গালাগাল নয়, চাই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বাক-সংযম
শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাসখানেক যাবৎ আমাকে কিছুটা বিশ্রামে থাকতে হচ্ছে। সে কারণে নিয়মিত কাজকর্ম থেকেও থাকতে হচ্ছে বিচ্ছিন্ন। এজন্য শরীরের পাশাপাশি সম্প্রতি মনের উপরও যথেষ্ট চাপ পড়ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা দেখে মনটা আরও বিষণ্ণ হয়ে উঠেছে। শরীর ও মনের ক্লান্তির মধ্যেও অন্য রকম একটা বিষণ্ণতা ও কষ্ট মনটাকে আচ্ছন্ন করে তুলেছে। বড় আক্ষেপের সঙ্গে মনের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে, আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে লাগামহীন বিষোদগার ও নিয়ন্ত্রণহীন বাকযুদ্ধের মহড়া আর কতকাল চলবে? হ্যাঁ, অসুস্থতার মধ্যেও আমার মনটা অন্যভাবে বিষণ্ণ হওয়ার একটা বড় কারণ হচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের অশোভন বাকযুদ্ধ।
প্রায়ই দেখা যায়, সরকারি ও বিরোধী উভয় পক্ষের নেতৃবৃন্দই কোনো ইস্যুতে পরস্পরের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করলে সীমাহীন আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। পারস্পরিক গালমন্দের একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। লক্ষ্য করে দেখা হয় না যে, কে কাকে ছোট করছেন, কে কাকে তুচ্ছ করছেন এবং ইতিহাস ও অবদান থেকে কে কাকে কীভাবে বিচ্ছিন্ন করার হাস্যকর চেষ্টা করছেন। জেদ ও আক্রোশে একে অপরের প্রতি অশোভন বিষোদগার করেই যান যে যার জায়গা থেকে। মাঠ-ময়দান কিংবা জাতীয় সংসদের অধিবেশন কোনো জায়গাই এই বিষোদগার থেকে মুক্ত থাকছে না। অথচ আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মানুষ বানিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন এবং অনন্য নেয়ামত হিসেবে আমাদেরকে বাকশক্তি, ভাষাশক্তি দান করেছেন। অন্য জীব-জন্তুর সঙ্গে মানুষের পার্থক্যের একটা বড় উপলক্ষ হচ্ছে এই বাকশক্তি। তাই সব অবস্থায় এ নেয়ামতের যথাযথ কদর করা আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব।
শিক্ষার মাধ্যমিক পর্যায়ে আমরা তর্কশাস্ত্রের পাঠ্যগ্রন্থে পড়েছি, মানুষের পরিচয় হচ্ছে حيوان ناطق
(বাকশক্তিসম্পন্ন প্রাণী)। অন্য প্রাণী থেকে এই ناطق (বাকশক্তিসম্পন্ন) গুণটি দিয়েই মানুষকে আলাদা করা হয়েছে। মানুষের পরিচিতি তুলে ধরার জন্য এই বিশেষ গুণটির কথা শুনে ওই বয়সে আমাদের হাসি পেয়েছিল। তখন মনে হয়েছিল কথাবলার শক্তিটাই কি মানুষের প্রধান পার্থক্য সৃষ্টিকারী পরিচয়? অন্যকিছুও তো হতে পারতো পার্থক্যের আলামত। কিন্তু বড় হওয়ার পর আমরা বুঝেছি, বাকশক্তির মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য কী।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বাকশক্তিসম্পন্ন প্রাণীই কেবল করেননি; বরং বাকশক্তির সুব্যবহারের জন্য বিভিন্ন রকম বিধান ও নীতিও দান করেছেন। আল্লাহ তাআলার কালাম ও রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিভিন্ন বাণীর প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বাকশক্তি প্রয়োগে মানুষের যথেচ্ছাচারের কোনো সুযোগ নেই। পূর্ণ বাকশক্তি মানুষকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে তার আচরণ হতে হবে নিয়ন্ত্রিত। বাকশক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাকে সত্য কথা বলতে হবে, মিথ্যা পরিহার