তাকওয়া হাসিলের হাতিয়ার
হামদ ছানার পর
তাকওয়া অর্জনের সবচেয়ে মজবুত হাতিয়ার কী? তাকওয়া অর্জনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার দুআ, মুত্তাকীদের নেগরানীওয়ালা সোহবত, হিম্মত ও আল্লাহর মুহাববত । এ চারটা বিষয়। আমরা ধোঁকায় থাকি, গাফলতে থাকি, এজন্য আমাদের কাছে সবই কঠিন মনে হয় । কিন্তু যদি চিন্তা করা হয় তাহলে দেখা যাবে, এ চারটার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন হল, হিম্মত। আবার হিম্মতের চেয়ে কঠিন চেষ্টা করা। আপনার মধ্যে ন্যূনতম যে হিম্মত আছে সেটাকে কাজে লাগান এবং আরেকটু আগে বাড়ুন। ওটাকে কাজে লাগিয়ে আরেকটু আগে বাড়ার চেষ্টা করুন। তো হিম্মত অনেক শক্তিশালী নিআমত। শুধু একটু তাওয়াজ্জুহ দরকার।
বিভিন্ন দোষত্রুটি ত্যাগ করার ইচ্ছা মানুষ এই ভেবে বাদ দেয় যে, অভ্যাস হয়ে গেছে। অভ্যাস ত্যাগ করা খুব কঠিন। সব কঠিনের পেছনে কারণ হল, আমরা এই চার হাতিয়ার কাজে লাগাই না। শুধু একটাকে লাগাই। শুধু দুআ করি। শুধু দুআ এমন হাতিয়ার যা একা কখনো যথেষ্ট নয়। শুধু দুআর হাতিয়ার কাজে লাগানো মানে দুআর নাশোকরি করা।
আসল দুআ তো হল, দিল হাযির রেখে আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নেওয়া।
أَمَّنْ يُجِيبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ
‘বল তো কে নিরুপায় মানুষের ডাকে সাড়া দেন ‘যখন সে ডাকে’ (সূরা নামল ২৭ : ৬২) ইযতিরারী হালত বা নিরুপায় অবস্থা যখন মানুষের পয়দা হবে, দিল হাযির রেখে যখন মানুষ দুআ করবে তখন যত বড় নাস্তিক হোক আল্লাহ সাথে সাথে দুআ কবুল করে নিবেন। আর এই ইযতিরারী হালত তখন পয়দা হবে, যখন আপনি অন্য সকল হাতিয়ারকে কাজে লাগাবেন। এসকল হাতিয়ার ব্যবহার করা ছাড়া ইযতিরারী হালত বা নিরুপায় ভাব পয়দা হওয়া কখনো সম্ভব না। সেজন্য শুধু এক হাতিয়ার ব্যবহার করা যেন কোনো হাতিয়ারই ব্যবহার না করা।
মুত্তাকীদের সোহবত দ্বারা কোন ধরনের সোহবত উদ্দেশ্য? সোহবত দ্বারা উদ্দেশ্য, মুত্তাকীদের সাথে এমন সম্পক যে সম্পর্কের কারণে আমার মাঝে নাড়াচাড়া পড়বে। কিন্তু আজকাল মানুষের অভ্যাস হল -অবশ্য থানবী রাহ.-এর তাহরীকের কল্যাণে এ অভ্যাস কিছুটা কমেছে- কোনো আল্লাহওয়ালা বুজুর্গকে দেখল তো তার হাতে বাইআত হয়ে গেল। বাইআত হয়েই নিজের সম্পর্কে একেবারে খুশী । কিছু অযীফা নিয়ে এল। তারপর ওটার উপর আমল করল বা করল না। তো এটা হল মুত্তাকীদের সোহবতের একেবারে নিমণ পর্যায়। আসলে মুত্তাকীদের সোহবত হল, তাঁর মজলিসে নিয়মিত বসার সৌভাগ্য