রবিউল আউয়াল ১৪৩০   ||   মার্চ ২০০৯

স্মৃতির পাতা থেকে

মাওলানা আতাউর রহমান খান

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

 

বর্তমানে যে বেফাকুল মাদারিস বোর্ড হয়েছে এর আগেই তিনি সারা পূর্ব পাকিস্তানের মাদরাসার আলেমদেরকে জামিয়া ইমদাদিয়ায় ডেকে একটা কনফারেন্স করেছিলেন এবং সেখানে শামসুল হক ফরিদপুরী, চিটাগাং এবং সিলেটের ওলামায়ে কেরামসহ আলিয়া মাদরাসা থেকেও মাওলানা আবদুর রহমান কাশগরী প্রমুখদের আনিয়েছিলেন। তখন মুতামারুল মাদারিসিল আরাবিয়্যাহ নামে একটা বোর্ড গঠন করেছিলেন কিন্তু বোর্ডের অফিস কোথায় হবে তা নিয়ে মতবিরোধ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত এটা আর হয়ে উঠেনি। মাওলানা বলেছিলেন যে, জামিয়া এমদাদিয়ায় হবে। কারণ এখানে আমার (যোগ্য) স্টাফ আছে। কিন্তু ঢাকাওয়ালারা বলল যে, ঢাকাতেই হতে হবে। চট্টগ্রামওয়ালারা বলল, চট্টগ্রামে হতে হবে। এটা নিয়ে শেষ পর্যন্ত মুতামার হল না। কাগজপত্র, প্যাড, সিল সবকিছু তৈরি হয়েছিল আমার সামনেই। কিন্তু মুতামার হয়নি।

বহুদিন পর আমি, মাওলানা আশরাফ আলী সাহেব কুমিল্লায়ী, মাওলানা রেজাউল করীম, খুলনার মাওলানা শওকত আলী সাহেব এবং ঢাকার আরো কয়েকজনকে নিয়ে চিন্তা করলাম যে, মাওলানা আতহার আলী রাহ. মুতামার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু করে যেতে পারেননি। এটা চিন্তা করে মাওলানা রেজাউল করীম সাহেবকে দায়িত্ব দিলাম যে, একটা সভা ডাকেন। তিনি উলামায়ে কেরামের একটা সভা ডাকলেন। আমরা অনেক কষ্ট করে শায়েস্তাখান হলে বিরাট সমাবেশ করে ১৯৭৮ সনে একটা বোর্ড করলাম। ঐ সময়ে বোর্ডের নামের প্রশ্ন আসল। আমি ঐ কনফারেন্সে বললাম, হযরত মাওলানা আতহার আলী রাহ. যে নাম ঠিক করেছিলেন মুতামারুল মাদারিসিল আরাবিয়া এটা রাখলেই তো ভালো হয়। মাওলানা মুহিউদ্দীন খান সাহেব একটু আপত্তি করলেন। তিনি বলেছিলেন যে, হুজুর তো এই নাম রেখেছেন ঠিক আমরা জানি। কিন্তু মুতামার কথাটা এখানে প্রযোজ্য নয়। এটা খাটে না। কারণ মুতামার অর্থ হল কনফারেন্স, আমরা তো বোর্ড করতে চাই, কাজেই কনফারেন্স শব্দটা এখানে প্রযোজ্য নয়। এরচেয়ে বরং বেফাক যদি রাখি তাহলে ভালো হবে। পাকিস্তানে যেটা হয়েছে তা বেফাক নামে হয়েছে। তার কথা অনুযায়ী মুতামার শব্দটা না হয়ে বেফাক শব্দটা হয়েছে। কিন্তু বেফাকের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বাস্তবায়নকারী হলেন মাওলানা আতহার আলী রাহ.।

এখানে একটা কথা বলতে হয় যে, মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী রাহ. বেফাকের প্রথম প্রবক্তা। তাঁকে বাদ দিচ্ছি না। তিনি যখন উদ্যোগ নিয়েছেন তারও আগে মাওলানা আতহার আলী রাহ. উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

আরেকজন বড় ব্যক্তি ছিলেন হযরত মাওলানা সৈয়দ মুসলেহ উদ্দীন। ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া তার বাড়ি। তিনি একজন পীর খান্দানের লোক। বহুদিন নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব ছিলেন। অত্যন্ত চতুর মানুষ ছিলেন। তার অনেক ঘটনা আছে। এখন অল্প সময়ে বলা যাবে না।

