অমানবিক শিশুহত্যা এবং ...
গত পক্ষকাল ধরে দেশে-বিদেশে শিশুপীড়ন ও শিশুহত্যার বিভিন্ন ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছিল। এর মধ্যে একটি বেসরকারি সংস্থা গত কয়েকবছর জরিপ চালিয়ে জানিয়েছে, বাংলাদেশে শিশু গৃহকর্মীর সংখ্যা চার লক্ষাধিক। এদের প্রায় ৮৩% মেয়ে এবং এরা গড়ে ১৫ ঘণ্টা শ্রমদানে বাধ্য হয়। এছাড়া এদেশে অসহায় পথশিশুর সংখ্যাও প্রায় ১২ লাখ। একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের দায়িত্বের আঙ্গিক এবং বিভিন্ন বিত্তবান ব্যক্তি ও সংস্থার উপস্থিতিতে এদেশে শিশুদের এই পরিস্থিতিকে কিছুতেই স্বাভাবিক বলে মনে করা যায় না। সন্দেহ নেই, শিশুদের দুরাবস্থা ও পীড়নের এটি একটি বেদনাদায়ক চিত্র। এছাড়া অষ্ট্রেলিয়াতে জিম্মি করে হত্যা করার একটি উদ্বেকজনক ঘটনাও ছিল শিশুদের নিয়ে। কমান্ডো অভিযান চালিয়ে জিম্মিদশা থেকে কিছু শিশুকে পরে উদ্ধার করা হয়। জিম্মি করে হত্যাকারীকে ওই অভিযানে হত্যা করা হয়। কিন্তু এসব ঘটনা ছাপিয়ে যে ঘটনাটি দুনিয়ার দৃষ্টি ঘুরিয়ে নিয়েছে সেটি হল পাকিস্তানের পেশোয়ারে আর্মি-পাবলিক স্কুলে বন্দুক হামলা চালিয়ে ১৩২ শিশুসহ ১৪১ জনকে হত্যা করার খবর।
পেশোয়ারে শিশুহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ ডিসেম্বর। যে কোনো দৃষ্টিতেই দেখা হোক এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। নির্বিরোধ শিশুদের এভাবে হত্যা করার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। ঘটনাটি চরম অমানবিক। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এটি সর্বোতভাবেই ইসলামবিরোধী কাজ। ঘটনার পর পর কেউ কেউ প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেছেন যে, এ জাতীয় কাজ ইসলাম সমর্থন করে কি না। আমরা মনে করি এমন প্রশ্ন একদমই অবান্তর। কেউ কেউ বলেছেন, ঘটনাটি অমানবিক ও অনৈসলামিক। আমরা মনে করি অমানবিক বলার পর আর অনৈসলামিক বলার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। কারণ, অমানবিক কোনো কিছু ইসলামে থাকতে পারে না। যা কিছু অমানবিক তা অবশ্যই অনৈসলামিক। ইসলাম ও ঈমান শব্দের মূল সিল্ম (শান্তি) ও আমান (নিরাপত্তা)। সুতরাং মানবিক আর ইসলামিক বিষয়ের মাঝে কোনো বিভাজন থাকতে পারে না।
পেশোয়ারের আর্মি-পাবলিক স্কুলে শিশুহত্যার ঘটনা যারাই ঘটাক, বলতেই হবে তারা মানবতার সবচেয়ে কোমল যে জায়গা, শিশুদের প্রতি মমতা- সেটিকেই দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে। অবশ্য ইতিহাসে সবকালে সব সমাজে সব ধরনের শিশুর প্রতি মমতা প্রদর্শনের নযীর না থাকলেও ইসলামের ইতিহাস ও বিধান এ ক্ষেত্রে অনেক উজ্জ্বল। হাদীস শরীফে শিশুদের প্রতি সেণহ ও মমতা প্রকাশের বহু ঘটনা বিদ্যমান। সহীহ বুখারী শরীফের ৫৯৯৭ নম্বর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাঁর দৌহিত্র শিশু) হাসান ইবনে আলীকে চুমু দিলেন। সেখানে বসা ছিলেন আকরা ইবনে হাবিস। তিনি বললেন, আমার দশটি সন্তান রয়েছে। আমি কাউকে চুমু খাইনি। নবীজী তার দিকে তাকিয়ে বললেন- যে দয়া করে না, সে দয়া পায় না।
