এটি হাদীস নয় : الشيخ في قومه كالنبي في أمته
কোনো কোনো লোককে বলতে শোনা যায় যে, ‘শায়েখের মর্যাদা তার অনুসারীদের মধ্যে তেমনই যেমন নবীর মর্যাদা তাঁর উম্মতের মধ্যে।’
কেউ কেউ একে হাদীস হিসেবেও উল্লেখ করে থাকে।
এই বাক্যটা কোনো বুযুর্গের উক্তি, হাদীস নয়। যে রাবী একে হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছে সে মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। মোটকথা, হাদীস তো কশ্মিনকালেও নয়, প্রশ্ন এই যে, একে বুযুর্গের উক্তি হিসেবেও উল্লেখ করা যাবে কি না? না, যাবে না। কেননা এর দ্বারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। কোনো মূর্খ একথা শুনে মনে করতে পারে যে, তার পীরও নবীদের মতো নিষ্পাপ, মাছুম-নাউযুবিল্লাহ! কিংবা পীরের কথাও নাউযুবিল্লাহ-শরীয়তের দলীল! অথচ একজন নবীই মাছূম এবং কোনো পীরের কথা শরীয়তের কোনো দলীল নয়। পীরের জন্য অপরিহার্য যে, তিনি নবীর সুন্নাহর অনুসরণ করছেন এবং শরীয়ত মোতাবেক মানুষকে পরিচালিত করবেন। তাহলেই শুধু তার কথা গ্রহণযোগ্য হবে।
হকের অনুগামী ও সুন্নতের অনুসারী পীর-মাশায়েখের সাহচর্য গ্রহণ করা অবশ্যই শরীয়তে কাম্য। কিন্তু তাদেরকে
‘কাননবী ফী কাওকামিহী’ বলে দেওয়া নিঃসন্দেহে ‘গুলূ’ ও সীমালঙ্ঘন। এটা পরিহার করা কর্তব্য। এ প্রসঙ্গে সহীহ হাদীস এই-
العلماء ورثة الأنبياء، وإن الأنبياء لم يورثوا دينارا ولا درهما وإنما ورثوا العلم، فمن أخذه أخذ بحظ وافر.
আলিমরা নবীগণের উত্তরাধিকারী। আর নবীগণ দীনার-দিরহামের উত্তরাধিকারী করেন না, তারা শুধু ইলমের উত্তরাধিকারী করেন। অতএব যে ইলম গ্রহণ করল সে পূর্ণ অংশ গ্রহণ করল। (সুনানে আবু দাউদ হাদীস ৩৬৩৬) দেখুন : আলমাকাসিদুল হাসানাহ পৃ. ৪১২; মীযানুল ই’তিদাল খ. ২, পৃ. ২৩৭-২৩৮; লিসানুল মীযান খ. ৪, পৃ. ৩০৯, ৭/৩১৭
আবু আব্দুর রশীদ