সফর ১৪৩১   ||   ফেব্রুয়ারী ২০১০

ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়নি হাইতির মসজিদগুলো

ক্যারিবীয় মুসলিম সমপ্রদায়ের একটি গ্রুপ ত্রাণ নিয়ে পোর্ট-অ-প্রিন্স এসেছিলেন ক’দিন আগে। দলটির নেতা ক্যারিবিয়ান মুসলিম ডটকম’কে বলেন, ‘'আমরা হাইতিতে নিরাপদে পৌঁছেছি এবং এখন পোর্ট-অ-প্রিন্সের আততাওহীদ মসজিদে আছি। সারারাত রাস্তায় ছিলাম। ২টার দিকে ডমিনিকান রিপাবলিক সীমানা পার হয়েছি। পোর্ট-অ-প্রিন্সে আমাদের ভাইবোনদের সাথে দেখা না করা পর্যন্ত বিশ্রাম নিইনি। তাদের কাছে যখন খাদ্য ও পানীয় নেই, তখন আমরা অলসভাবে বসে থাকতে পারি না। শহরটি এখন বিশৃঙ্খল। কেরোসিনের জন্য রাতদিন লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন আমাদের ভাইয়েরা। তারা ট্রাক আনলোড করতে আমাদের সহায়তা করেছেন। খাদ্য ও পানীয় দেখে খুশিতে আটখানা তাদের স্ত্রী-সন্তানরা। আমাদের দেখে তারা আল্লাহু আকবার ধ্বনি তুলেছেন। তারা আমাদের জন্য সারা দিন অপেক্ষা করেছেন। আনলোডিংয়ের পর আমরা জামাতে নামায আদায় করি।’ ২০ জানুয়ারি সকালে ছয় দশমিক এক মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এ সময়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে গ্রুপের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ফজরের নামায শেষে আমরা বিশ্রামে গিয়েছিলাম। কিন্তু কম্পনে জেগে উঠি। কম্পনের সাথে সাথে সবাই কালেমা শাহাদাত পড়তে পড়াতে রাস্তায় নেমে আসেন। আল্লাহর রহমতে আমাদের ওপর ভয়ঙ্কর কিছু ঘটেনি। মসজিদের পাশে কয়েকটি বিল্ডিং ধ্বসে পড়ে। কিন্তু মসজিদটি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকে, একটি ফাটলও ধরেনি।’ পোর্ট-অ-পিন্সের মসজিদগুলো মুসলিম-অমুসলিম সবার জন্যই এখন আশ্রয়স'ল। ভেতরে যারা জায়গা পাননি, তারা মসজিদের চার দিকে তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। অনেক লোক আহত। তাদের চিকিৎসা, খাদ্য ও পানি দরকার। মুসলিম এনজিওগুলো সাহায্য পাঠিয়েছে এবং হাজার হাজার লোক এসব ত্রাণ গ্রহণের জন্য মসজিদের দিকে ছুটে আসছেন। মসজিদে গ্রুপের সদস্যরা হাইতির মুসলমানদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে আবু বকর নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘ভূমিকম্পে আমার বোন মারা গেছেন। তাদের বাড়ির ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়েন তিনি। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। আমার ভাইও নিখোঁজ।’ আবু বকর আশ্রয় নিয়েছেন ওই মসজিদেই। সূত্র : নয়াদিগন্ত, ২৫ জানুয়ারি

 

advertisement