ব্যক্তিত্বের সাফল্য যেভাবে
১. সর্বদা নিজের জীবনের হিসেব কষা। নিজের কাছে যা খারাপ লাগে তা জীবন থেকে মুছে ফেলার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করা।
২. পছন্দনীয় ব্যক্তি হওয়ার জন্য খোদ-পছন্দী খতম করা অপরিহার্য। নিজের মধ্যকার ‘আমিত্বর’ বিলুপ্ত করা ছাড়া এটা সম্ভব নয়।
৩. নিজের মধ্যে যিম্মাদারীর অনুভুতি সৃষ্টি করা। আর মনকে রাখা সদাজাগ্রত।
৪. কথোপকথনের সময় নম্রতা অবলম্বন করা।
৫. উচ্চস্বরে হাসাহাসি করলে আত্মার মৃত্যু ঘটে। তাই আনন্দের মুহূর্তে মুচকি হাসি হোক আমার পরিচয়। এতে চেহারার উজ্জ্বলতাও বাড়ে।
৬. কথোপকথনের সময় সামনে উপবিষ্ট ব্যক্তির প্রতি লক্ষ্য রাখলে নিজের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। ঔ ব্যক্তি বয়সে বড় হলে তার যথার্থ সম্মান ও মর্যাদার প্রতি লক্ষ রাখা কর্তব্য আর শিশুদের সাথে কথা বলতে তাদের প্রতি পূর্ণ স্নেহ-মহববতের দৃষ্টি বজায় রাখা উচিত।
৭. কারো ভালো গুণ ও ভালো আচরণ দেখলে প্রশংসা করতে কুণ্ঠিত হওয়া উচিত নয়। আর নিজের মধ্যে এই গুণের সমাবেশ ঘটানোর চেষ্টা করা কর্তব্য।
৮. হিংসা-বিদ্বেষ থেকে বেঁচে থাকার জন্য সর্বাত্নক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
৯. কথা দীর্ঘায়িত না করে অল্প বাক্যে বক্তব্য শেষ করার চেষ্টা করা।
১০. পরিবারের বড় যারা তাদের কথা মনোযোগের সাথে শোনা। এভাবে নিজের ব্যক্তিত্ব বড় করা যায় এবং অসংখ্য সওয়াব অর্জন করা যায়।
১১. মিথ্যা বলা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা। কেননা মিথ্যা সকল পাপের উৎস। তাই মিথ্যা থেকে বিরত থাকলে এমনিতেই পাপের পথ বন্ধ হবে।
১২. কথা বলার সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা। যেমন, কথা বলার সময় হাত নাড়াচাড়া করা থেকে বিরত থাকা। এমনিভাবে অনেকে কথা শোনার সময় নখ কামড়াতে থাকে। এগুলো ব্যক্তিত্বের জন্য চরম ক্ষতিকর।
১৩. নিজে আমল না করে অন্যকে নসীহত না করা। অন্যকে যা থেকে বিরত থাকতে বলবে নিজেও তা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করা।
১৪. কারো সাথে সাক্ষাত করলে হাসিখুশিতে সাক্ষাত করা। কেননা কাউকে খুশি রাখাও সওয়াবের কাজ। চেহারা সর্বদা কালো করে রাখলে অন্যের মনে এই চেহারাই বদ্ধমূল হয়ে যাবে। চেহারার ভাবভঙ্গিরও ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে অনেক প্রভাব রয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফীক দান করুন।
-আবু মাসরুর আবসি