জুমাদাল উলা ১৪৩৬   ||   মার্চ ২০১৫

ইলমের পিপাসা ও পরিচর্যা : মুফতী ফয়যুল্লাহ রাহ.-এর দুই মেয়ে

মাসুমা সাদিয়া

মুফতীয়ে আযম হযরত মাওলানা মুফতী ফয়যুল্লাহ রাহ.-এর কয়েকজন কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল। তন্মধ্যে দুই মেয়ে বেঁচে ছিল। বড় মেয়ের নাম রাহীমা খাতুন। ছোট মেয়ের নাম যায়নাব খাতুন।

আশ্চর্য প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তাঁরা। তাদের ইলম অর্জনের আগ্রহের কথা শুনলে অবাক হতে হয়। অতি অল্প বয়সেই তারা যেসমস্ত কিতাব পড়ে ফেলেছেন, শুনলে অবাস্তব মনে হয়।

পিতা নিজেই তাঁদের অনেক প্রশংসা করতেন। বড় মেয়ে সম্পর্কে বলেন, আমার কলিজার টুকরা মেয়েটি যদি পুরুষ হত তাহলে মাশাআল্লাহ অনেক বড় আলেম হত। কিংবা বিবাহটাও যদি কিছু দেরিতে হত তাহলে ফাযেলা বনে যেত। কিন্তু আল্লাহর ফায়সালা, চৌদ্দ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তার বিবাহ হয়ে গেল এবং সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। এভাবে বিভিন্ন সময় উভয় মেয়ের কথা বলতেন।

বড় মেয়ে সম্পর্কে হযরত মুফতী ছাহেব নিজেই বলেন তার জেহেন-মেধা এবং কিতাবাদী বুঝার ও মুখস্ত করার যোগ্যতা প্রখর ছিল। অত্যন্ত বুঝমান এবং মেধাবী ছিল। কিতাবের যত কঠিন বিষয় হোক অত্যন্ত পরিপূর্ণতার সাথে উপস্থাপন করতে পারতো। ইবারাতের স্বাভাবিক অর্থ সঠিকভাবে বুঝতে পারতেন। সবক শুনাতে অথবা সামনের পড়া পড়তে ইবারত (আরবী পাঠ) খুব দ্রæততার সাথে পড়তে পারত। নির্ভুল পড়ত। হস্তাক্ষর ছিল পরিষ্কার ও সুন্দর। যে কোনো বিষয় অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত আকারে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরতে পারত।

মুফতীয়ে আযম রাহ. বলেন, অনেক সময় আমি তাকে দিয়ে ফতোওয়াও নকল করিয়েছি। ফারায়েয ও (মিরাছ বণ্টন-হিসাব) করিয়েছি। মাশাআল্লাহ ফারায়েযে সে খুবই দক্ষ ছিল।

মুহতারামা রহীমা খাতুন তার নিজের শিক্ষা-দীক্ষার বিষয়ে বলেন, আমাদেরকে পড়ানোর ক্ষেত্রে আব্বাজান রাহ.-এর সীমাহীন আগ্রহ ছিল। আল্লাহ তাআলার অসীম মেহেরবানী তিনি আমাদেরকেও দ্বিনী ইলম অর্জন করার সীমাহীন আগ্রহ দান করেছেন। আব্বাজান রাহ. আমাদেরকে যত্নের সাথে পড়াতেন। আমি, ছোট বোন যায়নাব এবং ঘরের অন্যান্য বাচ্চাদেরকে পড়ানোর জন্য উস্তাযে মুহতারাম হযরত মাওলানা আযীযুল্লাহ ছাহেব রাহ.-কে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি দশ বছর বয়সেই সম্মানিত উস্তাযের কাছে উর্দু-ফার্সীর প্রাথমিক কিতাবগুলো এবং ইলমে ছরফের মীযান-মুনশাইব, পাঞ্জেগাঞ্জ এবং ইলমে নাহুর নাহবেমীর পরিপূর্ণরূপে শিখে ফেললাম। তিনি আরো বলেন, আমি এই কিতাবগুলো যতটুকু পড়েছি যায়নাবও আমার চেয়ে ছোট হওয়া সত্তে¡ও উস্তাদজীর কাছে ততটুকু পড়েছে। তবে যায়নাব ইলমে ছরফে অনেক পাকা ছিল। কোনো ছীগা জিজ্ঞাসা করলে সাথে সাথে বলে দিতে পারত। যায়নাবের দক্ষতা সম্পর্কে আব্বাজান রাহ. বলেন, একবার আমার দোস্ত মুহতারাম মাওলানা আব্দুল মাজীদ শাহ ছাহেব রাহ. এবং মাওলানা আবুল হাসান রাহ. ও মাওলানা নূর আহমদ ছাহেব রাহ. আমাদের ঘরে এলেন। খানাপিনা থেকে ফারেগ হওয়ার পর যায়নাবকে আমার রচিততালীমুল মুবতাদী থেকে কিছু প্রশ্ন করলেন। যায়নাবের বয়স ছিল তখন খুবই কম। কিন্তু মাশাআল্লাহ সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিল। তখন শাহ ছাহেব রাহ. খুব খুশি হলেন এবং তাকে পুরস্কার দিলেন।

