে দিবে না। এমন ভাববে না যে, এটুকু করলে আর কি হবে? আল্লাহর রাসূল বলেন, যেটুকু পার সেটুকুই কর। এটুকু করলেও অনেক কিছু করা হবে। কতটুকু? চিন্তাও করবেন না আপনি যে, এটাও একটা নেক কাজ। রাসূল বলছেন, একজন কুয়া থেকে পানি নিয়ে এসেছে। তুমিও পানি উঠাচ্ছ। তুমি তোমার পাত্র দিয়ে তার পাত্রে একটু পানি ঢেলে দাও, এটা একটা নেক কাজ। একজন মুরুববী ওযু করবেন, তাকে কল চিপে এক লোটা পানি ভরে দাও। এই যে একটা নেক কাজ এটাকে তোমরা ছোট মনে করো না। এটাও তোমার কাজে আসবে, তোমার উপকারে আসবে। এমনকি একজনের সাথে সাক্ষাত হয়েছে তো তার সাথে হাসিমুখে সাক্ষাত কর। হাসিমুখে জিজ্ঞাসা কর- ভাই ভালো আছেন? হাসিমুখে সাক্ষাত না করে যদি একেবারে মুখ কালো করে একজনের সামনে দিয়ে সালাম কালাম ছাড়া চলে যায় তাহলে তার কাছে খারাপ লাগবে না? সালাম দিলে সে ওয়া আলাইকুমুস সালাম বলল। কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করলে সে বলল ভাল আছি। এটাকে তো তুমি কিছুই মনে করলে না। আল্লাহর রাসূল বলেন, এটাও একটি নেক কাজ। এটাকেও তুমি ছোট মনে করো না। এর মানে এই নয় যে, আমাকে বড় নেক কাজ করতে হবে না। তা না। তারপরও ছোটগুলোকে ছোট মনে করে যে ছেড়ে দিচ্ছ এতে তুমি অনেক সওয়াব হাতছাড়া করছ। এটা করো না। এই হাদীসের উপর বেশি বেশি আমল কর। কোন নেকীকে ছোট মনে করে ছাড়বে না। আর আরেকটি হাদীস - ‘কোন গুনাহকে ছোট মনে করবে না’ যে, এটা করলে কী হবে? এটাতো ছোট্ট একটা অপরাধ। অপরাধ তো অপরাধই। ছোট হোক না কেন। গুনাহ তো গুনাহই। পাপ পাপই, ছোট আর বড় কী? নাফরমানীটা কার সাথে হচ্ছে দেখতে হবে না? তাহলে অপরাধটা ছোট হোক আর বড় হোক কিন্তু যার সাথে অপরাধ, যার অবাধ্যতা, তিনি কি ছোট? নাউযুবিল্লাহ তিনি তো সেই মহান রাববুল আলামীন । তাহলে এ গুনাহ ছোট বা এটা করলেই আর কী হবে- এমন মনে করব না। অপরাধতো অপরাধ। গুনাহ তো গুনাহই। এটা ছোট হলেও আমি করব না। আর নেক কাজ ছোট হলেও যেহেতু নেক কাজ তাই আমি করব। এই থিওরি এবং যেটা হাদীসের কথা সেটা খুব বেশি বেশি করব। যা পার শুরু কর। সবগুলো এক সাথে ধরতে পারবে না। তো একটা একটা করে শুরু কর। কিন্তু আমাদের সমস্যা হল সব নেক কাজ করতে পারব না এজন্য একেবারে ছোটগুলোও করব না। যেটা পারি ওটাও করব না। দুনিয়া পাল্টে গেছে। যমানা পাল্টে গেছে। এখন এই সমস্ত পুরান ওয়াজ করলে চলে না। এখন নেক আমল করতে সমস্যা। সমাজ এটাকে বাধা দেয়। কিন্তু হাজারো নেক আমল এমন আছে যেগুলোতে সমাজ কিছু বলবে না। বিবাহে আলোকসজ্জা না করলে, অপচয় না করলে হয়তো কিছু বলবে। ছেলেকে বিয়ে করাল অথচ কিছুই করল না। আমি সমাজে থাকব, তাদের সাথে বসবাস করব, তাই আমি তাদের মন-মানসিকতার বিরোধিতা কি করে করি। বুঝলাম এটা আপনার দুর্বলতা যার ফলে এ নেক কাজটা আপনি করতে পারলেন না। কিন্তু এই মসজিদে ঢুকতে এবং বের হতে কতগুলো সুন্নত, ডান পা দিয়ে ঢোকা সুন্নত, বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নত, দরুদ শরীফ পড়া সুন্নত। বিসমিল্লাহী ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসূলিল্লাহ আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রাহমাতিক, এটুকু