মাটির ঘর
গুণী ছাত্রের কথা শুনে উস্তাদ বললেন, ‘বাহ, বাহ তুমি কত বুদ্ধির কথা বললে। আমি তো সারাটা জীবন পার করে দিলাম। বুড়ো হয়ে গেলাম। এখনও এ বিষয়টা বুঝতে পারলাম না।’ উস্তাদের মুখে বার বার এ কথাগুলো শুনে বুদ্ধিমান ছাত্রটি লজ্জিত হয়ে বলল, কথাগুলো আমি আসলে এজন্য বলেছি যে, পাকা বাড়ি না বানানোর মাঝে যদি কোনো হেকমত থাকে তাহলে সে কারণটি সম্পর্কে আমিও জানতে পারতাম।’ উস্তাদ তখন বললেন, ‘এসো, আমি তোমাকে বলছি।’ এ কথা বলে ছাত্রের হাত ধরে তাকে নিজের বাড়ির দরজায় নিয়ে এসে বললেন, দেখ তো এই গলির ডানে-বাঁয়ে, সামনে-পেছনে কোথাও কোনো পাকা বাড়ি তোমার নজরে পড়ে কি না? ছাত্র বলল, জ্বী না।
এরপর উস্তাদ বললেন, আমার সব প্রতিবেশীর বাড়ি কাঁচা, মাটির দেয়ালের। এই গলিতে একা আমার বাড়িটি পাকা করে বানালে সেটা কি ভালো দেখাবে? আমার তো এ সামর্থ্য নেই যে, প্রত্যেক প্রতিবেশীর বাড়ি পাকা করে দেব। এ জন্য আমার বাড়িটিও আমি পাকা বানাইনি, যেন আমার প্রতিবেশীরা, মনোকষ্টে না ভুগে।’ এই গল্পের উস্তাদ ছিলেন দারুল উলূম দেওবন্দের প্রখ্যাত উস্তাদ মাওলানা সাইয়েদ আসগার হোসাইন রাহ. আর ছাত্রটি ছিলেন পাকিস্তানের মুফতীয়ে আযম মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ.।