আরেকজন বড় জ্ঞানী মানুষ ছিলেন হযরত মাওলানা নূর মুহাম্মদ আজমী। অনেকে হয়তো তার নাম শুনেছেন। তার লিখিত বহু কিতাবপত্র আছে। তিনি মিশকাত শরীফের বাংলা তরজমা, ভূমিকা, শরাহ করেছেন। একজন গবেষক ও চিন্তাশীল লোক ছিলেন। আল্লাহর মর্জি দেখুন, এত বড় গবেষক, ব্রেইন এত ভালো, এত উঁচু, কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাকে রোগ দিয়ে রেখেছেন। সব সময় রোগী থাকতেন। এমন রোগী যে শয্যাশায়ী। একা একা হাঁটতে যেতে পারতেন না। ধরে ধরে নিতে হত। তার সঙ্গে, ফরিদাবাদ মাদরাসায় যখন বিল্ডিং হয়নি, বেশ কিছু দিন ছিলাম। আমি তার পাশের রুমে ছিলাম। তার হাঁপানি রোগ ছিল। রাতে ঘুমাতে পারতেন না। রাতভর জাগ্রত থাকতেন। তো আমি আর মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাইদ (জালালাবাদী), উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদের বড় ভাই, আমরা তার খেদমত করতাম। তিনি খুব গবেষক আলেম ছিলেন। ইসলামের অর্থনীতি, ইসলামের শাসনব্যবস্থা এবং ইসলামের শিক্ষাব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে তার প্রবন্ধ আছে। মিশকাতের বাংলা তরজমা করেছেন। এর শুরুতে তিনি যে ভূমিকা লিখেছেন তা পড়লে এখনও ছাত্ররা ইলমে হাদীসের উসূলী ইলম অর্জন করতে পারে।

আরেকজন মাওলানা সাহেব ছিলেন, যদিও তিনি আমাদের মাশরব এবং মাসলকের নন, তবুও তিনি একজন বড় জ্ঞানী লোক ছিলেন। তিনি আজাদ পত্রিকা এবং মোহাম্মাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আকরম খাঁ। বৃটিশ আমলে মুসলমানদের মধ্যে আলেমদের মধ্যে যখন কলম ধরার মতো কোনো লোক ছিল না তখন দুইজন লোক সৃষ্টি হয়েছিলেন। একজন হলেন মুনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী। তিনিও অনেক কাজ করেছিলেন। জমিয়তে উলামা বাংলা তিনি গঠন করেছিলেন।

আকরম খাঁর একটা দোষ এই ছিল যে তিনি চিন্তা-চেতনার দিক থেকে স্যার সৈয়দের অনুসারী ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুজেযাগুলোকে তাবীল (ভুল ব্যাখ্যা) করতেন। তিনি কুরআন মজীদের তাফসীর লিখেছেন। তাতে অনেক ধরনের ভুল এবং বিভ্রান্তি রয়েছে। তার তাফসীরের ভুলগুলোকে শুধরিয়ে দিয়ে শামসুল হক ফরিদপুরী রাহ. এবং শায়খুল হাদীস মাওলানা আজীজুল হক সাহেব একটা বই লিখেছেন। এটা আকরম খাঁর তাফসীরের খন্ডনে লেখা। আর সীরাতুন্নবীর উপর আকরম খাঁ একটা বই লিখেছিলেন মোস্তফা চরিত নামে। এতে তিনি মুজেযাগুলোকে অস্বীকার করেছেন এবং এগুলোর তাবীলে ফাসেদ বের করেছেন। তার এই বইয়ের খন্ডনে একটা কিতাব লিখেছেন কবি গোলাম মোস্তফা। বিশ্বনবী। বিশ্বনবীর দুইটা খন্ড আছে। একটা হল ধারাবাহিক জীবনী। আরেকটা আলোচনা । এই আলোচনার অংশে আকরম খাঁর মোজেযা অস্বীকারের জওয়াব দিয়েছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, মোজেযা বাস্তব সত্য।

আকরম খাঁর মোস্তফা চরিত বের হওয়ার পর আমাদের উস্তাদ শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ আলী কুমিল্লায়ী, যিনি বহুদিন আশরাফুল উলূম মাদরাসার মুহাদ্দিস ছিলেন। বালিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস ছিলেন বহুদিন। আমরা যখন জামেয়া এমদাদিয়াতে বুখারী শরীফ পড়ি তখন তাকে আনা হল। তিনি বলেছিলেন, মোস্তফা চরিতের খন্ডনে কবি গোলাম মোস্তফা যে দ্বিতীয় খন্ড ছাপিয়েছিলেন এর উসিলায় হয়তো আল্লাহ তাআলা তাকে মাফ করে দিতে পারেন। এটা এত বড় খেদমত।

এই আকরম খাঁ সম্পর্কে বলি, মানুষটার চিন্তা-চেতনার মধ্যে যদিও বিভ্রান্তি ছিল, কিন্তু এত তীক্ষ্মধী ছিলেন, যে একটা ঘটনা বললে বুঝতে পারবেন।