নাসাঈ শরীফের ৮২৯১ নম্বর হাদীসের বর্ণনা : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের দেখতে গিয়ে তাদের শিশুদেরকে সালাম দিতেন। তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন। তাদের জন্য দুআ করতেন। এছাড়াও বুখারী-মুসলিম-আবু দাউদ-এর রেওয়ায়েতে যুদ্ধক্ষেত্রেও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া যায়। শিশুর নিরাপত্তার জন্য নবীজী বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ কিংবা বাবার অনুপস্থিতিতে শিশুর দায়িত্ব মায়ের তত্ত্বাবধানে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আক্রমণকারী শত্রুর সন্তানকেও হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে বিভিন্ন হাদীসে। তাছাড়া ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে শিশুদের জন্য নিরাপত্তা ও শান্তির বিষয়টিকে শাশ্বত বিষয় হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এজন্যই নবীজীর একটি দুআর বাণী এরকম- اللهم واقية كواقية الوليد (হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে শিশুদের মতো রক্ষা করুন।) মোটকথা সর্বাবস্থায় শিশুদের প্রতি মানবতা, কোমলতা ও মমতার নির্দেশ ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
ঘটনার পরপরই সংবাদমাধ্যম থেকে বলা হয়েছে, এটি ঘটিয়েছে পাকিস্তানী তালেবানরা। এর পক্ষ তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি ও ফোনালাপের কিছু বক্তব্যের কথাও বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আমাদের প্রথম কথা হচ্ছে, যারাই এমন ঘটনা ঘটাক না কেন, এটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। অবশ্য তালেবানের পক্ষ হয়ে কোনো কোনো মহলকে বলতে দেখা গেছে যে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর লোকেরা যেহেতু উপজাতি অধ্যুষিত তালেবান প্রভাবিত এলাকাগুলোতে ঢালাও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে এবং সে হত্যাযজ্ঞে তালেবানদের বহু শিশুও নিহত হচ্ছে। এজন্যই তারা প্রতিশোধমূলকভাবে পেশোয়ারের এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা মনে করি, শিশুহত্যার জন্য এজাতীয় প্রতিশোধ-চিন্তার কোনো সুযোগ নেই। আর্মিরা শিশুহত্যা করছে, তাই আর্মিদের শিশুদের হত্যা করা হবে- এটা কোনো অধিকার কিংবা নীতি হতে পারে না। অধিকারের এমন কোনো নীতি সেখানে উচ্চারণ করলেও তারা করতে পারত যে, যেসব আর্মি শিশু হত্যা করছে তাদের হত্যা করা হবে। এজন্যই পেশোয়ারের শিশুহত্যার তীব্র নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আলেমসমাজ। তারা বলেছেন, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, সে দেশের চিন্তাশীল মহল পেশোয়ার স্কুলে শিশু-হত্যাকান্ডের এই ঘটনা নিয়ে অন্য কিছু দুরভিসন্ধির লক্ষণ খুঁজে পাচ্ছেন। কারণ, পাকিস্তানের রাজনীতির জটিলতা ও সে দেশে আগ্রাসনকামী শক্তির ষড়যন্ত্রের স্বরূপ সম্পর্কে যারা পরিচিত তারা দেখেছেন, পেশোয়ার হত্যাকান্ডের পরপরই পাকসামরিক বাহিনী-প্রধান ছুটে গেছেন আফগানিস্তানে। তিনি সেখানে গিয়ে টিটিপি প্রধান মোল্লা ফজলুল্লাহকে তুলে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এরপর পূর্বে গ্রেফতার হওয়া তিন হাজার তালেবানকে দুই দিনের মধ্যে ফাঁসি দেয়ার জন্য সরকারকে চাপ দিয়েছেন। এরই মধ্যে কয়েকদিনে বেশ কিছু গ্রেফতার হওয়া তালেবানের ফাঁসি কার্যকরও করা হয়েছে। সর্বদলীয় সভায় তালেবানবিরোধী নিধনযজ্ঞ চালানোর প্রস্তুতি ঘোষণা করা হয়েছে। এ যেন সব আইন-কানুন ও বিচার-বিবেচনা বন্ধ করে এক যুদ্ধ যুদ্ধ প্রস্তুতির খেলা। অথচ এর আগে গত কয়েক মাস ধরে চলেছে ইমরান খানের নেতৃত্বে দেশ অচল করে দেয়ার মহড়া। তার আন্দোলনের পেছনে ইন্ধন ও উস্কানির খবর চাউর হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ অবরোধে নামার আগেও ইমরান বলেছিলেন, ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান অচল করে দেওয়া হবে। তিনি তার আন্দোলনে তেমন কিছু করতে না পারলেও সেই ১৬ ডিসেম্বর ঘটেছে পেশোয়ারে শিশু হত্যাকান্ডের ঘটনা। এ যেন ছক ধরে পেছন থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের সে দেশটি ধ্বংস করার খেলা। এখন এ ন্যক্কারজনক ঘটনার জবাবে মাথা গরম পদ্ধতিতে যে প্রতিরোধের আয়োজন চলছে- তাতে এ আশংকা অনেকেই করছেন যে, দীর্ঘ জেদী ও রক্তক্ষয়ী এক সংঘাতের দিকে দেশটি ধাবিত হতে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা আরো বলছেন, পাকিস্তানে তালেবান বা জঙ্গি নিধনের নামে পাকিস্তান আর্মি গত কয়েক মাস যাবৎ খায়বার পাখতুনখোয়াসহ সীমান্ত এলাকাগুলোতে ‘জরবে আযব’ নামে ঢালাও হত্যার অভিযান চালাচ্ছিল। জঙ্গি নিধনের নামে সেসব অঞ্চলে বহু নিরীহ মানুষও তারা হত্যা করছিল। কারণ, এ জাতীয় বাছবিচারহীন অভিযানে এমন ঘটনাই বেশি ঘটে থাকে। এটা নিয়ে প্রতিবাদ চলছিল এবং সে কারণে পাক আর্মিও ছিল মনস্তাত্বিক চাপের মধ্যে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে পাক আর্মিকে যেন বন্দুক-গুলি ও ফাঁসির খোলা লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তালেবান ও ‘জঙ্গি’ শক্তির কোনো উপকার হওয়ার কথাও ছিল না। এটা স্পষ্টতই তাদের বিরুদ্ধে যাওয়ার মত মারাত্মক একটি ঘটনা। আর এ ঘটনার মধ্য দিয়ে উপজাতীয় অধ্যুষিত স্বদেশী সরল সাচ্চাদিলের কোটি খানেক মুসলমানের সঙ্গে পাক আর্মিকে নতুন এক যুদ্ধের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। জেদ ও মুখোমুখি সংঘাতের নতুন একটি চারা বপন করা হয়েছে। কারণ, ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সেটাই দেখা যাচ্ছে। ইতিপূর্বে জরবে আযবের অভিযানে যেখানে মাসে ১০/২০ জন নিহত হত, ঘটনার পর সেখানে নিহতের সংখ্যা রাতারাতি শতের ঘর ছুঁয়ে যাচ্ছে। এ যেন অন্ধকার কিংবা বাতাসে শত্রু অনুসন্ধান করে হত্যা করে যাওয়া।
কেউ কেউ বলেন, ইমরান ও কানাডা থেকে আগত তাহের কাদেরীর অব্যাহত অবরোধের ফ্লপ ফলাফলের পর পাকিস্তানকে অস্থির করার এটি হচ্ছে পরবর্তী দ্বিতীয় পদক্ষেপ। এ পদক্ষেপ বাহির থেকে বাস্তবায়ন করতে ভেতরের কূটিল ও সরল সব পক্ষকেই যার যার দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থান থেকে কাজে লাগানো হয়েছে। তা না হলে ঘটনা এত ন্যক্কারজনক হওয়ার কোনো সুযোগ হয়ত ছিল না। বিগত দিনগুলোতে দেখা গেছে, এ জাতীয় স্কুলে হামলা করে পাইকারী শিশু হত্যা, শপিংমলে হামলা করে শত শত মানুষকে হতাহত করা কিংবা সিরিয়াল হত্যা করার মতো ঘটনাগুলো ঘটেছে ইউরোপ-আমেরিকার মতো কোনো কোনো পশ্চিমা দেশে। মুসলিম বিশ্বে এ চরিত্রের ঘটনার নযীর সম্ভবত এটাই প্রথম। এ জন্যই এ ব্যাপারটিকেও কেউ কেউ গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন যে, হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ অভিযান তো চালাতেই হবে। কিন্তু শুরুতেই একটি গোষ্ঠিকরণ করে ঢালাও হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করা ঠিক নয়। কারণ হত্যাকারী নির্ধারণের পর্যায়ে এখনও নিশ্চিত ও চূড়ান্ত কোনো প্রামাণিক পর্যায়ে কেউ গিয়েছেন বলে শোনা যায়নি। বলা হচ্ছে, তালেবান দায়-দায়িত্ব স্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছে। বলা হচ্ছে, তাদের ফোনালাপ পাওয়া গেছে। মূলত ৯/১১-এর পর থেকে সশস্ত্র গোপন সংগঠনগুলোর উপর