করতে হবে। চোগলখুরি ও পরনিন্দা পরিহার করে চলতে হবে। ফিতনা বা হাঙ্গামা হয় এমন কথা বলা যাবে না। অশ্লীল কথা প্রচার করা যাবে না। এমনকি যে বিষয়ে জানা নেই সে বিষয়েও কথা বলা যাবে না বা অবস্থান ব্যক্ত করা যাবে না। এগুলোর সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে এজাতীয় আরো দিক নির্দেশনার বিভিন্ন আয়াত ও হাদীসে স্পষ্ট উল্লেখ দেখা যায়। যেমন : ক. আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন (তরজমা) ‘এবং তোমরা একে অপরের গীবত করবে না: (সূরা হুজুরাত ৪৯:১২)
খ. আরেক আয়াতে আছে, (তরজমা) ‘আর যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই তার পিছনে পড়ো না, কারণ, কান চোখ ও অন্তঃকরণ এগুলোর প্রত্যেকটি সম্বন্ধে (কিয়ামতের দিন) প্রশ্ন করা হবে। (সূরা ইসরা ১৭:৩৬)
গ. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার প্রতি জুলুম করে না। তাকে অপমান করে না এবং তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে না। (সহীহ মুসলিম ২৫৬৪)
এসব আয়াত ও হাদীসের প্রতি লক্ষ করলে অনুধাবন করা যায় যে, বাকশক্তি দান করে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ভালোমন্দ যে কোনো কিছুই উচ্চারণের যথেচ্ছ স্বাধীনতা দিয়ে দেননি; বরং এ ক্ষেত্রে কিছু বিধিবিধান দিয়েছেন। দিয়েছেন কিছু অনুপ্রেরণা এবং কিছু নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞাসমূহের অন্যতম হচ্ছে, গালমন্দ না করা এবং অশ্লীল ও অশোভন ভাষা প্রয়োগ না করা। যুক্তি প্রমাণ দিয়ে শালীনভাবে মানুষ নিজের কাছে থাকা সত্য বিষয়টিকে তুলে ধরবে ও প্রতিষ্ঠিত করবে। একইভাবে অন্যের পক্ষ থেকে তুলে ধরা ভুল বিষয়টি রদ করা ও শুধরে দেওয়ার ক্ষেত্রেও এসব শালীনতার নীতি সে রক্ষা করবে। কখনো ভদ্রতার সীমা অতিক্রম করবে না।
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন (তরজমা) : তোমরা তাদের গাল দিও না, যাদেরকে তারা উপাসনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাতে তারা বিদ্বেষ ও অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালি দিয়ে বসবে। (আনআম : ১০৮)
এ আয়াতে কারীমার লক্ষণীয় বিষয়টি হচ্ছে, এখানে এমন একটি বিষয়ে গাল দিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যা বাস্তবে পুরোপুরিই প্রত্যাখ্যান ও নিন্দাযোগ্য। সেটি হচ্ছে আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করা। পবিত্র কুরআনের বহু জায়গায় এই বিচ্যুত উপাসনার অসারতা ও ঈমান-পরিপন্থী হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ আছে। অথচ এই আয়াতে শিরকী সেই উপাসনার বস্ত্তগুলোকেই গাল দিতে নিষেধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার কারণটিও আয়াতে কারীমায় উল্লেখ করা হয়েছে। সেই কারণটি হচ্ছে, ওইসব মিথ্যা উপাস্যকে গালমন্দ করলে ওসবের বিভ্রান্ত উপাসকরা প্রতিক্রিয়া স্বরূপ ‘বিদ্বেষ ও অজ্ঞতাবশত’ আল্লাহকে গালি দিয়ে বসবে। অর্থাৎ মন্দকে গালি দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় ভালোর দিকেও গালি আসার পথ খুলে যাবে। এ জন্যই বাস্তবতা ও উপযুক্ততা থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা উপাস্যদেরকে এ আয়াতে গালি দিতে মানা করা হয়েছে।
মিথ্যা উপাস্যদের গালমন্দ না দেওয়ার বিধান সম্বলিত এই আয়াতের মর্ম ব্যাখ্যা করে তাফসীরবিদ ইবনুল আরাবি বলেন,
فإن السب فعل الأدنياء
