দয়াময়! আলো দিন এই অন্ধ চোখে
সূরা যারিয়াতে (৫১ : ২০-২১) আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
وَ فِی الْاَرْضِ اٰیٰتٌ لِّلْمُوْقِنِیْنَۙ وَ فِیْۤ اَنْفُسِكُمْ ؕ اَفَلَا تُبْصِرُوْن
‘পৃথিবীতে আছে অনেক নিদর্শন বিশ্বাসীদের জন্য এবং তোমাদের নিজেদের সত্তায়। তবুও তোমরা দেখ না?!'
বিখ্যাত তাবেয়ী মনীষী কাতাদা ইবনে দিআমাহ রাহ.-এর অর্থ করেছেন- معتبر لمن اعتبر
অর্থাৎ, জ্ঞান ও উপলব্ধির অনেক উপকরণ আছে ঐ ব্যক্তির জন্য যে জ্ঞান লাভ করতে চায়।
জ্ঞানের জন্য চাই উন্মুক্ত বক্ষ, সত্যগ্রাহী হৃদয়। মিথ্যার কালো পর্দায় যে হৃদয় আচ্ছন্ন তাতে প্রবেশ করে না জ্ঞানের আলো। তাই সবার আগে প্রয়োজন মিথ্যার অপসারণ। তাহলেই হৃদয়-দর্পণে ঘটবে সত্যের উদ্ভাস। আর চারপাশের সবকিছু হয়ে ওঠবে তাৎপর্যপূর্ণ। তখন চোখ যা দেখবে হৃদয় তার তাৎপর্য উপলব্ধি করবে। এরই নাম নূর ও আলো; দৃষ্টি ও অন্তর্দৃষ্টি।
এই আলো ও নূর তিনিই দান করেন যিনি সর্বপ্রকার নূরের স্রষ্টা। তাই শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী হযরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রার্থনা-
اللهم اجعل في قلبي نورا وفي بصري نورا ...
ইয়া আল্লাহ! আমার অন্তরে আলো দিন। আমার চোখে আলো দিন। ...
চোখে যখন আলো ফোটে, হৃদয় যখন জ্যোতির্ময় হয় তখন প্রকৃতির সব কিছুতে আল্লাহ তাআলার প্রমাণ ও নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়। এই আকাশ-ভূমি, বন-বনানী সব কিছুই তখন লা-শরীক আল্লাহর সংবাদ দান করে। মহান রবের পরিচয়-প্রাপ্ত হৃদয় থেকে তখন যে পংক্তিমালা উৎসারিত হয় তা থেকে বিচ্ছুরিত হয় সত্যের জ্যোতি। শুনুন এক আরব কবির আহ্বান-
تأمل في نبات الأرض وانظر + إلى آثار ما صنع المليك
عيون من لجين شاخصات + باحداق هي الذهب السبيك
على قضب الزبرجد شاهدات + بأن الله ليس له شريك
চোখ মেলে দেখ বাগানের ফুল / দেখ মহান কুশলীর কর্ম-কুশল / দেখ প্রস্ফুটিত চোখে তাকিয়ে আছে ‘নয়নতারা’। / যেন রজত-নেত্রে সুবর্ণ-নয়ন-মণি / দুলছে সবুজ যবরজদের বোঁটায় আর / সাক্ষ্য দিচ্ছে, তিনি এক লা-শরিক আল্লাহ তাআলা।
এখানে কবি বাগানের ফোটা-ফুলে পেয়েছেন লা-শরীক আল্লাহর পরিচয়। আর এ পরম উপলব্ধিতে তিনি এতই উদ্বেলিত যে, স্বজন-সুহৃদদেরও এই সত্যের সংবাদ জানাতে উদগ্রীব। তাই তাঁর মিনতি, একটি বার চোখ মেলে দেখ বন্ধু! সেই পরম শিল্পীর অপরূপ শিল্পকর্ম!
আমাদের বাঙালী কবিও যে দেখতে বলেননি তা নয়। দেখতে বলেছেন এবং না-দেখার আক্ষেপ তার কণ্ঠে-
‘দেখা হয় নাই দুই চক্ষু মেলিয়া/ ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া/ একটি ঘাসের ডগার উপর একটি শিশির-বিন্দু।’ চমৎকার পংক্তি!