১৯৬৫ সালে যখন আইয়ুব খানের সাথে ফাতেমা জিন্নাহর নির্বাচন হয় তখন আমাদের দেশের উলামায়ে কেরাম ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষে ছিলেন। কারণ আইয়ুব খান  শরীয়ত বিরোধী ফ্যামিলি ল অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল। সে বার্থ কন্ট্রোল তথা জন্মনিয়ন্ত্রনকে বাধ্যতামূলক করেছিল। আর করাচিতে ইসলামিক রিসার্চ একাডেমি গঠন করেছিল কতগুলো বেদ্বীনকে দিয়ে। যারা ইসলামের অপব্যাখ্যা করে। এইসব কারণে  আলিমগণ আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে চলে গেলেন এবং ফাতেমা জিন্নাহর মাধ্যমে আইয়ুব খানকে পরাজিত করার পন্থা অবলম্বন করলেন।

ঐ সময়ে মাওলানা আতহার আলী রাহ. কিছু দিনের জন্য ফরিদাবাদে একটা বাসা ভাড়া করে থাকতেন। তিনি পল্টন ময়দানে প্রাদেশিক উলামা সম্মেলনের জন্য কাজ করছিলেন। ঐ সময়ে আমরা কর্মী হিসেবে কাজ করছিলাম। মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, হাকীম আজিজুল ইসলাম (কয়েক দিন আগে ইন্তেকার করেছেন) আরো অনেকে কাজ করছিলেন। ঐ সময়ে আতহার আলী রাহ. অন্য কোনো লোক দিয়ে একটা লেখা তৈরি করলেন। সাত পৃষ্ঠা ছিল। তিনি আমাকে বললেন, এই আতাউর রহমান! এটা নিয়ে আকরাম খাঁ সাহেবকে দেখিয়ে আন। এটা ঠিক হয়েছে কি না। রাজনৈতিক বিষয়ের একটা লেখা ছিল। আমি গেলাম আজাদ অফিসে। আজাদ অফিস বিল্ডিং ছিল। দোতলায় আকরাম খাঁ সাহেব থাকতেন। আমি সকালের দিকে তার কাছে গেলাম। গিয়ে দেখলাম একটা ঘরে তিনি আছেন। ঐ ঘরে আসমান-যমীন সব কিতাবে ভরপুর। তিনি একটি ডেক্স নিয়ে বসে আছেন, তার খাদেম কর্মচারিরা আছে। আমি গিয়ে সালাম দিয়ে বসলাম। জিজ্ঞাসা করলেন, কী? বললাম, আমি একটা লেখা নিয়ে এসেছি। মাওলানা আতহার আলী সাহেব পাঠিয়েছেন। বললেন, পড়। আমি পড়তে আরম্ভ করলাম। কিন্তু তিনি শোনেন না। লেখেন, ফোন করেন, একে ডাকেন, দুনিয়ার সব কাজ করেন, আমার পড়া শোনেনই না। যখন তিনি শোনেন না তখন আমি পড়ি না, পড়া বন্ধ করে দেই। বন্ধ করলে ধমক মারেন। পড়! আমি মনে মনে বললাম, এটা কী ব্যাপার! লোকটা শুনছে না। আর আমি না পড়লে আমাকে ধমক মারে। পরে আমি ধমক শুনে শুনে পড়লাম। তিনি শুনলেনই না। অন্য কাজ করেন, লেখেন, তোশকের নিচ থেকে অন্য কী কী কাগজ বের করেন। আমি শেষ করেছি। পরে তিনি সব কাজ রেখে সোজা হয়ে বসলেন। বালিশে হেলান দিয়ে বললেন, এই! কলম আছে? কলম লও। কলম নিলাম। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় প্রতি লাইনে লাইনে তিনি সংশোধন করে দিলেন। এই প্রথম পৃষ্ঠা দেখ। এই প্যারাটা বাদ দাও, এই লেখ, এই শব্দটা বাদ দাও, এই শব্দটা বাড়াও, না দেখে। আমি পড়ার সময়ে উনি শোনেননি। আর এখন না দেখেই এটার সম্পাদনা করছেন! এদিকে আমি তালাশ করে পাই না। জায়গাটা কোথায়! এভাবে সাতটা পৃষ্ঠা তিনি সম্পাদনা করলেন। কাগজটা হাতেও নিলেন না। আর মনোযোগ দিয়ে শুনলেনও না। আমি অবাক হলাম। এমন একটা মানুষ শুনলই না এখন সংশোধন করছে লাইনে লাইনে, প্যারায় প্যারায়। আমি খুঁজে পাই না। তালাশ করি আর আমাকে ধমক দেন। আমি মাওলানা আতহার আলী সাহেবকে বললাম, হুজুর! কার কাছে আমাকে পাঠালেন? তিনি বললেন, কী হয়েছে? আমি তার কাছে ঘটনা বললাম। তখন তিনি বললেন, লোকটার যেহেন খুব তেজ ছিল। কিন্তু এই তেজ যেহেনটাই তার জন্য বালা হয়ে গেছে। এত তেজ না হলেই ভালো হত। এই ছিল তার সম্পর্কে মাওলানা আতহার আলী রাহ.-এর মন্তব্য।

