মাওলানা শাহ্ বেদারুল আলম রাহ. : মনীষার প্রতিকৃতি
বিশিষ্ট আলিমে দ্বীন, ইসলামী রাজনীতিক ও সমাজসেবক মাওলানা শাহ মুহাম্মাদ বেদারুল আলম সাহেব রা. ১৩৭৭ হি. অনুযায়ী ১৩৬৪ বা. ১৯৫৮ঈ. সনে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন রুহুল্লাহ্পুর গ্রামে বিখ্যাত ‘কাযী’ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন বরেণ্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব দারুল উলূম হাটহাজারীর মুহতামিমে আজম কুতবুল ইরশাদ আল্লামা শাহ আবদুল ওয়াহ্হাব সাহেব রাহ. [১৩১৩ হি., ১৮৯৪ঈ. -১৪০২হি., ১৯৮২ঈ.]। তাঁর মুহতারামা মাতার নাম মুসাম্মাৎ ছকিনা বেগম। তাঁর সপ্তম ধাপের পূর্বপুরুষ ছিলেন কাযী নাসির উদ্দীন ইস্পাহানী রাহ.। ইরানের ইস্পাহান নগরীর অধিবাসী কাযী নাসির উদ্দীন রাহ. ছিলেন শাহ্ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রাহ.’র সমসাময়িক। দ্বীন প্রচারের নিমিত্তে সপরিবারে হিজরত করে প্রথমে মায়ানমারের রেঙ্গুন শহরে আসেন। সেখানে বেশ কয়েক বছর অবস্থান করার পর বাংলাদেশের সন্দ্বীপে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁরই পুত্র কাযী আসয়াদ আলী হাটহাজারী থানার অন্তর্গত রুহুল্লাহ্পুর গ্রামে এসে স্থায়ী বসতি গড়ে তোলেন।
স্বীয় পিতার তত্ত্বাবধানে নিজ বাড়িতে মাওলানা বেদারুল আলমের প্রাথমিক শিক্ষা আরম্ভ হয়। সে সময়ে গৃহশিক্ষক ছিলেন যথাক্রমে মাওলানা রামাদান আলী কুমিল্লায়ী এবং তাবলীগ জামাতের প্রথিতযশা মুরববী মাওলানা মুহাম্মাদ মুয্যামমিলুল হক দুলাহাজারী দা. বা.। তাঁর প্রথম পাঠশালা ছিল স্বীয় পিতার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যাপিঠ ‘মাদরাসা ইহইয়াউল উলূম’, হালিশহর, চট্টগ্রাম। অতঃপর ১৩৯১হি., ১৯৭১ঈ. সনে দারুল উলূম হাটহাজারীতে দ্বিতীয় জামাতে ভর্তি হন এবং ধারাবাহিক এগার বছর অধ্যয়ন শেষে ১৪০১হি., ১৯৮১ঈ.- তে এই জামিয়া হতে কৃতিত্বের সাথে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন। শায়খুল হাদীস আল্লামা আবদুল কাইয়ূম সাহেব রাহ., সাবেক মুহ্তামিম আল্লামা হাফেয হামেদ সাহেব রাহ., শারেহে মিশকাত আল্লামা আবুল হাছান সাহেব রাহ., শায়খুত তাফসীর আল্লামা হাফীযুর রহমান (পীর সাহেব হুযূর) রাহ., শায়খুল হাদীস আল্লামা শাহ আবদুল আজীজ সাহেব রাহ., মুফতিয়ে আযম আল্লামা আহমাদুল হক সাহেব রাহ., শাইখুল হাদীস আল্লামা শাহ্ আহমাদ শফী সাহেব দা.বা. ও আল্লামা শেখ আহমাদ সাহেব দা.বা. প্রমুখ ছিলেন তাঁর সম্মানিত শিক্ষক।
ধারাবাহিক অধ্যাবসায়, সময়ানুবর্তিতা, বিনম্র আচরণ, অসাধারণ ধী-শক্তি, শিক্ষকগণের আনুগত্য ও সেবা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, দরসে প্রায় শতভাগ উপস্থিতি ইত্যাদি কারণে তিনি সহজেই আকাবিরে হাটহাজারীর নেক নজর আকর্ষণে ধন্য হন। দারুল উলূম হাটহাজারীতে অধ্যয়নকালেও তাঁর তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন নিজ পিতা হাকীমুন-নাফস্ শাহ্ আবদুল ওয়াহহাব সাহেব রাহ.।