যদি নাও হয়। কিন্তু আমি যেহেতু তাঁর নেগরানী গ্রহণ করেছি। তাঁর তত্ত্বাবধান গ্রহণ করেছি। আমার হালত তাঁকে জানাব। কোনো কিছু লুকাব না। তারপর যে হেদায়েত তিনি আমাকে দেন সেই হেদায়েতের উপর আমল করব। আমল করার মধ্যে ত্রুটি হয়ে গেলে ওটা আবার জানাব। এটা হল সোহবত। এটা যদি কাছে থেকে হয় তাহলে নূরুন আলা নূর। বাংলায় সোনায় সোহাগা। খুব ভালো। আর যদি কাছে থেকে না হয়; বরং দূরে থেকে হয় তাহলেও এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।
(উপস্থিতিদের একজন প্রশ্ন করলেন, সত্যিকারের যারা মুত্তাকী, যাদের সোহবত আসলেই গ্রহণ করা যায়, তাদের তো কারো সাথে দেখা করারও সুযোগ নেই। কথা বলারও সুযোগ নেই। কারো প্রশ্নের জবাব দেয়ারও সুযোগ তাদের নেই। তো তাদের সোহবত লাভের জন্য কী করণীয়? তার জবাবে হুযুর বললেন,) আপনাদের কথা ঠিক আছে। কিন্তু চেষ্টা করলে যে সময় পাওয়া যাবে না এরকম নয়। দুনিয়াতে এমন লোক অনেক আছেন, শত ব্যসত্ম হলেও তাদেরকে যদি আমরা আমাদের আগ্রহ দেখাতে পারি তাহলে তাদের কাছ থেকে সময় নেওয়া যাবে। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ উপায় চিঠি লেখা। আমাকে বলা হয়েছে, মাসে একটি চিঠি লিখতে। আমি লিখতেই থাকব। উত্তর আসুক বা না আসুক, আমাকে চিঠি লিখতে বলা হয়েছে। আমি চিঠি লিখেই যাব।
তো তাকওয়া অর্জনের চারটি হাতিয়ারের কথা বলছিলাম। এক. দুআ করা, দুই. মুত্তাকীদের নেগরানীওয়ালা সোহবত, তিন. হিম্মত, চার. আল্লাহর মুহাববত।
দিলে আল্লাহর মুহাববত বাড়াতে হবে। তকী ছাহেব হুযুরের ‘এসলাহী মাজালিসে’ এ বিষয়ে অনেক বয়ান আছে। সেখানে শুধু আল্লাহর মুহাববতের আলোচনা । আল্লাহর মুহাববত কীভাবে বাড়ানো যায়?
আল্লাহর মুহাববত বাড়ানোর অনেকগুলো নোসখা, অনেকগুলো ব্যবস্থা সেখানে তিনি দিয়েছেন। সেখান থেকে যে নোসখা আমার জন্য সহজ হয় সে নোসখা মোতাবেক আমল করি।
দুনিয়াতে স্বভাবগতভাবেই মানুষের কারো না কারো প্রতি টান থাকে, দুর্বলতা থাকে। সেটার উপর কেয়াস করে আপনি আল্লাহর মুহাববতটাকে বুঝতে পারেন। কারো প্রতি আপনার দুর্বলতা থাকলে আপনি তার সাথে কেমন আচরণ করেন? অথচ সে মাখলুক। আপনার উপর তার যদি কোনো ইহসান থাকেও তাহলে তা আল্লাহর তাওফীকে হয়েছে এবং ঘুরেফিরে তার সকল ইহসান আল্লাহর দিকেই যাবে। এরপরও তার প্রতি আপনার এত রেয়ায়েত, এত দুর্বলতা ! আল্লাহ রাববুল আলামীনের নিআমতে তো সেও ডুবে আছে, আপনিও ডুবে আছেন। তার প্রতি যদি আপনার এত মুহাববত হয় তাহলে আল্লাহর সাথে আপনার মুহাববত কেমন হবে? কেমন হওয়া উচিত?
