একটি ভুল ধারণা : খতমসমূহ কি ইমাম ছাহেবের মাধ্যমে বখশানো জরুরি?
গ্রামাঞ্চলের মসজিদগুলোতে এবং শহরেরও কোনো কোনো মসজিদে দেখা যায় যে, ইমাম ছাহেবের কাছে মৌখিকভাবে বা লিখিত আকারে এই আবেদন এসে থাকে যে, ‘অমুক ব্যক্তি কুরআন মজীদ খতম করেছেন, তা বখশে দিবেন।’ তাদের আবেদনের ভঙ্গি থেকে অনুমিত হয় যে, কুরআন মজীদ খতম করার পর ইমাম ছাহেবের মাধ্যমে বা কোনো বুযুর্গের মাধ্যমে তা বখশানোকে তারা জরুরি মনে করেন।
এই ধারণা ঠিক নয়। কুরআন মজীদ খতম করা অনেক বড় ইবাদত, যা মূলত একটি ইনফেরাদী ইবাদত। প্রয়োজন ছাড়া অন্যকে এ বিষয়ে অবগত করাও মুনাসিব নয়। আল্লাহর জন্য পড়া হয়েছে, আল্লাহ তাআলা দেখেছেন, এই যথেষ্ট। যদি এই খতমের ছওয়াব কবরবাসীকে পৌঁছাতে হয় তবে মুখে বলারও প্রয়োজন নেই, শুধু মনে মনে এটুকু বললেই হবে যে, ইয়া আল্লাহ, এর ছওয়াব সকল মুসলিম কবরবাসীর আমলনামা বা অমুক অমুকের আমলনামায় পৌঁছে দিন। ছওয়াব বখশানোর জিনিস নয়, যা অন্যের মাধ্যমে বখশাতে হবে। শুধু ছওয়াব রেসানী অর্থাৎ ছওয়াব পৌঁছে দেওয়ার নিয়ত করাই যথেষ্ট।