দাওরায়ে হাদীস উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি দারুল উলূম হাটহাজারীতে উস্তাজ হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। সমকালীন বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দের অন্যতম ছিলেন তিনি। তাঁর মধ্যে একজন আদর্শ শিক্ষকের গুণাবলীর অপূর্ব সমাবেশ ছিল। তিনি বলতেন, ‘শিক্ষক মানে শাসক নয়। যা আজকাল মনে করা হচ্ছে। শিক্ষক অর্থ, ছাত্রের মনোদৈহিক অবস্থা বুঝে তাকে সহজতম পন্থায় সঠিকভাবে পরিচালনা করা।’ ফলশ্রুতিতে হাটহাজারী মাদরাসার সকল ছাত্র-চাই সে স্থানীয় হোক বা দূরের তাঁকে অভিভাবকই মনে করত। তাঁর পাঠদান পদ্ধতি ছিল অনন্য। একজন শিক্ষকের প্রথম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য ছাত্রদেরকে সবক ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার যোগ্যতা থাকা। আর সূক্ষ্ম ও কঠিন ইবারত এবং মাসয়ালার ক্ষেত্রে এমনভাবে তাহকীক করা, যাতে সকল
স্তরের ছাত্ররা তা আয়ত্ব করে বুঝে নিতে পারে। তাঁর প্রভাষণে এ বৈশিষ্ট্য ছিল পুরোমাত্রায়। আরবী, উর্দূ, ফারসী এবং বাংলা ভাষার উপর যথেষ্ট ব্যুৎপত্তি ছিল তাঁর। দরসে নেযামীর সিলেবাসভুক্ত গ্রন্থগুলো ছিল তাঁর নখদর্পনে। ইলমে হাদীস ও ফিকহে তাঁর অধ্যয়ন ছিল গভীর। তিনি দারুল উলূম হাটহাজারীর ছয় সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা পরিষদের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি মাদরাসার অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিভাগের কাজ অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে আঞ্জাম দেন। হযরত মুহতামিম সাহেব মাওলানা শাহ আহমাদ শফী দা.বা.-এর অবর্তমানে তিনি ইহতিমামের দায়িত্ব পালন করতেন।
তিনি একজন রাজনীতি-সচেতন ব্যক্তি ছিলেন।
বড় বড় ইসলামী দলগুলোর চট্টগ্রাম জেলা কমিটি, হাটহাজারী থানা কমিটির সভাপতি, সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন ছাড়াও আরো বিভিন্ন ইসলামী সামাজিক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ইসলামবিরোধী যে কোনো কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রতিরোধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। ১৯৯৬-২০১১ সরকারের সময় ইসলাম ও রাষ্ট্রদ্রোহী যে কোনো কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে নিবিড়ভাবে জড়িত রেখেছিলেন। দেশ, জাতি, সমাজ ও ইসলামের সেবা এবং দ্বীনী শিক্ষা
বিস্তারের কাজে নিজেকে এমনভাবে উৎসর্গিত করেছেন, যার দৃষ্টান্ত বিরল। গবেষক ও লেখক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরীর ভাষায়- ‘নিজ পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে সমাজকল্যাণমূলক কাজ করার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন মাওলানা শাহ মুহাম্মাদ বেদারুল আলম সাহেব রাহ.’। তিনি তাঁর মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে অনেক পরিশ্রমের বিনিময়ে ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন, ‘স্বদেশ সংঘ’ নামে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের একটি সংগঠন। এটি বর্তমানে উত্তর চট্টলার সুদমুক্ত একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তিনি আজীবন এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও দারুল উলূম হাজহাজারী শিক্ষকমন্ডলীর কল্যাণ সমিতি ‘লাজ্নাতুল আমানাহ’ ১৪১৮ হি., ১৯৯৮ঈ. সালে তাঁরই হাতে গড়ে উঠেছে। তিনি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামিয়া