ধন্যবাদ মাওলানা ইসহাক ওবায়দী
মাওলানা ইসহাক ওবায়দী। একটি জীবন। এ জীবনের যথার্থ চিত্রায়ন আমি একজন ক্ষুদ্রশিল্পীর তুলিতে সম্ভবপর নয়। আমার মত একজন কঁচি সাহিত্যসেবীর হৃদয়ে এমন ভাব ও মর্ম এবং কলমে এমন শব্দ ও বর্ণ নেই যা দিয়ে আঁকব আমি তার ছবি।
তবুও ... সেই প্রথমদিন দৈনিক যুগান্তরে হাফেজ আহমাদুল্লাহ ভাইয়ের মাধ্যমে সেই প্রথম পরিচয় থেকে, এমন বললেও কিছু ভুল হবে না, তারও অনেক আগ থেকেই আমি তার একজন ভক্ত-অনুরক্ত।
হঠাৎ সেদিন আলকাউসারের মে ’০৮ সংখ্যার ‘পাঠকের পাতা’য় তার নাম দেখে চমকে উঠি। আলকাউসারে তার লেখার নিয়মিত একজন পাঠক আমি, কিন্তু এখানে, এই পাঠকের পাতায় তার নাম! উৎসাহী মনে অল্প সময়ের মধ্যে নিলাম ‘সাহিত্যভাবনা’ শিরোনামে তার প্রতিক্রিয়াটি। ইসহাক ওবায়দীর অনেক ‘সুমন’ এবং অনেক ‘সুধর্ম’ পরায়ণতার শ্রোতা আমি। কিন্তু আজ, এই এখানে তিনি যে উদারতার পরিচয় দিলেন, আমার মনের যে বেদনা-জ্বালার অবসান তিনি ঘটালেন-তার নযরানা যোগাতে আমি অক্ষম। শুধু যতটুকু বলতে পারি তা হল-জাযাকাল্লাহু খাইরান।
আমরা যারা ভালোবাসি ইসলামকে। আমরা যারা ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুনে আঁকা সাহিত্য-সংস্কৃতিময় জীবনের স্বপ্ন দেখি-আমরা অনেকটাই সঙ্গীহীন। উৎসাহ-উদ্দীপনাবিহীন একটি জীবনের যাত্রী আমরা। সাহসী-উৎসাহী এবং উদ্দীপনাময়ী কোনো হাতের ছায়া আমাদের ওপর নেই। কোনো প্রকার উৎসাহ-উদ্দীপনা তো পাইই না বরং নিজেদের চেষ্টা-আগ্রহ ও উৎসাহে উদ্বেলিত হয়ে যখনি কোনো কাজ করি, যখনি কলম ধরি, লাঞ্ছনা-ভৎর্সনা এবং অনুৎসাহের একরাশ কালো মেঘ এসে ঘাড়ে চেপে বসে।
বিপর্যস্ত আজ আমরা। ভেঙ্গে পরছে আমাদের আগ্রহ। আমাদের এহেন অনুৎসাহ এবং অনুদ্দিপনাময় জীবনে ইসহাক ওবায়দীর মত একজন দরদী মানুষের সামান্য উৎসাহ একজন আইয়ূব বিন মুঈন, আছমা খাতুন এবং একজন মিযানুর রহমান সাগরকে সাহিত্যসাধনায় কতটা উদ্যোগী করে তুলবে তার কোনো প্রকার ব্যাখ্যা সম্ভব নয়। এমন অনেক মুঈন, অনেক আছমা এবং অনেক মিযানের পদচারণায় মুখরিত আমাদের ইসলামী সাহিত্যচর্চাঙ্গন। নিজস্ব চেষ্টায়-আগ্রহে ইসলামী সাহিত্যচর্চার যে বৃক্ষ আজ জন্ম নিয়েছে, সে বৃক্ষের সুস্বাস্থ্য এবং সুজীবন কামনায় এমন দরদী হাতের আজ বড় দরকার। ধন্যবাদ মাওলানা ইসহাক ওবায়দী। ধন্যবাদ আপনাকে। স্বাগত জানাই আপনার এ উৎসাহ প্রয়াসকে।
মিরাজ রহমান
একজন তালিবুল ইলম
আশরাফাবাদ, ঢাকা