মুফতীয়ে আযম রাহ. বলেন, তালীমুল মুবতাদী রচনা করার প্রেক্ষাপট ছিল; আদরের কন্যা যায়নাবের আরবী সাহিত্যের সাথে সম্পর্ক তৈরি করানোর জন্য কিছু জুমলা আরবীতে লিখিয়ে দিতাম। এভাবে কিছু লেখা একত্রিত হয়ে একটা কিতাবের আকার ধারণ করে।

মুহতারামা রহীমা খাতুন আরো বলেন, দশ বসর বয়সেই নাহবেমীর পর্যন্ত পড়ার পর পড়াশোনার আগ্রহ আরো বাড়তে থাকল। আব্বাজান রাহ.-এর ইচ্ছাও এটাই ছিল যে, উস্তাদজীর কাছে প্রচলিত সমস্ত কিতাবই পড়ব। পরে যখন উস্তাদজীর কাছে যেতে লজ্জাবোধ করতে শুরু করলাম তখন আব্বাজান নিজেই ঘরের মধ্যে খুব গুরুত্বের সাথে পড়ানো শুরু করলেন। ফজর এবং জোহর নামাযের পরে এবং রাতে পড়াতেন। উস্তাদজীর কাছে পড়া কিতাবগুলো ছাড়াও আব্বাজান প্রথমেই কারীমা, পান্দেনামা আত্তার, গুলিস্তা, বোস্তা এবং ফার্সী কিতাবগুলোর পাশাপাশি আরবী মুফীদুত তালেবীন, তালীমুল মুতাআল্লিম, কালয়ূবী, কাসীদাহ বুরদাহ, নাফহাতুল আরব এবং আল্লামা ইবনে তাইমিয়াহ রাহ.-এর প্রসিদ্ধ কিতাব আলফুরকান ইত্যাদি পড়ালেন। ফিকহের মধ্যে মা-লা-বুদ্দামিনহু, কুদুরী এবং আব্বাজান রাহ.-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ আরবী ও ফার্সিও পড়ালেন।

আমার বয়স যখন তের বসর তখন আব্বাজান রাহ. আমাকে উলূমে আরাবিয়্যাহ এবং ফিকহের সাথে সম্পর্ক তৈরি করানোর জন্য হেদায়া পড়াতে শুরু করলেন। আব্বাজান রাহ. হেদায়া শুরু করার পর আমি অত্যন্ত আগ্রহ ও আনন্দের সাথে পড়তে লাগলাম। হেদায়ার পাশাপাশি আরো দুতিনটি বিষয়ের দুতিন কিতাবও পড়লাম।

আলহামদুলিল্লাহ, আমি রাত-দিন মুতালাআয় ডুবে থাকতাম। আমার পড়াশোনার জন্য আলাদা একটা কামরা ছিল। পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটবে বিধায় আম্মার সাথে থাকার পরিবর্তে ঐ কামরায় থাকতাম এবং রাতেও  সেখানে থাকতাম। কোনো কোনো সময় এমন হতো যে, যথেষ্ট পরিমাণ রাত জাগার পর আব্বাজান রাহ. এসে শুয়ে যাওয়ার নির্দেশ  করতেন।  আব্বাজানের কথা অনুযায়ী বাতি নিভিয়ে শুয়ে পড়তাম। কখনো আবার এই কৌশল করতাম যে, হারিকেনের চিমনী কাগজ দিয়ে ঢেকে দিতাম যেন তিনি মনে করেন আমি শুয়ে পড়েছি।

হযরত মুফতী ছাহেব রাহ. একবার হাটহাজারীর জামে মাসজিদে তাঁর বুধবারের বয়ানে বলেন, যেদিন মেয়ে রহীমা খাতুন তাফসীরে জালালাইন শুরু করল ঐদিনের কথা, আমি রাতের যথেষ্ট অংশ অতিবাহিত হওয়ার পর কোনো প্রয়োজনে ঘুম থেকে জাগ্রত হলাম। দেখতে পেলাম রাহীমার ঘরে বাতি জ্বলছে। এত রাতে তার ঘরে আলো দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। চুপি চুপি তার কামরার কাছে গেলাম।  দেখলাম, সে জালালাইন শরীফের মুতালাআয় ডুবে আছে। এটা দেখে আমার আর খুশীর সীমা রইল না। আমি আল্লাহর শোকর আদায় করলাম।