কিন্তু কত পার্থক্য দুই দেখায় : এক উপভোগের দেখা; আর এক উপলব্ধির দেখা। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগে মানা নেই, কিন্তু জ্যোতির্ময় হৃদয় শুধু উপভোগেই ‘বদ্ধ’ থাকে না, তার দৃষ্টি উপভোগ থেকে পৌঁছয় উপলব্ধিতে। আর তখন পরম সত্যের সাথে তার যে উষ্ণ মিলন ঘটে তার তুলনা এ পৃথিবীর আর কিছুর সাথেই হতে পারে না। আরব কবির পংক্তিতে এই উপলব্ধিই বাঙ্ময় হয়েছে।
***
আমি বলছি না যে, বাংলা ভাষার কবির কণ্ঠে এ পরম সত্য প্রকাশিত হয়নি। হয়েছে এবং সুন্দরভাবে হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, এ জাতির শিল্প-সাহিত্য এখন অনেকটাই রাহুগ্রস্ত। তাই ঐসব আলোকিত পংক্তি এখন অপাংক্তেয়। এখানে আমাদেরও কিছু অবহেলা-অমনোযোগ যে নেই তা-ও নয়। আমাদের বিদ্রোহী কবির একটি পংক্তি দেখুন :
‘কার করুণায় পৃথিবীতে এত ফসল ও ফুল হাসে / বর্ষার মেঘে নদ-নদী-স্রোতে কার কৃপা নেমে আসে / কার শক্তিতে জ্ঞান পায় এত, পায় মান-সম্মান / এ জীবন পেল কোথা হতে তার পেল না আজিও জ্ঞান।’(আল্লাহ পরম প্রিয়তম মোর)
এতে যেন শুনছি সুরা ওয়াকিয়ার ভাবের অনুরণন-
اَفَرَءَیْتُمْ مَّا تَحْرُثُوْنَ ءَاَنْتُمْ تَزْرَعُوْنَهٗۤ اَمْ نَحْنُ الزّٰرِعُوْنَ
‘বল তো, তোমরা জমিতে যা কিছু বপন কর, তা কি তোমরা উদগত কর, না আমিই তার উদগতকারী?...।’ (সূরা ওয়াকিয়া ৫৬ : ৬৩)
‘কার করুণায় পৃথিবীতে এত ফসল ও ফুল হাসে?’
اَفَرَءَیْتُمُ الْمَآءَ الَّذِیْ تَشْرَبُوْنَؕ ءَاَنْتُمْ اَنْزَلْتُمُوْهُ مِنَ الْمُزْنِ اَمْ نَحْنُ الْمُنْزِلُوْنَ لَوْ نَشَآءُ جَعَلْنٰهُ اُجَاجًا فَلَوْ لَا تَشْكُرُوْنَ
বলতো,এই যে পানি তোমরা পান কর-মেঘ থেকে তা কি তোমরা বর্ষণ করাও,না আমিই তার বর্ষণকারী? (সূরা ওয়াকিয়া ৫৬ : ৬৮)
‘বর্ষার মেঘে নদ-নদী-স্রোতে কার কৃপা নেমে আসে?’
وَ اللّٰهُ اَخْرَجَكُمْ مِّنْۢ بُطُوْنِ اُمَّهٰتِكُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ شَیْـًٔا ۙ وَّ جَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَ الْاَبْصَارَ وَ الْاَفْـِٕدَةَ ۙلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ
আল্লাহ তোমাদের মাতৃগর্ভ থেকে এমন অবস্থায় বের করেছেন যে, তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন কান, চোখ ও অন্তকরণ। যাতে তোমরা শোকর আদায় কর। (সূরা নাহল ১৬ : ৭৮)
‘কার শক্তিতে জ্ঞান পায় এত, পায় মান-সম্মান / এ জীবন পেল কোথা হতে তার পেল না আজিও জ্ঞান।’
সত্যিই মানুষ অতি না-শোকর-অকৃতজ্ঞ!
***
পৃথিবীতে যা কিছু সুন্দর, যা কিছু কল্যাণকর তা তাঁরই দয়া ও করুণা। আর সংসারে দয়ামায়া,স্নেহে বাৎসল্যের যে প্রকাশ তা-ও তাঁর দান, তাঁরই ‘রাহমাহ’ গুণের কিঞ্চিত ছায়াপাত।
কবির ভাষায় :
‘হেরিণু চন্দ্র-কিরণে তাঁহার স্নিগ্ধ মমতা ঝরে / তাঁহারি প্রগাঢ় প্রেম-প্রীতি আছে ফিরোজা আকাশ ভরে / তাঁহারি প্রেমের আবছায়া এই ধরণীর ভালবাসা / তাঁহার পরম মায়া যে জাগায় তাঁহারে পাওয়ার আশা।’ (আল্লাহ পরম প্রিয়তম মোর)
সত্যিই তো! কে তাঁকে পেতে পারে যদি না তিনি দয়া করে হাত বাড়িয়ে দেন? দাস কীভাবে লাভ করবে প্রভুর প্রেম ও নৈকট্য?