অভিযোগ ও দায়-দোষ স্বীকারের এ জাতীয় ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষের এ যুগে এমন দায় ও স্বীকারোক্তি অন্য পক্ষ থেকে তৈরির ক্ষেত্রেও অনেক অবকাশ থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে অপরাধী সাব্যস্ত করার সুযোগ পুরোপুরি ৫০%। ওরাও অপরাধী হতে পারে। অন্য কেউ করেও তাদের নাম দিতে পারে। এজন্যই খবর ও তথ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআনের সূরা হুজুরাতের এই আয়াতের প্রতি সব পক্ষের মনোযোগ দেওয়া কর্তব্য বলে সাব্যসত্ম হয়: (তরজমা) ‘হে ঈমানদারগণ! যদি কোনো পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে তবে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে- যাতে অজ্ঞতাবশত তোমরা কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি সাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও।’ -সূরা হুজুরাত ৪৯ : ৬
আলোচনার শেষ পর্যায়ে আমরা আবারো পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, ঘটনাটি ন্যক্কারজনক, অমানবিক এবং এর অপরাধ ক্ষমাহীন। হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার সব চেষ্টা অবশ্যই করা হোক। কিন্তু আগেই গোষ্ঠীকরণ ও ঢালাওকরণের প্রবণতা আরেক পর্যায়ের অমানবিকতার পথ তৈরি করতে পারে। নিজেদের শিশুদের হত্যাকারীদের না পেয়ে তাদের শিশুদের হত্যা করার মধ্য দিয়ে প্রতিশোধ নেওয়া আর পরবর্তী শিশুহত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে না পেরে তাদের গোষ্ঠী বা পরিবার খান্দান বিনাশ করা একই রকম অমানবিকতা। এতে একই দোষে উভয় পক্ষ দোষী সাব্যস্ত হয়। এজন্য আমরা মনে করি, মুসলিম দেশগুলোর শক্তিমান, কর্তৃত্বশীল ও সংগ্রামী সব পক্ষের চূড়ান্ত সতর্কতা, সংযম ও সুবিবেচনা সক্রিয় রাখা প্রয়োজন। যারা দেশের নীতি নির্ধারণ করেন এবং যারা দ্বীন ও দেশের কাজ করেন তাদের উচিত নয় যাচাইহীন কিংবা জেদী রক্তক্ষয়ের অন্ধকারে নেমে যাওয়া। তাদের উচিত নয় বাইরে থেকে পেতে রাখা কোনো ফাঁদে উৎসাহের সঙ্গে কদম রাখা। হুঁশ বজায় রাখা সবার কর্তব্য। কারণ
المؤمن لا يخدع ولا يخدع
মুমিন কাউকে ধোঁকা দেয় না এবং কারো ধোঁকাপ্রাপ্তও হয় না।
বিশ্বের বিভিন্নাঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা মুসলিম বিদ্বেষী শক্তিগুলো এবং দেশে দেশে নিযুক্ত তাদের পেইড-এজেন্টগণ দ্বীনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ফাঁসানো, তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো এবং তাদের পাঠক্রম বন্ধের জন্য কোনো সুযোগই হাতছাড়া করতে প্রস্তুত বলে মনে হয় না। উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর কাজে তারা খুবই দক্ষ। তাই দ্বীনের যতগুলো অঙ্গনে ইসলামের খাদেমরা কাজ করছেন তাদের যেমন প্রয়োজন হিকমত ও কৌশলের প্রতি যত্নবান হওয়া তেমনি নিজেদের কাজ সুন্নাহসম্মত ও যথাযথ হচ্ছে কি না তাও নির্ভরযোগ্য উলামায়ে কেরাম থেকে যাচাই করে সেভাবে অগ্রসর হওয়া দরকার। আল্লাহই একমাত্র তাওফীকদাতা।