সার্থক মানুষ
সময় এবং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা বড় সহজ। কিন্তু সময়ের প্রতিকূল ঝাঁপটা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই কঠিন। এ হিসেবে মানুষ তিন ধরনের হয়ে থাকে। একদল যুগের পরিস্থিতির সাথে পুরোপুরি বদলে যায়। যেমন স্রোতের সাথে খড়কুটো ভেসে যায়। এরা নিজের পরিচয়ও বোঝে না, শেষ পরিণামের কথাও ভাবে না। স্রোতের সাথে ভেসে যাওয়াতেই গৌরববোধ করে। এ অবস্থাতেই ধ্বংসের অতলে তলিয়ে যায়। এ প্রকারের মানুষ দিয়েই দুনিয়াটা এখন ভরে গেছে।
দ্বিতীয় প্রকার মানুষ যারা যুগের সাথেও তাল মিলিয়ে চলতে চায় আবার পরিণামের ক্ষতি থেকেও বেঁচে থাকতে চায়। ফলে এদের মাঝে একটা দোদুল্যমান অবস্থার সৃষ্টি হয়। শেষ পরিণামে এরাও খুব একটা সফল হতে পারে না। ফলে ব্যর্থতার বেদনা নিয়েই তারা বিগত হয় এবং মানুষের স্মৃতি থেকে বিস্মৃত হয়ে যায়। কারণ মানুষ তাদেরকে স্মরণ করার মত কোনো অবদান তারা রেখে যেতে পারে না।
তৃতীয় প্রকার মানুষ যাদের সংখ্যা খুবই কম। তবে পৃথিবীর ইতিহাসে তাঁরাই অনন্য। যারা সব ঝড়-ঝঞ্ঝা উপেক্ষা করে নিজ লক্ষ্যপানে ছুটে চলে। যুগের সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে আপন আদর্শের উপর অটল থাকে। তাঁরা যামানার সাথে বদলায় না বরং যামানাকে বদলে দেয়। অবশেষে সফলতার দ্বার তাদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়। এরাই সার্থক মানুষ। যেমন কবি বলেছেন,
‘যামানার সাথে বদলায় যারা, তারা বড় অসহায়
তাহারাই মহামানব যাহারা যামানারে বদলায়।’