বড় মেয়ে রহীমা খাতুন বলেন, হেদায়া শুরু করার পর নিয়মিত পড়তে থাকলাম এবং অল্প দিনেই হেদায়ার প্রথম দুখণ্ড শেষ হয়ে গেল। তখন আব্বাজান রাহ. আবার পড়াতে শুরু করলেন। পাশাপাশি মিশকাত শরীফ-এরও ছবক দিলেন। মিশকাত শরীফ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শব্দে শব্দে পড়ালেন এবং শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবী রাহ. রচিত أشعة اللمعات  (মিশকাত শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ) পূর্ণ চার খণ্ড সমাপ্ত করালেন।

মিশকাত শরীফ أشعة اللمعات সহ যখন সমাপ্ত হল তখন আমার চৌদ্দ বছর পূর্ণ হল। আবার যখন মিশকাত শরীফ পুনরায় পড়তে শুরু করলাম তখন হেদায়া আখেরাইন (৩য় ও ৪র্থ খণ্ড) এবং জালালাইন শরীফ সবক দিলেন। আর তখনি আমার বিবাহ হয়ে গেল।

আলহামদু লিল্লাহ বিবাহের পূর্বেই এ সমস্ত কিতাবাদি পরিপূর্ণভাবে  শেষ হয়ে গেল।

তিনি আরো বলেন, ইলম অর্জনের যে তীব্র আকাংখা ছিল বিবাহের পর তাতে ভাটা পড়ল। কুতুবে সিত্তা (ছিহাহ ছিত্তা) খতম করার যে তামান্না অন্তরে ছিল সেটাও পূর্ণ হল না। এজন্য যদি জীবনের শেষ পর্যন্তও আফসোস করি তা কমই হবে।

এখন শুধু কবির এ কথায় সান্তনা খুঁজি- মানুষ যা কামনা করে তার সবটাই সে পায় না / বাতাস জাহাজের বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়

অবশ্য বিবাহের পরে মুয়াত্তা মুহাম্মাদ এবং সীরাজী পড়েছি।

মুফতীয়ে আযম রাহ. বলেন, রাহীমার ফারায়েযের ক্ষেত্রে অনেক দক্ষতা ছিল, কিন্তু বিবাহের পরে ঘরের ঝামেলা এবং বিভিন্ন সমস্যার কারণে নিবিড়ভাবে পড়াশোনার সুযোগ সে পায়নি। এর মাঝেই যতটুকু সম্ভব হয়েছে চেষ্টা চালিয়ে গেছে।

মুহতারামা রহীমা খাতুন আরো বলেন, ছোট বোন যায়নাব উস্তাযে মুহতারাম হযরত মাওলানা আযীযুল্লাহ ছাহেবের কাছে নাহবেমীর পর্যন্ত পড়ার পর আব্বাজান রাহ. তালীমুল মুবতাদী, ফয়যুল কালাম হিদায়াতুল ইবাদ ইত্যাদি কিতাব পড়ালেন। ইন্তেকালের আট-নয় বছর পূর্বে আব্বাজান রাহ. আমাদের দুবোনকে কুরআনের তরজমা জরুরি তাফসীরসহ পড়িয়ে দিলেন। আমার তো কিছু কারণে কখনো কখনো অনুপস্থিতি হয়ে যেত। কিন্তু ছোট বোন যায়নাব ঠিকই আব্বাজানের কুরআনের দরস দ্বারা উপকৃত হতে থাকল। আব্বাজান রাহ. আমাদেরকে যে পরিমাণ ভালবাসতেন, তা প্রকাশ করার ভাষা আমাদের নেই। আম্মাজান রাহ. বলেন, আমি যখন খুব ছোট ছিলাম আব্বাজান রাহ. কোথাও গেলে ঘরে এসে প্রথমেই আমাকে কোলে নিতেন। আমাদের খোঁজখবর নিতেন। আর সবচেয়ে বড় ভালবাসা হল তিনি আমাদেরকে ইলমে দ্বীন শিখিয়েছেন। যার শুকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারব না।