আরাবিয়া তালীমুল কুরআন মাদরাসা (নূরানী মাদরাসা ও হেফযখানা), আলীপুর, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম। তিনি বলতেন, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রা. একাধারে আলেমা, মুফাসসিরা, মুহাদ্দিসা, ফকীহা, মুয়াল্লিমা ছিলেন। যদি আমরা নারীসমাজের শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব না দিই, তাহলে বিধর্মীরা নারীসমাজকে তাদের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তসলিমা নাসরিনদের মত নারী তৈরি করবে, যারা ইসলামের প্রভূত ক্ষতি সাধন করবে।’ এই চিন্তাকে সামনে রেখে তিনি ১৯৯৯ সনে নিজ পৈত্রিক জায়গায় প্রতিষ্ঠা করেন খাদীজাতুল কুবরা রা. মহিলা মাদরাসা। এছাড়াও প্রতিষ্ঠা করেন, আদর্শ ইসলামিক একাডেমী, হাটহাজারী। তিনি আজীবন এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা ছিলেন। চট্টগ্রামের অসংখ্য নূরানী মাদরাসা তাঁরই পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন মাদরাসার মজলিসে শূরার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। মাদরাসার পাশাপাশি বিভিন্ন মসজিদ নির্মাণ ও সংস্কারে তাঁর মৌলিক অবদান রয়েছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যায়, হাটহাজারী কাচারী রোডস্থ কোর্ট জামে মসজিদ স্থাপনে তিনি ছিলেন অগ্রগামী। এছাড়াও তাঁর পিতার নির্মিত বায়তুল কারীম জামে মসজিদ (দারুল উলূম হাজহাজারীর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ)’র নকশাদার দামী গালিচা কেনা, ভারসাম্যপূর্ণ আলোকব্যবস্থা, এতেকাফকারীদের জন্য টয়লেট নির্মাণসহ নানাবিধ সংস্কার কর্মকান্ড তাঁর নেতৃত্বে সম্পন্ন হয়। হাটহাজারী কেন্দ্রীয় ঈদগাহের উন্নয়ন এবং দলমত-স্তর নির্বিশেষে ধর্মপ্রাণ হাটহাজারীবাসীকে এক জামাতে ঈদের নামাযে একত্রিত করার কৃতিত্বও তাঁর।
আধ্যাত্মিক জীবনে তিনি হাকীমুল উম্মাত আল্লামা শাহ আশরাফ আলী থানভী রাহ.’র সর্বশেষ খলীফা মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা শাহ আবরারুল হক (হারদুঈ হযরত) রাহ’র হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন। রাজনীতির অঙ্গনে তিনি খতীবে আযম আল্লামা সিদ্দীক আহমাদ সাহেব রাহ.’র আদর্শ ও কর্মনীতিকে অনুসরণ করে চলতেন।
শুধু প্রশংসা করার মতই নয়, বরং অনুসরণ করার মত অনেক মানবিক গুণ তাঁর চরিত্রে বিদ্যমান ছিল। তিনি উদারমনা, হৃদয়বান ও নম্রভাষী অথচ জালালী মেজাজের অধিকারী ছিলেন। অপরের দুঃখে দুঃখী হওয়া এবং অতিথিপরায়ণতা ছিল তাঁর একান্ত স্বভাব। শেষোক্ত দুই গুণের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অনন্য। কোনো মানুষ দুঃখে পতিত হয়ে টাকার জন্য তাঁর দারস্থ হয়েছে, কেউ সাধারণভাবে তাঁর মেহমান হয়েছে, এমতাবস্থায় তাঁর হাতে কোনো টাকা নেই, তখন দেখা যেত, তিনি কর্জ করে হলেও দুঃখীর দুঃখ মোচন করতেন, মেজবানের দায়িত্ব পালন করতেন, যা বর্তমানে বিরল। তিনি কমছে কম চা-বিস্কুট না খাইয়ে কোনো মেহমানকে বিদায় দিতেন না।
তাঁর আরেকটি মহত্তম গুণ ছিল- তিনি সকলকেই হৃদয় দিয়ে ভালবাসতেন। ছোটদের প্রতি মায়া-দয়া, বড়দের তাযীম এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম, পীর-মাশায়েখের প্রতি অসাধারণ শ্রদ্ধা ও ভক্তি ছিল তাঁর। মুরববী, সমবয়স্ক, সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী আত্মীয়-স্বজন ও অধীনস্থ সকল লোকের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ও অফুরন্ত ভালবাসা উম্মুক্ত ও অবারিত ছিল।