যাই হোক, মাওলানা আকরম খাঁ একজন যহীন লোক ছিলেন। কিন্তু যে সময় মুসলমানদের পক্ষে বলার মতো কেউ ছিল না তখন তিনি মুসলমানদের পক্ষে কলম দিয়ে হিন্দুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন। কিন্তু তার কিছু  ভুল আকীদার কারণে আমরা তাকে আমাদের অনুসরণীয় লোক মনে করতে পারি না।

এরপর আমাদের বিপক্ষের কিছু বড় বড় ওলামায়ে কেরামের নাম বলতে হয়। এদের মধ্যে আছেন মাওলানা আবদুর রহীম, অধ্যাপক গোলাম আযম। তাদের সাথে আমার কথাবার্তা হয়েছে। গোলাম আযম সাহেবকে যখন আমি ধরলাম, মওদুদীর এসব তো ভুল, তিনি বললেন, আপনি একটু নোট করে দিন আমাকে। মওদুদী সাহেবের সাথে দেখা হলে আমি এগুলো দেখাব। আমি বললাম, এটা কোনো কথা হল নাকি? এসব দেখাতে কী আর বাকি আছে? উলামায়ে কেরাম সব দেখিয়েছেন। সে তো গ্রহণ করে না। এসব আলোচনার মধ্যে একপর্যায়ে বলল, আচ্ছা, এইসব ভুল ছাড়া একটা সহীহ দল আপনারা করেন আমরা ঐ দলে এসে পড়ব। এটাই ছিল তার শেষ কথা। আপনারা একটা দল করেন আমরা ঐ দলে এসে পড়ব।

মাওলানা আবদুর রহীম সাহেবের সাথেও অনেক কথাবার্তা হয়েছে। এখন মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন সাঈদী আছে তার সাথেও অনেক কথাবার্তা হয়েছে।

ঐ সময়ে আমি তাদের কাছে একটা প্রশ্ন রেখেছিলাম, যখন গোলাম আযম সাহেব নাগরিকত্ব পায়নি, আববাস আলী খান সাহেব তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে কাজ করছিলেন। এদের সাথে নেজামী সাহেবও ছিলেন। আমি বললাম, আপনারা এদেশে ইসলাম কায়েম করার জন্য অনেক দিন থেকে কাজ করছেন। কিন্তু ইসলাম কায়েম করতে পারছেন না। কারণ মাওলানা মওদুদীর এমন কতগুলো ব্যক্তিগত মতামত আছে যেগুলো মারাত্মক এবং এদেশের বিশজন আলেমের নাম লিখলাম যে, এই সমস্ত উলামায়ে কেরাম এগুলো গ্রহণ করেন না। বরং এগুলোর তারদীদ করেছেন। আশরাফ আলী থানভী রাহ.  থেকে শুরু করে হিন্দুস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের যত উলামা এই সকল মতামতের তারদীদ করেছেন তাদের নাম লিখেছি। এই উলামায়ে কেরাম যদি আপনাদের বিরোধিতা করেন তবে আপনারা কোনোদিন আগাতে পারবেন না। ইকামতে দ্বীন যদি আপনাদের মাকসাদ হয়ে থাকে তবে একটা শর্টকাট পথ অবলম্বন করতে পারেন। এই পনেরটা ভুল সম্পর্কে এই ঘোষণা দিয়ে দেন যে, এগুলো মাওলানা মওদুদী সাহেবের একান্ত ব্যক্তিগত মতামত এগুলোর সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা জুমহুর উলামায়ে কেরামের যে মত সেটাকেই গ্রহণ করি। এটাকেই আমরা অনুসরণ করি। এটাকেই আমরা কায়েম করতে চাই। এমন একটা ঘোষণা আপনারা দিয়ে দেন তাহলে আপনাদের আন্দোলন অতি দ্রুত মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। এটা করবেন কি করবেন না এটা শুধু আমাকে জানান। এই পত্র আমি ডাকে পাঠিয়েছিলাম। আমি এই কথাও লিখেছিলাম যে, আমি আপনাদের সাথে বিতর্কে অবতীর্ণ হতে চাই না। এটা শুধু আমি জানতে চাই। যদি করেন তবে আপনাদেরই উপকার হবে। আর যদি না করেন তাহলে আপনাদের যে ক্ষতি হচ্ছে তা তো হবেই আর আপনারা পারবেন না। কোনোদিনও পারবেন না। একটা ফেরকা তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু কোনোদিন ব্যাপকভাবে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পারবেন না। (চলবে ইনশাআল্লাহ)

 

 

advertisement