স্বভাবগতভাবেই মানুষের মধ্যে আল্লাহর মুহাববত সবচেয়ে বেশী থাকে। কিন্তু আল্লাহর নিআমতের কথা স্মরণ না করার কারণে সেই মুহাববত চাপা পড়ে থাকে। তো ‘ইসলাহী মাজালিসে’ আল্লাহর মুহাববত বাড়ানোর কিছু উপায় বলা হয়েছে। যেমন, আল্লাহর নিআমতের কথা স্মরণ করা। বেশী বেশী যিকির করা। কুরআন তিলাওয়াত করা। যাদের ভেতর আল্লাহর মুহাববত আছে তাদের কাছে বেশী বেশী যাওয়া। এরকম সাত আটটা উপায় সেখানে লেখা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে যেটা আমার কাছে সহজ লাগে সেটা দিয়ে আমি আল্লাহর মুহাববত বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারি।
আল্লাহর মুহাববত বাড়ানোর চেষ্টা করতে গেলেই মানুষ একটা ধাক্কা খায়। হয়ত কখনো গোনাহ হয়ে গেলে ধাক্কা যাবে। অথবা কখনো নেক আমল ছুটে গেলে ধাক্কা যাবে। এভাবে ধাক্কা খাবে একবার, দুইবার, তিনবার, চারবার। তারপর আসেত্ম আসেত্ম ঠিক হয়ে যাবে। এটা অনেক বড় একটা কৌশল। আল্লাহর মুহাববত বাড়াতে হবে এবং মুহাববতটাকে হাযির করতে হবে। অনুশীলন করতে করতে মুহাববতটাকে হাযির করতে হবে। আমার আল্লাহ নারায হবেন- এই ভেবে গোনাহের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আমার মুরুববী যদি আমাকে এই কাজটা করতে দেখেন, তাহলে তিনি কী ভাবতেন? আমি কি এই কাজটা তার সামনে করতে পারতাম? অথচ মুরুববী আমার চোখের আড়ালে আর আমিও তার চোখের আড়ালে। তো একজন মুরুববীর বেলায় যখন এ কথা ভাবতে পারি তাহলে আমার আল্লাহ সম্পর্কে কি এ কথা ভাবতে পারি না? আমার আল্লাহ তো আমাকে সব সময় দেখেন। তিনি আমার চোখের আড়ালে হলেও আমি তো আল্লাহর চোখের আড়ালে না। فان لم تكن تراه فإنه يراك
‘তুমি যদিও তাকে দেখ না, তিনি তো তোমাকে দেখেন’।
আরেক হাতিয়ার, হিম্মত। যতটুকু হিম্মত আল্লাহ আপনাকে দিয়েছেন তা কাজে লাগান এবং এভাবে আগে বাড়তে থাক। হিম্মত এমন এক শক্তি যার মোকাবেলা করার মত অন্য কোনো শক্তি দুনিয়াতে নেই। এই যে সিগারেটের অভ্যাস। কত মানুষ সিগারেটের অভ্যাস ছেড়ে দিয়েছে। নিয়ত করে, খাবে না, আবার শুরু করে । আবার নিয়ত করে, খাবে না, আবার শুরু করে। এভাবে শেষবার যখন বলে- নাহ্, আর খাব না। তখন আর খায় না। তো এই হিম্মতটা আল্লাহর কাছে অনেক দামী। হিম্মতের সাথে আল্লাহর রহমতের খুব বেশী সম্পর্ক। হিম্মত হলে আল্লাহর রহমত আসে। গোনাহ থেকে বাঁচার, তাকওয়া হাসিল করার যত উপায় আছে এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হল হিম্মত করা। আল্লাহ দেখছেন, বান্দা আমার জন্যে চেষ্টা করছে।