(কারণ, গালি দেয়া হচ্ছে অভদ্র ছোটলোকদের কাজ)। তাফসীরবিদগন আরও বলেন, এখান থেকেই ফিকহের অন্যতম মূলনীতি سد الأبواب (দরজা বন্ধকরন নীতি) বের হয়ে আসে। যার মূলকথা হল, কোনো মন্দত্বের দরজা খুলে যাওয়ার আশংকা থাকলে রদ করা ও নিন্দা করার হক রয়েছে- এমন বিষয়ও ছেড়ে দেওয়া অর্থাৎ বড় কোনো মন্দত্ব আসার আশংকা থাকলে বৈধ কোনো আমলও স্থগিত করে রাখা।
গালমন্দ না দেওয়ার ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা এই আয়াতে এসেছে তার ব্যাখ্যা একটি হাদীস থেকেও পাওয়া যাবে। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, সবচে বড় কবিরা গুনাহের মাঝে একটি হল, নিজের পিতা-মাতাকে অভিশাপ দেওয়া। সাহাবীগণ বিস্ময়ের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করলেন, কিভাবে একজন লোক তার পিতা-মাতাকে অভিশাপ দেবে? আল্লাহর রাসূল উত্তর দিলেন, কেউ অপর ব্যক্তির পিতাকে গালি দেবে, তখন ওই ব্যক্তি তার পিতাকে গালি দেবে। আর কেউ অপর ব্যক্তির মাকে গালি দেবে তখন অপর ব্যক্তি তার মাকে গালি দেবে। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৯৭৩)
এ হাদীসেও দেখা যাচ্ছে, অপরের পিতা-মাতাকে গালমন্দ করার প্রতিক্রিয়ায় অপরের পক্ষ থেকে নিজের পিতা-মাতাকেও গালমন্দের শিকার না বানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ গালমন্দের প্রতিক্রিয়ায় যে গালমন্দ উড়ে আসে সেটা থেকেও বাঁচার নির্দেশ এখানে মূলকথা। এতে সর্বাবস্থায় গালমন্দের মন্দত্ব ফুটে উঠেছে। একইসাথে এ সত্যও ফুটে উঠেছে যে, গালমন্দ থেকে বাঁচার জন্য সূক্ষ্ম ও সতর্কতামূলক পথ অবলম্বন করতেও শরীয়তে প্রেরণা দেয়া হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতা আমাদের ধর্মীয় এসব গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনার প্রতি ভ্রুক্ষেপই করতে চান না। গালমন্দ, তাচ্ছিল্য ও বিভক্তিতেই তারা ডুবে থাকেন। এ জন্য স্বাধীনতার পর চারটি দশক পার হয়ে গেলেও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও চিন্তার জায়গাগুলোতে আমরা একমত নই। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিভক্তই থাকছে; এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতেও হয়তো তাই থাকবে। সহিষ্ণুতা ও অন্যের কৃতিত্ব মেনে নেয়ার যোগ্যতা আমাদের ভেতরে একদম যেন শূন্য হয়ে গেছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কার কী অবস্থান, কী ভূমিকা, কী মর্যাদা ও অবদান সেসব নিয়ে আমরা পুরোপুরি অসহিষ্ণু। অন্যেরটা কিছুতেই মেনে নিতে চাই না। কথায় ও আচরণে আক্রমণাত্মক ও বিষোদগারবাদী থাকাটাকেই আমরা কৃতিত্ব মনে করি।
এই যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক গালমন্দ ও বিষোদ্গারের চর্চা এতে ক্ষতি হচ্ছে বহুমুখী। প্রথমত এ সব অনাকাঙ্ক্ষিত তিক্ততায় জনসাধারণ মর্মাহত হচ্ছেন, কষ্ট পাচ্ছেন। জনগণের বিরাট একটি অংশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। কেউ একদলের বক্তব্যকে সত্য মানছেন, আরেক দলকে মিথ্যা জানছেন। কেউ কেউ কারো কারো বক্তব্যকে অর্ধেক সত্য বা অর্ধেক মিথ্যা মানছেন। যার সাথে বাস্তবের সম্পর্ক থাকছে খুবই কম। এসবের বড় ক্ষতি এটাও হচ্ছে যে, রাষ্ট্রের কর্ণধারদের কথা-আচরণ ইত্যাদির খারাপ প্রভাব পড়ছে ভবিষ্যত প্রজন্মের ওপর। তারা গালির ভাষাটাকে স্বাভাবিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করছে। বিভক্তি ও অসহিষ্ণুতায় অভ্যস্ত