তাঁর জীবনের সবচাইতে উল্লেখযোগ্য দিক হল সুস্পষ্টবাদিতা, বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, মুখ ও অন্তরের মিল। অন্তরে যা আছে তা উচ্চারণ করতে তিনি কখনও দ্বিধাবোধ করতেন না, যা একজন খাঁটি ঈমানদারের পরিচয়। আজকের সমাজে এমন চিত্র বিরল।
তিনি ছিলেন ‘মুতাওয়াক্কিল আলাল্লাহ’-এর বাস্তব নমুনা। আল্লাহ তাআলা অল্প সময়ে যে মাকাম দান করেছেন তিনি চাইলে অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি বলতেন, ব্যাংকে একাউন্ট খোলার অর্থ হচ্ছে, তাতে টাকা-পয়সা জমা রাখা। আর এটা তাওয়াক্কুল আলাল্লাহর বিপরীত। বস্ত্তত, মানুষের প্রতি মমত্ববোধ ও সু-সম্পর্কটাই ছিল তাঁর জীবনের অমূল্য পুঁজি।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ ঈসায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেদিন বিকালে অবস্থার অবনতি হলে বাসা থেকে হাটহাজারীস্থ ‘লাইফ-লাইন’ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। অসুখ বেড়ে যাওয়ায় পরদিন সেখান থেকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের ‘একুশে হাসপাতাল’-এ, এরপর ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’-এ ভর্তি করা হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩য় তলায় ১৭নং ওয়ার্ডের ২নং বেডে মুমূর্ষু অবস্থায় এক সপ্তাহকাল যাপনের পর ১৪ই মুহাররম ১৪২৫ হি., ২৩শে ফাল্গুন ১৪১০ বাং, ৬ই মার্চ ২০০৪ ঈ. শনিবার বিকাল ৩টা ১০মিনিটে এই নশ্বর পৃথিবী ত্যাগ করে মহান আল্লাহর দরবারে চলে যান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ইনতিকালের সময় চাঁদের হিসেবে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর এবং সৌর হিসাবে ৪৬ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৬ ছেলে, ৩ মেয়ে, ছাত্র-ভক্ত ও আত্মীয়-স্বজনসহ অগণিত গুণগ্রাহী রেখে যান।
সন্তানদের সু-শিক্ষিত করা, আদব-তরবিয়ত ও শিষ্টাচারের গুণে সজ্জিত করার ব্যাপারে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল আপোষহীন।
তাঁর ইন্তিকালের খবরে দেশ-বিদেশে তার অগণিত ছাত্র-অনুসারী ও ভক্তদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
জামিআর মহাপরিচালক ও শায়খুল হাদীস আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী সাহেব দা.বা.’র ইমামতিতে লক্ষাধিক মুসল্লীর অংশগ্রহণে জামিয়া প্রাঙ্গণে জানাযার নামায সম্পন্ন হয়। জানাযা শেষে জামিয়ার নতুন মসজিদ (বায়তুল আতীক জামে মসজিদ) সংলগ্ন জামিয়ার আসাতিজায়ে কিরামের জন্য নির্ধারিত নতুন কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। এই কবরস্থানে এটিই ছিল প্রথম কবর। আমি মহান আল্লাহর শাহী দরবারে আকুল আকুতি করছি-তিনি যেন তাঁর এ প্রিয় বান্দার সমস্ত নেক আমলকে কবূল করেন এবং কসূরগুলোকে ক্ষমা করে তাঁর কবরকে বেহেশতের একটি বাগানে পরিণত করে দেন ও তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসের সর্বোত্তম স্থানে অধিষ্ঠিত করেন। আমীন। ষ