وَمَنْ أَرَادَ الْآَخِرَةَ وَسَعَى لَهَا سَعْيَهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَئِكَ كَانَ سَعْيُهُمْ مَشْكُورًا
এ আয়াতের ‘সা‘আ লাহা’-এর দ্বারা হিম্মত বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা এই হিম্মতের কদর করবেন- এই ওয়াদা আল্লাহ তাআলা আগেই দিয়েছেন। বান্দা হিম্মতকে কাজে লাগালে আল্লাহ বলেন, আমি হিম্মতের শোকর করব। এজন্যে দেখা যায়, বান্দা যখন তার সর্বোচ্চ হিম্মতকে কাজে লাগায়, তখন সে সফল হবেই। হিম্মতের সাথে আল্লাহর ওয়াদা ।
وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا وَإِنَّ اللَّهَ لَمَعَ الْمُحْسِنِينَ
‘যে মুজাহাদা করবে আমি তাকে আমার পথে পরিচালিত করব’। (সূরা আনকাবূত ২৯ : ৬৯) এখানে ‘রাসত্মা দেখাব’ দ্বারা তরজমা করার চেয়ে ‘পরিচালিত করব’ দ্বারা তরজমা করা সুন্দর । কারণ রাসত্মা তো আল্লাহ কুরআন সুন্নাহর মাধ্যমে দেখিয়েছেন।
এখানে অর্থ হল, আল্লাহ তাআলা তার পথে পরিচালিত করবেন। আমাদের শাইখুল হাদীস ছাহেব এই তরজমা করতেন। এখানে বলা হয়েছে মোজাহাদা করার কথা। আর আসল মোজাহাদা হল হিম্মত ব্যবহার করা। বান্দা তার হিম্মত ব্যবহার করলে আল্লাহর নুসরত আসবেই।
তো কেউ যদি তাকওয়া হাসিল করতে চায় তাহলে এ চার পদ্ধতি তাকে অবলম্বন করতে হবে। জিগার মুরাদাবাদীর ঘটনা দেখ- একবার খাজা আযীযুল হাসান মাজযুব রাহ.-এর সাথে তার দেখা। তিনি বললেন, খাজা ছাহেব, থানবী রাহ.-এর কাছে যেতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু অবস্থা তো দেখতেই পাচ্ছেন। এ চেহারা সুরত নিয়ে এমন একজন আলিমের কাছে কীভাবে যাই! খাজা ছাহেবও বললেন, হাঁ, এই হালতে কীভাবে যাবেন। সৌভাগ্যক্রমে খাজা ছাহেব হযরত থানবী রাহ.-কে কথাগুলো বললেন- জিগার মুরাদাবাদীর সাথে দেখা হয়েছিল। সে এই এই বলেছিল, আমি এই এই বলেছিলাম। হযরত থানবী রাহ. বললেন, আহ! খাজা ছাহেব, আমি তো মনে করেছিলাম, তাসাউফের সাথে আপনার মোনাসাবাত হয়ে গেছে। এখন তো দেখছি, এর হাওয়া বাতাসও আপনার গায়ে লাগেনি। আপনার তো বলা উচিত ছিল- না, এই অবস্থায়ই আস।
এই বুজুর্গরা তো আল্লাহর খলিফা। তাদের দরজা সবার জন্য খোলা।
ايں درگاہ ما در کاہ نا اميدی نيست
এই দরবার তো সকলের জন্য উম্মুক্ত’। যারা আল্লাহর রাসূলের নায়েব তাদের দরজাও তো সবার জন্যে খোলা। যে হালতে আছ এসে যাও।
জিগার মুরাদাবাদীর সাথে খাজা ছাহেবের আবার যখন দেখা হল, তখন খাজা সাহেব জিগার মুরাদাবাদীকে হযরতের কথাগুলো বললেন। হযরতের কথা শুনে জিগার মুরাদাবাদীর কিছুটা হিম্মত হল।