কবির পরের দুটো পংক্তি তো অতুলনীয়-‘নিত্য মধুর সুন্দর সে যে নিত্য ভিক্ষা চায় / তাঁহারি মতন সুন্দর যেন করি মোরা আপনায়।’
সুবহানাল্লাহ! আল্লাহর মা’রিফাত তথা আল্লাহকে জানা এবং তাঁর সিফাত ও গুণাবলীর জ্ঞান অর্জন করার এক বড় উদ্দেশ্য, যার উপর লিখিত হয়েছে হাজার হাজার পৃষ্ঠা,আমাদের বিদ্রোহী কবির এ দুই পংক্তিতে তা ছন্দোবদ্ধ হয়েছে। বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা করে এভাবে বলা যায় যে, আল্লাহ তাআলা অতি মহান। উচ্চ তাঁর গুণাবলী। এ গুণাবলী তাঁর অতি প্রিয়। তাই নিজ বান্দাদের মাঝেও বান্দার শান ও অবস্থা অনুযায়ী তিনি দেখতে চান এসব গুণের প্রকাশ। সুতরাং এই মহৎ গুণাবলী যে যত বেশি অর্জন করে এবং যার মাঝে এর যত বেশি প্রকাশ ঘটে সে তাঁর তত নৈকট্যপ্রাপ্ত হয়। দেখুন : আল্লাহ সুন্দর। তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। তিনি জ্ঞানী। জ্ঞানীদের তিনি ভালবাসেন। তিনি দানশীল। তাই দানশীল বান্দা তাঁর প্রিয়পাত্র। তিনি শক্তিমান। তাই শক্তিশালী মুমিন তাঁর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে বেশি প্রিয়। তিনি দয়ালু। আর দয়ালু বান্দা তাঁর প্রিয়পাত্র। বান্দাদের মধ্যে তাদের-ই তিনি দয়া করেন যারা অন্যের প্রতি দয়া করে। তিনি দোষ গোপনকারী। সুতরাং যে বান্দা অন্যের দোষ গোপন করে তাকে তিনি ভালবাসেন। তিনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাশীলদের তিনি পছন্দ করেন। তিনি ন্যায়বিচারক। আর ন্যায় বিচারকারী বান্দা তাঁর অতি প্রিয়।...
***
তো সৃষ্টিজগতে আল্লাহ তাআলার করুণা ও রহমত এবং ক্ষমতা ও কুদরতের যে অসংখ্য নিদর্শন তা যখন বান্দার উপলব্ধিতে উপস্থিত হয় তখন তার ঈমান ও বিশ্বাস ঐ দৃঢ়তা লাভ করে যে, বিপরীত কিছু শুনলে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায় এবং এরপর বলে ওঠে-
أفي الله شك فاطر السماوات والأرض
আল্লাহ সম্পর্কে সংশয়, যিনি স্রষ্টা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর!!
فيا عجبا كيف يعصى الاله + أم كيف يجحده الحاجد
وفي كل شيء له آية + تدل على أنه الواحد
কী আশ্চর্য! কীভাবে হতে পারে ইলাহের নাফরমানী / কিংবা কীভাবে কেউ করে তাঁকে ইনকার / যখন সব কিছুতেই আছে এই প্রমাণ / যে, তিনিই সেই ওয়াহিদ, লা-শারীক
মহান আল্লাহর পরিচয় যে পায় তার কাছে নিজের রূপও প্রকাশিত হয়। আপন অক্ষমতা ও অজ্ঞানতা স্বীকারে তার কোনো সংকোচ থাকে না।
‘মোরা অজ্ঞান, তাই তিনি চান তাঁর নির্দেশে চলি / তাঁহার আদেশ, তাঁরই পবিত্র গ্রন্থে গেছেন বলি / সে কথা শুনি না, পথ চলি মোরা আপন অহংকারে / তাই এত মার খাই, এত দুখ পাই মোরা সংসারে।’ (আল্লাহ পরম প্রিয়তম মোর)
কবি এখানে কুরআনকে সকল কল্যাণের দিশারী আর কুরআনের অবাধ্যতাকেই সকল লাঞ্ছনার কারণ সাব্যস্ত করেছেন।
অথচ জনৈক ‘প্রথাবিরোধী’ লেখকের পংক্তি- ‘যে বই তোমায় অন্ধ করে / যে বই তোমায় বন্ধ করে / সে বই তুমি ধরবে না। (বই,অন্ধকারে গন্ধরাজ)