আখলাক-চরিত্র : বড় মেয়ের আখলাক সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এক দৃষ্টান্তহীন নারী ছিলেন তিনি। তার স্বভাব-চরিত্র ছিল প্রশংসার যোগ্য। আল্লাহ তাআলা মুফতীয়ে আযম রাহ.-কে যে সমস্ত বিরল গুণ এবং নমুনাহীন চরিত্র দান করেছেন তার সবটাই তিনি পেয়েছিলেন। আচার আচরণ, চলা-ফেরা, অভ্যাস-রীতি মোটকথা জিন্দেগীর সর্বক্ষেত্রে সম্মানিত পিতার অবিকল প্রতিচ্ছবি ছিলেন।

ছোট মেয়ে যায়নাব সম্পর্কে জীবনীকার বলেন, তিনি আমার খালা-শাশুড়ি ছিলেন।  সাত বছর আমি তাদের বাড়িতে রাত-দিন অবস্থান করেছি। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে তাঁর গলার আওয়াজ কখনো আমার কানে আসেনি। অথচ মাঝখানে শুধু বাঁশের বেড়া ছিল।

তার লজ্জা এতই প্রবল ছিল। এগার বছর পর্যন্ত তার সাথে আমার একটি কথাও হয়নি। কয়েক বসর আগে হযরতের জীবনের কিছু তথ্য সংগ্রহ করার জন্য তার বড়বোনের মাধ্যমে অনেক পীড়াপীড়ি করলাম; নিজের পিতার কিছু কথা আমাদেরকে শুনান, কিন্তু লজ্জার দরুণ তার মুখ থেকে এক শব্দও বের হয়নি।

শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রেই নয়, হযরত মুফতী ছাহেব স্বীয় স্ত্রীর পড়াশোনার ক্ষেত্রেও বেশ সজাগ ছিলেন এবং এ বিষয়ে খুব গুরুত্ব দিতেন। স্ত্রীর তালীমি বিষয়ে হযরত রাহ. নিজেই বলেন, তিনি যখন খুবই ছোট তখন আমি মকতবে কিছু বাচ্চাদের পড়াতাম। তার মধ্যে আমার আহলিয়াও ছিল। বিবাহের আগে কায়েদা থেকে কুরআন শরীফ পর্যন্ত শিক্ষা দিয়েছি। অবশ্য বিবাহের পরে উর্দু কিতাব যেমন, রাহে নাজাত, যীনাতুন নিসা, হুকুকুল ইসলাম, মিফতাহুল জান্নাত, বেহেশতী জেওর এগার খণ্ড এবং ফার্সী পহলী ইত্যাদি কিতাবগুলো পড়িয়েছি। আরবীর সাথে সম্পর্ক তৈরি করানোর জন্যে মুফীদুত তালেবীন শুরু করেছি, কিন্তু ঘরোয়া বিভিন্ন ঝামেলা ও বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। অন্যথায় ইচ্ছা ছিল মেয়েদের মত একটা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পড়াব। তারপর মাদরাসার দরসের ফাঁকে ফাঁকে কিছু পড়াতাম।

[তথ্যসূত্র: হায়াতে মুফতী আযম রাহ. (উর্দূ), লেখক মাওলানা মুফতী ইযহারুল ইসলাম দামাত বারাকাতুহুম]

এসবকিছু লেখার এই উদ্দেশ্য নয় যে, আমরা একজন আরেকজনের কাছে বলব আর তৃপ্তি পাব। বরং উদ্দেশ্য হল, উপদেশ গ্রহণ করা এবং তাঁদের উত্তম অবস্থাগুলো নিজের চলার পথের মশাল বানানো। হযরত রাহ.-এর পরিবারস্থ নারীরা আমাদের জন্য আদর্শ, নারী জাতির মাঝে অনন্য দৃষ্টান্ত।

তিনি তাদেরকে আরবী, ফার্সী, উর্দু, কুরআনের তাফসীর, ফিকহ কোনোটাই শিক্ষা দিতে বাদ রাখেননি।

নারী জাতির কত ঝামেলা-অজুহাত, একটু চিন্তা করি; তারাও তো আমাদের মতই নারী। অত কম বয়সে এতগুলো কিতাব পড়ে ফেলা খুব বেশি আগের কথাও নয়। তারা তো আমাদের দেশেরই নারী। আজ আমাদের মাঝে দ্বীন শিক্ষার আগ্রহ খুবই কম। সাংসারিক ঝামেলায় পড়ে গেলে তো আর কথাই নেই। যদি একটু ভেবে দেখি তাহলে তাঁদের জীবন কাহিনীতে যথেষ্ট চিন্তার খোরাক রয়েছে।

আল্লাহ পাক আমাদেরকে একটু ভেবে দেখার তাওফীক দান করুন। আমীন 

 

 

advertisement