যিলহজ্ব ১৪৩৪   ||   অক্টোবর ২০১৩

ভুল উচ্চারণে দরূদ পাঠ : সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

সালামু দুলাই আলাইকা

দরূদ শরীফ অত্যন্ত বরকতপূর্ণ আমল। দুআর বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে দরূদ শরীফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ হিসেবে তা আল্লাহ তাআলার ইবাদত। দ্বিতীয়ত এর সম্পর্ক রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে, যাঁর হক মুসলমানদের উপর তাদের প্রাণের চেয়েও বেশি এবং যিনি আল্লাহ তাআলার পরে আল্লাহর বান্দাদের প্রতি সর্বাধিক অনুগ্রহকারী। দরূদের মাধ্যমে তাঁর জন্য আল্লাহর দরবারে দুআ করা হয়। তাই এই আমল অত্যন্ত ভক্তি ও অনুরাগের সাথে আদায় করা উচিত। সহীহ-শুদ্ধভাবে আদায় করা উচিত।

নামাযে পঠিত দরূদে ইবরাহীমীর পর ছোট দরূদ হিসেবে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দরূদটিই সবচেয়ে বেশি লেখা ও পাঠ করা হয়। কিন্তু অনেক মানুষকেই দেখা যায়, এই ছোট্ট দরূদটির প্রথম অংশ

صلى الله    সাল্লাল্লাহু (প্রথম লাম-এ যবর) কে সাল্লেল্লাহু (প্রথম ল্ল- তে এ-কার দিয়ে অর্থাৎ প্রথম লামে যের দিয়ে) পড়ে থাকেন, যা সম্পূর্ণ ভুল।

আর আমাদের দেশের প্রচলিত মীলাদ মাহফিলে সুর করে সম্মিলিতভাবে যে দরূদ ও সালাম পাঠ করা হয় সে ক্ষেত্রে তো দরূদ শরীফকে বড়ই মাজলুম বানানো হয়।

এভাবে সুর করে সম্মিলিতভাবে দরূদ পাঠ করা কী তা এখনকার আলোচনার বিষয় নয়। এখনকার আলোচ্য বিষয় হল, সেক্ষেত্রে দরূদ ও সালামের শব্দাবলির উচ্চারণের যে বেহাল দশা হয় সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা।

সেখানে জনসাধারণ

يا نبي سلام عليك

 ইয়া নাবী সালামুন আলাইকা এই বাক্য উচ্চারণ করে এভাবে-ইয়া নাবী সালাই মালাইকা। তারপর

صلوات الله عليك

সালাওয়া-তুল্লাহি আলাইকা এই বাক্য উচ্চারণ করে এভাবে-সালামু দুলাই আলাইকা। তারপর

وعلى آل سيدنا

(ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা) এই বাক্য উচ্চারণ করে এভাবে-অলাই আলে সায়্যেদিনা ইত্যাদি। এগুলো নিছক উচ্চারণের ভুল নয়; বরং অমার্জনীয় বিকৃতি, যা থেকে বেঁচে থাকা ফরয। দরূদের মতো বরকত ও ফযীলতপূর্ণ আমলের ক্ষেত্রে আল্লাহ আমাদের আরো সচেতন হওয়ার এবং সহীহ-শুদ্ধভাবে সঠিক পন্থায় বেশি বেশি দরূদ পাঠ করার তাওফীক দিন। আমীন। 

 

 

advertisement