এখানে লেখকের উদ্দেশ্য কী তা তার অন্যান্য লেখা থেকে স্পষ্ট। তার অনেক বাক্যই এত উদ্ধত-অশালীন যে, সেসব এখানে উদ্ধৃত করা সম্ভব নয়। নিরীহ কয়েকটি বাক্য এই-‘. .. আমাদের শহরে পুজোঅর্চনা ধম্মকম্মকেই বিজ্ঞান বলে। পুরনো বই মুখস্থ করাকে বলে আণবিক পদার্থ বিজ্ঞান। পুরনো বই থেকে আবৃত্তি করাকে বলে মহাজাগতিক বিজ্ঞান। আমাদের শহরে সব ধর্মের নিজস্ব পদার্থ বিজ্ঞান,রসায়নবিদ্যা,গণিত,জীববিজ্ঞান আছে’ (আমাদের শহরে একদল দেবদূত)
আরেকটি উদ্ধৃতি-
‘আছেরা বলে দিয়েছে, কোনো নতুন কথা বলা চলবে না। সব সময় পুরোনো কথা বলতে হবে। পুরোনো বই মুখস্থ করতে হবে। গলা ফুলিয়ে পুরোনো কথা আবৃত্তি করতে হবে। কারো কথা নতুন বলে সন্দেহ হলেই তাকে ধরে নিয়ে যায় আছেরা। মাটিতে পুঁতে ফেলে।’ (আমাদের শহরে একদল দেবদূত)
‘আছের’ লেখকের একটি শ্লেষাত্বক পরিভাষা। এর অর্থ আস্তিক বা ধার্মিক লোকেরা। এ কথাগুলো লেখকের স্বপ্রথাবিরোধী শিল্পিত মিথ্যার কিছু নমুনা।
অথচ আমাদের বিদ্রোহী কবির তর্জনী ওচানো তিরস্কার:
‘অন্যরে দাস করিতে কিংবা নিজ দাস হতে ওরে / আসেনিক দুনিয়ায় মুসলিম ভুলিলি কেমন করে?! / ভাঙ্গিতে সকল কারাগার, সব বন্ধন, ভয়-লাজ / এল যে কোরান, এলেন যে নবী ভুলিলি সেসব আজ?! (আজাদ)
হায় কবি! এখনকার হীনম্মন্যতাগ্রস্ত মেরুদণ্ডহীন লোকগুলো যে মিথ্যার পূজারী! তাই যে কোরান এল ‘ভঙ্গিতে সকল কারাগার সব বন্ধন,ভয়-লাজ’ তারই সম্পর্কে ওদের উচ্চারণ- ‘যে বই তোমায় বন্ধ করে...।’
***
কুরআনের পথে না চলা যেমন জাতির অপমান ও লাঞ্ছনার কারণ তেমনি আল্লাহর সাথে ভাবের অভাবই সকল অশান্তির মূল।
‘আমি বলি,এত কৃপাময়,এত ক্ষমাসুন্দর তুমি,/মানুষের বুকে কেন তবে এই অভাবের মুরুভূমি?/প্রভুজী বলেন,মোর সাথে ভাব করিতে চাহে না কেউ / আড়ি করে আছে মোর সাথে তাই এত অভাবের ঢেউ। (আল্লাহ পরম প্রিয়তম মোর)
এই হিরক-খণ্ডের মতো উজ্জ্বল পংক্তিমালাও আমাদের কাব্য-সাহিত্যের ভাণ্ডারে একেবারে কম নয়,কিন্তু সত্য কথা এই যে,এরা অতি মযলুম। আপনের অনাদর আর পরের অবিচার এদের পর্দার ওপারে মুখ লুকাতে বাধ্য করেছে। এই জ্যোতির্ময় পংক্তিমালার যারা স্বজন-সমঝদার সেই ঈমানদার উলামা-খুতাবার দায়িত্ব, নিজেদের রচনায় ও বক্তৃতায় এদের তুলে নিয়ে আসা। যেভাবে অনেক উর্দু-ফার্সী পংক্তি আমাদের উলামা-মাশায়েখের মাধ্যমে ‘অমরত্ব’ লাভ করেছে, তেমনি আমাদের ভাষার এই আলোকিত পংক্তিগুলোও সেই শুভদৃষ্টি লাভের হকদার। যোগ্য ও তরুণ আলিমদের এদিকে মনোযোগ দেওয়া খুবই প্রয়োজন।
ইহজাগতিকতাবাদ বা নাস্তিক্যবাদের কালো চশমায় চোখ ঢেকে যারা প্রকৃতির দিকে তাকায়, যা আজকাল একশ্রেণীর অবক্ষয়প্রাপ্ত তরুণের ফ্যাশনেবল প্রবণতা, তাদের সম্পর্কেও বোধহয় বিদ্রোহী কবির নীচের পংক্তিটিই প্রযোজ্য-
‘তাঁর সাথে যোগ নাই যার সেই করে নিতি অভিযোগ / তাঁর দেওয়া অমৃত ত্যাগ করে বিষ করে তারা ভোগ’।
কবির উদাত্ত আহ্বান-
‘তাঁরই নাম লয়ে বলি বিশ্বের অবিশ্বাসীরা শোনো / তাঁর সাথে ভাব হয় যার তার অভাব থাকে না কোনো।’
وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين