বলা যায় আদর্শিক প্রশ্নে হাত দেওয়ায় পঞ্চম সংশোধনী টার্গেট হয়েছে
হাইকোর্টে পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের রায় দেওয়ার পর আপিল বিভাগে এ রায় নিয়ে শুনানি চলছে। পঞ্চম সংশোধনীর বিভিন্ন দিক নিয়ে মন্ত্রী পর্যায় থেকে নিয়ে নানা পর্যায়ে কথাবার্তা বলা হচ্ছে। পত্রপত্রিকায় লেখালেখি প্রকাশিত হচ্ছে। এ অবস্থায় পঞ্চম সংশোধনীর প্রতিপাদ্য, সংবিধানে ধর্মীয় বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি, ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ ইত্যাদি বিষয়ে মাসিক আলকাউসার-এর সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সে সাক্ষাতকারেরই নির্বাচিত অংশ এখানে তুলে ধরা হল। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন শরীফ মুহাম্মদ
প্রশ্ন : সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মূল প্রতিপাদ্য বিষয়গুলো আসলে কী? এবং এ সংশোধনী রহিত হয়ে গেলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হওয়ার পর ১৪টি সংশোধনী হয়েছে। পঞ্চম সংশোধনীতে কী আছে, তার আগে এটা জানা প্রয়োজন যে, অন্য ১৩টি নিয়ে কোনো কথা উঠছে না কেন? পঞ্চম সংশোধনীর আগে হয়েছে আরো ৪টি। তাহলে ৫ম সংশোধনীকে কেন টার্গেট করা হলো? ৭ম, ৮ম, ৯ম ১০ম সংশোধনীগুলোও সামরিক সরকারের অধীনে হয়েছে। এগুলো সম্পন্ন হয়েছিল ‘৮৬ ও ’৮৮-এর সংসদে। ৪র্থ সংশোধনীতে ছিল দেশে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনিত শুধু একটি দল থাকবে। সে দলের সদস্য হতে হবে সকল সংসদসদস্যকে। রাষ্ট্রপতি পরিচালিত দলের সদস্য না হলে সংসদসদস্য থাকতে পারবে না কেউ। এই একদলীয় নীতি ছিল ৪র্থ সংশোধনীতে।
প্রশ্ন : পঞ্চম সংশোধনীটা টার্গেট হয়েছে এজন্য যে, সেটা ’৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর সম্পন্ন হয়েছিল। বলা হয়ে থাকে, এটা সামরিক সরকারের অধীনে হয়েছিল, এজন্য এটা টার্গেট হতেই তো পারে।
উত্তর : আমার মনে হয় ঘটনাটা এরকম নয়। ’৮২ থেকে ’৯০ পর্যন্ত আমলের কথা সবাই জানেন। ’৮৬ ও ’৮৮ আমলের সংসদ ৪টা সংশোধনী এনেছে। ওই সরকারের প্রকৃতি কী ছিল এটাও সবাই জানেন। তাহলে সে সংশোধনীগুলো নিয়ে মাতামাতি হচ্ছে না কেন? এ কারণেই বলা যায়, যদিও ৫ম সংশোধনী বাতিলের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে সামরিক শাসনের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু সেটা প্রকৃত কারণ নয়।
প্রশ্ন : তাহলে আপনার মতে ৫ম সংশোধনীকে টার্গেট করার প্রকৃত কারণটা কী?
উত্তর : আমার কাছে কারণটি খুবই স্পষ্ট। মূলত সংবিধানে যে কটি সংশোধনী এসেছে সেগুলোর তুলনায় বলা যায় এটি আদর্শিক প্রশ্নে হাত দিয়েছে। আমাদের মূল সংবিধানের (যা প্রণীত হয়েছে ১৯৭২ এর নভেম্বরে) মূল প্রস্তাবনায় দুটো বড় ভ্রান্তি ছিল। এটা পরবর্তীতে ৫ম সংশোধনী এসে সংশোধন করেছে। প্রথমটি হল একটি বড় মৌলিক বিষয়কে সেখানে পাশ কাটিয়ে যাওয়া। দ্বিতীয়টি হল একটি অবাস্তব কথাকে সংবিধানের মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত করা। মূল সংবিধানের প্রস্তাবনার একটি বাক্য শুনুন : ‘আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় স্বাধীনতার জন্য আত্মনিয়োগ এবং বীর শহীদগণকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছে, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে।’চিন্তা করে দেখুন, এখানে বলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য। এটা কি সঠিক? মুক্তিযুদ্ধ পূর্বের কোনো আন্দোলন ও দফায় ধর্মনিরপেক্ষতার কথা ছিল না। ’৭০ এর নির্বাচনের প্রাক্কালে মরহুম শেখ মজিবুর রহমান স্বয়ং তার বক্তব্যে পূর্ণ আস্থার সঙ্গে বলতেন-কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করা হবে না। বস্তুত এদেশের সব মানুষই কোনো না কোনো ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একটি সেক্যুলার স্টেট করার জন্য যুদ্ধ হয়েছে-এ কথাটা যে বাস্তবসম্মত নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে আজও কোনো ভোট নিলে তারা সে সত্যটি বলবেন। ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের একটি দেশকে সেক্যুলার স্টেট ঘোষণা করলে তা সেক্যুলার হয়ে যায় না এবং সেটা শেষ পর্যন্ত প্রযোজ্যও হয় না। মূল সংবিধানের আরেকটি বিষয় হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে এদেশের যে অবস্থান ছিল সেটি হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তান, যা অর্জিত হয়েছিল গত শতকের ’৪৭ সনে। তখন ভারতবর্ষকে ভাগ করে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন হয়েছিল মুসলমানদের জন্য নিজস্ব চেতনা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে একটি আলাদা আবাসভূমি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা থেকে। সে আন্দোলনের একজন তরুণ কর্মী ছিলেন আজকের বাংলাদেশের স্থপতি মরহুম শেখ মজিবুর রহমান। সেখানে পশ্চিম পাকিস্তানীদের পক্ষ থেকে বৈষম্যের কারণে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন বাংলাদেশে রূপান্তরের প্রশ্ন উঠেছিল। ধর্ম সেখানে পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো ইস্যু ছিল না। পাকিস্তানে তখন ধর্মীয় চেতনার কোনো সরকারও ছিল না। অথচ ’৭২ এর সংবিধানে এতদঞ্চলের মানুষের সেই স্বতন্ত্র ধর্মমুখী আবেগকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষাপটে ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ সংবিধানে ৫ম সংশোধনী এনেছে এবং সেখানে সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতার স্থলে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ বাক্যটি প্রতিস্থাপিত হয়েছে। এছাড়া এ সংশোধনীতেই সর্বপ্রথম ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ দিয়ে সংবিধান শুরু করা হয়েছে। আমি মনে করি, সরকারগুলোর বাস্তব কার্যক্ষেত্রে কমবেশি ও তারতম্য যাই থাকুক এ দুটো জিনিস থাকার কারণে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতার পর্যায়গুলোতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ এর সুপ্রয়োগ হয়েছে। যদিও এ দেশের সংবিধান ও আইন ব্যবস্থায় ধর্মীয় অনুশাসনের কোনো প্রভাব নেই তথাপি এ দুটি বিষয় (বিসমিল্লাহ ও আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস)-এর সঙ্গে এ দেশের সিংহভাগ জনগণের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু অতি মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ এ বিষয় দুটিকে সহ্য করতে পারেনি। তারা বার বার আপত্তি উত্থাপন করে এসেছে। অথচ বিদেশী বিভিন্ন নীতি ও কালচার অনুসরণে তাদের মাঝে কোনো দ্বিধা ও লজ্জা দেখা যায় না। কিন্তু তারা এ দুটো বিষয় এবং ৮ম সংশোধনীতে যে বলা হয়েছে ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম’ এতে অত্যন্ত বিরক্তি প্রকাশ করে থাকে। গণতন্ত্রের জন্য বিদেশী আব্রাহাম লিংকনের নাম উচ্চারণ করা, বাজার সিণ্ডেকেট করে মূল্যবৃদ্ধির সময় ভিনদেশী ফর্মুলা মুক্তবাজার অর্থনীতির দোহাই দিয়ে আত্ম সমর্পণ করায় তারা লজ্জা না পেলেও এদেশের সংবিধানে ধর্মের প্রতিস্থাপন নিয়ে তাদের বিরাগ-বিরক্তির শেষ নেই। এসবেরই একটি চূড়ান্ত পর্যায় হচ্ছে ৫ম সংশোধনীকে টার্গেট করা।
প্রশ্ন : যে রাষ্ট্রের অধিকাংশ নাগরিক মুসলিম, সে রাষ্ট্রের সংবিধানে ধর্মীয় বিষয়ে কেবল শাব্দিক কিছু বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি আসলে কতটা প্রভাব সৃষ্টিকারী? এ শব্দগুলো থাকলেই কী, না থাকলেই কী?
উত্তর : এটাকে বলা যায়, না থাকার মধ্যে কিছু থাকা। যেহেতু ধর্মীয় বিষয়-আশয় মানুষের মৌলিক বিষয় হওয়া উচিত, সেখানে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পৃষ্ঠপোষকতা থাকা উচিত, সেক্ষেত্রে এই শাব্দিক নীতিগুলোরও একটি প্রভাব আছে বলে মনে করি। এতে নৈতিক ও ধর্মানুসারী জীবনে উৎসাহের প্রবাহ থাকে। নীতি ও শব্দগুলোর শাব্দিক প্রভাব বাস্তবে যাই থাকুক, কিন্তু এই শাব্দিক নীতিগুলোর ক্ষেত্রেও গুটিকতক উচ্ছেদকামীর অব্যাহত প্রচেষ্টায় তো আমাদের মাঝে এ ধারণা বদ্ধমূল হয় যে, এসব শব্দের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।
প্রশ্ন : পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে কি?
উত্তর : পঞ্চম সংশোধনী বাতিল আদৌ হবে কি না-এটা সাব্যস্ত হয়নি। কিন্তু এর আগেই ধর্মবিদ্বেষী সেই মুষ্টিমেয় চক্রটি বলতে শুরু করেছেন, এতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। যদিও এটাও এখনো ঠিক হয়নি যে, পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলে আপনা-আপনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে নাকি ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে আলাদা আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে। তবে এটা ঠিক যে, যারা পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন তারা যে কোনো ভাবেই হোক ধর্মভিত্তিক রাজনীতিও নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা রাখেন। এটা এক আশ্চর্য বিষয় যে, গণতন্ত্র কিংবা সমাজতন্ত্রের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দার্শনিকের কথা বলার অবারিত সুযোগ এ দেশে থাকলেও সকল দার্শনিকের যিনি স্রষ্টা সেই আল্লাহর দেওয়া আইন ও নীতির কথা বলার জন্য সুযোগ রহিত করার চেষ্টা চলছে। এটা তো গণতন্ত্র ও যুক্তির কোনো কথা হতে পারে না।
প্রশ্ন : ধর্মিভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে কি কেবল ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠনগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে নাকি এতে এ দেশের জনগণও ক্ষতিগ্রস্ত হবে?
উত্তর : প্রথমত আমি মনে করি যে, এ ভুল হয়তো কোনো সরকার করবে না। এটা অতিশয় সল্প সংখ্যক লোকের অভিপ্রায়। তাদের ফাঁদে সরকার পা দেবে বলে আমি মনে করি না। দ্বিতীয়ত যদি এ ভুল কেউ করেও বসে তবুও এর দ্বারা ইসলাম ও মুসলমানদের দমিয়ে রাখা যাবে-এটা মনে করার সুযোগ নেই। প্রশ্নটাকে আমরা কোনো একটি-দুটি রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সীমাবদ্ধ নয় বলে মনে করি। প্রশ্নটি আদর্শিক। দেশের যে কোনো ব্যক্তি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষকে আহ্বান করার অধিকার রাখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে। কিন্তু যদি তাকে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন জনগণ, দেশ, সমাজ ও ভবিষ্যত প্রজন্ম সবাই। একটু আগ বাড়িয়ে বলতে চাই, মানবরচিত কোনো আইন বা নীতির বিষয়ে হয়তো প্রয়োজনীয় কারণে কখনো কোনো বিধি-নিষেধ আরোপিত হতে পারে। কিন্তু মহান স্রষ্টা আল্লাহ তাআলার ঐশীবাণী কিংবা ঐশীবাণী ভিত্তিক যে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা তা ব্যক্ত করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার নৈতিক অধিকার কারো নেই। অপরদিক থেকে এটা বেশ জোর দিয়েই বলা যায় যে, এ সকল নিষিদ্ধকরণ বা দমন-পীড়ন দ্বারা কখনো হক ও ইনসাফ এবং সত্য ন্যায়ের পয়গামকে দমিয়ে রাখা যায়নি। এর জন্য অনেক নজীরই পেশ করা যায়। তার মধ্যে তুরষ্কের কথা ধরা যাক। কামাল আতাতুর্কের দাপটে সেখানে ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ। অনেক দমন-পীড়ন হয়েছে। কিন্তু মানুষের মন থেকে ইসলামের ভালবাসা দূর করা যায়নি। ইসলামী দল নাম পরিবর্তন করে ইসলামী আদর্শ নিয়ে এখনো সেখানে ক্ষমতায় আছে। ১৯২০ থেকে ৯০ পর্যন্ত গোটা সোভিয়ত ইউনিয়নে ইসলামকে যেভাবে চেপে ধরা হয়েছিল সেটা সবাই জানেন। কিন্তু জগদ্দল পাথর সরে যাওয়ার পর দেখা গেছে, মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্য ও শহরগুলোতে ইসলাম ঠিকই আবার উদ্ভাসিত হয়ে ওঠেছে। দমন-পীড়ন দিয়ে কষ্ট দেওয়া যায়, কারো মৌলিক অধিকারকে কেড়ে নেওয়া যায়, কিন্তু সত্য ও ন্যায়ের আদর্শকে বিলুপ্ত করা যায় না।
প্রশ্ন : ৫ম সংশোধনী বিষয়ে হাইকোর্টের রায় সম্পর্কে কিছু বলবেন?
উত্তর : না, এ বিষয়টি আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকাই উচিত। তবে আমি পঞ্চম সংশোধনী নিয়ে এতক্ষণ আপনার প্রশ্নের যে উত্তরগুলো দিয়েছি তার কারণ হচ্ছে এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক কথাবার্তা হচ্ছে, লেখালেখি হচ্ছে, মন্ত্রি, এমপি, উকিল ও বুদ্ধিজীবিগণ ব্যাপক মতামত ব্যক্ত করছেন এ নিয়ে। সে কারণে সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার মতামতটাও ব্যক্ত করেছি মাত্র। যেহেতু এ বিষয়টা শেষ পর্যন্ত রাজনীতিক ও সংসদের বিষয় সেজন্য তাদের বিবেচনায় প্রয়োজনীয় কথাগুলো তুলে ধরাই এখানে বড় বিষয়।