কয়েকটি অনুরোধ
প্রিযবন্ধু আলকাউসার! কেমন আছ তুমি? নিশ্চয় ভালো তাই না? এপ্রিল ২০০৮ সংখ্যায় তুমি ভিন্ন আঙ্গিকে সেজে সত্যিই পাঠক সমাজের মন কেড়ে নিয়েছ।
মুফতী আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ সাহেবের লেখা, ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০০৮ : একটি সমীক্ষা’ পড়ে আনন্দ পেয়েছি। কেননা এতে অনেক অজানা ও সূক্ষ্ম বিষয় ফুটে উঠেছে। এছাড়া অন্যান্য বিভাগগুলোও সময়োপযোগী হয়েছে। বিশেষ করে আদীব হুজুরের ‘হজ্ব সফরনামা’, মাওলানা মুহা. ইয়াহইয়া সাহেবের ‘মোবাইল ফোন : প্রয়োজনীয় মাসায়িল’ ভালো লেগেছে।
প্রিয়বন্ধু! তোমার কাছে আমার কয়েকটি অনুরোধ : এক. তুমি মাসিক থেকে পাক্ষিক হয়ে যাও। কারণ দীর্ঘ ৩০ দিনব্যাপী অপেক্ষা করা খুবই কষ্টকর। দুই. ‘যুগের জিজ্ঞাসা: ইসলামের নির্দেশনা’ বিভাগটি নিয়মিত চালু রাখ। যাতে পাঠক-পাঠিকাগণ সময়ের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইসলামের সঠিক নির্দেশনা পেতে পারে। বিভাগটি যেন একান্তই সম্পাদক সাহেবের জন্য সংরক্ষিত থাকে।
সম্পাদক সাহেবকে বলছি, দেশে আজ ইসলামের নামে বহু সোসাইটি, ব্যাংক, বীমা গড়ে উঠেছে এবং সাধারণ মানুষ এগুলোকে গ্রহণ করে নিয়েছে। সুতরাং এই ধরনের ব্যাংক, বীমা, সোসাইটি ও শেয়ার ব্যবসাসহ প্রচলিত অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামের দিক নির্দেশনা দিয়ে বিভ্রান্তি এবং হারামের বেড়াজালে আবদ্ধ লাখো মানুষকে সঠিক পথ দেখাবেন বলে আমরা আপনার কাছে আশাবাদী। আশা করি প্রতি মাসে অন্তত একটি লেখা দিয়ে আপনি আমাদের হাজারো পাঠকের মনের চাহিদাকে পূরণ করবেন। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুন এবং আপনার হায়াত দীর্ঘ করুন।
প্রিয় বন্ধু! তোমার মাঝে কিছু বিষয়ে গাফলতি আমাদের চোখে ধরা পড়েছে। যেমন ধর : এক. নিয়মিত বিভাগগুলো প্রতিমাসে ছাপা হচ্ছে না। দুই. সূচিপত্রে বিভাগের নাম লিখে ভিতরের ঐ পৃষ্ঠায় বিভাগের নাম এবং লোগো না ছাপানো। তিন. সূচিতে বিভাগ এবং লেখকের নাম লিখে ভিতরে বিভাগের নাম এবং লেখকের নাম কালো কালি দিয়ে অন্ধকার করে রাখা। যেমনটি ঘটেছিলো গত সংখ্যায় ‘অন্যধারা’ বিভাগটিতে। চার. প্রতি মাসের পত্রিকা ১০/১৫ দিন পর পাঠকের হাতে পৌঁছা। অবশ্য এপ্রিল ’০৮ সংখ্যার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়েছে। পাঁচ. বানান ও মুদ্রণে এখনো বেশ কিছু ভুল পরিলক্ষিত হচ্ছে। সম্পাদক সাহেবের লেখায় গত সংখ্যায় বেশ কিছু ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে। তাছাড়া ফিলহাল বিভাগটিতে কার্টুনিস্ট আরিফের ব্যাপারে লেখাটিতে কয়েকটি লাইন ছুটে গিয়েছে।
প্রিয় বন্ধু! তোমার এ অলসতা ও অসুস্থতাকে ভালো করার জন্য তোমাকে ঔষধ খেলে চলবে না, বরং তোমার অভিভাবকদেরকে সচেতন হতে হবে, অলসতার ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠতে হবে। তোমার পিছনে পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্রম দিতে হবে। আর সম্পাদক সাহেবকে বলছি, ‘মারকাযের দিনরাত’ নামে যে একটি বিভাগ ছিলো সেটি গেলো কোথায়? তাছাড়া গত সংখ্যায় আমরা আলকাউসারের তত্ত্বাবধায়ক মাও. আব্দুল মালেক ছাহেবের কোনো প্রবন্ধ পাইনি। কিন্তু এসব কিছুর পরও একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় সংখ্যা উপহার দেওয়ার জন্য সম্পাদনা কর্তৃপক্ষ ও লেখকদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি। খোদা হাফেজ।
বিনতুল হাসান
পল্লবী, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