হচ্ছে। তাছাড়া কোনো কোনো বড় দলকে দেখা যাচ্ছে ঢালাওভাবে শ্রেণী-পেশা ও বলয়ভিত্তিক শাখা সংগঠন খুলতে। এগুলোর মাধ্যমে সব স্তরের মানুষকে নিজেদের সঙ্গে তারা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে এবং সে সব সংগঠনের সব পর্যায়ের লোকজনকে নিজেদের অসহিষ্ণু, আক্রমণাত্মক ও অশ্লীল আচরণে অভ্যস্ত করে তুলছে। এতে মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়ছে গালমন্দ, অশ্রদ্ধা ও বিভক্তি। অথচ একজন মানুষ ও মুসলমান হিসেবে আমরা আমাদের রব ও নবীজীর কাছে এমন শিক্ষা পাইনি। আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো এমনতর আচরণ এবং এজাতীয় অসংযত বাক্যাচারের বিষয়ে নিষেধ ও বারণ করেছেন। শালীন এবং তিক্ততা লাঘবকারী কথাবার্তা বলতে প্রেরণা দিয়েছেন।
এ ধরনের আচরণের আরেকটি বড় ক্ষতি হচ্ছে সম্প্রসারিত মিডিয়ার কল্যাণে নেতৃবৃন্দের এসব অশ্রাব্য কথাবার্তা মুহূর্তেই পৌঁছে যাচ্ছে সারা বিশ্বে। এতে করে কলঙ্কিত হচ্ছে পুরো দেশ ও জাতির মান-মর্যাদা। সুতরাং সকল পক্ষের নেতাদের প্রতি আমরা উদাত্ত অনুরোধ রাখতে চাই, আপনারা আপনাদের ভাষায় মনুষ্যত্ব ও মুসলমানিত্বের মর্যাদা রক্ষা করুন।
তাছাড়া এ তো বাস্তব যে, কোনো বিষয়ের উত্তর-প্রত্যুত্তরে যুক্তি-প্রমাণের স্থলে গালি-গালাজ, অশালীন কথাবার্তা নিজ অবস্থানকেই দুর্বল করে দেয়। কারণ এ দ্বারা প্রমাণ হয় যে, এ অবস্থানের পক্ষে যুক্তি ও প্রমাণ নেই।
এমনকি যারা ঐতিহাসিক দিক থেকে সত্যের উপরই রয়েছেন -তাদেরও আমরা অনুরোধ করব-দয়া করে এমন ভাষায় কথা বলবেন না যার দ্বারা বিপক্ষের লোকেরা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করা কিংবা অন্যায় গালমন্দ করার সুযোগ পেয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা তো এজাতীয় লোকের গালমন্দের সুযোগ বন্ধের জন্যই মিথ্যা উপাস্যর (মূর্তি) প্রতি গালমন্দ করতে নিষেধ করেছেন। একই সঙ্গে সকল স্তরের গণমাধ্যমগুলোর কাছে আমরা অনুরোধ রাখতে চাই -তারা যেন পুরোপুরিভাবে এজাতীয় নেতিবাচক ভাষা ও অশ্লীল বাক্যাচার এড়িয়ে চলেন। কারণ খারাপ কথা ও অশ্লীলতা প্রচারের দায় নেয়াটাও অনেক বড় রকম শাস্তির বিষয়। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন (তরজমা) : নিশ্চয়ই যারা পছন্দ করে ঈমানদারদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক তাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। (নূর : ১৯)
আমাদের দেশে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কর্মকান্ড যেহেতু সাধারণ মানুষের আচরণকেও প্রভাবিত করে এজন্য কল্যাণকামীতা থেকেই তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা নিবেদন করা হল। আল্লাহ সকলকে হেদায়েত দিন ও তাওফীক দিন। আমীন।
পুনশ্চ : আলকাউসারের মাধ্যমে আমি আমার স্বজন ও সুহৃদদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, অসুস্থতার সময় তারা দোয়া করেছেন এবং বিশেষ উদ্বিগ্নতার সাথে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। আল্লাহ পাকের মেহেরবানীতে এখন আমি সুস্থতার পথে। আলহামদুলিল্লাহ।
তাঁদের এ আন্তরিকতার প্রতিদান দেয়ার সামর্থ্য আমার নেই, আমি তাদের সবাইকে অন্তর থেকে বলছি, ‘জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।’ মহান আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুন, নিরাপদ রাখুন এবং ঈমানী বন্ধনে আমাদের সকলকে আবদ্ধ রাখুন। আমীন।