তিনি শরাবপানে অভ্যস্ত ছিলেন। হযরতের কাছে যখন আসা-যাওয়া শুরু করলেন, তখন তওবা করলেন, আর শরাব পান করবেন না। শরাব পান করার পুরানো অভ্যাস তার ছাড়তে অনেক কষ্ট হল। শরাব ছেড়ে দেয়ার কারণে যখন তার জান যায় যায় অবস্থা তখন একজন বলেছিল, এমন হালতে তো হারাম খাওয়াও জায়েয। তিনি বললেন, না। জান বের হয়ে গেলেও আমি শরাব পান করব না।
তো হিম্মত এটা কোনো ওয়াজের বিষয় না। এটা কাজ করার বিষয়। সুতরাং হিম্মত কর। গোনাহ থেকে বেঁচে থাক।
নেক আমল কর।
(আরেকজন প্রশ্ন করলেন, যারা ঈমান ও তাকওয়ার অধিকারী দুনিয়াতে তাদের উপরও কি বিভিন্ন বিপদ-আপদ আসতে পারে? দুনিয়াতে তারাও বিপদ-আপদের সম্মুখীন হতে পারে? তার প্রশ্নের জবাবে হুযুর বললেন,) ঈমান ও তাকওয়া যার ভেতরে থাকবে, দুনিয়াবী বিপদ-আপদে কখনো কখনো তাকেও কষ্ট করতে হবে; তবে সে কখনো বেচাইন ও পেরেশান হবে না। দুনিয়ার বিভিন্ন হালতে তার কষ্ট হবে; তবে হায়-হুতাশের যে পেরেশানী এমন পেরেশানী তার মধ্যে কখনো হবে না। এবিষয়টাকে হাকীম আখতার ছাহেব রাহ. একটি কবিতায় বলেছেন একভাবে। যদি বেআদবি না হয় তাহলে বলি, আমার আম্মা ঐ কবিতাটিকে বলেছেন আরেকটু পরিবর্তন করে। হযরতের কবিতাটি ছিল এরকম-
زندگی پر کیف پاۓ گرچہ دل پر غم رہا تيرے غم کے فيض سے میں غم میں بھی بے غم رہا
হাকীম ছাহেবের শেরের মধ্যে একটি প্রশ্ন আসে। তা হল, সেখানে জীবনকে বানিয়ে দেয়া হয়েছে আনন্দময় আর দিলকে বানানো হয়েছে অস্থির ও পেরেশান। অথচ মুমিনের অবস্থা হয়ে থাকে এর থেকে ব্যতিক্রম। কারণ জীবনে অস্থিরতা ও পেরেশানী থাকলে তার অন্তর থাকে নিশ্চিন্ত এবং সর্ব প্রকার পেরেশানীমুক্ত। এটি আম্মার খাতায় আমি লেখা দেখেছি এভাবে-
زندگی پر کیف پاۓ گرچہ غم پر غم رہا ان کے غم کے فيض سے میں غم میں بھی بے غم رہا
‘আমার যিন্দেগীটা বড় মজার যিন্দেগী, যদিও সেখানে ছিল অনেক পেরেশানী। কিন্তু আমি ছিলাম আল্লাহর মুহাববতের ব্যথায় ব্যথিত। এজন্যে অন্য কোনো ব্যথা আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি।’ এভাবে হলে আর আগের প্রশ্নটি আসে না। হাকীম ছাহেবের দ্বিতীয় লাইন শুরু হয়েছিল ‘তেরে’ দিয়ে। কিন্তু আম্মার খাতায় লেখা ছিল ‘উনকে’ দিয়ে। এই ‘উনকে’ শব্দটি ইসহাক ওবায়দী ছাহেবের সম্পাদনা।
(গত রমযানের শেষ দশকে মারকাযুদ দাওয়াহ’র হযরতপুর প্রাঙ্গণের মসজিদে প্রদত্ত হযরত মাওলানা আবদুল মালেক ছাহেব দা. বা.-এর একটি বয়ান)