দোয়া শেখার ব্যাপার শুধু। আর দোয়াটা মুখস্থ হওয়া পর্যন্ত শুধু বিসমিল্লাহই পড়ি। আর ‘আল্লাহুম্মাফতাহলী আবওয়াবা রাহমাতিক’ তো লেখাই থাকে মসজিদের সামনে। এটা পড়লেন। ডান পা দিয়ে ঢুকলেন বের হওয়ার সময় আগে বাম পা দিয়ে বের হলেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা’ পড়লেন। এখানেও ঢোকার সময়ের মত বিসমিল্লাহ আছে দুরূদ শরীফ আছে। বের হওয়ার সময়ও ‘বিসমিল্লাহী ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসূলিল্লাহ আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা’ পড়ে নিলেন। এতেও কি সমাজে বাধা দিবে? ঘরে ঢুকতে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে ডান পা দিয়ে ‘বিসমিল্লাহ’ বললে সমাজ বাধা দিবে? কেউ বাধা দিবে না। সমাজ কিসের নাম? আমার আর আপনার নামইতো সমাজ। আমি আপনি ঠিক হলেইতো সমাজ ঠিক হয়ে যাবে। এমনিভাবে যমানা কিসের নাম? যমানা পাল্টে গেছে না আমরা পাল্টেছি? বরং আমরা পাল্টে গেছি। সমাজে তো আসমান থেকে এসে কোন কিছু নাযিল হয়নি। সমাজ আমি আর আপনিই তো। যে বিষয়টা আমি বুঝছি। সে বিষয়টাকে বিবেক ও শরীয়ত খারাপ বলছে সেটা আমি বলি না কেন? এটা গলত কাজ অতএব আমি তা করব না। আমি একথা বলি, তারপর আরেকজন বলবে। আবার আরেকজন বলবে। তাতেই তো সমাজ ঠিক হয়ে যাবে। আপনি বলবেন, আমি বললে কি হবে আরেকজন তো বলবে না। কিন্তু তাতে কি যায় আসে? আপনি বলুন। আপনাকে কি কেউ মেরে ফেলবে নাকি? কেটে ফেলবে আপনাকে?
কেন মানবাধিকারের এই যমানায় যদি আপনি সমাজের বিরোধিতা করে কোন কাজ ছাড়েন তাহলে আপনাকে মেরে ফেলবে কেউ? সেই বর্বর যুগ তো চলে গেছে। এখন তো স্বর্ণযুগ, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার যুগ (!) এ যুগে কেন ভয় পান আপনি? যেটাকে খারাপ মনে করি, সমাজের প্রত্যেকটি মানুষ খারাপ মনে করে তাও করব? আনুষ্ঠানিকতা খারাপ। তা করব কেন? সমাজ, সামাজিক চাপ। সবাই এই কথা বলি। কিন্তু কে কাকে চাপ দেয়? এটা স্মরণ রাখতে হবে আমাদেরকে। সমাজ ভিন্ন কিছুর নাম নয়, বরং আমার আপনার নাম। যমানা বদলায়নি। আমি আর আপনি বদলেছি। তাহলে আমরা যদি পরিপূর্ণ সংকল্প নিয়ে এগুলো করার ইচ্ছা করি এবং দুই একজনে হিম্মত করে নিজেদেরকে সঠিক রাস্তায় আনার এবং গলত কাজ থেকে বাঁচার জন্য কাজ শুরু করি অল্প কয় দিনেই দেখবেন যমানা ঠিক হয়ে গেছে, সমাজ ঠিক হয়ে গেছে। এই কথাটা আবরারুল হক সাহেব বার বার বলতেন যে, সমাজের দিকে তাকিও না, যমানা পাল্টে পেছে এই সমস্ত অজুহাত দিও না।
শরীয়তের মাসআলা কী? সুন্নত তরীকা কী? তুমি সেটা শোন। আলেমদের থেকে বুঝ। আর হিম্মত করে এটার উপর আমল শুরু কর। তোমাকে দেখে দেখে অন্যেও পাল্টাতে থাকবে নিজেদের তরীকা। তুমি তাদেরকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। এরকম রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের, সীরাতের অনেক দিক তিনি বার বার বলতে বলতে অনেক কিছুর পরিবর্তন শুধু তাঁর এলাকায়ই নয় অনেক জায়গায় এরকম অনেক পরিবর্তন এসেছে। এমনকি সেই পরিবর্তন অনেককে খারাপ কাজ ফেলে রাসূলুল্লাহর সেই আসল সুন্নাত এবং তরীকার দিকে নিয়ে গেছে। #