তিক্ত হলেও বাস্তব
সেদিন শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে ঢাকার একটি ক্লিনিকে গিয়েছিলাম। ক্লিনিকটি খুব বেশি বড় না হলেও একেবারে ছোটও নয়। বড় বড় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ সেখানে আছেন। যদিও এক ডাক্তারের কাছে গিয়েছি, কিন্তু কয়েক ডাক্তারের প্রাইভেট রুম দেখার সুযোগ হয়েছে। প্রতিটি ডাক্তারের সহযোগী হিসেবে আছেন একজন যুবতী মহিলা। আমি যে ডাক্তারের কাছে গিয়েছি তিনি যুবক না হলেও বয়স যুবকদের থেকে তেমন বেশী নয়। রুমের অপর কোনে বসা যুবতী মেয়ে অর্থাৎ তার সহযোগী রোগী না থাকা অবস্থায় তারা দুজন একা একা সময় কাটাচ্ছেন। দরজাও বন্ধ থাকে। এ অবস্থা দেখে আমার মনে যে চিন্তাটা হল -এখানে সর্বপ্রথম যে হারাম কাজ সংঘটিত হচ্ছে সেটা হল নারী-পুরুষের একান্তে অবস্থান। হোক না সে ডাক্তার। ইসলাম তো এটাকে সম্পূর্ণ হারাম করেছে। হাদীসে আছে যখন কোনো বেগানা পুরুষ কোনো নারীর সাথে নির্জনে মিলিত হয় তখন তাদের তৃতীয় এক সংগী যোগ দেয়। আর সে হলো শয়তান। সুতরাং দুর্ঘটনা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। একা একা দুজনে অন্যায় কাজ হলেও কেউ দেখবে না। এতো ডাক্তারের সহযোগী। একাকী অবস্থানের কারণে ডাক্তার কর্তৃক রুগী-নির্যাতনের কাহিনীও তো কিছুদিন আগে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
ধর্ষণের হার যে রীতিমত বাড়ছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করার কোনো কারণ নেই। এর জন্য পরিবার, সমাজ সবাই দায়ী। কারণ সবাই এর সুযোগ করে দিয়েছে। প্রতিদিনকার ঘটনা, ইভটিজিং, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, ধর্ষণের পর হত্যা এগুলোর জন্য অভিভাবক থেকে শুরু করে গোটা জাতিই এক রকম দায়ী। অভিভাবকদের অন্যায় হল তারা নিজেদের কন্যাকে অবাধে ছেড়ে দিচ্ছে অফিস আদালতে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিভাবকহীন মেচ-হোস্টেলে কীভাবে জীবন কাটাচ্ছে, কীভাবে সে চলছে তার কোনো খবর রাখছে না। যদি অভিভাবকদের সামান্য খবর থাকত তাহলে ঐশী কর্তৃক নজীরবিহীন ঘটনার দ্বারা এ দেশকে গোটা বিশ্বের কাছে কলংকিত হতে হতো না।
যুবতী নারীরা যেভাবে নিজেদেরকে প্রদর্শন করে চলেছে, রাস্তা ঘাটে অফিস আদালতে তাদের সাজ-সজ্জা, বাহারী রংয়ের পোশাক, হাটার ভঙ্গিমা এর প্রায় সবকিছুই পুরুষকে অন্যায়ের প্রতি প্রলুব্ধ করছে। এর দ্বারা তারা যে নিজেরাই নিজেদেরকে বিপদে ফেলছে।
আর সমাজ ও রাষ্ট্রের কথা কী বলব, তাদের কাছে কি নীতি-নৈতিকতা বলতে কিছু নেই? তারাও সুযোগ করে দিয়েছে সর্বত্র ছেলে মেয়ের অবাধ মেলামেশার। অফিস আদালত, কারখানা, হাসপাতাল সব জায়গায় একই অবস্থা। আর এটাকেই তারা বলে নারী স্বাধীনতা। আর ঐশীরা তো ‘নারী স্বাধীনতা’ নামের এ বিষবৃক্ষেরই ফল।